নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। saimumsaem@gmail.com

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শায়েখ নিজাম উদ্দীন আউলিয়া ও দিল্লীর সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি

১৪ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩২

সুলতান আলাউদ্দীন খিলজির শাসনামলে সুলতান-উল-মাশায়েখ, মেহবুব-এ-ইলাহি, শেখ খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ নিজামুদ্দিন আউলিয়া দিল্লিতে আসেন। দিল্লিতে তার খানকায় আধ্যাতিকতার শিক্ষা পেতে লোকজনের ভীড় জমে যায়। সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি যেমন ছিলেন নৃশংস তেমনি প্রখর বুদ্ধির মানুষ। তিনি নিজাম উদ্দীন আউলিযার আধ্যাতিকতার প্রমাণ পেয়েছিলেন। ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বরানী তার তারিখ-ই-ফিরোজশাহী বইতে এরকমেরই একটি ঘটনা উল্লেখ করেছেন।

সুলতান আলাউদ্দিন কোথাও সেনাবাহিনী অভিযানে বের হলে একটি নিয়ম চালু করেছিলেন। দিল্লী হতে প্রথম মঞ্জিল হয়ে যে স্থানে গিয়ে সেনাবাহিনী পৌঁছাতো, সম্ভব হুলে সেখানেই থানা স্থাপন করতেন। প্রতি মঞ্জিলের সংবাদ পাঠানোর জন্য অশ্বারোহী কাসেদ নিয়োগ দিতেন। এভাবে রাস্তার আধাক্রোশ পোষাক্রোশ দূরে দূরে হরকরা নিযুক্ত হতো। যে সব গ্রাম বা শহরের ওপর দিয়ে অশ্বারোহী কাসেদ যাতায়াত করত, সেখানে পদস্থ কর্মচারী ও বিবরণ লেখক থাকতেন। তারা একদিন, দু'দিন কিংবা তিন দিনের সংবাদ একত্র করে সুলতানের কাছে পাঠাতেন । বর্তমানে সেনাবাহিনী কোথায় কি করছে, সুলতান তা জানতে পারতেন এবং সুলতানের আদেশ নিষেধ জানাতে পারতেন। এর ফলে দিল্লীর শহরে সেনাবাহিনী সম্পর্কে কোন গুজব হতো না। এভাবে সেনাবাহিনী ও সুলতানের মধ্যে যোগাযোগের ফলে অভিযানগুলো সফল হতো।

কিন্তু একবার মালিক নায়েব অরণ্যকুল দূর্গ জয় করতে গিয়ে তেলেঙ্গার পথে বিপদে পড়েন। এই রাস্তার কতগুলো ঘাঁটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে চল্লিশ দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও সেনাবাহিনীর কোনো সংবাদ সুলতান আলাউদ্দিনের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এজন্য সুলতান খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং শহরের গণ্যমান্য সকল ব্যক্তির মনে এমন ধারণা বদ্ধমূল হয়ে উঠে যে, সেনাবাহিনীতে অবশ্যই কোন বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। যার ফলে সংবাদ আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে গেছে ।

চিন্তিত সুলতান আলাউদ্দিন মানিক বেগ ও কাজী মুগিস উদ্দিন বয়ানকে শায়খ নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার কাছে পাঠান । তাদেরকে শায়েখের খেদমতে সালাম জানিয়ে এ কথা আরজ করতে নির্দেশ দিলেন যে, সুলতান সেনাবাহিনীর সংবাদ জানতে খুবই উদগ্রীব হয়ে আছেন । যেহেতু ইসলামী সেনাদলের জন্য সুলতান অপেক্ষা শায়খের দরদ অনেক বেশি সেজন্য তিনি যেন তাঁর অলৌকিক ক্ষমতার মাধ্যমে সৈন্যদলের সংবাদ জেনে সুলতানকে আশ্বস্ত করেন । তাদেরকে সুলতান আরও বললেন যে, একথা শায়েখের কাছে উপস্থাপনের পর তার কাছ থেকে যে সব কথা ও মন্তব্য শুনবেন, তা যেন যথাযথভাবে সুলতানকে জানান এবং কোনপ্রকার ব্যতিক্রম না করেন। তারা দুজনে শায়েখের খেদমতে পৌঁছে সুলতানের কালাম ও পয়গাম জানান। শায়েখ নিজাম উদ্দিন আউলিয়া তাঁদের বক্তব্য শুনলেন। পরে সুলতানের বিজয়ের সংবাদ দেন৷

