নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ অফিসে আসার সময় প্রায় পুরো পথ দাঁড়িয়ে এসেছি , ঈদের পর হঠাৎ করেই শহরে যেন আবার মানুষ বেড়ে গেছে কিন্তু পাবলিক বাস সেই তুলনাই বাড়েনি তাই ইদানীং দাঁড়িয়েই যেতে হচ্ছে, আমি যেই সিটে মহিলা বসা সেই পাশটাতে দাঁড়িয়েছি, ভাবলাম মহিলাদের পাশেই বেশি safe.
কিন্তু মহিলা খুবি বিরক্ত উনার পাশে দাঁড়ানোয়, এক পর্যায়ে দেখলাম উনি তার পা এর উপর পা তুলে ছড়িয়ে দিয়েছে তার সিটের বাইরে যেন তার এরিয়ার আশেপাশে ও আমি দাঁড়ানো দূরে থাক আমার ব্যাগ ও না যেতে পারে। কিন্তু ততোক্ষণে আশপাশ ভরে গেছে মানুষে এখন আর move করবার উপায় নেই আমার, আমি করলাম কি যতটা সম্ভব চেপে দাঁড়ালাম, কিন্তু তাতেও কাজ হলনা এক পর্যায়ে দেখলাম মহিলাটা হেল্পার কে ডেকে খুব গালাগাল শুরু করল ‘’বাসের মধ্যে জায়গা নাই অথচ বাল ছাল তুইলা ভইরা ফেলছ ব্যাপার টা কি!!’’ আমি উনার কথা শুনে প্রচণ্ড আঘাত পেলাম , আমি যে তুচ্ছ সেটা জানতাম কিন্তু এতটা যে তা জানতাম না।
পাশে দেখলাম তার মেয়ে বসে আছে আমার বয়সী কিংবা কাছাকাছি বয়স, মেয়ে একবার বলছে জানলা খুলে দাও মহিলা তা বাসের কন্টাক্টরকে কে ধমক দিয়ে করতে বলছে , মেয়ে ফ্যান ছেড়ে দিতে বলছে মহিলা ড্রাইভার কে সাথে সাথে অর্ডার দিচ্ছে, এই দিকে সে আমাকে ঠেলতে ঠেলতে প্রায় ছেলেদের গায়ে ফেলে দিচ্ছে ভাবছি মানুষ কতই না বিচিত্র আর স্বার্থপর প্রাণী।
এক পর্যায়ে এম,ই,এস ক্রস করে বাসটি ফ্লাইওভারের শেষ মাথায় প্রায় তখন সেই মহিলা উঠে দাঁড়িয়ে বলতেছে এম,ই,এস নামবে। বুঝলাম শহরে তারা নতুন। ড্রাইভার তাকে কিছু না বলে সেখানেই নামিয়ে দিল, মহিলা হয়ত বুঝল কিছু একটা গড়মিল হয়েছে সে তার মেয়েকে নিয়া কি করবে এমন চোখ মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে রইল ওখানেই, বাস টি ছিল সিগনালে থেমে, কাউকে দেখলাম না তাদের সাহায্য করার মনোভাব, সবাই দেখছে এবং চুপ করে আছে, আমি নেমে দেখিয়ে দিলাম এম,ই,এস কোনটা , ফ্লাইওভার দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া রিস্কি বলে দিয়ে দেখিয়ে দিলাম নিচে কোন পথে হেঁটে যেতে হবে। বুঝলাম তারা অনিশ্চিত ভয়ে আছে আমি যতটা সম্ভব আশ্বস্ত করে আর একবার পথ দেখিয়ে ফিরে এলাম, ভাল থাকুক সবাই, সকল ভালোরা ও সকল মন্দরা ।
বিঃ দ্রঃ এটা কোন গল্প নয় আমার জীবনে পথে ঘাটে ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৫
সামিয়া বলেছেন: হুম
২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:২৬
খোরশেদ আলম সৈকত বলেছেন: "আমি যে তুচ্ছ সেটা জানতাম কিন্তু এতটা যে তা জানতাম না "
............দারুন ।।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬
সামিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
আহলান বলেছেন: হুমম ... ব্যাফক অভিজ্ঞতা .......!!
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩
শ্রাবণ আহমেদ হিমু বলেছেন: হুম দৈনিক অভিজ্ঞতার চমৎকার বর্ণনা। পুরুষ সম্প্রদায়ের কথা বাদ দিলাম, একজন নারী অন্য নারীকে এত তাচ্যিলতায় দেখবে এটা অতীব নির্মম মানষিকতার পরিচয়। তারপর ও "ইতি" তুমি তোমার মানবিক ঐশ্বর্যে নিজেকে রেখেছ মহীয়ান। অসাধারণ।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
সামিয়া বলেছেন: Thank you himu
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৫
রিয়াজ উল ইসলাম বলেছেন: বুঝতেছিনা, ঘটনাটা সত্যি না কাল্পনিক। তবে লেখাটা সুন্দর হয়েছে, ভুলচুক ছাড়াই।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৯
সামিয়া বলেছেন: ঘটনাটা সত্যি প্রতি টা অক্ষর সত্যি
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:০১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি যে তুচ্ছ সেটা জানতাম কিন্তু এতটা যে তা জানতাম না - যে ভাষা মহিলা ব্যবহার করেছেন, সেটা শুনে নিজেকে নয়, বরং তাকেই তুচ্ছ জ্ঞান করা উচিত।
আপনি ভাল কাজই করেছেন। নিঃসন্দেহে একদিন এর বিনিময় পাবেন, কারণ- "ইহসান এর বিনিময় ইহসান ব্যতীত কি আর কিছু হতে পারে?" (সুরা আর-রাহমান, আয়াত নং ৫৫)
১৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
সামিয়া বলেছেন: এত পুরানো পোষ্টে আপনার মন্তব্য দেখে চমৎকৃত হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।।
৭| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৫
মাআইপা বলেছেন: মহিলার কথা শুনেই তো মেজাজ খারাপ, আপনে আবার তাকে সাহায্য করলেন ?
তবে ভাল করেছেন টিট ফর লাভ।
শুভ কামনা রইল।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
সামিয়া বলেছেন: হাহাহা ধন্যবাদ ।।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯
ভাবের পোলা বলেছেন: সেক্রিফাইজ্ড মনের পরিচয় দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ।