নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যদি পাখির মতন কোথাও উইড়া যাইতে পারতাম এইরকম অদ্ভুত গাম্ভীর্য ঝামেলায় পূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ঘুরে এলাম সিলেট।
সাথে ছিল আমার তিন ভগিনী কন্যা। উনারা বেশিরভাগ ছুটির দিনগুলোতে সর্বক্ষণ আমার মাথায় চড়ে
থাকে এবং আমায় প্রতিনিয়ত অত্যাধিক ঝামেলা প্রদান করে যাদেরকে আহ্ললাদের পাশাপাশি সর্বক্ষণ ধমকের উপর রাখতে এবং ধমক খাইতেও হয়।
আমি উনাদের রেখে কেন সমুদ্র দেখতে গিয়েছিলাম এই অভিযোগ ও দিনে দিনে বাড়তে বাড়তে আক্রমণাত্মক আকারও ধারন করছিলো।
বিশেষ একজনকে বললাম কি করা যায় উনি পরামর্শ দিলো আধা পাগলগুলারে প্যালেসে নিয়া ছেড়ে দিয়ে তুমি তোমার মত সময় কাঁটাও, ওখানে পরিবেশ এন্ড সিকিউরিটি ভালো তোমাদের একা চার মেয়ে হলেও কোন অসুবিধা হবেনা।
অবশেষে তাই করলাম।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে আমরা সিলেটের উদ্দেশে রওয়ানা হলাম। আমরা কালীগঞ্জ দিয়ে ঘোড়াশাল ভৈরব পার হয়ে মাত্র ৪ ঘণ্টায় সিলেট পৌছালাম। হাইওয়ে ছিল নিরিবিলি আর সুন্দর।
গান শোনা আর ছবি তোলা ছাড়া তেমন কিছু আর করার ছিলনা সেসময়।
খুব দ্রুতই আমরা ৫ তারকা হোটেল দি প্যালেস রিসোর্ট এন্ড স্পা পৌছে গেলাম।
রুম আগেই বুক করে রেখেছিলাম, আমাদের চেক ইন ছিল ২টায় , চেক আউট ছিল পরদিন ১২ টায়। এই একদিনে আমাকে প্রচুর খরচ করতে হয়েছে, যারা কম টাকায় ভ্রমনে ইচ্ছুক প্যালেস রিসোর্ট তাদের জন্য নয়। আমি ছেলে হলে অবশ্যই এত কস্টলি ভ্রমন করতাম না।
প্যালেসে অনেক কিছুই রয়েছে জিম,ছোটদের খেলার জায়গা, রিমোট কন্ট্রোল কার রেসিং। সুইমিংপুল , পাহাড়, লেক, বন জঙ্গল, থ্রিডি সিনেপ্লেক্স আর চতুর্দিকে সবুজ লন সুন্দর করে সাজানো আর সাথে পুরো এলাকা জুড়ে রয়েছে সাউন্ড সিস্টেমে ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিক।
আমার রুম থেকে বাইরের প্রকৃতি
ওদের রুম রিজার্ভের সাথে সাথে মর্নিং ব্রেকফাস্ট ছিল ফ্রী। ডিনার এবং লাঞ্চ করার জন্য ৪/৫ টা ওদের রেস্টুরেন্ট আছে। আমরা লাঞ্চ ডিনার ব্রেকফাস্ট সব অলিভ রেস্টুরেন্টেই করেছি।
অসাধারণ সব ফুল আর রঙের মেলা
আর্টিফিশিয়াল ট্রি
চারদিকে গুচ্ছ গুচ্ছ সাজানো ফুলের বাগান। নাম না জানা পাহাড়ি বুনোফুল।
লেকে যাওয়ার সিঁড়ি নীচে নেমে গেছে বহুদুর।
লেকে বোটে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে আমার দুই ভগিনীর দুই কন্যাদ্বয়
গাছ গাছালী ছেয়ে আছে চারপাশে।
এদের মুল ভবন ছাড়াও আলাদা আলাদা অনেক কটেজ রয়েছে দেখলাম, ছবিতে দেখা যাচ্ছে সেগুলোর একটি।
লেকের টলমলে জল
লেকের পাশে দেখলাম বেশ কিছু শুভ্র সাদা রাজহাঁস
কাপলদের জন্য জায়গাটা নিরিবিলি আর অসাধারণ।
অসাধারণ নিরিবিলি পরিবেশ
এখানে শান্তি যেন বিরাজমান সবসময়
অচেনা দুইজন সম্ভবত মা মেয়ে
সবশেষে বুদ্ধদেব বসুর লেখা আমার প্রিয় একটি কবিতার অংশ ।।
