নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার মনের মৃত্যু হয়েগেছে দেহের মৃত্যু বাকি, বিষাক্ত ধুলিমাখা দীর্ঘজটে দেহটা কোথায় রাখি? - সালাউদ্দিন শাহরিয়া
সালাউদ্দিন শাহরিয়া
আমরা বর্তমানেও কুসংস্কার বিশ্বাস করি। যা বর্তমানে বাঙ্গালির ঐতিহ্য হয়ে ওঠেছে। আর এই কুসংস্কার পালন করছে মুসলমানরা। যা হিন্দু ধর্ম থেকে এসেছে। এই কুসংস্কারগুলোর মধ্যে একটি হলো আম-কাঠালী।
রমজান মাসে আমরা মুসলমানরা রোজা থেকে মনে হয় গুরুত্ব দেই মেয়ের শশুরবাড়ি আম-কাঠালী, ইফতার, সন্দেস দেওয়া। তাছাড়া আমার বাড়িতেও, আমার গ্রামেও, আমার পাড়ায়ও এবং আমার দেশে এই কুসংস্কার দূর করতে হবে। আম-কাঠালী মূলত দেওয়া হতো হিন্দু মেয়েদের শশুর বাড়ি। আর এইগুলো মুসলমানরা কপি করে তাদের মেয়েদের আম-কাঠালী দিতে শুরু করে। তারপর রমজান মাসে এই দিনটি ধার্য করে যে, রহমত আরো ভালো পাওয়া যাবে। এখন দেখা গেছে এই কুসংস্কারটি সারা বাংলাদেশের মুসলমান মানুষ পালন করে যাচ্ছে। একজন মানুষ আম-কাঠাঁলী দিতে পারে। কিন্তু তা বাধ্যতা মূলক হয়েগেছে তা দূর করতে হবে। একজন গরিব মানুষ রমজান মাস অসহায় অবস্থায় পড়ে যায় যে, রমজান মাস আসছে মেয়ের বাড়িতে আম-কাঠালী না দিলে মান সম্মান চলে যাবে। শশুর বাড়ির সবাই তাকে অপমান করবে। নানা চিন্তার সম্মুখীন হচ্ছে গরীব মানুষেরা। যে একবেলা খাওয়া-দাওয়া করছে। না যাচ্ছে টেনে-হেচড়ে। সে খেয়ে না খেয়ে ইফতারি, আম-কাঠালী দিতে হচ্ছে মেয়ের বাড়িতে। আচ্ছা কেউকি এমন প্রমাণ দিতে পারবে যে, হযরত মুহাম্মদ (সা.) বিবাহের সময় আম-কাঠালী দিয়েছেন বা বলেছেন। কোন সাহাবী, তাবঈ, তবে তাবঈ এই রকম কুসংস্কার পালন করেননি। তাই আমরা মুসলমান হয়ে এই কুসংস্কার থেকে বেচেঁ থাকবো এবং গরীব মানুষের অসহায়তা দেখব। যেমনই ভাবে যৌতুক প্রথা হারাম বলা হয়েছে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: সমস্যা নাই ধনীদের ক্ষেত্রে, কিন্তু যারা গরীব তারা কি করবে। তাছাড়া এই প্রথাটি বাধ্যতা মূলক হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি পোস্ট করলাম।
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
বনসাই বলেছেন: "আম-কাঠালী" বিষয়টি কি? আজই প্রথম জানলাম। আরো একটু ব্যাখ্যা পেতে পারি কি?
