নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দু'চার দিন আগের কথা। আমি নিকুঞ্জর একটি কাবাব হাউজে বসে আছি, অর্ডার দিয়েছি পার্সেল রেডি হচ্ছে, গত কয়দিন ধরে বাসায় গ্যাস অনিয়মিত, তাই আম্মুকে অযথা কষ্ট করে রান্না করতে বারন করে বাইরে থেকেই খাবার নিয়ে যাচ্ছি। বসে আছি একা একা, এই রকম সময় ৪ জনের এক গ্রুপ ঢুকল, একজন মহিলা, ২ জন পুরুষ একটি শিশু, তারা বেশ ধুমধাম অর্ডার দিয়ে গল্প গুজব শুরু করলো, খুবিই ইন্টারেস্টিং তাই যতটুকু মনে আছে তুলে দিলাম।
- আমি ওটাকে দেখেছি রাতে?(মিডিয়ামের থেকে বেশি স্বাস্থ্যবান আধুনিকমনা পুরুষটি বলে উঠলো )
- গভীর রাতে? ( মহিলার ভয়ার্ত জিজ্ঞাসা)
- না তখন রাত ১১ টা বাজে, আমি কেবল তখন বাসায় ফিরছিলাম, রিক্সা থেকে নেমে যেই না গেট দিয়ে ঢুকতে যাব, ওটা আমার পথ আটকে দাঁড়ালো
- ও মাই গড শুনেই তো গা ছম ছম করছে, ( আবারো মহিলা)
- হ্যাঁ আমারও আমি কোন মতে জানটা হাতে নিয়ে বাসায় গিয়ে ডাইনিং এ পড়লাম।
- অজ্ঞান হয়ে?(দ্বিতীয় ভদ্রলোক জানতে চাইলো)
- না পানি খেতে।
- এরপর গভীর রাতে
- রাত ২ টা? (মহিলার চাপা চিৎকার জিজ্ঞাসা)
- আরে না রাত ১২ টা, আমি দেখলাম আমাদের করিডোর থেকে খুটখাট শব্দ হচ্ছে, ঘরে আমার সাথে মিন্টু ছিল, আমরা দুজন মিলে দরজা খুলে উকি দিয়ে দেখি সেই জন।
- সেই বিড়ালটা?(দ্বিতীয় ভদ্রলোক)
- না জীন
- সেই ই ই ই ই ই ই বিড়ালের রুপ নিয়ে এসেছে?
- হ্যাঁ, বিড়ালটাই আসলে জীন।
- কালো রঙের?
- ধুসর রঙের (ধুসর বলার সময় মুখ দিয়ে বেশি করে বাতাস, ধু হুহুহুহুসর)
- তারপর কীভাবে বেঁচে ফিরলেন, এত বড় বিপদ থেকে (সেই ন্যাকা মহিলার প্রশ্ন)
- আমি আর মিন্টু যেই না বিড়ালটাকে দেখেছি অম্নি দুইজনে করিডোর দিয়ে দৌড়ে রুমে ঢুকে গেছি।
তাদের এই অতি ভয়ঙ্কর ভুতের গল্পটি হয়ত আরও বড় হতো কিন্তু আমার উপস্থিতি তাদের মন খুলে গল্প করাকে নিতান্তই অনিচ্ছায়ই বাঁধাগ্রস্থ করেছিল।
উফফ কি ভয়ঙ্কর ভৌতিক অভিজ্ঞতা গো।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৬
সামিয়া বলেছেন: উফফ সে কি ভয়ঙ্কর!!
২| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২০
মার্কো পোলো বলেছেন:
ভয়ঙ্কর। দারুণ অভিজ্ঞতা।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৫
সামিয়া বলেছেন: ও মাই গড শুনেই তো গা ছম ছম করছে
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৯
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: ভয়ে কাঁপছি।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
সামিয়া বলেছেন: আমিও , কাঁপতে কাঁপতে হাসতে হাসতে বাসায় ফিরেছিলাম সেদিন
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে আপু! পিঠের উপর দিয়ে যেন একটা সরিসৃপ কিলবিলিয়ে চলে গেল! চোখে কিছু দেখছি না, সব ঝাপসা ঝাপসা! আপু 'মন্তব্য প্রকাশ করুন' বাটমে ক্লিক পড়বে কিনা জানি না! না পড়লে ক্ষমা কইরা দিয়েন......
আসলে মুগ্ধ পাঠক হইলে গল্প বলায় যে আরাম, সেইটা সাহিত্যাঙ্গনে আর অন্য কোথাও পাওয়া যাইবে না! যদি উক্ত স্থানে আমি উপস্থিত থাকতাম তাইলে না শোনার ভান করে দেখতাম তারা কদ্দুর আউগাইতে পারে!
শুভ কামনা!
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫০
সামিয়া বলেছেন: আমি না শুরুর দিকে না শোনার ভান করেছিলাম, কিন্তু হাস্যকর অভিজ্ঞতা আর বলার ভঙ্গি, আমি ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ওদের দিকে তাকাতে বাধ্য হচ্ছিলাম।
৫| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: কৌতুহল ধরে না রাখতে পেরে আপনিও ওদের আড্ডায় যোগ দিয়েছিলেন নাকি??
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০০
সামিয়া বলেছেন: হাহা না না সে রকম কিছু হয়নি।
৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৪
ফারিহা নোভা বলেছেন: দারুণ ভয়ঙ্কর
১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫
সামিয়া বলেছেন:
৭| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৫:২৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পড়ার পর আমি ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম। মাথায় পানি টানি ঢালার পর জ্ঞান ফিরে আসলো। মন্তব্য করতে গিয়ে হাত আতঙ্কের গরমে থরথর করে কাঁপছে।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৭
সামিয়া বলেছেন: হাহাহাহাহাহ
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:১৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভুতোদের এফেমে যাওয়ার মত ভয়ঙ্কর ঘটনা!!!