নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিফটে উঠতে গেলেই সব সময় নন্দিনী বলে এই না না লিফটে না সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠবো স্বাভাবিক ভাবেই তখন অজ্ঞাতজনেরা ঘটনা জানতে চায় এবং নন্দিনী ভয় আর আগ্রহ নিয়ে শুরু করে ওর লিফটে আটকা পড়ার দুখভরা কাহানী! একসাথে অনেক কথা বলার কারনেই নন্দিনীর মনের ভয় দুঃখ আবেগ কেউ কিছুই তেমন বুঝতে পারেনা শুধু শুধু ওর অতিরিক্ত মিষ্টি মুখের দিকে চেয়ে থাকে একেকজন সুযোগে, আমাদের ভাললাগেনা এই এক গল্প অসংখবার শুনেছি আমরা, আর কত!!
অনেকেই লিফট আতঙ্কে থাকেন ভয় পান, লিফটে আটকা পড়ার ভয়ানক অভিজ্ঞতা যাদেরই হয়েছে তারা লিফটে ওঠা নিয়ে ভয় প্রকাশ করবেই এবং জায়গায় বেজায়গায় তার সেই অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেই।
কিন্তু লিফট ছাড়া আজকালকার জীবন কল্পনার বাইরে।
একটা অফিসিয়াল মেইল পেয়েছি কিছুক্ষণ আগে, মেইল পাওয়ার পর থেকেই আমার মাসখানেক আগের একটা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ইচ্ছে জাগলো, তবে আমাকে ভীতু ভাবার কিছু নেই।
আমরা এম,বি,এ ইভিনিং এর ব্যাচ হওয়ায় ক্লাস হয় সন্ধ্যায় আমাদের বেশ পুরানো ইউনি’র লিফট আরও পুরানো হওয়ায় লিফট চলে ধীর গতিতে, কেঁশেকুশে, হেঁটে, দাঁড়িয়ে, আস্তে আস্তে, ধীরে উপরে ওঠে এবং নিচে নামে। তাই সহজে কেউ লিফটে ওঠে না। শুধু শুধু সময়ের অপচয়, ছয়তলা ভবন; ছাত্র ছাত্রীরা বেশির ভাগ হেঁটে গল্পগুজব করতে করতে সিঁড়ি দিয়েই ক্লাসে পৌঁছে যায়।
একদিন আমার অফিস থেকে ইউনি’তে যেতে যেতে ৭টা বেজে গেলো। ক্লাস শুরু হয়েছে ৬টায়। ক্লাসে এক ঘণ্টা অনুপস্থিত থাকা মানে ওই বিষয়ে বাকি জীবন এক ঘণ্টা অন্ধকারে থাকা। আমার তখন খুব তারাহুরা আর একা।
এই সময় ইউ’নি অনেক ফাঁকা থাকে, দুইজন দারোয়ানকে দেখে এসেছি গেটের সামনে বন্দুক হাতে বসে বসে ঢুলছে, মাঝে মাঝে দুই একটা মশা মারছে। আমি তাড়াতাড়ির জন্যই লিফটে উঠে গেলাম, এটার দেয়াল কাঁচের মত। এবং কোন একটা কারুকাজের জন্য নিজের কমপক্ষে ১৫টা প্রতিবিম্ব দেয়াল জুড়ে ভরে যায়।
এ কথা কেউ বিশ্বাস করবেনা যদিও তবু ৯৯ ভাগ মানুষ বিপদ ঘটার মিনিট খানেক কিংবা তারও আগে থেকে টের পেতে থাকে কিন্তু বাস্তবতার দৃশ্যপটে সেগুলো নিতান্ত অবাস্তব মনে হতে হতে তা ভুলেই যায়, কিছু একটা হতে যাচ্ছে, কিছু একটা, এমন কিছু একটা যা আগে হয়নি। অতঃপর নিতান্ত উপস্থিত সিদ্ধান্তহীনতায় সে সবকিছু বুঝেও সেই বিপদে পড়েই।
আমি লিফটে পা দিতে দিতে স্পষ্ট বুঝলাম এই লিফট আজ উপড়ে পৌছবে না। এটা আমার ভেতর থেকে কিছু একটা পরিস্কার ভাবেই জানান দিলো। অথচ বিশ্বাস করলাম না। লিফটের বাটন চাপলাম। ছয় তলার কনফারেন্স রুমে প্রেজেন্টেশন ক্লাস হচ্ছে।লিফট খুব ধীরে এক,দুই,তিন,চার ক্রস করে খানিকটা কেশে দাঁড়িয়ে গেলো। আর নড়ল না, দরজাও খুলল না, বাইরে থেকে কেউ কল দেয়নি সেটি স্পষ্ট।
কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ও যখন দরজা খুলল না; আমি হতবিহব্বল!! যা ভাবছিলাম কিংবা আমার মনে যা এসেছিলো তাই হয়ে গেলো!!! কি অদ্ভুত কি অদ্ভুত!! দেয়ালের চারপাশে আমার প্রতিচ্ছবি আমার দিকে ঘন ঘন তাকাচ্ছে! দৃষ্টি পরিবর্তিত হচ্ছে, ওটা যে নিতান্তই আমি সেটার কনফিডেন্স কমে যাচ্ছে।
আমি বেশ কয়েকবার সবগুলা বাটন চেপে যাচ্ছি!! ব্যাপারটা খারাপের দিকে যাচ্ছে, লিফটের এসি থেকে বাতাশ বের হচ্ছে না ওটা বন্ধ হয়ে গেছে। লাইট ভুতের ছবিতে দেখা দৃশের মত কাঁপছে। ঘন ঘন দ্রুত গতিতে কেঁপে একসময় লাইট বন্ধ হয়ে গেলো। লিফটটা ছিল ছোট আর পুরাতন একটা গন্ধে ভরা ঘুটঘুটে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে আমি একা।
কিছু কিছু নিজের সাথে স্বয়ং ঘটে যাওয়া ঘটনা নিজের কাছে অবিশ্বাস্য লাগে।আমি ব্যাগ এর ভেতর মোবাইল খুঁজতে লাগলাম তাতে নেটওয়ার্ক নেই।পুরানো লিফট বলেই মোবাইল নেটওয়ার্ক কাজ করবে সে রকম কোন ব্যবস্থা নেই।
আমি মোবাইলের আলোতে লিফটের চারপাশের দেয়ালে নিজের আধ আলো অন্ধকারে বিকৃত প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলাম। হাতড়ে হাতড়ে সব কয়টা বাঁটন বহুবার চেপে শেষে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়েছি। ভয় না। মন খুব খারাপ হয়ে গেলো।
নিজের জন্যই খারাপ হল। জীবন জুড়ে প্রতিনিয়ত বাঁধা দুঃখ কষ্ট হতাশা আমাকে ঘিরে ধরল, মন দ্রুত খারাপ হতেই থাকলো যে কারনে লিফটের বাঁটন চাপা কিংবা কল করার চেষ্টা কোনটাই আমাকে আকর্ষণ করলনা। এমনিতেও লিফটে অ্যালার্ম সিস্টেম নেই নষ্ট হয়ে আছে অনেকদিন আগে থেকেই।
আমি গভীর অন্ধকারে খুব ছোট্ট পরিসরে বন্ধ হয়ে থাকতে থাকতে ছুটির ঘণ্টা নামের ছবির কথা মনে করলাম যেটা নাকি সত্যি ঘটনা থেকে বানানো বলে শুনেছিলাম, ছবিটি দেখিনি তবে বাবার কাছে কাহিনী শুনেছি বহুবার তার বোধহয় এই সিনেমাটা বেশি প্রিয়।
ওই ছবিতে দেখানো হয়েছিলো স্কুল ছুটির পর ওই স্কুলেরই এক বাচ্চা ওয়াশরুমে যায় এবং সে বের হতে না হতেই বাইরে থেকে স্কুলের দারোয়ান তালা দিয়ে বাড়ি ফিরে যায় আর দুর্ভাগ্যজনক ভাবে ওইদিন থেকেই স্কুলে গ্রীষ্মকালীন এক মাসের ছুটি শুরু হয়, যার ফলে এক মাস ছেলেটি ভয়ঙ্কর রকম ধুঁকে ধুঁকে না খেয়ে, বাথরুমে কলের পানি খেয়ে দেয়ালে দেয়ালে চক দিয়ে তার দুর্ভোগের কথা লিখতে লিখতে একসময় মারা যায়।
আমার বেলায় এই সম্ভাবনা নাই, তবে একটু খারাপ চিন্তা তো মাথায় আসেই, যুক্তি যুক্ত খারাপ চিন্তা।
