নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তিনি (বস/মহিলা) আমাকে ডেকে বলল দেখো ময়না পাখি তুমি যতই পাখনা মেলে উড়া উড়ি কর তোমাকে কিন্তু অবশ্যই আমার স্টোরি লিখতে হবে এবং স্টোরির পেহলা কদম বনানী কবরস্থান। আমি গত পাঁচ বছর ধরে সেখানে রোজ যাই তোমাকেও সেইখানে যেতেই হবে, না বোধক কিছু বলে লজ্জা দেবে না।
আমি অবাক খুশি হয়ে না করে দিতে দিতে বললাম, না হবে কেন বিচলিত নারী আছি আমি আছি।
সেই কথা মত কাজের প্রেসার দেখিয়ে নানা তালবাহানা ছলচাতুরি করে, অতি ব্যস্ত দিন কাটাতে কাটাতে বেশ কয়দিন একদম হাওয়া হয়ে যেতে যেতে দেখলাম সেও নাছোড় বান্দা পিছু ছাড়ি ছাড়ি করে ডুবন্ত নৌকা কি করে যেন ভাসিয়ে রাখলো, এবং গতকাল এলো সেইদিন।
এক সহকর্মীর নতুন রোগের আলামত দেখা দিয়েছে, তাকিয়ে থাকার আলামত, উনি আমার দিকে এতই তাকিয়ে থাকে যে আমার ধৈর্য তলানিতে গিয়ে ঠ্যাকায় ডিরেক্টর স্যার এর কাছে বিচার দিয়ে নানারকম ভালো ফলাফল আশা করে থাকতে থাকতে দেখি ডিরেক্টর স্যার(নিজ ডিপার্টমেন্ট বস)অফিসে আসে নাই, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম আজ আর তাকিয়ে থাকার ভেতর থাকবনা, শেষ বেলাটা বিচলিত নারীর সাথে কবরস্থান পরিদর্শনেই যাব, আমি এক কথার মানুষ সেই কবে কথা দিয়েছি!।
বনানী কবরস্থান কাছাকাছি এরিয়ায় মৃত্যু ভয় বাড়ানোর জন্যও এত এত বছরে একবার অন্তত যাওয়া উচিত ছিল।
উনার রুমে উকি দিতেই উনি খুশিতে ডগমগ করতে করতে বলল ও মাই গড ইতি তুমি বিলিভ করবেনা আমি মাত্র মোবাইলটা হাতে নিয়েছি।
কি জানি কি মিরাকল হয়েছে বুঝতে না পেরে হাল্কা গলায় বললাম ওয়াাআআআও।
সে বলল ওয়াও না এই দেখো ড্রাইভারের নাম্বার আমি তাকে এখুনি কল দিচ্ছিলাম গাড়ি বের করতে। এতে আমার খুশি হওয়ার কিছু হয়েছে ভেবে ভেবে হুম বলতেই সে
হেসে বললেন অযু আছে? অযু করে আসো বেবি, অনলি দুই মিনিট।
পড়িমরি করে ছুটে অযু করতে যেতে যেতে ফেইজবুক নোটিফিকেশন চেক করতে করতে দেখলাম কিছু দরকারি ইনবক্স এসেছে সেগুলোর রিপ্লাই সেই মুহূরূর্তেই না দিলেই নাহ! আমিতো প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেরই নাগরিক আমাকে এত টাইম মেইনটেইন করলে একটু কেমন দেখায় নাহ!!