আমি যদি মরে যেতে পারতুম
এই শীতে
গাছ যেমন মরে যায়,
সাপ যেমন মরে থাকে
সমস্ত দীর্ঘ শীত ভরে।
যদি আমিও মরে থাকতে পারতুম
যদি পারতুম একেবারে শূন্য হয়ে যেতে,
ডুবে যেতে স্মৃতিহীন, স্বপ্নহীন অতল ঘুমের মধ্যে
তবে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হতো না
এই বাঁচার চেষ্টায়।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৫
সাহসী সন্তান বলেছেন: ওহঃ একটা জিনিস জিজ্ঞাসা করতে ভুলে গেছি! নিচ থেকে উপর, দুই নাম্বার ছবিটা উঠানোর সময় সীমাটা কেমন ছিল? আর সামনের রং-বেরংয়ের যে আলোর উৎসটা দেখা যাচ্ছে, ঐটা কিসের আলো? সূর্যের আলো গাছের ফাঁক গলিয়ে রাস্তায় এসে পড়ছে, নাকি আপনাদের গাড়ির হেড লাইটের?
ভিউটা খুবই চমৎকার হইছে! যে কোন ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হিসাবে কেবল অসাধারণ বললে ভুল বলা হবে, বরং তার থেকেও বেশি কিছু! এমন ব্যাক গ্রাউন্ডে বান্দরের ছবি উঠাইলে বান্দরকেও যে সুন্দর লাগবে, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিৎ!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২২
সামিয়া বলেছেন: সময় ৩ টা সাড়ে ৩ টা হবে, ওটা গাড়ির লাইটের আলো না। মাটি লাল রঙ ছিল আর রোদের আলো mixed effect অনেক ভালো ভালো অভিমত জানিয়ে inspire করার জন্য কৃতজ্ঞতা।
৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
পুলহ বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর। আশা করি, আপনার খরচ উসুল করার মত আনন্দ হয়েছে ট্যুরে।
শুভকামনা!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৪
সামিয়া বলেছেন: হাহাহা হুম তা হয়েছে।। thanks
৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: আপনি তো খুব ভালো ফটোগ্রাফার!
অসাধারণ ছবি ব্লগ....
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৬
সামিয়া বলেছেন: আরে না তেমন ভাল ছবি আর তুলতে পারি কই!" থ্যানক্স ডিয়ার
৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
আগে সময় পেলেই ছুটে যেতেম সিলেট,এখন আর তেমন যাওয়া হয় না ।
কেন জানি, সিলেট আমার খুব ভালো লাগে !!!
খুব সুন্দর ছবি ব্লগ !!
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২৮
সামিয়া বলেছেন: হুম সিলেট খুব সুন্দর জায়গা।। আমারো ভাললেগেছে, ধন্যবাদ, শুভকামনা
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৯
রাতু০১ বলেছেন: পোস্টে ভাল লাগা।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩০
সামিয়া বলেছেন: থ্যানক্স
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ছবিগুলো খুবই সুন্দর প্রাণবন্ত। ভালো পোষ্ট। ভালো লাগা রেখে গেলাম।
যাদুকর হলে কিছুক্ষণের জন্য পাখি বানিয়ে দিতাম আপনাকে,
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
সামিয়া বলেছেন: হুম আমি ডানা বিহীন উড়তে চাওয়া মানুষ!