যেমন যেহেতু পুরা ইউনিতে শুধু আমাদের ব্যাচ এর ক্লাস হচ্ছে, আর যেহেতু লিফট খুব একটা কেউ ব্যবহার করেনা সুতরাং ক্লাস শেষে যদি সবাই চলে যায়, লিফটম্যান হয়ত আগেই বাড়িতে ফিরে গেছে, দারোয়ান নিশ্চয়ই সব তালাতুলা দিয়ে লিফট চেক করতে আসবেনা বরং লিফটের সুইচ অফ করে দিতে পারে! কি ভয়ঙ্কর!।
দেখতে দেখতে অনেক সময় পার হয়ে গেলো, পা ব্যাথা করছে ছোট্ট আর গুমোট জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে। আমার মন লিফটের মেঝেতে বসি বসি করছে, মোবাইলের আলোয় চারদিকে নিজেকে দেখতে পেলাম, ভাললাগলোনা নিজেকে,দরজায় নক করে লাভ নেই সেই শব্দ ওপাশে পৌঁছবেনা। আবার মেঝের দিকে তাকালাম মেঝেতে বসতে ইচ্ছে করছে।
এভাবে অনেক সময় পর আবার বার বার এলোমেলো বাটন চাপলাম এবং তখনি আশ্চর্যজনক ভাবে একটু খানিকটা কেশে উনি নড়ে উঠলো, এবং খুব ধীরে ধীরে নীচে নামতে থাকলো।
একসময় দরজা যখন খুলে গেলো আমার বিশ্বাস হচ্ছিলো না, মনে হচ্ছিলো সে(লিফট) আমার সাথে ফান করেছে, আসলে সে থেমেই আছে আমি ভাবছি খোলা।।
বাইরে বের হতেই বাতাসের কোমল ঝাঁপটা আমার চোখে মুখে লাগলো! আহ বাতাস! কি আরাম! কি শান্তি!
দেখলাম ক্লাস শেষে সবাই প্রায় চলে গেছে, দুই একজন যারা ছিল তারা কমপ্লেইন আর টিজ করলো কেন আমি প্রেজেন্টেশনের ক্লাসে ছিলাম না স্যার প্রচণ্ড খেপেছে মার্কস কাটবে, দেখা করতে বলেছে ইত্যাদি।
পরবর্তীতে আমি ভার্সিটির ম্যানেজমেন্টকে ব্যাপারটা জানিয়েছিলাম যেন আর কেউ এই বিপদে না পড়ে আমি জানিনা তারা এই ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নিয়েছে কিনা।
লিফট সতর্কতা সম্পর্কে যে মেইলটা পেয়েছি তারা সম্ভবত নিউজ পেপার থেকে সংগ্রহ করেছে। হয়ত অনেকেরই এসব জানা তবু আরেকবার রিভিউ করছি। বাড়তি সতর্কতা।
লিফটে আটকে গেলে যা করবেন:
যদি আপনি লিফটে আটকে যান, তবে লিফটের Door Open লেখা বাটন চাপ দিন। যদি দরজা খুলে যায় তবে আগে দেখুন লিফটি কোন তলার ফ্লোরের সমতলে রয়েছে কিনা। যদি তা না হয় তবে তাড়াহুড়ো করে বের হতে গেলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
যদি লিফটের দরজা কোনভাবেই খোলা সম্ভব না হয় তবে দরজার পাশেই থাকা 'এলার্ম' চিহ্নিত বাটন চাপ দিন ও বাইরে থেকে কারো সহযোগিতার জন্য অপেক্ষা করুন। এছাড়া বর্তমানে বেশিরভাগ লিফটেই দুই দিক থেকেই কথা বলা যায় এরকম স্পিকার কিংবা টেলিফোন থাকে। ফলে লিফটে কেউ আটকে পড়লেও সেই স্পিকার বা ফোনের মাধ্যমে ঐ ভবনের উদ্ধারকারী দলের সাথে কথা বলতে সক্ষম হবেন।
লিফটের ভেতরে আটকে পড়লে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে মাথা ঠাণ্ডা রাখা ও শান্ত থাকা। কারণ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়লে পুরো ব্যপারটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। যদি আপনি claustrophobic বা ছোট আবদ্ধ জায়গায় আটকে যাবার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন তবে চেষ্টা করুন লম্বা শ্বাস নিয়ে নিজের মনঃসংযোগ অন্য কিছুতে নিবদ্ধ করতে। মনকে শান্ত করার জন্য উল্টো দিক থেকে সংখ্যা গণনা শুরু করতে পারেন। এমনকি যদি লিফটের ভেতরের তাপমাত্রা বেশি হয়ে যায় তবুও আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না, কারণ লিফটের ভেতরে বাতাস চলাচলের জন্য যথেষ্ঠ জায়গা থাকে।
√ কিছু সাধারণ বিষয় মাথায় রাখুন:
লিফটে পা দিলেই আপনি বুঝতে পারবেন সেটি ফ্লোর বা মেঝের সমতলে রয়েছে কিনা।
যদি দেখেন লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তবে দৌড়ে তাতে ঢোকার চেষ্টা পরিহার করুন কিংবা লিফটকে থামানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। ধীর-স্থিরভাবে অপেক্ষা করুন, লিফট কিন্তু সেই ভবন থেকে পালিয়ে যাচ্ছে না!
লিফটের দরজার কাছ থেকে নিজে ও নিজের জিনিসপত্র দূরে থাকুন। কোন জরুরি অবস্থা সৃষ্টি হলে বের হওয়ার জন্য দরজার অংশ খালি থাকা জরুরি।
যদি আপনি একাই লিফটে ওঠেন, তবে লিফটের দেয়ালের কাছে দাঁড়ান।
ছোট শিশুরা যেন একা একা লিফটে না উঠে সেটি লক্ষ্য রাখুন।
যেসব ভবনের লিফট পুরনো হয়ে গিয়েছে সেক্ষেত্রে লিফটের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা উচিত। মাসে অন্তত একবার পরীক্ষা করে দেখা উচিত কারিগরীভাবে লিফটে কোন সমস্যা আছে কিনা।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও আপু, ভালো থাকবেন, বি হ্যাপী।।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
শায়মা বলেছেন: আমিও যতদূর সম্ভব লিফট এড়িয়ে চলতাম। কারন অকারন ঝামেলা থেকে আমি সব সময়ই সতর্ক থাকি। তারপরও বর্তমানের এই জগতে লিফ্ট ছাড়া জীবন প্রায় অচল! কাজেই প্রায়ই লিফটে উঠতে হয় আমার।
জীবনে কোনোদিন লিফটে আটকাইনি এই কথাটা ভাবতে ভাবতে যেই না লিফটে উঠলাম সেদিন তাও আবার একা। ঢুকতে না ঢুকতে লিফটের বড় লাইটটা অমনি লাইফ অফ হয়ে গেলো এবং জ্বলে উঠলো একটা ভুতুড়ে লাইট। আমি প্রথমেই ভুলে গেলাম সেখানে কল করা, আলার্ম সব অত্যাধুনিক ব্যাবস্থাই রয়েছে। আমি ফোন খুঁজতে শুরু করলাম ব্যাগে। পাইনা! তারপর অনেক কষ্টে ফোন খুঁজে ড্রাইভারকে কল দিলাম ! শিঘ্রী আমাকে বের করো এই ভুতুড়ে ঘর থেকে। ড্রাইভার আমার আতংকিত গলা শুনে হাসি হাসি গলায় জানতে চাইলো কোন তালায় আটকা পড়ছেন আফা! আমার এমন রাগ হচ্ছিলো আমি বললাম, জানিনা কোন তালা এখুনি দরজা খুলো!!!!!!!!!!!!!!!! সে কেমনে খুলবে? সে বলে দাঁড়ান জেনারেটর অন করা হচ্ছে। কিন্তু জেনারেটরের কোনো শব্দই পাই না। দরজাও খুলেনা । তারপর আমার হঠাৎ মনে পড়ে গেলো এলার্ম, ফোনের ছবির স্যুইচটার কথা। সেসব আমি একের পর এক ট্যা ট্যা প্যা পো করে পুরা বাড়ি মাথায় করে তুললাম। ড্রাইভার ফোন দিয়ে বলে জেনারেটর অন হইতসে না !
