নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমারে ইদানীং সিওসির নেশায় ধরছে, গাড়িতে যেতে যেতে, ফোনে কথা বলতে বলতে, পড়তে পড়তে, বাইরে আড্ডা দিতে দিতে, শপিং করতে করতে, এ্ফ,বি নোটিফিকেশন চেক করতে করতে, ফটোগ্রাফি করতে করতে, এমন কি অডিট করতে করতে ও আমি সিওসি খেলি।
গতকাল বাসায় যাওয়ার পথে ঘটনা। আমি বাসে উঠেই সিওসি খেলা স্টার্ট করেছি। টাউন হল আপডেট দিয়েছি, ৮ থেকে ৯ এ যাবে, আর মাত্র একদিন বাকী আছে আপডেট কমপ্লিট হতে তাই মন ভালো। রিলাক্স হয়ে অ্যাটাক দিয়েছি। এই টাইমে ১৩/১৪ বছর বয়সের এক মেয়ে পাশে বসলো, ভীষণ বক বক করা টাইপ মেয়ে। কথায় ঢাকার লোকাল আঞ্চলিক টান, বেশ অর্ডার একটা ভাব ওর ভেতর। এবং ভীষণ জোরে কথা বলছে, আমার খুব ডিস্টার্ব হচ্ছে খেলতে। ওহ ডিয়ার একটু থামনা। মনে মনে বললাম।
ডিয়ার আমার শব্দহীন কথা শুনতে পেয়েছে বোধ করি, প্রায় সাথে সাথেই বলল আপু আপনার টাউন হল কত?
প্লিজ স্টপ আই ডোন্ট ওয়ানা টক টু ইউ।
এটাও মনে মনে বললাম। ও আপু আপনার টাউন হল কত?
আমার টাউন হল নাইন (কথাটা একবারে মিথ্যা তো হয় নাই, আপডেট দিয়ে রাখছি ৯ দিন আগে আর একদিন পরেই নাইন হবে।)
-ও আল্লাহ আপনে নাইনে গেছেন গা!?
-হুম
-আপনার ঘড় কি কালো হইছে?
-হইছে
-কিং নামাইছেন
-হুম
-কুইন নামাইছেন?
-হু
ভীষণ ভাবে আমার আইফোন স্ক্রিনে ঝুকে আছে মেয়েটা সাথে ওর ছেলে বন্ধুরাও, আর তখনি আমার মাথায় এলো ব্যাপারটা! আরেহ!!! অ্যাটাক শেষ হলেই তো ওরা দেখে ফেলবে আমার টাউন হল নাইনে না এইটে, কি প্রবলেমে পড়লাম
ওহফ !!!
গভীর মনোযোগে ওরা চেয়ে আছে আমার স্ক্রিনে। অ্যাটাক শেষ। কি করি কি করি ভাবতে ভাবতে বললাম
-তোমার টাউন হল কত? বলেই সোজা বেরিয়ে এলাম সিওসি থেকে
-আমারটা সেভেন।
-মাত্র!! আমার মুখে অবজ্ঞার হাসি।
-আমি তো পরিক্ষার জন্য বেশি খেলতে পারিনাই, আর ইদানীং আমি হেই ডে খেলি।
-কেমন খেলাটা?
-অনেক মজার, আমি দেখাইতাছি আপু
-দেখাও, (দেখলাম ওর ব্যাগ থেকে একটা স্ক্রিন ভাঙা মোবাইল বের করেছে)
- কিশে পড় তুমি?
- আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।
- কোন স্কুলে?
- স্কলার'স স্কুল এন্ড কলেজে
- মোবাইল ভেঙ্গেছে কি ভাবে?
- আমি তো অনেক গেমস খেলি এই জন্য আমার আব্বু মোবাইল ভাইঙ্গা ফালাইছে।
-ও, তোমার সিওসি?
- সিওসি নাই আপু আমি সারাদিন সিওসি খেলতাম বলে আব্বু সিওসি মোবাইল থেইক্কা ডিলিট করে দিছে, আমার রোল ছিল এক সিওসি খেলতে খেলতে রোল এক থেইক্কা লাফ দিয়া দশে নাইম্মা আইছে গো আপু। আমি এখন শুধু হেই ডে খেলি। দুঃখের কথা বাদ আসেন আপনেরে হেই ডে খেলা ক্যামনে খেলে দেখাই।
প্রথমে ওরা আপনেরে একটা পুরান বাড়ি দিবে, পুরান ময়লা আর ছোট রঙ ছাড়া এক বাড়ি, আপনের করতে হইব কি বাড়ি ডারে সুন্দর করতে হইব, গাছ লাগাইতে হইব, এই যে এইটা স্টোর রুম, এইটা হইল আইসক্রিম বানাইন্না মেশিন।
- আইসক্রিম বানিয়ে কি করব? ( কোন রিপ্লে নেই মেয়েটির , এই পর্যায়ে সে খেলায় মগ্ন হয়ে আছে, সম্ভবত আইসক্রিম বানাচ্ছে) অনেকক্ষণ খেলাধুলা করে, গাছ টাছ কেটে, মুরগি কে খেতে দিতে দিতে আমায় বলল
- আইসক্রিম কেউ খাবেনা আইসক্রিম বেচবো
- কার কাছে বেচবা?
- এই যে দুইটা লোক আসছে ওদের কাছে, ওরা এখন দাম বলবো, কিন্তু কম দাম বলতেছে আমি ওদের কাছে বেচবো না, তাই বলবো (নো আই এম সরি) এই অংশটা বেশ স্টাইলিশ শুনাল মেয়েটির কণ্ঠে,
এভাবে সারা পথ মেয়েটি আমাকে হেই ডে খেলা শেখাতে শেখাতে এলো।
নামবার আগে আগে বলল আপু আপনেরে এফ,বিতে এড করি তাইলে হেই ডে এক সাথে খেলতে পারব, আমি আই,ডি বললাম খুজে পেলো, কিন্তু রিকুয়েস্ট পাঠাতে পারছেনা, আমি বললাম আমি তো রিকুয়েস্ট পাঠানোর অপশন বন্ধ করে রাখছি, তুমি আমায় লাইক দিয়ে রাখো, আমি এড করে নিবো নে,
দেখলাম ও আমায় ডাবল ডাবল লাইক দিচ্ছে,
সব লাইক আনলাইক হয়ে যাচ্ছে। দেখে ভীষণ খুশি মনে মনে, মুখে কিছু বললাম না।
বাস থেকে নেমে দেখি উনি আগেই নেমে দাড়িয়ে আছে, আমার দিকে বেশ মুরুব্বী দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে বলল,
- বাসা কোথায় আপনার?
- কেন তুমি যাবে?
- না, এখন যাবনা, কাজ আছে, আপনি কিন্তু আমাকে এড কইরেন আপু ভুইল্লা যাইয়েন না,
- ওকে ডিয়ার বাই। বলে হাসি মুখে চলে এলাম। আমি জানতাম ওর ডাবল লাইকের খবর, জানতাম ওর লাইকে আমি এফ,বি তে পাবনা, তবু ওর থেকে আমার দূরত্বই রাখা ভালো, গেমস পাগল এই মেয়েটির জন্য রইলো ভালোবাসা। এবং আমি ভেতরে ভেতরে খুশি, ও আমার টাউন হল দেখতে পায়নি।
বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
সামিয়া বলেছেন:
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
মোঃ আলামিন বলেছেন:
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
সামিয়া বলেছেন:
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
মোঃ আলামিন বলেছেন: আমি আপডেট দিয়েছে ৬ এ । তিন চার দিন ধইরা শুধু আপডেট হয় ।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
সামিয়া বলেছেন: মাত্র ৬ !!
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
দুষ্ট পন্ডিত বলেছেন: ভালো হয়েছে
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
ফয়সাল রকি বলেছেন: CoC সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে! যেদিকেই তাকাই, যাদের কথাই শুনি শুধু CoC আর CoC.. কেমনে কী? কত সময় যে নষ্ট হচ্ছে মানুষের, তারা কিছুই বুঝতে পারতেছে না। এভাবে চলতে থাকলে সৃজনশীলতা নষ্ট হতে হতে এক সময় মানুষ.... এক সময় মানুষ... এক সময় মানুষ ....... (আর লিখতে পারতেছি না, সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে! CoC তে টাউন হল ৮, এক্সপি ৯০ আর HayDay খেলা বাদ দিছি মাস ছয়েক হবে... এখন অপেক্ষায় আছি কবে CoC খেলা বোরিং লাগবে আর খেলা বাদ দিবো... )
পোষ্টে +
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬
সামিয়া বলেছেন: াহাহাহাহাহাহা মজা লাগলো কমেন্ট
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৮
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: ভালোই ---------
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৭
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:১৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: হা হা হা । চমৎকার গাল গল্প, গেম গল্প !
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:১৮
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম। আপনার পোস্টের বদান্যতায় দুটো গেম সর্ম্পকে জানলাম। গেমের থাবা থেকে কেউ মুক্ত নয়।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
সামিয়া বলেছেন: অনেকদিন পর হলেও আমার লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ । হুম গেমের থাবা থেকে কেউ মুক্ত নয় , ঠিক ঠিক।
৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:২১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমি কিন্তু মুক্ত। কখনই কোন গেম আমাকে তার দিকে টানতে পারেনি।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১
সামিয়া বলেছেন: আহাহা
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৩
উল্টা দূরবীন বলেছেন: আপনার টাউন হল নাইন, আমারো নাইন। কিন্তু নাইনে আসছি যে বেশিদিন হয় নাই। মাসখানেক হবে।
এই গেম যারে একবার ধরছে তার ভিতরে স্থায়ী আস্তানা গাড়ছে। মারাত্মক এডিক্টিভ গেম। আমার খালাতো ভাই ক্লাস ফোরে পড়ে এবং ওর টাউম হল আট।
বাই দ্য রাস্তা, আপনার ক্ল্যানের নাম কি? লেভেল কত?
আমার ক্ল্যানের নাম দেশী ডেস্ট্রয়ার্স। লেভেল সাত। ভিজিটে আসার আমন্ত্রণ থাকলো।
৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
সামিয়া বলেছেন: আমি ক্ল্যানে তেমন থাকি না কয়দিন থাকি তারপর রিমুভ দেই। ক্ল্যানে সব এত্ত বেশি সিরিয়াস থাকে , ওদের কথা মত চলতে গেলে সব কাজ ফেলে রেখে ওদের কে শুধু টাইম দিতে হবে, chat এ attack এ , সারাদিন রাত সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৩১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: হাহাহা...