মাঝে মাঝে আমার অস্থিরতা দেখে কেউ কেউ আপনার মত এরকম বলে যে তাদের ক্ষমতা থাকলে আমায় কিছুক্ষনের জন্য হলেও পাখি বানিয়ে দিত। হাহা... যাই হোক অনেক থ্যানক্স। Be Happy
৮| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রেজেন্টেশন খুব চমৎকার লেগেছে। পাঠক হিসেবে কিছুটা বাস্তবিক ভ্রমনের আনন্দও খুঁজে পেয়েছি। সিলেট অবশ্যই সুন্দর একটা স্থান। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বৃষ্টিভেজা সিলেট পৃথিবীর অন্যতম সেরা সুন্দর জায়গা। বর্ষায় সিলেট একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য ধারন করে। আমি সিলেটে গিয়ে যখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গিয়ে মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়গুলো দেখি, তখন আমার খুব হিংসে হয়, আমি আফসোস করে বলি, আহা! ঐ পাহাড়গুলো কেন আমাদের হলো না।
এবার কিছুটা ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলি। আপনার পোস্টে হয়ত কিছুটা কম গুরুত্ব পেয়েছে বা ব্যাপারটা আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এমন স্বাভাবিক যে, এটা নিয়ে বাড়তি কথা বলে হয়ত কোন লাভ নেই। আপনার পোস্টে দুইটি লাইন আছে, সেখানে আপনি উল্লেখ্য করেছেন,
বিশেষ একজনকে বললাম কি করা যায় উনি পরামর্শ দিলো আধা পাগলগুলারে প্যালেসে নিয়া ছেড়ে দিয়ে তুমি তোমার মত সময় কাঁটাও, ওখানে পরিবেশ এন্ড সিকিউরিটি ভালো তোমাদের একা চার মেয়ে হলেও কোন অসুবিধা হবেনা।
অবশেষে তাই করলাম।
এবং
এই একদিনে আমাকে প্রচুর খরচ করতে হয়েছে, যারা কম টাকায় ভ্রমনে ইচ্ছুক প্যালেস রিসোর্ট তাদের জন্য নয়। আমি ছেলে হলে অবশ্যই এত কস্টলি ভ্রমন করতাম না।
আপনার এই দুটো লাইনেই মুলত আমাদের দেশের পর্যটন ব্যবস্থার প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে। যদিও আমাদের দেশে পর্যটনকে শিল্প হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে তা কতখানি শিল্প হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। একটি সফল পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রয়োজন দেশীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে প্রাধান্য দিয়ে পরিকাঠামোগত (infrastructural) উন্নয়ন ও সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা, আন্তর্জাতিক মানদন্ডের ভিত্তিতে একটি পর্যটক-বান্ধব পর্যটন নীতিমালা ও তার যথাযথ পর্যবেক্ষন, নিজস্ব সংস্কৃতির আলোকে ব্যক্তিকেন্দ্রিক অবসর কাটানোর সর্বোচ্চ সুব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সেবামুলক আচরন।
কিন্তু আমাদের দেশের পর্যটন বিভাগ এই সকল শর্তাবলীর কয়টি সঠিকভাবে পূর্ন করেছে আমার জানা নেই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তারা সাফল্যও পাচ্ছে, কিন্তু অবহেলায় এবং গাফিলতিতে হারিয়ে যাচ্ছে অনেক কিছু। আমাদের দেশের পর্যটনের আধুনিক অবকাঠামোগুলো সত্যিকার অর্থে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর সামর্থকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেনি। উচ্চবিত্তই এখানে মুল টার্গেট। ফলে মানসম্মত সার্ভিসের জন্য আশেপাশের দেশের তুলনায় প্রচুর খরচ গুনতে হয় আমাদের দেশের ভ্রমন পিপাসু মানুষদের। নিরাপত্তার জন্য খরচ করতে হয় স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুন বাড়তি টাকা।
যাইহোক, ভিন্ন প্রসঙ্গে অনেক কিছু বলে ফেললাম।
সাহসী সন্তান বলেছেন: নিঃসন্দেহে আজকের দেখা সেরা ছবি ব্লগ এটা! সত্যি তাই।
পোস্টে প্লাস।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
সামিয়া বলেছেন: সেদিন এক ছোট ভাই আমারে ম্যাসেজ দিয়া বলল তুই নাকি বই বের করতেছিস! তুইতো রাইটার হতে পারবিনা, কারন রাইটার হইতে হইলে অনেক কথা বলতে হয় বুঝে কথা বলতে হয় না বুঝে কথা বলতে হয় সারাদিন কথা বলবি যত কথা তত ফেমাস, কিন্তু তুই তো অনেক কম কথা বলিস তোকে দিয়ে এসব হবেনাহ,আমি ওর জবাবে বললাম আমি এখন বেশি কথা বলি। সে শেষ রিপ্লে দিল পারবিনা
আসলেই মনে হচ্ছে আমার সেই ছোট ভাই ঠিক, এই ক্ষেত্রে আমি আমার লেখায় যে ভুল গুলো করি তা আপনি ঠিকই ধরেছেন আমি লিখেছি যারা কম টাকায় ভ্রমনে ইচ্ছুক প্যালেস রিসোর্ট তাদের জন্য নয়। আমি ছেলে হলে অবশ্যই এত কস্টলি ভ্রমন করতাম না। এটা লিখে আমার মনে হল সবটা বলা হয়ে গেলো। আপনি দেশের পর্যটন নিয়ে যা যা লিখেছেন তা সব।।
আর আমি আজ সারাদিন বসে এই পোষ্ট দিয়েছি, পিক আপ দিয়েছি, কাজ করেছি আবার আপ দিয়েছি এভাবে, আমার কষ্ট সার্থক। ধন্যবাদ অনুপ্রেরনার জন্য।
৯| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৬
ভাবুক কবি বলেছেন: আপনাকে পাখি বানাতে পারব না হয়ত কিন্তু ভালবাসা দিয়ে গেলাম।
দারুণ ছবি ব্লগ
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাবুক কবি সুন্দর কমেন্টের জন্য।
১০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইতি সামিয়া ,
ভালো লাগলো ।
বুদ্ধদেবের কবিতার এটুকু কোট করলুম -----
............আমি যদি মরে যেতে পারতুম
এই শীতে
গাছ যেমন মরে যায় ............