বললেন, এই বিজয় তেমন কিছুই নয়; তিনি এর চেয়ে বড় বিজয়ের আশা পোষণ করেন। এ কথা শুনার পর মালীক বেগ ও কাজী মুগিস আনন্দিত হয়ে সুলতান আলাউদ্দীন খিলজির দরবারে হাজির হয়ে শায়েখের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সুলতান আলাউদ্দিন শায়খের কথা শুনে খুশী হলেন এবং বুঝতে পারলেন যে, তার মনোবাসনা পূর্ণ হয়েছে। অরণ্যকুল দুর্গ বিজিত হয়েছে। তিনি তাঁর পাগড়ীর লেজ টেনে গিঁট দিলেন এবং বললেন, আমি শায়েখের এই শুভ সংবাদ শুভ চিহ্ন হিসেবে গ্রহণ করলাম। কারণ আমি মনে করি, শায়েখের মুখ হতে কোন কথা অনর্থক বের হয় না। বাস্তবে অরণ্যকুল বিজয় সমাপ্ত হয়েছে এবং আমি অনুরূপ আরও বহু বিজয় সংবাদ অচিরেই শুনতে পাবো।

নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার মুখ নিসৃত বাণীর সত্যতা মেলে। খোদার ইচ্ছায় ঐ দিনই জোহরের নামাজের সময় মালীক নায়েবের কাছ হতে সংবাদসহ অশ্বারোহী কাসেদ সুলতানের কাছে পৌঁছায় এবং অরণ্যকুলের বিজয় সুসংবাদ জানায় । জুমার দিনে এই বিজয় সংবাদ সব মসজিদের মিম্বার হতে ঘোষণা করা হয়। শহরের সবখানে আনন্দবাদ্য বাজতে থাকে। সবাই আনন্দ প্রকাশ করে। আর এদিকে শায়েখ নিজাম উদ্দিনের কেরামত সম্পর্কে সুলতানের ধারণা ও বিশ্বাস দৃঢ় হয়।

সুলতান আলাউদ্দিনের সাথে নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার কোন দিন সাক্ষাত হয় নি। তারপরেও তাঁর রাজত্বকালে শায়েখ সম্পর্কে তিনি এমন কোন কথা বলেন নি, যাতে শায়েখের মনে কষ্ট হতে পারে।

জিয়া উদ্দীন বারানী লিখেছেন, খিলজির রাজ দরবারে শায়েখের অনেক হিংসুক ও শত্রু ছিল। তারা শায়েখের ব্যাপারে সুলতানের কান ভারি করতেন। শায়েখ এত দান কেথা থেকে করেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ তার ভক্ত। সাধারণ মানুষের কাছে সুলতানের চেয়েও তার সম্মান বেশি- এসব ছিল তাদের বক্তব্য। তবে সুলতান শত্রুদের এই সব কথা কখনো কানে তুলতেন না। তাঁর রাজত্বের শেষের দিকে তিনি শায়খের একান্ত ভক্ত হয়ে পড়েছিলেন । এরপরেও তাঁদের মধ্যে সাক্ষাত হয় নি।

আলাউদ্দিন খিলজি তার নিজের চাচা ও শ্বশুড় জালাল উদ্দীন খিলজিকে হত্যা করে দিল্লীর সিংহাসন দখল করেছিলেন। সম্ভবত সেই অপরাধবোধের কারণে তিনি নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার সামনে মুখ দেখান নি। পরে একইভাবে আলাউদ্দীন খিলজিও হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: আধ্যাতিকতা একটি মধ্যযুগীয় ধারণা।বতর্মানে কিছু টাউট পীর ফকির এটির চর্চা করে।শর্ষিনা ,আটরশি বা চর্মনাই এই ধরনের পীররা।আর কিছু ওয়াজী।
আগের পীররাও টাউট বাটপার ছিলো।তারা সরল মানুষকে ঠকাতো।আমি আজমির ও দিল্লির অনেক মাজারে গেছি।আগাগোড়াই টাউটে ভরা।আধ্যাতিকতার এই নমুনা।শয়তানের মাজারে শয়তানিতে ভরা।

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই সব জায়গায় নাস্তিকতা চলেনা। যাদের কথা বলছেন, সেই ধরণের মানুষ এ অঞ্চলে ইসলাম নিয়ে আসলে এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ক্ষুদ্র একটি দল ছাড়া কিছুই হতোনা। এ অঞ্চলে যেই সুফি সাধকরা ইসলাম প্রচার করেছেন তাদের কৃতিত্ব বলেন কারামত বলেন তা মুসলমানদের সংখ্যায় বলে দেয়। এতটুকু আক্কল থাকলে সুফি সাধকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেন না।

মন্তব্যে ধন্যবাদ দিতে পারলাম না বলে দুঃখিত।

২| ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৪৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




