নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল বাসায় যাওয়ার পথে বি,আর,টি,সি দোতলা বাসে উঠলাম, পেছনের দরজা দিয়ে যে দিকটায় উপরে ওঠার সিঁড়ি থাকে সেদিক দিয়ে উঠলাম, ওই সাইট দিয়ে তিনটি করে দুই সাইটে ৬ টি সিটের যে সারি ওগুলো নাকি মহিলা সিট, আমার জানা ছিলনা, কিংবা ওই রুলস কাউকে কখনো মানতে দেখিনি।
দেখলাম পুরো বাসের মানুষ ঠেসাঠেসি করে দাঁড়িয়ে, আর ওই দুই সারির সিটে ও মানুষ ঠাসাঠাসি করে বসা। সবাই পুরুষ, আমি দৈনন্দিন অভ্যাস বশত দাঁড়িয়ে রইলাম, আমি খেয়াল করেছি বাসে উঠে প্রায় ৩০% ক্ষেত্রে বসার সিট পাওয়া যায়, ৪০% কিছুক্ষন দাঁড়ানোর পর কেউ নেমে গেলে সিট পাওয়া যায়, ২০% কেউ উঠে দাঁড়িয়ে বসতে দেয়। ৫% দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, (এক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় পুরো বাসের মানুষ বসে আছে শুধু আমি একাই দাঁড়িয়ে তখন কি যে পিকুলিয়ার লাগে সব কিছু, সবাই ভাবলেশহীন মাছের দৃষ্টিতে আমায় দেখতে থাকে) আর শেষ ৫% ঝগড়া করে/ এটা মহিলা সিট বলে/অনুরোধ করে বসা যায়, আমার মনে আছে একবার আমি জ্বর নিয়ে বাসা থেকে বের হইছি অফিসে যাব করে, (কর্পোরেট লাইফে জ্বর কোন অসুখের ভেতর পড়েনা) বাইরে বের হয়ে দেখি পা টলমল করছে, চোখে ঝাপসা দেখছি, কানের কাছে কেমন শো শো আওয়াজ হচ্ছে, শরিল অচল হই হই অবস্থায় মনের জোরে বাসে উঠলাম, বাড়ি থেকে অফিসে ১ ঘণ্টার পথ কিন্তু জ্যামের জন্য অধিকাংশ সময় দেড় ঘণ্টা লেগে যায়, যাই হোক বাসে উঠি দেখি সিট খালি দূরে থাক দাঁড়াবার অবস্থা নেই, গায়ে জ্বর জানান দিচ্ছিল এই দাঁড়িয়ে থাকা বেশিক্ষন আমি নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারবোনা, আমার কাধে রাখা হ্যান্ড ব্যাগটা মনে হচ্ছে পাথর!! পড়ে যাচ্ছিলো বার বার, আমি রড ধরে মহিলা সিট বরাবর ঝুলে আছি, ওখানে ইঞ্জিনের উপর একটু টুলের মত জায়গায় গাদাগাদি করে ৪/৫জন লোক বসা।
নিজের সর্বস্ব এনার্জি হারাতে বসেছি সে সময় ঠিক আমার সামনে একজন খুবই গরিব ময়লা শার্ট লুঙ্গি পরা লোক হাতে একটা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে বসা তাকে বললাম ভাই একটু বসতে দেন না প্লিজ আমি খুব ক্লান্ত জ্বর এসেছে, সে কয়েক মুহূর্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব করে উঠে দাঁড়ালো অল্প একটু জায়গা ঠেসাঠেসি করে বসলাম, সে টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে পড়েছে বিপাকে, দাঁড়িয়ে থেকে কিছুতেই ওটা সামাল দিতে পারছেনা,
বললাম আমাকে দিন, আপনি কি অসুস্থ?
ঘামছে সে, বলল হু গতকাইল থেইক্কা জ্বর,
কিছু খান নাই?
না খাই নাই, খাইলে তো দেরী হয়ে যাইব, কয়টা ভাত আর একটা আলু সেদ্ধ কইরা নিছি, দুপুরে খাবো, কারখানায় ঢুকতে দেরী হইলে বইক্কা আর রাখবেনা, আমি তার দিকে চেয়ে আছি, রুগ্ন কালো গরিব চেহারায় আমার প্রতিচ্ছবি!!! তার সাথে আমার কিই বা এমন পার্থক্য আছে!!! সে যেমন না খেয়ে জর নিয়ে বের হয়েছে তার বসের ভয়ে আমি ও তো তাই, আমার মাথার উপর ডিপার্টমেন্ট বস, সহ কর্মী আর এইচ,আর ডিপার্টমেন্ট। একি তো।
যাই হোক বি আর টি সির ঘটনা প্রশঙ্গে আসি, সেখানে আমি কেবল কয়েক মুহূর্ত দাঁড়িয়েছিলাম এমন সময় পেছন থেকে কেউ একজন বেশ কয়বার ধরে বলেছে এটা মহিলা সিট উনাকে বসতে দিন, আমি চুপ মন খারাপ তাই বসার গরজ কম, মন খারাপ হলে কিচ্ছু ভাললাগেনা কিচ্ছু না।
দেখতে দেখতে সবাই সবার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে দিলো আমাকে বসতে দেয়া নিয়ে (এরকমটা অনেক বার দেখেছি এই মহিলা সিট ছাড়েন বলে তুমুল ঝগড়া হয় কিন্তু সিট কেউ ছাড়েনা)এই দৃশ্য নতুন কিছুনা, তাদের ঝগড়া হচ্ছে আমি দাঁড়িয়ে এই রকম এক পর্যায়ে লম্বা শুকনা ফর্সা এক ছেলে বলে উঠলো কেউ মেয়েটিকে বসতে না দিলে আমিই বসতে দিব।
আমার দিকে ফিরে বলল আপনি বসেন এখানে, খুবই উত্তেজিত ধমকের সাথে বলা, আমি থ্যাংক ইউ বলে বসলাম, আমার কি আমি তো বলিনাই আমাকে সিট খালি করে দাও আমাকে নিয়া ঝগড়া কর, বসে দেখলাম বাসে অনেক মহিলাই দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তাদের বসা নিয়া কেউ ব্যস্ত হচ্ছে না, এর মানে এই সাইটটা আগে থেকেই কোন কারনে খেপা হয়ে আছে, হতে পারে এরা ঝগড়া করার ইস্যু খুঁজছে শুধু,
আমার পাশে বসা লোকটি অনুনয়ের সাথে বলল যে তার হাতে প্লাস্টিকের টুল এটা নিয়া দাঁড়ানই টাফ তাই বসতে দিতে পারেনি, আমি সমস্যা নেই টাইপ হাসি দিয়ে চুপ করে রইলাম, লম্বা শুকনা ছেলেটি ঠিক আমার সামনে দাঁড়িয়ে যে আমাকে তার সিট ছেড়ে বসতে দিয়েছিলো, এরকম এক মুহূর্তে বাসের কন্টাক্টর এলো বাস ভাড়া নিতে ১৫/১৬ বছর বয়স হবে ছেলেটার,
এমন সময় আমাকে বসতে দেয়া ছেলেটি কন্টাক্টর ছেলেটিকে বলল ওই তুই আমার কাছে তখন আই ডি কার্ড চাইলি ক্যান ভাড়া তো ৪০ টাকাই নিছস স্টুডেন্ট ভাড়া তো নিস নাই তাইলে শুধু শুধু আই ডি দেখতে চাইলি ক্যান,
ছেলে কিছু একটা জবাব দিতেই শুরু হল মারামারি, ছেলেটি ২ টা মারলে কন্টাক্টর ১ টা ফিরিয়ে দিতে পারছে, কন্টাক্টর বেচারার বয়স কম শরিলে অত শক্তি ও এখনো হয়নাই ওই ছেলের সাথে মারামারি করার তার উপর এক হাতে এতক্ষন যে ভাড়া তুলেছে সেগুলো ধরা তাই মার শেষের দিকে শুধু খাচ্ছেই, ওদের দুই পাশে কত মানুষ দাঁড়িয়ে কেউ থামাচ্ছে না, এক পর্যায়ে দেখলাম কন্টাক্টর ছেলেটির কান চেপে ধরেছে এমন ভাবে যে আমার ভয় হচ্ছিল এই বুঝি ছিরে ওটা ছেলেটির হাতে চলে আসবে,
আমি এবার অনেক জোরেই বললাম ওদের থামান প্লিজ। এবার বেশ কজন এগিয়ে গেলো অনেকক্ষণ দস্তাদস্তি করে তবেই থামানো গেলো, জিদ্দে যাত্রি ছেলেটি কেঁপে কেঁপে উঠছিল মোবাইল হাতে নিয়ে কাকে কাকে ফোন দিতে শুরু করলো, কন্টাক্টর ছেলেটিকে মাইর দেয়ার প্ল্যানিং আর কি, বাসের সবাই ওকে শান্ত ট্রাই করছে ছেলেটি কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না, ওর মুখে এক কথা তুই আই ডি কার্ড দেখতে চাইলি ক্যান।