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৬
সামিয়া বলেছেন: হুম অনেক প্রিয় এই কবিতাটা। ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
১১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সুমন কর বলেছেন: সব মিলিয়ে পোস্ট দারুণ হয়েছে।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমনদা, ভাল থাকবেন।
১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর পোষ্টটির জন্য ।
ভাল লাগল ভ্রমন বিবরণী সাথে সুন্দর সুন্দর ছবি গুলি,
কোনটি হতেই চোখ ফিরানো যায়না ।
হলিডে ভ্রমনটা অবশ্যই কস্টলি, কারো কাছে কম কারো কাছে বেশী,
তবে এর প্রয়োজন আছে,তা না হলে জীবনটা হয় এক গোয়েমী ।
দেশের ধনী ও গবীব সকলেই কর্ম জীবনের ফাকে যে যতটুকু
পারেন যান ভ্রমনে, যার সঙ্গতি নেই তিনিও যান কাছাকাছি
কোন পরিচিত জনের বাড়ীতে বেড়াতে, মোট কথা তারা
নীজের অলক্ষেই মানুষের মনের একটি সুপ্ত বাসনাকে
মিটিয়ে থাকেন, পাকৃতিক নিয়মেই মনের প্রফুল্যতা
বাড়িয়ে নীজের দেহমনে কর্মস্পৃহা জাগিয়ে তুলেন।
নাম না জানা পাহাড়ি বুনোফুলটা সম্ভবত মটকা ফুল।
ফুলটা যেমন সুন্দর এর পাতাটাও গুনবতী।সেইযে
ছোট বেলায় বনে বাদারে খেলতে গিয়ে হাত পা
কেটে গেলে এমটকা পাতা কচলিয়ে তার রস
মেখে দিলে এনটিবায়োটিকেরই মতই কাজ
করত, তাই এটাকে স্খানীয় কবিরাজেরা
যথেষ্ট গুরুত্বই দিত । শিড়ির গোড়ায়
মানকচু গাছটিও অআপনার দৃষ্টি
এড়ায়নি দেখে ভাল লাগল ।
গ্রামীন বাংলার চিরায়ীত
বিষয়াবলী এই ভ্রমন
কাহিনীতে ছবিহয়ে
আসায় পোষ্টের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি
হ'ল মনে
হয়েছে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০৮
সামিয়া বলেছেন: ভাইয়া কচু গাছ তো আমার রিয়েল মনে হয়নি, ওই ঝরনাটা কৃত্তিম ছিল। সব কিছুই প্লান করে made করা। ওখানে গ্রামের কিছু নেই। সব artificial সব।
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৩
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: পাখি না হয়েও হেব্বি ঘুড়াঘুড়ি দিছেন -পাখি হইলে সেটা আর সম্ভব হইত না
পোষ্ট খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন।উপভোগ করলাম ।
লেখিকার চোখ অনেক সুন্দর
ধন্যবাদ ।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:১৪
সামিয়া বলেছেন: হুম সেই ঘোরাঘুরি দিয়েছি, প্রথম ছবিটি আমার তোলা না।ওটা আমি নিজেই
পাঠকের চোখ ও তো বেশ সুন্দর।।ধন্যবাদ।।
১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৭
অবনি মণি বলেছেন: আমার সিলেট।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২২
সামিয়া বলেছেন: হাহা তাই! আপনার সিলেট বেশ সুন্দর।।
১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৫
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: স্থানগুলির নাম দিলে হয়তো আমার দেখা সিলেটের সাথে মিলাতে পারতাম।। তবে পথঘট দেখে মনে হচ্ছে '৭০ দশক থেকে '৮০ মাঝামাঝির সিেট অনক বদলে গেছে।।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
সামিয়া বলেছেন: স্থানের নাম তো দিয়েছি, দি প্যালেস রিসোর্ট সিলেট , গুগলে লিখে search দিলেই পেয়ে যাবেন। বলতে গেলে সব পিক ওখানেই তোলা, রাস্তা ঘাটের ছবি কিছু আছে ওগুলো তো লিখেছি on the way to kaliganj, ghorashal, voirab, and at last sylhet.
