নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই কয়েকদিন আগে সকালে তুলেছিলাম ছবিটা। ২৫ জানুয়ারি ২০১৬। খুব বেশি কুয়াশায় ভরা ছিল সকালটা। তখন সকাল সাড়ে ৭ টা বাজে অথচ তখনো এত কুয়াশা। সাধারনত কুয়াশা বেশি হলে ঠাণ্ডা কম লাগে কিন্তু সেদিন তাপমাত্রা ছিল অনেক কম । ঠাণ্ডাটা একদম হাড়ের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছিলো যেন। আমি অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। বাড়ি থেকে বের হয়ে কিছুটা পথ হাঁটতে হয় তারপর অটো রিক্সা নিয়ে মেইন রোডে গিয়ে গাড়িতে উঠি। ওই দিন রাস্তায় মানুষজন ছিলনা বললেই চলে। দোকান গুলো ছিল বন্ধ। আমার চারপাশ কুয়াশায় সাদা হয়ে আছে। আমি হাঁটছি মনে হচ্ছিল অন্য কোন জগতে প্রবেশ করেছি। দুপাশে সাদা আর সাদায় ঢাকা। হাল্কা ভাবে দেখা যায় সামনের পথটুকু। একসময় খেয়াল করলাম শুধু আমি একা না আমার সাথে হাঁটছে তিনটা কুকুর। একটা বড় কুকুর আর সাথে দুইটা কুকুর ছানা। অদ্ভুত মুহূর্ত। আমার এই কনকনে শীতের মধ্যেও ভাললাগায় ভরে গেল মনটা। সাথে ডি,এস,এল,আর ক্যামেরা নিয়ে বের হয়নি কিন্তু মোবাইল তো ছিল আমি আমার সামসাং গ্যালাক্সি এস ফোর দিয়ে কিছু ছবি তুললাম।এই ছবিটা সেই সময়টায় তোলা। সেসময় অফিসে যাওয়ার তাড়া ভুলে গিয়ে অবাক হয়ে ২ মিনিট তাকিয়ে দেখলাম প্রকৃতি। মনে পড়লো কবি মহাদেব সাহার একটা কবিতা, খুব ভালোলাগা থেকে পুরো কবিতাটা উল্লেখ করে দিলাম।
"বেঁচে আছি এই তো আনন্দ"
____ মহাদেব সাহা
বেঁচে আছি এই তো আনন্দ,
এই আনন্দের জন্য আমি
সবকিছু মাথা পেতে নেবো,
যে কোনো দুঃখ, যে কোনো শাস্তি-
শুধু এই ভোরের একটু আলো দেখার জন্য
আমি পথের ভিক্ষুক হতে রাজি
এই যে গোলাপ ফুলটির দিকে
যতোক্ষণ খুশি তাকিয়ে থাকতে পারি
এই সুখে আমি হাসিমুখে সব দুঃখ- মাথা পেতে নেবো।
বেঁচে আছি এই তো আনন্দ, এই
আনন্দের কাছে কোনো দুঃখই কিছু নয়
এই নির্বাসন, এই শাস্তি, এই দ্বীপান্তর; এই মেঘ, এই ঝুম বৃষ্টি,
এই শিশিরের শব্দের জন্য আমি সহস্র বছরের কারাদন্ড-
মাথায় নিয়েও বেঁচে থাকতে চাই,
বেঁচে আছি এই তো আনন্দ, এই আনন্দে সব
আঘাত আমি মাথা পেতে নেবো।
Thank you Allah for gave me a precious morning.
ছবিঃ আশ্চর্য সকাল।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
সামিয়া বলেছেন: দুই তিন টা দিন বেশ কষ্ট হয়েছে শীতে। ভাললেগেছে জেনে খুশি হলাম। ভালো থাকবেন খোলা হাওয়া ।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: কুয়াশাময় ছবি দুটো অনেক সুন্দর .......। কি গাছ বোঝার চেষ্টা করছি । একবার মনে হচ্ছে শিরীষ, একবার কড়ই, আবার মনে হচ্ছে সজনে - যদিও গাছটা বেশ বড়। আসলে কোনটা ?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
সামিয়া বলেছেন: আসলে সজনে গাছ বাস্তব ছবি আরও সুন্দর ছিল। মনে হচ্ছিল অন্য কোন পৃথিবী। @ ধন্যবাদ শ্রাবণধারা
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ছবিটাকে মনে হচ্ছে কেউ এঁকেছে!
এই কবিতাটা পড়েছিলাম। মহাদেব সাহার কবিতা আমার বিশেষ প্রিয়, যদিও এখন আর আগের মত ভাল কবিতা লিখতে পারছেন না তিনি।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আরণ্যক রাখাল। আর ঠিক তাই মনে হচ্ছিলো হাতে আঁকা দৃশ্যপট । হুম মহাদেব সাহার কবিতা বেশ ভাললাগে আমার।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চমৎকার ছবি
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৭
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা সুলতানা ♪♥♪
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
সুমন কর বলেছেন: কবিতা শেয়ার আর ছবি ভালো লেগেছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৩
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৫
খোলা হাওয়া বলেছেন: ভালো লেগেছে কুয়াশামাখা ছবি। যদিও এবার তেমন শীত পড়েনি।