নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

https://web.facebook.com/salauddin.shahria

সালাউদ্দিন শাহরিয়া

আমার মনের মৃত্যু হয়েগেছে দেহের মৃত্যু বাকি, বিষাক্ত ধুলিমাখা দীর্ঘজটে দেহটা কোথায় রাখি? - সালাউদ্দিন শাহরিয়া

সালাউদ্দিন শাহরিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুবিধাভোগী ওয়াজি

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৫৯

সালাউদ্দিন শাহরিয়া

পান-সুপারী মুখে থাকে,
জাবর কাটে সারাক্ষণ।
ওয়াজ করেনা গল্প বলে,
আধ ঘুমেরি ঝিমান দে।
বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে,
গীবত দিয়ে শেষ করে।
দায়ীকে গালি দিয়ে,
হক্কানী নিজে বলে।

পীর মুরিদের গল্প বলে,
পকেট হাতে টাকা মিলে।
জাত-বেজাতের ভঙ্গি করে,
স্বপ্নদোষের কথা বলে।
স্বপ্নদোষে পাইছে তারে,
পীরকে স্বপ্নে দেখে।
পীর বাবা কিতাব দে,
স্বপ্নে স্বপ্নে সে দেখে।

সকাল বেলা উঠে দেখে,
পীরের কিতাব বালিশের কাছে।
এই বলে ওয়াজ করে,
এই কিতাব কিনতে হবে।
কিতাব খুলে দেখি আমি,
লিল্লাহ দেওয়ার সময়সূচী।
সাথে আছে গীবত ফ্রি,
যাবেনা তাদের কাছাকাছি।

যাই কতো আশা করে,
একটু ভালো ওয়াজ শুনতে।
গিয়ে দেখি মধুর কন্ঠে,
গালি দিচ্ছে জামাতকে।
তাফসীর মাহফিল নাম দিয়ে,
শুরু করে তারা।
বড় পীরের গল্প বলে,
শেষ করে তারা।

অর্থসহ কোরআন হাদিস,
পড়তে বলে না।
অর্থসহ পড়লে তাদের,
পেট চলবে না।
অনেক কিতাব মিম্বার ভরা,
দেখলাম নাতো সহিহছিথা।
ফাজলামীমল রেখে দেওয়া,
অনেক বড় পীরের লিখা।

সুবিধাভোগী ওয়াজি তারা,
টাকার বাজেট নিচ দিয়া।
ধরা পড়লে হাদিয়া,
ফতুয়া দিবে মন ভরিয়া।
বিতর্ক করলে দিবে তোমায়,
নাস্তিক উপাধি।
ফতুয়া শুরু হবে,
পুরো দেওবন্দি।

সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত সিলেট
--------------------------------



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

কানিজ রিনা বলেছেন: বড় পীর আব্দুকাদের জিলানী রাঃ ওলীকূলের
শীরোমনি যিনি মায়ের পেট থেকে কোরআন
মুখস্ত করে এসেছিলেন উনাকে নিয়ে লেখার
আগে উনার জীবনী পড়া দরকার বলে মনে
করি। তিনি আরবী ভাষার পারোদর্শী ছিলেন।
এবং এশিয়ার ইসলাম প্রচারে এখনও উনাদের
বংশধরেরা নিয়জীত। একজন কামেলী পীর
একজন শিক্ষক সত্যিকার ইসলামীক জ্ঞানীরা
কখনও কামেলী পীরের অবদান অশীকার
করেননা। এখন জিনি বায়তুল মোকার্রম
মসজিদে নিয়েজীত ইমাম যিনি হযরত বড়পীর
নিয়ে সম্মানের সাথে কথা বলেন।
আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশে যত ওলীর
আগমন হয়েছে তাদের কারনেই আমরা এখন
মুসলমান। আমিরুল মুমেনিন চারজন খলিফার
বংশধর সারা পৃথিবীরতে ছড়িয়ে পড়েন মহানবী
সঃ আঃ এর কোরআন হাদীসের আলো পৌছে
দিতে।
আজকাল ইসলামীক দলগুল মহাপন্ডিতি দেখিয়ে পীর ওলিদের গীবদে মুসগুল থাকে।
আর দলগুল যত মহাপন্ডিত তাদের অবদান
অশিকার করতে গীবদে লিপ্ত।

গীবদকারীরা বেহেস্তে প্রবেশ করবেনা।
হযরত মোহা সঃ আঃ বলেছেন ইসলাম যখন
দলে বিভক্ত হবে তখন মুসলমানদের উপর
লানত নেমে আসবে তাই মসলিম আজ লানতের শিকার।
দলগত ভাবে শীয়া সুন্নি হানাফী লামাজহাবী
ওয়াহাবী আরও কতদল। দলের বিজ্ঞ পন্ডিতরা
একে অপর দলের গীবদে লিপ্ত।

যাহারা মেরাজে বিশ্বাসী তাহারা কখনও ওলী
আওলিয়ার বিরুদ্ধে কথা বলেন না।
কারন নবীজী মোহাঃ সঃ মেরাজ থেকে ফিরার
সময় আসমানের মসজিদে নামাজরত ওলী
ছিলেন মোহাঃ সাঃ এর পিছনে দাড়িয়ে সুন্নত
নামাজ আদাই করেছিলেন তারা সবাই ওলী
পৃথিবীতে আসবেন নবী মোহাঃ সঃ এর
ইসলাম প্রচার করার জন্য।
নবী মোহাঃ সঃ ওফাতের পর যুগে যুগে
তারাই এসেছেন ইসলাম সমুন্নত রাখতে।
ধন্যবাদ।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: বড়পীর বলতে ভন্ডদের বুঝিয়েছি কানিজ রিয়া।

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: ভন্ডদের বড়পীর আছে যেমন : দেওয়ানবাগী ইত্যাদি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.