১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: দ্যা প্যালেস খুবই এক্সপেন্সিভ, আমার এমন চা বাগানের ভেতর বসে একটু খাওয়া দাওয়া করাটাই বেশী ভালোলাগে, সেই সাথে খরচ ও বাঁচে
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৭
সামিয়া বলেছেন: হুম অনেক এক্সপেন্সিভ, এক রাতের দুই রুম রিজার্ভ, চারজনের বুফে ডিনার, লাঞ্চ, এইটুকুতে আমার বিল এসেছে ৪৫ হাজার আটশো আশি টাকা। কিন্তু আমাদের দেশে মেয়েদের নিরাপদে ভ্রমনের ব্যবস্থা খুব একটা সুবিধার না, নিরাপত্তার জন্যই এক্সপেন্সিভ ভ্রমনে যেতে হয় তা না হলে ঘরে বসে থাকা।
আপনার ছবিটা সুন্দর হয়েছে ভাইয়া।
১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
দৃষ্টিসীমানা বলেছেন: ছবি এবং বুদ্ধদেব বসুর কবিতাটি সব মিশিয়ে চমৎকার পোষ্ট । আমার বড় মেয়েটি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে পড়েছে তাই ওখানে আমার অনেক
বার যাওয়া হয়েছে , সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতই জায়গাটি । আর আপনার আপনার উপস্থাপন চমৎকার । ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা ।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৯
সামিয়া বলেছেন: আপনাকেওও অনেক অনেক ধন্যবাদ।। বি হ্যাপি।।
১৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আপনার পোস্ট যখন দেখছিলাম, তখন নিজেকে হারিয়ে ফেলতেছিলাম, আসলেই বাংলাদেশ অনেক সুন্দর, সবুজ পুরো বাংলা জুড়েই আছে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হৃদয়, ভাল থেকো।
১৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
জীবন সাগর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। সবগুলি ছবিই ভালো।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জীবন সাগর।।
২০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: ছবি আর বর্ণনা মিলে অনেক ভালো লাগা পোস্টে।
এক সময় পুরা সিলেটের আনাচে কানাচে ঘুরতাম, তখন প্যালেস ছিলনা, গ্র্যান্ড সুলতান ছিলনা। এমন নিরিবিলি টানে আমাকে খুব কিন্তু সময় হয়ে উঠেনা এখন আর। তাও ইচ্ছে আছে ছেলেকে নিয়ে যাবো চা বাগান দেখাতে।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। ভাল থাকবেন।
২১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১১
জেন রসি বলেছেন: শিরোনাম দেখে বিখ্যাত একটা উক্তির কথা মনে পড়ে গেল। সেটা হচ্ছে “ If you want to fly give up everything that weights you down”.
চমৎকার ছবি ব্লগ।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৬
সামিয়া বলেছেন: thanks bro nice quotes
২২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৪৬
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: Excellent photo blog.
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
সামিয়া বলেছেন: thanks bro
২৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০
আমি ইহতিব বলেছেন: দারুণ প্রেজেন্টেশন। আপনার পোস্ট পড়তে এজন্যই এত ভালো লাগে।
এত্ত সুন্দর জায়গা দেখে খুব যেতে ইচ্ছে করে, কিন্তু এত্ত এক্সপেনসিভ দেখে যাওয়ার ইচ্ছা ফুটুস.....