বনানী কবরস্থাণে ঢুকে আমার মনের হাল্কা ভাব পরিবর্তন হতে থাকলো গেট থেকে কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই পেছন থেকে ছোট খাটো শুকনা হাল্কা পাতলা সুন্নতি দাড়িওয়ালা এক লোক এসে সাথে সাথে হাঁটতে হাঁটতে নিজের পরিচয় দিলো যে উনি এইখানের মসজিদের ইমাম।
তারপর কুশল বিনিময় করে আমার কাছাকাছি থাকতে থাকতে একটু লাজুক কিন্তু দায়িত্ব পালনে স্থির সচেতন স্বরে বলল যে আমরা মরে যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের আমলনামা ক্লোজ হয়ে যায়, যা কিছু ভালো কাজ করতে হবে জীবিত থাকতেই করতে হবে। আমি তার কথার উত্তর দিলাম না সেও উত্তর আশা না করে সাথে সাথে আমাদের গন্তব্য কবরটি পর্যন্ত গিয়ে তার মত দূরে সরে গেলো।
চারদিকে খা খা বিসন্নতা এবং অত্যন্ত ভারী পরিবেশ হওয়ায় আমি চারপাশে ঘন ঘন চোখ বোলাতে থাকলাম, তেমন কিছুই চোখে পড়লো না শুধু স্তব্ধ আকাশ শূন্যতা ছাড়ারাআমার সাথের জন তার প্রিয় মানুষের কবর ধরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে, একটু দুরেই ৫/৬ জন লোক কিছু একটা কাজ করছে এদিকে একটি বার ও তাকাল না। আমি তাতে নিশ্চিন্ত হয়ে ছবি তুললাম। হুজুরকে দেখা যাচ্ছে না।
কিছু কিছু কবর কি যে সুন্দর করে বাধাই করা। এরা অনেকেই আমাদের দেশের বিখ্যাত জন। কেউ আবার ক্ষণজন্মা অকালে চলে গেছে প্রিয়জনদের দুঃখে ভাসিয়ে।
ফিরতে ফিরতে দেখলাম একটা এক মাসের বাচ্চার কবর, কি যত্ন করেই না বাধাই করে রেখেছে শিশুটির বাবা মা। বের হতে হতে দেখলাম হুজুর কোত্থেকে যেন হন্ত দন্ত হয়ে খুব কাছে না এসে দূর থেকেই প্রচ্ছন্ন দৃষ্টিতে স্মিত হেসে বিদায় জানালো।
পুরো কবরস্থানের দিকে চোখ বুলিয়ে নিয়ে বের হতে হতে প্রকৃতই আমার মন ভারী হয়ে গেলো।
আমি ভাবলাম আমার মৃত্যুর পর আমার প্রিয়জনদের চোখের জল আমার জন্য সুখকর হবে না, আমি চাই ও না কেউ আমার জন্য কাদুক। যত দিন তারা পৃথিবীতে থাকবে হাসি খুশি আর সুখে থাকুক।
গতকালই প্রথম একসাথে এত কবর দেখেছি।
এ কথা সত্যি যে কবর গুলো দেখে মনে হয়েছে এটা খুবই শান্তির জায়গা।
কেউ একজন তাদের প্রিয়জনের কবরে সযতনে লাগিয়ে দিয়েছে বেলি ফুলের চারা। তাতে ফুলে ভর্তি হয়ে আছে।
ছবি গুলো নেম প্লেট দেখে তুলিনি ছবি তুলতে তুলতে সাথের জনের কথা শুনেছি, হুজুরের দিকে ফিরেছি শূন্য দৃষ্টিতে এদিক ওদিক তাকিয়েছি, ছবি গুলো পিসিতে নেয়ার পর দেখলাম এরা প্রায় সকলেই আমাদের দেশের বিখ্যাত চেনা জানা মানুষ।
ক্ষণজন্মা এই ছেলেটি অতি অল্প বয়সেই পৃথিবী ছেড়ে চলে গিয়েছে।
আরেক অতি অতি ক্ষণজন্মার কবর এটি। এই শিশুটি বেঁচে ছিল মাত্র এক মাস।
প্রায় সবগুলো কবর দেখলাম খুবই সুন্দর করে বাঁধানো।
একটি কবরে দেখলাম ছোট মত টুল করে দিয়েছে বসার জন্য কিনা!! কে জানে।
কেউ একজন যত্ন করে এই কবরের উপর রেখে গিয়েছে গোলাপ, সেগুলো শুকিয়ে কালচে হয়ে গিয়েছে।
এই কবরের সুন্দর ছড়ানো সবুজ।
কিছু কিছু কবরে একাধিক নেমপ্লেট এটা নাকি এই জন্য যে ক্রয় সুত্রে একি পরিবারের অধিক মৃত্যু হলে তাদের একি কবরে দাফন হয়ে থাকে।
সবশেষে আমার প্রিয় কবি জীবনানন্দ দাসের অন্ধকার কবিতার শেষের কয়েকটি আমার অতি প্রিয় লাইন--
গভীর অন্ধকারের ঘুমের আস্বাদে আমার আত্মা লালিত;
আমাকে জাগাতে চাও কেন?
