নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-কিরে নিশা শুধু শুধু হাসছিস কেন?
- এমনি
- এমনি তো না, কি ব্যাপার বল
- ওকে আমার ভাললাগে?
- কাকে? ওই ক্যাবলা সবুজ কে?
- যাহ ওকে ক্যাবলা বলিস না তো!
- তোর কি মনে হয় ও তোকে ভালোবাসে?
সবুজের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে জবাব দেয় নিশা শুধু ভালবাসে না অনেক ভালোবাসে, এরপর আরও আরও কত প্রশংসা করতে থাকে সবুজের যা শুনে অদিতির ঈষৎ হিংসা হয়।
এর কয়েক ঘণ্টা পর, বাসে উঠে পেছনের এক কর্নারে বসে পরে নিশা, ক্লাস শেষ বাসায় যাচ্ছে, তার কয়েক মুহূর্ত পরেই সবুজ ওঠে সাথে অচেনা এক ছেলে, নিশা তাকিয়ে হাসলেও সবুজ নিশাকে দেখতে পায়না, বসে নিশার ঠিক সামনের সীটটায়, পেছন থেকে গভীর ভালোবাসায় সবুজের কালো ঝলমলে চুলের দিকে চেয়ে থাকে নিশা, একবার ইচ্ছে হয় দাঁড়িয়ে কথা বলে, কিন্তু এখন পর্যন্ত কেমন আছো ভালো আছির বেশি কিছু বলা হয়নি, যদিও অনেকদিন থেকে নিশা লক্ষ্য করেছে সবুজ ওকে নোটিশ করছে, খেয়াল করছে, পরীক্ষার হলে খাতা জমা দেয়ার আগে বার বার সবুজ কে তাকাতে দেখেছে নিশা, বের হয়ে নিশা না বেরোনো পর্যন্ত সবুজ কে ওয়েট করতে দেখেছে প্রতি বার। আরও টুকিটাকি অনেক কিছু, কি নিস্পাপ একটা ছেলে, মনে মনে এমন ছেলেকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে চায় নিশা।
- তারপর প্রোগ্রেস কিছু হইল? (সবুজের বন্ধুর কণ্ঠ)
- দেখলে হাসে, এইটাই প্রোগ্রেস,
- তোরা এক ক্লাসের?
- হ, কিন্তু কথা হয় না তেমন।
- ধানমণ্ডি?
- না উত্তরা
- নাম কি?
- নাম হইল আয়েশা আক্তার নিশা, (নিশার কি যে ভাললাগে ওর পুরো নামটা সবুজ জানে!!)
- খোঁজ খবর নিছস? কেউ আছে কিনা?
- নাহ, নিতে হইব, তবে থাকলে বাদ কারন আমি সেকেন্ড হ্যান্ড মাল ইউজ করিনা,
- মাল তো মালই এর আর সেকেন্ড ফাস্ট কি কয়দিন ইউজ কইরা ছাইড়া দিবি না হয়।
- তাও করা যায়।
- কর কর তুই কেবল শুরু করতাসস আর আমি কবে এইসব শেষ কইরালাইছি, খ্যাঁক খ্যাঁক খ্যাঁক... কুৎসিত হাসি।
পেছন থেকে উঠে দাঁড়ায় নিশা নেমে যাবে বাস থেকে, লজ্জায় অপমানে মুখ লাল বর্ণ ধারন করেছে ওদের শেষ কথা গুলো শুনে,
ও যখন ওদের কে অতিক্রম করছে তখন নিচু স্বরে কথা শোনা যাচ্ছে সবুজদের, বোঝা যাচ্ছে ওকে দেখতে পেয়েছে ওরা,
নেমে মুক্ত আকাশে নিঃশ্বাস নিতে নিতে নিশা চাপা স্বরে বলে তোরা মাল তোরা লেজকাটা নেড়ি কুত্তা।
এই রকম পিশাচ আমাদের সমাজে দিন দিন বেড়েই চলেছে, অধিকাংশ কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ইনোসেন্ট চকলেট বয় গুলো আজকাল ভেতরে ভেতরে হয়ে যাচ্ছে কুৎসিত নেড়ি কুত্তা। সরল মেয়েদের মনে, মোবাইলে এরা ছড়িয়ে পড়ছে ফরমালিনের মত।
১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু
২| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
বিজন রয় বলেছেন: গল্প হলেও আজকাল এগুলো ঘটছে।
++++
১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪১
সামিয়া বলেছেন: বিজন রয় আমি বনানীর মোড়ে AIUB এর একটু সামনে সি এন জির জন্য ওয়েট করতে করতে ২ টা ছেলের মুখে ওই কুৎসিত কথাগুলো শুনেছি, ওরা আমাকে দেখতে পেয়েছিল, কিন্তু কুৎসিত কথাগুলোয় এতই মশগুল ছিল যে মুখ বন্ধ করতেই পারছিলনা, আফসোস আয়েশা আক্তার নিশা নাম এর মেয়েটির জন্য, এই নামটি ওদের মুখ থেকে শুনেছি, আমার গল্পে মেয়েটিকে শুনিয়ে দিয়েছি যে তার স্বপ্নের ভালোবাসা তার সম্পর্কে কি বলছে, আফসোস বাস্তবের আয়েশা আক্তার নিশা হয়ত কিছুই জানেনা।
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: এই ক'টা লাইন না দিলে এটা একটা সুন্দর অনুগল্প হতো-
"এই রকম পিশাচ আমাদের সমাজে দিন দিন বেরেই চলেছে, অধিকাংশ কলেজ ভার্সিটি পড়ুয়া ইনোসেন্ট চকলেট বয় গুলো আজকাল ভেতরে ভেতরে হয়ে যাচ্ছে কুৎসিত নেড়ি কুত্তা। সরল মেয়েদের মোবাইলে এরা ছড়িয়ে পড়ছে ফরমালিনের মত।"
পাঠককে বুঝে নেয়ার অবকাশ দিতে হবে।
১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
সামিয়া বলেছেন: আরণ্যক রাখাল তোমার সুন্দর পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছোট গল্পে বড় মেসেজ
+++