অমনি শুরু হলো আমার থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে অসুখটা! নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিলো। দরজার ফাকে আলো দেখা যায় তবুও মাথা ঝিমঝিম!!!!!!!!!!!!!!
এমন সময় একজন দেবদূতরূপি দারোয়ান ভাইজান চাবি দিয়ে খুলে দিলো দরজাটা! উফ লিফটের দরজা বানানোর কি দরকার ছিলো বুঝি না । খোলা থাকলেই ভালো ছিলো। ঝাঁপ দিয়ে পড়লেও তা বরং শান্তির ছিলো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
সামিয়া বলেছেন: আহারে!! অনেক বিপদ গেলো আমাদের উপর দিয়ে!!
আলহামদুলিল্লাহ্ যে আল্লাহ আমাদের সেফ করেছে, ভাল থেকো আপু।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কেঁশেকুশে, হেঁটে, দাঁড়িয়ে, আস্তে আস্তে, ধীরে উপরে ওঠে এবং নিচে নামে -
উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় মাথা ঠিক রাখা দায়।
লেখাটা অনেকের কাজে লাগবে বলে মনে করি। + +
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
সামিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাল থাকবেন। শুভকামনা।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮
সুমন কর বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা আর শেষের কথাগুলো মিলিয়ে পোস্ট ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত ঐ ভয়ানক অবস্থায় পড়তে হয়নি।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
সামিয়া বলেছেন: হুম,বিপদ আপদ বলে কয়ে আসেনা আর এই ব্যাপার গুলো লিখে বোঝানো যায় না, তাই সাবধান থাকা জরুরি। ভাল থাকবেন অনেক অনেক।
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
কোন দিন আর লিফটে উঠুম না
বিজ্ঞান জীবনেকে সহজ করেছে ঠিক কিন্তু কিছু বিপদের কারণও যে আছে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
সামিয়া বলেছেন: আহাহা লিফটে উঠুম না বললেই হল!! কত আর এরিয়ে চলা যাবে!!
৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৩
কালীদাস বলেছেন: আল্লাহর অশেষ রহমতে কোনদিন লিফটে আটকা পড়িনি। রেগুলার ইউজ করতে হয়, পাঁচতলা বেয়ে উঠবে কে? হুমায়ুন আহমেদের দুইটা ছোট গল্প আছে লিফট নিয়ে, ব্যাপক ইন্টারেস্টিং। একটা ছিল মিসির আলীর, কাজেই প্যাচঘোচ বেশি। আরেকটা ছিল ফানি, এক লোক লিফটে চড়ে সামহাও ফোর্থ ডাইমেনশনের জগতে চলে যায়। হা হা।
পোস্টের সাজেশনগুলো সবার কাজে লাগবে আশা করি। থ্যাংকস
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
সামিয়া বলেছেন: হুমায়ন স্যারের লিফট এর গল্প পড়িনি তো!! তার এত বই আমার কালেকশনে!! অথচ!! খুঁজতে হবে! খুঁজে না পেলে লাইব্রেরী তে যাব, আর আমার ও আপনার অবস্থা আমাদের অফিসের ভবন ৩৫ তলা, আমাদের department ১৪ তলায়, রোজ কতবার যে লিফটে উঠি।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন:
লিফটে আটকে যাওয়ার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা জানলাম আপনার কাছে।
কী সাংঘাতিক! ভাবতেই গলা শুকিয়ে আসছে!!!
আপনার সাবধানবাণীর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ!!