অরব অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠবো না আর ;
তাকিয়ে দেখবো না নির্জন বিমিশ্র চাঁদ বৈতরণীর থেকে
অর্ধেক ছায়া গুটিয়ে নিয়েছে
কীর্তিনাশার দিকে ।
ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়ে থাকবো- ধীরে- পউষের রাতে
কোনোদিন জাগব না জেনে-
কোনদিন জাগব না আমি- কোনদিন আর।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ শান্তির জায়গা ঠিকই কিন্তু অন্যরকম ভারী এক পরিবেশ।
জীবনানন্দের কবিতাটা অনেক সুন্দর তাই না!! একদম ভেতর থেকে কান্না জড়িয়ে আসে।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা টু .।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: কোনোদিন জাগব না জেনে-
কোনদিন জাগব না আমি- কোনদিন আর।
আহা শান্তি!!
এত ঘুমের দেশের পোস্ট!!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬
সামিয়া বলেছেন: হুম ঘুমের দেশের পোস্ট ।। ধন্যবাদ ।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: গল্পচ্ছলে শুরু, ছবি ব্লগে শেষ ! চমৎকার পোস্ট।
জীবন বাবুর কবিতা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ভাইয়া ভালো থাকবেন।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: কবর দেখলেই আমার মনের ভেতরে কেমন বিষন্নতা নেমে আসে। বাবার কথা মনে পড়ে । মনে পড়ে আরও অনেকের কথা যারা এই পৃথিবীতে আর নেই।
এক সময়য় এই আমরাও নাই হয়ে যাব। কোন একদিন আমাদের নাম ধরে কেউ হয়তো বলবে ওই যে তার কবর।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাই, মন খারাপ করেনা।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
করুণাধারা বলেছেন:
পোস্টে +++++
কবরের কাছে গেলে নিশ্চয়ই আমাদের মৃত্যুভয় জাগবে। সমস্যা হচ্ছে আমাদের ধর্মে মহিলাদের কবরস্থানে যাওয়াকে নিরুৎসাহ করা হয়।
ক্ষণজন্মা অর্থ শুভক্ষনে জন্ম যার।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
সামিয়া বলেছেন: প্লাস দেখে ভালোলাগছে।
মহিলাদের আমাদের দেশে কবরে যেতে নিরুৎসাহ কেন করা হয় ?? আমি ব্যাপারটা ঠিক সেভাবে জানিনা।
ক্ষণজন্মা অর্থ আমি ভেবেছিলাম অল্প সময়ের জন্য জন্ম যার! আচ্ছা আমি ঠিক করে নিবনে। ভালো থাকবেন অনেক ধন্যবাদ।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯
মানবী বলেছেন: তখনও খুব ছোট, মৃতদেহ দেখা দূরের কথা নিকটাত্মীয় কারো মৃত্যু সংবাদ পর্যন্ত শুনিনাই। সেসময় বনানী গোরস্থানে ঠিক পাশ ঘেঁষে দেয়ালের ওপাশের সুউচ্চ দালানের জানাল দিয়ে অবাক বিস্ময়ে গোরস্থানটা দেখতাম!
ছোট্ট একটা মেয়ে অথচ সেসময় কবর বা গোরস্থান কোন ভয় সৃষ্টি করেনি মনে। সন্ধ্যার পর পর সব আলো জ্বলে উঠলে কেমন এক অপার্থিব সৌন্দর্য্যে ভরে যেতো মনে হতো।
সেই ছোটবেলায়ই অনুধাবন করেছিলাম মৃত মানুষকে ভয় পাবার কিছু নেই, যতো ভয় চলাফেরা করা জীবন্তগুলোদেরই!
আমেরিকার গ্রেভইয়ার্ড বা কবরস্থান দেখলে প্রতিবারই আমাদের দেশের বিশেষ করে বনানী গোরস্থানে কবরগুলো মনে করে দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে। মুসলিমদের গোরস্থান যেমন হওয়া উচিৎ, নিজের দেশে তা সহজে খুঁজে পাইনা, সব টাইলস, মার্বেল পাথর নাহলে কংক্রীট দিয়ে বাঁধিয়ে ভয়াবহ করে তুলেছে। অথচ এই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কবরস্থানটা ঠিক তেমনই যেমন হওয়া উচিৎ প্রকৃত মুসলিম গোরস্থান! কোন বাঁধানোর আতিসায্য নয়, শুধু মাথার কাছে একটি হেডস্টোন রাখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে তাও নেই। আমরা কোথা থেকে যে কবর বাঁধানোর এই ভয়াবহ কালচার আমদানী করেছি জানা নেই!
