নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাত ৯ টা। ক্লাস শেষ করে বের হয়ে ক্যাম্পাস থেকে একটু অদূরে দাঁড়িয়ে আছি, রিক্সার জন্য, এই গলিতে কখনোই সঙ্গে সঙ্গে রিকশা পাওয়া যায় না। ঠিক ওই মুহূর্তে মনে কি চলছিল কি ভাবছিলাম না ভাবছিলাম মনে করতে পারবোনা এক অতি সুদর্শন যুবক ইতি ইতি বলে রাস্তার অপজিট সাইট থেকে চিৎকার করে ডাক দিলো। আমি তার দিকেই চেয়ে আছি তার দৌড়ে আমার দিকে এগিয়ে আসা দেখছি, এমন করে খুব কাছের কেউ আমার দিকে দৌড়ে এলে বেশ ভালো লাগতো, কিন্তু সে আমার কেউ না তাকে আমি সত্যিকার অর্থেই চিনি না।
সে লম্বা, সে ফর্শা, নাক উঁচু স্লিম এবং সুদর্শন যুবক। বেশির ভাগ মেয়েরাই এর প্রেমে হাবুডুবু খাবে অথবা খাচ্ছে, ব্যাপারটা হয়ত যুবকের নিজেরও অজানা নয়।
কাছে এসে বলল কেমন আছো!? (কেমন আছো!!!! আল্লাহ সে আমাকে তুমি করে বলছে কেন!!??) বললাম ভালো। তার নেক্সট কথা তোমার মোবাইল নাম্বার দাও, আমার কাছে যে নাম্বার আছে ওটার কল তুমি রিসিভ করোনা। (উনি জানেনা আমি প্রায় কোন কলই রিসিভ করিনা, প্রয়োজন হলে কল ব্যাক করি)
আমি মিথ্যা বললাম আজই একটা নাম্বার নিয়েছি কিন্তু মনে নেই, সিম টা মোবাইলে অ্যাটাচ করে কাগজ ছিরে ফেলে দিয়েছি।
ছেলেটি দুঃখিত হয়ে বলল তুমি বোধহয় আমাকে চেন নাই আমি ডি,ইউ তে ছিলাম।
বললাম ও আচ্ছা।
একদিন ডি,ইউ’র ভিসির বাড়িতে তোমাদের কি একটা সুট চলছিল আমি ওখানে ছিলাম।
আমি মনে করতে পারলাম না। আবারো ও আচ্ছা বললাম।
আমি আমার নাম্বার দেই তুমি প্লিজ আমাকে কল কর তোমার সাথে খুব জরুরি কথা আছে।
আমি বললাম আমার মোবাইলে চার্জ নেই, মোবাইল বন্ধ নাম্বার সেফ করব কিভাবে!! সে বলল তুমি দাঁড়াও আমি ওই দোকান থেকে তোমাকে নাম্বার লিখে এনে দেই আমার কাছে কাগজ কলম কিছু নেই, আমি ঠিকাছে বলে দাঁড়িয়ে রইলাম। সে অপরিচিত এটা ঠিক কিন্তু ঠিক ঠাক কিছু তথ্য আমার সম্পর্কে বলেছে now I just want to see what’s going on there lol.
আমি এর মধ্যে রিকশা পেয়ে তাতে উঠে পরেছি, সে দৌড়াতে দৌড়াতে একটি কাগজ হাতে নিয়ে ছুটে এলো তাতে তার নাম আর মোবাইল নাম্বার লেখা। হাঁপাতে হাঁপাতে একটা কথাই বার বার বলছিল প্লিজ কল মি প্লিজ প্লিজ (আমাদের সমাজে মেয়েরা কেন জানি খুব সহজলভ্য আজকাল এটা মে বি ফেইসবুকের কল্যাণে)।
বাসায় ফিরে তার নাম লিখে সার্চ দিলাম, প্রথম সার্চেই তাকে পাওয়া গেলো দেখলাম সে মিউজিক ভিডিও মেকিং কাজ করে, একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে ও জব করে। তারপর ফোন করলাম সাথে সাথেই রিসিভ করলো। বলল শোন মেয়ে আমি কোন ভান ভনিতায় গেলাম না সরাসরি বলি আমি তোমায় বিয়ে করতে চাই।
আমি বললাম তুমি মিউজিক ভিডিও বানাও?
কই দেখছ?
তোমার এফবিতে সব তো পাবলিকে দেয়া তাই দেখতে প্রব্লেম হয়নি। একেক ভিডিওতে একেক মেয়ে এন্ড ভেরি ক্লোজ । (ছেলে চুপ)
একটাতে দেখলাম তোমার মিউজিক ভিডিও মেকিং ছবি, এত বাজে ক্যামেরা দিয়ে ও কাজ করা যায়?
বাজে ক্যামেরা বলতে তুমি কি বোঝাতে চাইছ? আমার ক্যামেরার দাম কত তুমি জানো? আমি একেকটা মিউজিক ভিডিও তে কত টাকা খরচ করি একটা এডিটিং এর পেছনে তুমি জানো? এবং আমাদের এখানে যে আর্টিস্টরা কাজ করে তারা কত মেধাবী তুমি চিন্তা ও করতে পারবেনা।
আমি বললাম আর্টিস্ট বলতে তো তোমাকেই দেখেছি , একটা মিউজিক ভিডিও তে দেখলাম তুমি নিজেই নায়ক আবার নিজেই ভিলেন। and it was really very bad work my dear with a old model camera .
এই পর্যায়ে ছেলেটি রাগে হতবিহব্বল হয়ে গেলো হ জ ব র ল করে কি কি বলল কিছুই বোঝা গেলনা।
এর পর অনেক দিন পর তার আর একবার ফোন এসেছিলো, সম্ভবত তার মিউজিক ভিডিও তৈরিতে হেল্প চেয়ে। আমি তাও মানা করে দিলাম। এবং সে কোনদিন আর আমায় ফোন করেনি। অভিমানী প্রেমিক।
বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।
২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৯
সামিয়া বলেছেন: বিয়ের কথা বললে মেয়েদের মন নরম হয় , সহজেই পটে যায়, মেয়েদের ফেইক সম্পর্কে পটানোর এটা সব চাইতে সহজ পন্থা ভণ্ড ছেলেদের কাছে।
২| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: আহারে বেচারা!
২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
সামিয়া বলেছেন: সে তো আসলে বেচারা নয়
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা হা। বেচারা বিসমিল্লায় ধরা খাইল।