নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনের মৃত্যু হয়েগেছে দেহের মৃত্যু বাকি, বিষাক্ত ধুলিমাখা দীর্ঘজটে দেহটা কোথায় রাখি? - সালাউদ্দিন শাহরিয়া
সালাউদ্দিন শাহরিয়া
হ্যাঁ এটিই আমার সর্বশেষ লেখা। আর কখনো লিখবো না। লিখতে চাইলেও লিখবো না। আমি চলে যাচ্ছি এই মিথ্যা দুনিয়া থেকে, যেখান থেকে এসেছিলাম আমি। দুনিয়ার সবাই স্বার্থপর। আমি লিখেছিলাম ধারাবাহিক গল্প 'জ্যোৎস্না রাত'। যেটি আজ সারা বাংলাদেশের সবাই জানে পড়ে ও পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু এই গল্পের লেখক এখন আমি না, লেখক এখন আবির। বইয়ের দিকে তাকালে দেখি "জ্যোৎস্না রাত" লেখকঃ আবির। আমি দেখলে আর সহ্য করতে পারিনা। এইতো বিশ লক্ষ টাকা পেলো আবির গতদিন প্রকাশনী থেকে। অথচ পাবার কথা কার? আমার। এই গল্প লিখেছি আমি। আর আবির তার নামে চালিয়ে দিয়েছে।
আবির প্রায় ফেইসবুকে লেখালেখি করতো। তার পোস্টেও প্রায় শ' থেকে হাজার খানিক লাইক কমেন্ট পড়তো। আর আবিরের আরো দুইটি বই প্রকাশও হয়েছে। তেমন সাড়া পায়নি। জাতীয় স্থানীয় পত্রিকায় টাকা দিয়ে এড ও করেছে। বিভিন্ন ম্যগাজিনেও তার বইটির এড দিয়েছে। আশিক ভাইকে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে একটি পুরস্কারও পেয়েছে ভালো লেখক হিসেবে। তাই তার টাকার গরমে মিডিয়া ও জনম্মুখে অনেক পরিচিতি।
আমিও টুকটাক লিখতাম। এন্ড্রয়েড মোবাইল ছিলো কিন্তু কিছু প্রব্লেম থাকায় ফেইসবুকে কোন পোস্ট করতে পারতাম না। আমার অনেক অনুভূতি কাজ করতো কিন্তু তা প্রকাশ করতে পারতাম না। খাতায় লিখতাম কিন্তু মোবাইলে টাইপ করতে প্রব্লেম থাকার কারণে তা প্রকাশ করতে পারতাম না। তবুও লেখালেখি ছাড়িনি। ২০ টাকার দিস্তা খাতা একের পর এক শেষ করে ফেলতাম। তবুও লিখতাম। আবির আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি মাঝে মাঝে তার কাছ কিছু শিখতাম যেহেতু সে লেখালেখি করে। তার অভিজ্ঞতা মোটামুটি আছে।
আমি একদিন "জ্যোৎস্না রাত" নামে গল্প লিখতে শুরু করি। যতো লেখি ততো ভালো লাগে৷ তাই আর সমাপ্ত হচ্ছে না৷ ২ দিস্তা খাতা ৪০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম সব শেষ তবে যেন গল্পটি আর শেষ হয় না। শেষ করা যায় কিন্তু আরো পর্ব বাড়াতে মন চায়। তাই ১০ পর্ব লিখেছিলাম। এখন শখ জাগলো একটি বই প্রকাশ করবো। বইটির নাম হবে "জোস্না রাত"। এখন আমি আমি তো আর কিছুই জানিনা। কিভাবে বই প্রকাশ করতে হয়। কেমন টাকা পয়সা লাগে৷ আর আমার কাছে টাকাও নেই। তাই আবিরের সহযোগিতা নেই। আবির যেহেতু আমার ভালো বন্ধু লেখালেখি করে সে সাহায্য করবে তাই তার কাছে যাই। সে রাজি হলো। কাশিম ভাইয়ের কাছে নিয়ে যাবে সে বলেছে৷ উনি নাকি ভালো প্রকাশক। আর আমাকে বল্লো টাকা ২০ হাজার লাগবে আর পান্ডুলিপি লাগবে। আমি বললাম এতো টাকা তো আমার কাছে নাই। সে হেসে হেসে বললো আরে বোকা আগে পান্ডুলিপি দেয় টাকা যেকোনভাবেই পরে মেনেজ করে নিবি। আমি আবিরকে পান্ডুলিপি দিলাম। সে নিয়ে গেলো।
২ দিন পর আমাকে বললো আচ্ছা তোর টাকা লাগবে না আমি আছিতো। আমি বললাম সত্যিই সে বললো হ্যাঁ। আমি তো কিছুই বুঝিনা। সব দায়িত্ব দিলাম আবিরকে। তারপর বই মেলার দিন দেখি "জোস্না রাত" প্রকাশ হইছে, কিন্তু আমি না আবির। সে আমাকে সরি বন্ধু বল্লো। আমার মাথায় আসমান ভেঙ্গে পড়লো। অতপর কোন প্রমাণ ছিলো না আমার লেখা বলে৷ আবির পরবর্তী ১১ তম পর্ব থেকে সে লিখতে লাগলো যেহেতু তার অভিজ্ঞতা আছে। আর আমার বুকটা খালি হয়ে গেলো। আজ লক্ষ লক্ষ পাঠকের মন কাড়ানো লেখা গল্পের বইটি আমার কিন্তু লেখক সে৷ টাকাও পায় সে। কেউ বুঝতেও চায় না। আমি মূল লেখক। তাই মিথ্যা দুনিয়া ছেড়ে চলে যাচ্ছি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে।
ইতি
সামির
সম্পূর্ণ কাল্পনিক
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: এখানে জোস্না রাত গল্পটি ধারাবাহিক। আর এই গল্পটি পড়ার মানুষ পাগল। কবে যে পরের পর্ব আসবে। এই সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানিও এড দেয়। আমি এইভাবে বুঝিয়েছি। যদিও টাকা দিয়ে বই প্রকাশ করার পর মূল মূল টাকাই উঠেনা নতুন লেখকদের।
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬
বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল লেগেছে
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৪
শায়মা বলেছেন: হা হা সামিরের মত বোকা আর পাগল কি আরও দুনিয়ায় আছে!!!
আছে মনে হয় ......
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
কল্পনাটা তেমন ভালো লাগেনি
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব বড় কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭
আখেনাটেন বলেছেন: সামিরকে কেউ আসমান থেকে জমিনে নেমে আনে না কেন? আপনার ওকে বোঝানো উচিত যে প্রথম বই প্রকাশ করেই লক্ষ লক্ষ টাকা কামাই করা সম্ভব নয়। সেটাও প্রকাশককে টাকা দিয়ে পাবলিশ করিয়ে।
কাল্পনিক হলেও কিছুটা বাস্তবতার ছোঁয়াও তো থাকার দরকার।