প্রিয়জনের মৃত্যুর পর ভালোবাসা তার জন্য আল্লাহ্র কাছে দোয়া আর তার অসহায় আপনজন থাকলে তাদের দেখাশোনার মাঝেই প্রকাশ সম্ভব, মার্বেল পাথর বা হিরা জহরত দিয়ে কবর বাঁধাই করে নয়।
সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় ইতি সামিয়া।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯
সামিয়া বলেছেন: দেশে আসা হয় না কতদিন হল?? বনানী কবরস্থান তো এখন অনেক আপডেট হয়েছে, আরও নতুন নতুন প্লান করছে সিটি মেয়র। দেখা যাক কি হয়।
হ্যাঁ এটা ঠিক কবরস্থানে ভয় লাগেনা কিন্তু এত এত মানুষের কথা স্মরণ করে মনে কি যেন কি ভিন্ন চিন্তায় ভরে যায়।
আমেরিকার গ্রেভইয়ার্ড সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
আপনি তো আমাদের কাছ থেকে দেশ থেকে অনেক অনেক দূরে, সুস্থতা আর সুখী জীবন হোক সবসময় সেই দোয়া করি।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮
বিজন রয় বলেছেন: শেষ ঘুম বা চিরঘুম!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
সামিয়া বলেছেন: বুঝেছি তো।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
রাতু০১ বলেছেন: ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়ে থাকবো- ধীরে- পউষের রাত।
মন খারাপ হয়ে গেল।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
সামিয়া বলেছেন: ওহ ডিয়ার সেইম আমার অবস্থা গতকাল কবরস্থানে যেয়ে মন খারাপ হয়েছিলো আর আজ এই পোস্ট লিখেও মন খারাপ হয়েছে, যাই হোক আমার মন খারাপ আপনার মন খারাপ কাটাকাটি ওকে? এখন আমরা আর মন খারাপ করে থাকবনা ঠিক আছে?? থ্যাংকস অ্যান্ড বি হ্যাপি।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: শুধু কবরই দেখেছেন নাকি কবর জিয়ারতও করেছেন??? ছবি গুলো তুলে দেখানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
সামিয়া বলেছেন: আমার তো ওখানে কেউ নেই। তবু আমি একবার সুরা ফাতিহা, তিনবার সূরা এখলাস, একবার সূরা নাস, আর তিন বার আয়াতুল কুরসি সবশেষে দুরুদ শরীফ পাঠ করেছি।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
ধ্রুবক আলো বলেছেন: ধানসিড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়ে থাকবো- ধীরে- পউষের রাতে
কোনোদিন জাগব না জেনে-
কোনদিন জাগব না আমি- কোনদিন আর।
একদিন সবাইকেই বিদায় নিতে হবে। ঠিকানা সবার এক কবর। ভালো কাজ যা করা জীবিত থাকা অবস্থাতেই করতে হবে।
পোস্টটা ভালো লাগলো
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভালোলেগেছে বলে উৎসাহ দেয়ার জন্য
১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
সুমন কর বলেছেন: শুরু, ছবি, লেখা আর কবিতা শেয়ার-- সব মিলিয়ে পোস্ট ভালো লাগল।
একদিন সবাইকে যেতে হবে !
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২২
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। হুম একদিন আমরা সবাই চলে যাবো।
১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
রিফাত হোসেন বলেছেন: পিচ্চি থাকত,আব্বার সাথে কবর জিয়ারত করতাম। ঢাকার মাঠ, জায়গা সব বাড়িতে ভরে গিয়েছে। কবর এর জায়গা সীমাবদ্ধ, এতই সীমাবদ্ধ যে দালান তৈরীর জন্য কবরের উপর বা সড়িয়ে করে ফেলছে।
আমি ক্ষনজন্মা হলে ভাল হত, অন্তত পৃথিবীর লোভ লালসা, সত্য-মিথ্যার বেড়াজাল থেকে মুক্তি হতে পারতাম। যদিও পৃথিবী সুন্দর তবে মানুষকে চেনা বড় দায়।
পোষ্ট +++
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য আর প্লাসের জন্য। বি হ্যাপি।
১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৬
প্রামানিক বলেছেন: লেখা এবং ছবি মিলে চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভালো থাকবেন দাদা।
১৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:২৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যত সুন্দর করেই কবর সাজানো হোক না কেন শান্তি নির্ভর করবে আমলের উপর...