বেশ অনেকক্ষণ পর ছেলেটির রাগ পড়ে যেতে লাগলো, কারন ওর বন্ধুদের ফোন করে কাউকেই আসেপাশে পাচ্ছে না, এতক্ষনে আমার কথা তার মাথায় আসতে লাগলো হয়তো, (মেয়েটি নিশ্চয়ই পুরো ব্যাপারটা দেখছে!!)লজ্জিত চোখে বার বার সে আমাকে দেখতে লাগলো।
এই রকম এক সময় কন্টাক্টর ফিরে এলো ওর কাছে হয়তো বাসের যাত্রীরা ওকে বুঝিয়েছে ও হয়তো সরি বলতেই এসেছিলো কিন্তু কাছে আসতেই ওর কলার চেপে ধরে ছেলেটি বলে উঠলো তুই আই ডি কার্ড চাইলি ক্যান , জবাবে কন্টাক্টর ছেলেটা ঠাস করে ছেলেটির গালে এক চর বসিয়ে দৌড় দিয়ে ওর নাগালের বাইরে!!! হাহাহা। আমি কি কষ্টে যে হাসি চেপে রেখেছি, (আফটার অল সে আমায় বসতে দিয়েছিলো, তার কষ্টে আমার হাসা উচিত না,) এর ভেতর ছেলেটি আমার দিকে বার কয়েক চেয়ে বুঝে ফেলেছে আমার প্রতিক্রিয়া, সে আমার মনোভাব বুঝে হতাশাগ্রস্থ, আহত!!
নেমে যেতে যেতে মনে মনে বললাম, হে মাথা গরম যুবক, মাথা ঠাণ্ডা রেখে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করবে, হেল্পারের চর খাওয়া কোন কাজের কথা না।
বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।
০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
সামিয়া বলেছেন: ছেলেটি যে শুধু মারছিল তা নয় শেষ চর টা ও নিজেই খেয়েছে। এত সিরিয়াস ভাবে ভাব্লে অনেক অনেক কিছু ভাবতে হয় শুধু গরিব বলে নয় আমরা নারী বলে কি কম সাফার করছি!! ওখানে ছেলেটি যে কোটিপতি তা ও নয়, তাহলে হেল্পারের হাতে নিশ্চয়ই মার খেত না? আর ছবি পোষ্টের প্রয়োজনে ইউজ করেছি, এই পোস্ট এ একটা ছেলের ছবি দেয়ার প্রয়োজনেই দিয়েছি গো আপু, আর পাপ কে ঘৃণা করাই উচিত পাপি কে নয় গো ।
২| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: লেখা ভাল লাগল আপি। আসলেই আমাদের সমাজটা জানি কেমন হয়ে যাচ্ছে। মানুষের প্রতি মানুষের সম্মান দয়া মায়া সব উঠে যাচ্ছে । অনুভূতিহীন মানুষগুলো যন্ত্র হয়ে গিয়েছে। কারো কষ্টে দু:খে কারো ভাবান্তর নাই।
পাবলিক বাসে কম চলাফেলা করতে হয়েছে আমাদের অফিসের স্টাফ বাসেই আসা যাওয়া করেছি অফিসে। কিন্তু মাঝে মাঝে যখন বাসে উঠি তখন ছেলেরা বসা থাকে মহিলা সিটে এক সিট ফাঁকা পেয়ে উপান্তর না দেখে বসে পড়তে হয় । কি যে কষ্ট নিজেকে বাঁচিয়ে চলা। অন্য কোন মেয়ে আসলেই শালারা সিট ছাড়ে না।
সেদিন কাওরান বাজার থেকে মতিঝিল আসতেছিলাম পাবলিক বাসে। ড্রাইভারের পাশে গরম ইঞ্জিনে বসেছি। যেমন গরম তেমনি ব্রেক খসলে নিজেকে কন্ট্রোল রাখতে পারছিলাম না তখন পাশের সিট থেকে একটা ছেলে উঠে আামাকে সিট দিলো (তাকে ধন্যবাদ অনেক অনেক)
তখন আমার পাশের সিট খালি হওয়াতে পিছন থেকে একটা ছেলে পাশে এসে বসল ... কোনমতে চেপে বসে আছি একটু পর দেখি বেটা আমার ভাড়া দিয়া দিছে, কন্ট্রাক্টর ভাড়া নিতে আসলে নিতে চায় না আমি বললাম আমার ভাড়া আমি দিব.। তাছাড়া আমি উনাকে চিনি না। তখন তার ভাড়া তাকে ফেরত দিলো।
কিন্তু সেদিন বুঝতে পারলাম না সে কেনো আমার ভাড়া দিতে গেলো । তার সাথে আমার কোনো পরিচয় নাই দেখা সাক্ষাত নাই। মনে জিজ্ঞাসা ছিল কিন্তু কথা বাড়ানোর চেয়ে চুপ থাকাটাই শ্রেয় মনে করেছিলাম কারণ তখন সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই ।
যাই হোক ... আমাদের জীবন যাত্রা এমনই।
০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯
