নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনের মৃত্যু হয়েগেছে দেহের মৃত্যু বাকি, বিষাক্ত ধুলিমাখা দীর্ঘজটে দেহটা কোথায় রাখি? - সালাউদ্দিন শাহরিয়া
সালাউদ্দিন শাহরিয়া
আমি একটু লাজুক ছেলে ছিলাম!
মাথার চুল যেমন পাটের মতো ঘোচাতাম
তেমনি মন ছিলো ঘুচানো।
কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র,
চুপচাপ যেতাম আর আসতাম।
বন্ধুও ছিলোনা তেমন; পড়াতেও ছিলাম ভালো।
কেমেস্ট্রি লেবের ক্লাসে তোমার আর আমার বন্ধুত্ব হয়।
প্রকৃতির নিয়মেই বন্ধুত্ব থেকেই প্রেম হয়।
তারপর তুমি স্মার্ট হতে শিখাও আমাকে।
আমি গরিব ছিলাম ছয় হাজার টাকায় এন্ডয়েড কিনেছিলাম।
প্রাইভেট পড়িয়ে যা টাকা রোজগার করতাম,
কিছু টাকা এম্বি কিনে বাংলা নাটক দেখতাম।
আর নাটকের প্রতিটি কাব্যিক ভাষা তোমায় প্রয়োগ করতাম।
আমার মোবাইলে সেল্ফি সুন্দর হইতোনা
তাই তোমার দামি মোবাইলে দুজনে
গালে গাল লাগিয়ে জড়িয়ে ধরে সেল্ফি তুলতাম।
তারপর শেয়ার করে আমার মোবাইলে নিতাম।
আমাদের প্রেম এভাবেই চলতে চলতে একবছর পার হয়ে গেলো।
পড়ার চাপও বেড়ে গেলো।
তুমি আমায় বলতে আমি ছাড়া কারো তোমার প্রয়োজন নেই,
প্রয়োজন পড়বেও না।
তুমার জন্য শুধু আমি শুধুই আমি।
আমি গরিব বলতাম তুমি বলতে এগুলো কোন কথা ?
ভালোবাসায় ধনী গরিব কোন ভেদাভেদ নাই।
আর তুমার আব্বু আম্মুও মেনে নেবেন।
তোমাদের বাসায় ফ্রেন্ড পরিচয়ে যেতাম।
খুব আদর করতো তারা আমায়।
স্বপ্ন দেখা শুরু হলো তুমার আর আমার।
এইচ.এস.সি পরীক্ষা চলেই আসলো,
আর আমাদের প্রেম আরো গভীরে চলে গেলো।
তুমি ছাড়া আমি কিছুই ভাবতে পারতাম না।
রিজাল্টের পর পাবলিক ভার্সিটিতে চান্স হলোনা
তোমার আর আমার।
তুমি ভর্তি হলে নামি দামি প্রাইভেট ভার্সিটিতে,
আর আমি ছোটখাটো চাকুরিতে যোগ দেই।
তোমার সাথে যোগাযোগ হচ্ছিলো আগেরই মতন।
দেখা হতো তুমার সাথে ছুটির দিন শুক্রবার।
আস্তে আস্তে তুমার সাথে আমার যোগাযোগ কমতে থাকে।
তুমার ক্লাস, এসাইমেন্ট, এক্সাম... কতকিছু,
একদম সময় দাওনা আমায়।
হঠাৎ একদিন তুমি বললে আমার থেকে মুক্তি চাও!
আমি অবাক!
কি?
মুক্তি চাও,
তুমি বললে ব্রেকআপ।
আমি মনে করেছিলাম আসমান ভেঙ্গে পড়েছে আমার মাথায়।
চোখের ফোটা ফোটা পানি ঝড়ছে
আমি বল্লাম কেনো ?
তুমি বললে আমি ক্ষেত।
আমি বল্লাম এতোদিন তুমি তো আমায় বলোনি ক্ষেত।
এই ক্ষেতকে ভালোবেসেছিল এতোদিন কেন?
তুমি বললে,
আমি তোমার যোগ্য না, চোখের সামনে থেকে যাও।
আমি চলে গেলাম,
আর রাত ভরে বুক ফাটা জন্ত্রনায় প্রথম কবিতা লিখলাম,
"বুকের মাঝে ককটেল ফাটাই করলে ছারখার,
আমায় ছাইড়া ওগো তুমি হইলা এখন কার?
বুকের ভেতর আগুন জ্বলে দাউ দাউ করে,
তোরে ছাইড়া যাইমু এখন আমি যে মরে।
ওরে বাচাঁর উপায় তুই ছিলি তোর উপায় আমি,
আমায় এখন একা করে হইলি বিপথগামী।
কথা ছিলো আমি ছাড়া লাগবেনা কারো মায়া,
কার মায়াতে ডুইবা গেলি আমি এখন ছায়া।
সেই ছায়াটি মুছে দিলা করলা আমায় পর,
আমায় ছাড়া কেমনে করো অন্যের বুকে ঘর।
তোরে আমার মনে পড়ে হাজার কোটি বার,
আমায় ছাইড়া ওগো তুমি হইলা এখন কার?"
এই ভাবে তোমার দেওয়া কষ্টে আমি কবিতা লিখতে থাকি।
তোমার দেওয়া বেদনায় আমি কবিতা লিখতে লিখতে
জনসম্মুখে আমি কবি হয়ে উঠলাম।
তুমি ভার্সিটি শেষ করলে আমি জনপ্রিয় কবি হয়ে উঠলাম।
এখন আমার আফসোস হয়।
কেনো জানো ?
কারণ এখন তুমি আমার যোগ্য নয়।
আমি তোমার পুরাণ প্রেমিক।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০০
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: চেষ্টা করবো সমানে আরো ভালো করার।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮
uzzalhosain বলেছেন: ভালো হয়েছে লিখতে থাকো । ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারবে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: কবিতা ভালো লাগেনি।