পোস্টে এত্তগুলা ভালোলাগা
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩
সামিয়া বলেছেন: জায়গাটা আসলেই অনেক সুন্দর আপু, অনেক বিশাল অনেক নিরিবিলি। এই জায়গায় গিয়ে কেউ মন খারাপ করে থাকতেই পারবেনা, আর ওরা এত সব ব্যাবস্থা করে রেখেছে!! বিভিন্ন স্থানে background music এত ভাল লাগছে না!! আর চেষ্টা করলে কিন্তু খরচ কমানো যাবে, ওদের রুম ভাড়া ১২ হাজার, দুইটা রুমের জন্য আমার চব্বিশ হাজার টাকা গিয়েছে, এখানে আপনি ভাইয়া আর বাচ্চাদের নিয়ে এক রুম নিলে আর ডিনার লাঞ্চ বাইরে খেয়ে নিবেন তাহলেই হবে। সকালের breakfast তো ফ্রি।
২৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আহা! চোখের শান্তি পাইলাম।
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সামিয়া বলেছেন: Thanks
২৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আপনার পোস্ট প্রেজেন্টেশন খুব চমৎকার লেগেছে। পাঠক হিসেবে কিছুটা বাস্তবিক ভ্রমনের আনন্দও খুঁজে পেয়েছি। সিলেট অবশ্যই সুন্দর একটা স্থান। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, বৃষ্টিভেজা সিলেট পৃথিবীর অন্যতম সেরা সুন্দর জায়গা। বর্ষায় সিলেট একটা অদ্ভুত সৌন্দর্য ধারন করে। আমি সিলেটে গিয়ে যখন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে গিয়ে মেঘালয়ের সুউচ্চ পাহাড়গুলো দেখি, তখন আমার খুব হিংসে হয়, আমি আফসোস করে বলি, আহা! ঐ পাহাড়গুলো কেন আমাদের হলো না।@ কাল্পনিক ভালবাসা আমার মনের কথা গুলিই বলেছেন।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
সামিয়া বলেছেন:
২৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
তোমার জন্য মিনতি বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট। ছবিগুলি চমৎকার। কথাগুলিও ভালো।
দারুণ ভালো লাগা রইল।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪২
সামিয়া বলেছেন: আরে মন তো খুশিতে ভরে গেলো এত এত ভালো ভালো শুনে। কৃতজ্ঞতা।
২৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সানহিমেল বলেছেন: ছবিগুলো সত্যিই অসাধারন। ছবির সাথে বর্ণনাগুলো ভাল হয়েছে। নাইস প্রেজেন্টেশন।
০২ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২৪
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস সানহিমেল
২৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: বিনা খরচে প্যালেস ভ্রমন হয়ে গেল !
দারুন সুন্দর লেখনী এবং ছবি
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫
সামিয়া বলেছেন: থ্যাংকস ডিয়ার নীল-দর্পণ
২৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২২
মো: খায়রুল ইসলাম বলেছেন: ছবি গুলা কি বাংলাদেশের?
১৪ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
সামিয়া বলেছেন: হ্যাঁ আমাদের বাংলাদেশের, সিলেট দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্টের ।
৩০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
মাকার মাহিতা বলেছেন: সুন্দর মন থেকেই এত সুন্দর ছবি ও ক্যাপশন আশা করা যায়!
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
সামিয়া বলেছেন: আরিব্বাহ!!! এত প্রসংশা!!!!!!
আসলে তেমন কিছু না, জায়গাটা সুন্দর তাই ছবি গুলো ও ভালো হয়েছে।।
৩১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
মাকার মাহিতা বলেছেন: প্রসংশা বেশি পাওয়ার যোগ্য পোষ্ট বলেই এত প্রসংশা!
মাত্রা বেশি হলে কমায়া দিই!
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯
সামিয়া বলেছেন: মাত্রা বেশি হলেও কমাতে তো কেউ চাইবেনা। আমিও না ।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
সাহসী সন্তান বলেছেন: নিঃসন্দেহে আজকের দেখা সেরা ছবি ব্লগ এটা! কিছু ছবি থেকে চোখ ফেরানো দ্বায় হয়ে পড়ছিল। স্পেসেফিক ভাবে শালুক ফুলের ছবিটা সত্যিই খুব সুন্দর হয়েছে। তাছাড়া আপনার ক্যাপশন গুলোও পোস্টটাকে চমৎকার তথ্যবহুল করে তুলেছে।
পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!