সামিয়া বলেছেন: ঠিক আমাদের জীবন যাত্রা এমনই! পোস্ট ভাললেগেছে যেনে খুব ভালো লাগলো, অনেক অনেক ধন্যবাদ কাজী ফাতেমা
৩| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭
সাথিয়া বলেছেন: আমাদের জীবন
০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
সামিয়া বলেছেন: হুম আমাদের জীবন সাথিয়া
৪| ০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: পথে ঘাটে বেরিয়ে আপনার পর্যবেক্ষন অনেক সুন্দন ভাবে তুলে ধরতে পারেন।ধন্যবাদ আপু।
০৫ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:২০
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মোস্তফা সোহেল
৫| ০৫ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৪
দা স্নাইপার বলেছেন: বানানের দিকে একটু নজর রাখুন। অভিজ্ঞতা ভাল লেগেছে।
০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১:৪৬
সৈয়দ আবুল ফারাহ্ বলেছেন: আমরা সবাই নিজ নিজ মর্যাদা নিয়ে চলি এবং অন্যে মর্যাদা সুরক্ষা করি। নারী, শিশু, প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীদের মর্যাদা দেই। নিরাপদে চলতে সহায়তা করি। নিজের স্বার্থ রক্ষার সাথে অন্যের স্বার্থের কথা ভাবি।
০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯
সামিয়া বলেছেন: হুম .. ধন্যবাদ
৭| ০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ২:২০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: জানলাম আপনার অভিজ্ঞতা। এক টাকা ভাড়ার জন্য আমাদের দেশে বাসে মারামারি শুরু হয়ে যায়।
০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
সামিয়া বলেছেন: আসলেই... ধন্যবাদ
৮| ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: বাস প্রতিদিনের নতুন নতুন অভিজ্ঞতার জায়গা।
বিভিন্ন ধরনের মনুষ সব এক জায়গায় হয়।
০৭ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ... হুম একদম ঠিক
৯| ০৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৩
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নেমে যেতে যেতে মনে মনে বললাম, হে মাথা গরম যুবক, মাথা ঠাণ্ডা রেখে রাস্তা ঘাটে চলাফেরা করবে, হেল্পারের চর খাওয়া কোন কাজের কথা না। হাহাহা।
আপনার পর্যবেক্ষণ এবং প্রকাশনার ভংগি দারুণ! +++
১১ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:১৫
সামিয়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ডিয়ার মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:১৩
মানবী বলেছেন: বাসের কন্ডাক্টরের হাতে চড় খাওয়া ততোটা লজ্জাকর নয় যতোটা একজন দরিদ্রলোককে চড় দেয়ার গ্লানি ও নীচতা!
আপনাকে বসতে দেয়ায় ছেলেটিকে ভদ্র ভেবে ভুল করেছিলাম। আমাদের দেশের মানুষ কি সহজেই নিজের চেয়ে দুর্বলতর আর্থিক অবস্থার মানুষের গালে চড় থাপ্পর বসিয়ে দেই... এটা যে কতো বড় অপরাধ আর তার চেয়েও বড় অসভ্যতা তা ইহজীবনে আমাদের অনুধাবন সম্ভব বলে মনে হয়না।
কথায় কথায় রিক্শাচালক, ট্যাক্সিচলাক, ভিখেরী, বাস কন্ডাক্টর আর দরিদ্র মজুরদের চড় মারার সাথে সাথে যে তার চেয়ে বহুউনে বড় একটি চড় আমাদের নিজের গালে পরে তা আমরা ভুলে যাই।
অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ইতি সামিয়া।
এক অভদ্র যুবককে নিয়ে লেখা পোস্টে আলি জাফরের ছবির সুত্র খুজে পেলামনা :-)