নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পত্রিকায় শিরোনাম দেখে আমি উচ্ছ্বাসিত এবং খুশি হয়ে পুরো প্রতিবেদনটা পড়ে আর উচ্ছ্বাসিত ব্যাপারটা রইলো না, কারন কথাটা আমাদের দেশের জন্য নয় এবং এই ধরনের কোন আইন ওই দেশেও নেই, ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার এটি উক্তি মাত্র,
আমি পথে ঘাটে রোজ এই ঘটনার শিকার হই, এবং ওই মুহূর্তটা পার হতে হতে যেন আমি জাহান্নাম অতিক্রম হচ্ছি এমন অনুভব হয় মাথা নষ্ট হতে হতে ভাবি এই বুঝি গন্তব্বে পৌঁছে যাব, একজন পুরুষ যখন আমার মুখের দিকে খুব খারাপ চোখে আমায় দেখতে থাকে এর থেকে নিরব অত্যাচার আর কিই বা হতে পারে!! কেউ হয়ত ভাবতে পারেন আপনি কি করে জানলেন লোকটি আপনার দিকে খারাপ মনোভাব নিয়ে তাকিয়ে আছে! এক্ষেত্রে আমি বলবো মানুষের মনের ভাব ৮০ ভাগ তার চেহারায় ফুটে ওঠে, খুব চালাক এবং খুব বুদ্ধিমানরা হয়ত কেউ কেউ তা গোপন করতে পারে তাই বলে সবাই নয়। আর মেয়েদের একটা বাড়তি ক্ষমতা হয়ত প্রকৃতিগত পেয়েই থাকে যে পুরুষের কু – মনোভাব এর দৃষ্টি ধরতে পারা। তাছাড়া এ কেমন কথা হল বিনা কারনে ঘণ্টা ব্যাপী অচেনা পুরুষ আমাকে দেখতেই থাকবে আর তাকে কিছু বলা ও যাবেনা। কখনো কিছু বলিনি তা নয় বলেছি এবং তার উত্তর আরও আরও বিব্রতকর।
১।তাকিয়ে আছেন কেন?
-আপনাকে দেখি।
২। তাকিয়ে আছেন কেন?
-ইচ্ছা
৩। তাকিয়ে আছেন কেন?
- আল্লাহ চোখ দিছে তাকানোর জন্য, চোখ বন্ধ রাখার জন্য নয়।
কিন্তু আমার দিকে তাকিয়ে আছেন কেন?
- আপনার সমস্যা? বেশি সমস্যা হইলে প্রাইভেট কারে যান।
এই প্রাইভেট কারে যান কথাটা আজকাল যেন চল হয়ে গেছে,
এখানেও এই জাতীয় কিছু কথা উল্লেখ না করলেই না, যেমনঃ
১। তাকিয়ে আছেন কেন?
- প্রাইভেট কারে যান।
২। একটু সরে দাঁড়ান না
- প্রাইভেট কারে যান
৩। আপনি আমার গায়ের সাথে গা লাগিয়ে বসে আছেন
- প্রাইভেট কারে যান
৪। এটা মহিলা সীট তো?
- প্রাইভেট কারে যান
৫। ধাক্কা দিচ্ছেন কেন?
