নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দুর্ভোগ শুরু হয়েছিলো ইতালীয় নাগরিক তাভেলা সিজারকে হত্যার ঘটনার মধ্য দিয়ে। তখনকার দুর্ভোগ ছিল রিক্সা চলাচল বন্ধ করে দেয়া, সি,এন,জী চেক করা, হাটা চলা অবস্থায় পথচারীকে থামিয়ে কই যাবেন ক্যান যাবেন কি জন্য যাবেন প্রশ্ন করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। তবু চলা যেত।
কিন্তু এবার হলি আর্টিজান হামলার ঘটনার পর যেন সকল দোষ নন্দ ঘোষদের ঘাড়েই চাপিয়ে দিলো। নন্দ ঘোষ হচ্ছি গিয়ে আমরা, মধ্যবিত্ত প্রাইভেট কারহীন আমজনতা।
বনানী থেকে গুলশান দুই আসার জন্য আগে রবরব পরিবহন, বিহঙ্গ, ট্রাস্ট বাসগুলো পাওয়া যেত পাশাপাশি সি,এন,জী শেয়ার করে যাওয়া যেত; আর কিছু পাওয়া না গেলে রিক্সা দিয়ে ভেতর দিয়ে গুলশান যাওয়া যেত আই মিন কিছু একটা অপশন অন্তত থাকতো। হলি আর্টিজান ঘটনার পর, বাস গুলো বন্ধ, রিকশা একদম বন্ধ।সি,এন,জী যা দুই ৪ টা আছে তাতে ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে লম্ফ জম্ফ করে ওঠা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না, অথবা সম্ভব হলেও পুলিশ চেকিং এর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, ফলস্বরূপ অফিস লেট। এক্ষেত্রে এত বড় সমস্যার মধ্য দিয়ে ইমপ্লয়িরা যাচ্ছে অফিস যেন তা জানেই না।
অফিসে ৯ টায় এন্ট্রি পাঞ্চ ৯টায়ই করতেই হবে, ৫ মিনিট লেট হলেও লেট ১ ঘণ্টা লেট হলেও লেট। আর ৩ দিন লেট হলে একদিনের বেতন কাটা। ডিসগাসটিং পেইন।
এই হল মধ্যবিত্তের কপাল।
এর ভেতর প্রাইভেটকার গুলো মাইক্রোবাস গুলো বেশ স্বচ্ছন্দেই চলছে, তাদের কে চেক পোষ্টে কখনো চেক করতেও খুব একটা দেখছিনা, তারা সি,এন,জি, টুকটাক বাইক চেকিং এবং পথচারীদের জিজ্ঞাশাবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই যে রুলস গুলো করছে পাবলিক বাস, রিক্সা, সি,এন,জী বন্ধ করে, তারা এগুলো করে সিকুরিটির কি উদ্ধার করছে আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তারা কি ভাবছে আই এস জঙ্গিরা পাবলিক বাস, পুরান নড়বড়ে রিক্সা (গুলশানের সব রিক্সা এনটিক, আমার মনে হয় একেকটা একশো বছরের পুরান, চাইলে এইগুলারে যাদু ঘরে রাখার উদ্যোগ নিয়ে দেখতে পারে) এবং সি এন জী শেয়ার করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গুলশান ঢুকবে জঙ্গিরা? তারা প্রাইভেট কার মাইক্রো বাস ইউস করবে না?? এটা তো ৫ বছরের বাচ্চাও বুঝবে, শ্রদ্ধেয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কেন বুঝতেছেনা!! আমি প্রায়ই দেখি একেকটা বড় সর মাইক্রো বাস চেক দূরে থাক অন্তত জিজ্ঞেস তো করবে কই যাইবেন ওসব প্রক্রিয়া ছাড়াই ভেতরে যেতে দিচ্ছে। তাদের সাথে কথা বলতেই যেন সাহস হয় না পুলিশদের।
পাবলিক যানবাহন বন্ধ করায় অবশ্য গুলশানের খান্দানি লোকজনের বেশ লাভ হইছে, রাস্তার মধ্যে এখন শুধু খান্দানি জনগনের গাড়ি চরবে। আমরা গরীব তাই কেবল আমরা দুর্ভোগ পোহাবো।
আর ভাললাগেনা, প্রতিদিন হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত। অফিস করার এনার্জি হারিয়ে ফেলছি দিন দিন ।
২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪
সামিয়া বলেছেন: আর বইলেন না কি যে কষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩০
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: বাঘের গল্প শুনেছিলাম, যে বাঘ আছে আবার বলে নাই, কিন্তু একদিন সত্যিইকারের বাঘ এসেছিল।।
সত্যিই আমাদের দুর্ভোগ.........।
২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬
সামিয়া বলেছেন: আর সেই দুর্ভোগ মোকাবেলায় দুর্বল দের উপর চলছে যত নিয়ম কানুন আইন!
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫১
Shakhawath Mohim বলেছেন: এরা আবাল ছাড়া আসলে কিছুই না।আমি নিজেও এদের হয়রানির শিকার।
২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৫
সামিয়া বলেছেন: আল্লাহ কবে যে আমাদের সবাই কে এই কষ্ট থেকে উদ্ধার করবে!!!
৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
বটপাকুড় বলেছেন: বাংলাদেশে সাধারণ জনগণ বিশেষত মধ্যবিত্ত হওয়া একটা অভিশাপ মনে হয় আমার কাছে। কারণ এদের উপর সবাই চড়ে বসে। পুরো গুলশান কেন, সারা দেশ জুড়ে যতরকম কাণ্ড হচ্ছে, তাতে আর সবার কিছু না হলেও মধ্যবিত্তকে বাড়তি যন্ত্রণার মাঝে দিয়ে যেতে হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় মধ্যবিত্তকে আল্লাহ পাকের রোবট হিসাবে বানানো উচিত ছিল, যাতে কোন রকম ক্লান্তি, শোক, অসুখ জরা, ব্যাধি কিছু হবে না। একবার দম দিলেই শুধু চলতে থাকবে
২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫
সামিয়া বলেছেন: Salute for true saying.... একদম সেই রকম সত্যি কথা বলচ্ছেন ! আহা মধ্যবিত্ত না হয়ে যদি রোবট হতাম!! কোন বোধ ব্যাথা যন্ত্রনা কিচ্ছু কাজ করত না।
৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
সাহরাব বলেছেন: এটাই স্বাভাবিক ! সরকার কানের পিছনে না লেগে চিলের পিছনে লাগছে ... তাই।
২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৭
সামিয়া বলেছেন: হুম!!!!!!!!!!!!
৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুক্তি নেই। ছেড়ে দিলেও তো সমস্যা। বিপদ তো আর বলে কয়ে আসে না...
২১ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
সামিয়া বলেছেন: হুম!!!!!!!!!!!!
৭| ২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
SwornoLota বলেছেন: হুম!
২৪ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৫১
সামিয়া বলেছেন: হা হা
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২১
পবন সরকার বলেছেন: দুর্ভোগের কথা আমিও শুনেছি।