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৯
সামিয়া বলেছেন: অবশ্যই।। ধন্যবাদ , ভালো থাকবেন।
১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫
নায়না নাসরিন বলেছেন: আমাদের অঞ্চলে মেয়েদের কবরস্থানে যাওয়া নিসেধ বিধায় ঢাকা শহরের কবরস্থানও সুন্দর আপু । +++++++্
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২
সামিয়া বলেছেন: কবরস্থানকে নিয়ে গ্রামে অনেক ভয়ের গল্প প্রচলিত আছে সেই জন্য হয়ত।
হ্যাঁ কবরস্থান তো সুন্দর কিন্তু প্রয়োজন ছাড়া কেউ তেমন যায় বলে মনে হয়না। ভালো থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ নায়না।
১৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
জীবনের শেষ জমি, যেতে হবে সবাইকে !
সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে বর্ননা দিয়েছেন।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শাহরিয়ার , ভালো থাকবেন। নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
১৭| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬
মানবী বলেছেন: কবরস্থানের আর কি আপডেট আপু, মৃতদের জন্য তো সেই সাড়ে তিন হাত অন্ধকার গহ্বর! বাইরের চাকচিক্যে কি এসে যায়। কংক্রিট, মার্বেল, পাথর আর টাইলসে বাঁধাই করা কবরগুলো অবশ্য সেসময় ছিলো। তাই এদেশের সাদামাট কবর দেখে দীর্ঘশ্বাসের কথা বলেছি।
লেখক বলেছেন: আমার তো ওখানে কেউ নেই। তবু আমি একবার সুরা ফাতিহা, তিনবার সূরা এখলাস, একবার সূরা নাস, আর তিন বার আয়াতুল কুরসি সবশেষে দুরুদ শরীফ পাঠ করেছি।
- মাশআ্ল্লাহ্ খুব ভালো পাঠ করেছেন, ভালো লেগেছে জেনে।
যে কোন কবর বা কবরাস্থানের পাশ দিয়ে যাবার সময় পাঠ করার সুন্দর একটি দোয়া আছে, এই পোস্টের সাথে প্রাসঙ্গিক দেখে শেয়ার করতে ইচ্ছে হলো-
"আস্ সালামু ইয়া আহলাল কাবুর"
কবরবাসীর জন্য শান্তি কামনা করে এই প্রার্থনা পরিচিত, অপরিচিত সকলের জন্যই করা যায়।
"অতঃপর হৃদয় বলেছেন: শুধু কবরই দেখেছেন নাকি কবর জিয়ারতও করেছেন???"
- মেয়েদের কবর জিয়ারত করার কোন বিধান আছে কি? যেটুকু জানি ইসলাম ধর্মে মেয়েদের কবরস্থানে যেতে অনুৎসাহিত করা আছে!
আবারও ধন্যবাদ ইতি সামিয়া।
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
সামিয়া বলেছেন: আস্ সালামু ইয়া আহলাল কাবুর এই দোয়া আমি কবরস্থানে ঢুকেই পড়েছি। আমি ভাবলাম সবাই তো কম বেশি জানে দোয়াটা তাই উল্লেখ করিনি। আপু আপনি আমার সামান্য দোয়া পাঠের ব্যাপারটা এত সুন্দর ভাবে নিয়েছেন দেখে খুব ভাললাগল। ভালো থাকবেন আপুনি, নতুন বাংলা বছরের শুভেচ্ছা।।
১৮| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
পৌষ বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোস্ট। দারুণ
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পৌষ
১৯| ০৩ রা জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
আমি ইহতিব বলেছেন: অন্যরকম পোস্টে ভালো লাগা জানাতে এলাম। গ্রামের বাড়ীর কবরস্থান দেখেছি। ঢাকা শহরের কবরস্থান কখনো দেখা হয়নি। কৌতূহল ছিলো দেখার। আপনার সুবাদে দেখা হয়ে গেলো।
১৩ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস আপু ভালো থেকো সুস্থ থেকো সাবধানে থেকো, আনন্দে থেকো। সবসময়।।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:২০
কানিজ ফাতেমা বলেছেন: জীবনানন্দ দাসের কবিতাটা অনেকদিন পর আবার পড়লাম ।
আমার ও মাঝে মাঝে মনে হয় সব থাকবে শুধু এই আমি কোথাও নেই । একরাশ বিষন্নতা.......
তবে ছবিগুলো দেখে সত্যিই শান্তি শান্তি লাগছিল ।
শুভ কামনা রইল ।