- প্রাইভেট কারে যান
আমি একদিন এক কুল হ্যান্ডসাম ছেলেকে বললাম বাসে পুরো জায়গা খালি রেখে আপনি আমার সীট ধরে ঝুকে দাঁড়িয়ে আছেন কেন আমার বসতে কষ্ট হচ্ছে।
ছেলে লুইচ্চা আর বেহায়ার চূড়ান্ত, গাধার মত বলে এই জানলা দিয়ে বাতাশ আসছে বেশি কাজেই আমি এখানে দাঁড়াবো, আপনার সমস্যা হলে প্রাইভেট কারে যান।
বাসে ঢুলু ঢুলু দৃষ্টি উপেক্ষা করে মুখে ওড়না পেঁচিয়ে বসে থাকলে ও তবু কাজ হয় না। তখন এরা নিজেদের শো করে ইমপ্রেস করার ভীষণ চেষ্টা করে। সত্যি অনেক অদ্ভুত আর অসুস্থ পরিবেশে রোজ চলতে হচ্ছে, এবং মেনে নিতে হচ্ছে, যারা ইগনোর করে চলতে পারে তারা ওকে আছে। তারপর ও বা কজন ভালো থাকে রোজ কত অঘটনই না ঘটে মেয়েদের চলার পথে, কিছু পত্রিকায় আসে, কিছু রয়ে যায় গোপনে।
যার শুরুটা হয়তো হয় তাকিয়ে থাকা দিয়েই। যে কারনে কোনো নারীর দিকে ১৪ সেকেন্ড তাকালেই শাস্তি! কথাটা কে আমি সাধুবাদ জানাই। এবং অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই সেই অচেনা পুলিশ কর্মকর্তা কে যে, জঘন্য নোংরা দৃষ্টিতে মেয়েদের দিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থেকে যে নিরব অত্যাচার মেয়েদের করা হচ্ছে অন্তত সে ব্যাপারটা অপরাধ হিসেবে সনাক্ত করেছে।
প্রতিবেদনটা তুলে দিলাম কপি পেস্ট করে।
“কোনও নারীর দিকে যদি কোনও পুরুষ ১৪ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকেন, তাহলেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা যাবে। এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।” ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তার এমন উক্তি নিয়ে চলছে তোলপাড়।
ওই পুলিশ কর্তার নাম ঋষিরাজ সিং। তিনি কেরালা রাজ্যের আবগারি কমিশনার, ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসের অফিসার। তিনি যখন এই উক্তি করেন, তখন পাশেই ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়া মন্ত্রী ই পি জয়রাজন।
তবে মন্ত্রী মহাশয় সবার সামনেই বলে দিয়েছেন, এরকম কোনও আইন নেই। ওই পুলিশ কর্মকর্তা এ ধরনের আইনের কথা বানিয়ে বলেছেন।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের আগে কোচি শহরে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন পুলিশ কর্মকর্তার ঋষিরাজ সিং।
ভারতের আইনজীবীরাও বলছেন, এমন কোনো আইনের ধারা ভারতে নেই।
ঋষি রাজ সিং মঙ্গলবার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “আমি সেদিন যা বলেছিলাম, এখনও সেটাই বলব। আর শুধু ১৪ সেকেন্ড কেন, তার কম সময়ের জন্যও যদি কোনও পুরুষ মানুষ কোনও নারীর দিকে তাকিয়ে থাকেন, যাতে ওই নারীর অস্বস্তি হতে পারে, তাহলেও সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ধর্ষণ আর নারীদের হয়রানি রুখতে ২০১৩ সালে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে যে পরিবর্তনগুলো আনা হয়েছে, সেই অনুযায়ী এরজন্য জেলও হতে পারে।”
আইনজীবীরা বলছেন, ঋষিরাজ যে ধারার কথা বলেছেন, তাতেও এ ধরনের কিছু লেখা নেই। এটা তার ভুল ব্যাখ্যা।
মন্ত্রীকে স্যালুট করতে অস্বীকার করা, সহকর্মীদের ওপর বিভিন্ন কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠার অভিযোগ আছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সূত্র: বিবিসি
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
সামিয়া বলেছেন: ১৪ সেকেন্ড হয়তো কথার কথা, এত কম সময়ের জন্য নিশ্চয়ই কেউ অভিযোগ করতে যাবেনা।
২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩
বিদুৎ বলেছেন: ভাল কথা বলেছেন । সহমত ।
কিন্তু এই সব খারাপ কাজের প্রাকটিস তো আমাদের মিডিয়া থেকেই আসে । আপনি কি mtv দেখেন ? ভারতে এখন কি ধরনের পোশাক পড়া হয় তা নিশ্চয় জানেন ?
১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:২৬
সামিয়া বলেছেন: আমি আমার সমাজ আমার অবস্থা আমার চারপাশ নিয়ে লিখেছি, ভারত এম টি ভি অন্য টপিক ।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:২০
মহা সমন্বয় বলেছেন: হাঃ হাঃ দারুণ আইডিয়া, এখন থেকে হাতে একটা স্টপ ওয়াচ নিয়ে ঘুরতে হবে।
এই জানালা দিয়ে বাতাশ আসছে বেশি কাজেই আমি এখানে দাঁড়াবো, মনে হচ্ছে বেহায়ার একশেষ ধরে একটা থাপ্পড় দিতে পারলেন না??
২১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:০৯
সামিয়া বলেছেন: আমিতো অত একটা ঝগড়া করতে পারিনা আমি সীট ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম বেশ অনেকক্ষণ ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
শ্রাবণধারা বলেছেন: বুঝলাম, কিন্তু ১৪ সেকেন্ড মাপার জন্য স্টপ-ওয়াচ হাতে কে দাড়িয়ে থাকবে?