৩| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১
খোলা মনের কথা বলেছেন: বনসাই বলেছেন: "আম-কাঠালী" বিষয়টি কি? আজই প্রথম জানলাম। আরো একটু ব্যাখ্যা পেতে পারি কি? জানতে চাই।
কাউকে হাদিয়া দেওয়া সুন্নত। দোষের কিছু দেখছি না।
৪| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ভাই হিন্দুরা তাদের নিশ্বাসের সময় অনেক বাতাস ত্যাগ করে তা বাংলাদেশের বাতাসকে দুষিত করে তুলছে। এক কাজ করেন আপনি এই বাতাসে বসবাস করা ছেড়ে দিন।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৮
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: ভাই এই বাংলাদেশ হিন্দুদের নয় একটি ইসলাম ভিত্তিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধান ইসলাম ধর্ম। ভারত হলো হিন্দুধর্ম। আর আপনি যখন বলছেন যে, (ভাই হিন্দুরা তাদের নিশ্বাসের সময় অনেক বাতাস ত্যাগ করে তা বাংলাদেশের বাতাসকে দুষিত করে তুলছে। এক কাজ করেন আপনি এই বাতাসে বসবাস করা ছেড়ে দিন) এই কথায় আমি বলব মুসলমান নয় হিন্দুদের তাড়িয়ে ভারতে দেওয়া উচিত। আমি এই কথাটা বললাম আপনার কথার ভিত্তিতে। আসলে বাংলাদেশের সরকার কখনও হিন্দুদেরকে নির্যাতন করছে না। তাই আমি বলতে চাই বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম বসবাস করুক কোন বাধাঁ নেই কিন্তু যে যার যার ধর্ম পালন করুক। হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ ও মুসলিম বা যেকোন ধর্ম বাংলাদেশে বসবাস করুক না কেন সবার স্বাধীনতা সমান। সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। যে যার যার ধর্ম পালন করবে। এখানে কোন বেদাভেদ নাই। কিন্তু আমি বলছি যে, মুসলমানদের কুসংস্কারের কথা। আপনি মন্তব্য করবেন বুঝেশুনে করবেন।
৫| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:০৮
ভ্রমরের ডানা বলেছেন: ভাই আম কাঁঠালি কোন এলাকায় দিতে হয় বলেন। বিয়েই করব না বা পরিচিত কাওকে করতেও দিব না।
ভেজাল জত্তসব!
৬| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আজাইরা বিতর্ক হয়ে গেল না? এখানে কেউ সওয়াবের উদ্দেশ্যে দিচ্ছে না যে আপনি বাধা দিবেন। হিন্দুরাও সেটা পূণ্যের উদ্দেশ্যে করে না। আমরা তো ব্রিটিশদের কাছ থেকেও অনেক রীতি নীতি শিখেছি, তাহলে হিন্দুদের কাছ থেকে শিখতে দোষ কোথায়? বাই দা ওয়ে। এটা যে হিন্দুদের কালচার সেটা আমি আজকে জানলাম...
৭| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪০
তাজবীর আহােমদ খান বলেছেন: ভাই,বাংগালীরে চা খাওয়ানো শিখায়েছিলো ব্রিটিশ রা।আবার আমাদের দেশ ও শাসন করেছে অনেকদিন।অনেক আজাব দিছে বাংগালীরে।আসেন আজ থেকে সেই কারনে চা খওয়া বাদ দি,কি বলেন??
ভাই কেন খামখা সাম্প্রদায়িক চুলকানি দিচ্ছেন??
৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০৪
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: পোস্ট ভাল করে পড়েন এরপর মন্তব্য করেন। আল্লাহর রাসূলের (স অনেক জিনিশ ছিল না,এখন আছে যেমন তখন গ্যাস ছিল না, কারেন্ট ছিল না এরকম অনেক জিনিশ আছে। এই গুলো ব্যবহার আমরা সবাই করি এতে মানুষের সুবিধার্থে । আমার লেখার উদ্দেশ্য ছিল অনেক গরিব মানুষ এক বেলা খেতে পারে না, কিন্তু এই রিতির জন্য সে অনেক সমস্যার মাজে পড়ে। এই রিতির জন্য অনেক সংসার ধংস হয়েছে। আমার পোস্টের নেগেটিভ সাইড নিবেন না।
৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:৪৮
CamEye বলেছেন: পোষ্টে সাম্প্রদায়িক খোঁচা দিয়ে মন্তব্যে আপনি যতই মানবতার মলম লাগানোর চেষ্টা করুননা কেন, আপনার পোষ্টের শিরোনামেই আপনার পোষ্টের ও আপনার মনের আসল প্রতিচ্ছবি পাওয়া যাচ্ছে!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
সালাউদ্দিন শাহরিয়া বলেছেন: র্বতমানে সত্যে সবসময়ই খোচা হয়ে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৭
আহলান বলেছেন: শ্বশুর বাড়ি আম-কাঠালী দিলে সমস্যা কি? হিন্দুরা পানি খায় বলে কি মুসলমানরা পানি খাওয়া ছেড়ে দিবে? শ্বশুর বাড়ি আম কাঁঠাল পাঠালে কি তা শিরক বা কুফরীর মতো কিছু হচ্ছে যে বর্জন করতে হবে?