অরন্যকুল দুর্গ জয়ের জন্য তেলেঙ্গার পথে কয়েকটি ঘাটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও ৪০ দিন যাবত কেন তিনি
যুদ্ধের গতি প্রকৃতির সংবাদ পাননি বা সংগ্রহ করতে পারেন নি তা বেশ রহস্যজনকই বটে ।

অরন্যকুল নামক কথিত দুর্গটি কোথায় তা পোস্টে বলা হয়নি । তবে ধারনা করা যায় যে তা দিল্লী হতে
তেলেঙ্গানা পর্যন্ত ১৫০০ কিলোমিটার দুরত্বের মধ্যে যে কোন স্থানে হতে পারে যা নীচে দেয়া ম্যাপ হতে
বুঝা যায় ।

আন্তর্জাতিক হিসাব মতে, একটি সুস্থ ঘোড়া সর্বোচ্চ ৮৮ কি.মি./ঘণ্টা বেগে দৌড়াতে পারে ।সুতরাং, এক দিনে
অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় একটি ঘোড়া দৌড়াতে পারে = (৮৮ × ২৪) কি.মি. = ২১১২ কি.মি.।
ঘোড়াকে প্রয়োজনীয় বিশ্রাম দিয়ে রিলে রেসের মত যুদ্ধকালীন সময়ে হাতে গনা কয়েকজন ঘোড়সোয়ার দিয়ে
রিলে রেসের মত দুত মারফত সুলতান আলাউদ্দীন খিলজীর মত একজন যুদ্ধবাজ সমরনায়কের পক্ষে যে কোন
পরিস্থিতিতেই দিল্লীতে বসেই যুদ্ধ ক্ষেত্রের সংবাদ নেয়া কঠিন কিছু ছিলনা ।

বিভিন্ন কারণে তার স্থাপিত পথ ঘাটির শৃংখলা ভঙ্গের আশংকা দেখা দিলে বিকল্প ব্যবস্থাতেই মাত্র কয়েক দিনের
মধ্যে দ্রুততম অশ্বারোহী কাশেদের মাধ্যমে তার পক্ষে যুদ্ধের সংবাদ সংগ্রহ করা তেমন কোন দুরোহ ব্যপার
ছিলনা বলে ধারণা করা যায় ।

যাহোক, ইতিহাস হতে জানা যায় ১৩০৯ সালের শেষের দিকে, দিল্লি সালতানাতের শাসক আলাউদ্দিন খিলজি
তার সেনাপতি মালিক কাফুরকে তেলেঙ্গানা অভিযানে পাঠান।মালিক কাফুর ১৩১০ সালের প্রথমদিকে তেলেঙ্গানা
সীমান্তে এক মাসব্যাপী অবরোধের পর, একটি দুর্গ জয় ( এটিই সম্ভবত কথিত অরন্যকুল দুর্গ হতে পারে ) করেন ।
পরাজিত শাসক যুদ্ধবিরতি করার সিদ্ধান্ত নেন এবং দিল্লিতে খিলঝির কাছে বার্ষিক কর প্রেরনের প্রতিশ্রুতি দেন ।

হতে পারে মাসখানেক অবরোধটি যুদ্ধ জয় পরাজয়ের কোন দিক নির্ণয়ক ছিলনা বিধায় তিনি যুদ্ধ জয়ের কোন
সংবাদ পাননি। তবে অবরোধকালীন সময়ের সংবাদ আদান প্রদানে তার সেনাবাহিনীর শৃংখল ভঙ্গ সে সময়কার
কোন রাজনৈতিক সংঘাত বা যড়যন্ত্রের অংশ হলেও হতে পারে ।

অন্যদিকে হযরত নিজামউদ্দীন আউলিয়া চিশতীয়া তরিকার বেশ উচ্চস্তরের একজন সুফি দরবেশ ছিলেন সে কথা
ইতিহাসে সুবিদিত । তবে তাঁর বিষয়ে অলৌকিকতার অনেক অলিক কল্পগাথাও পরবর্তীতে অনেকের লেখনি ও
গল্পগাথায় রচিত হয়েছে । তাই তাঁর বিষয়ে বলা অলৌকিকতার বিষয়াবলী যুক্তি দিয়ে বিশ্বাস জরুরী হয়ে পড়েছে ।

তারিখ-ই-ফিরুজশাহী (বরনী) জিয়াউদ্দীন বরনী বিরচিত একটি বিখ্যাত ইতিহাস গ্রন্থ তাতেও কোন সন্দেহ নাই ।
সুলতানি আমলের ইতিহাস সাহিত্যের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা। অবশ্য বিখ্যাত ঐতিহাসিক বরনী
পরিবেশিত তারিখ-ই-ফিরুজশাহীতে বাংলার বিবরণ খুবই সংক্ষিপ্ত। বরনী কখনও বাংলায় আসেন নি, কিন্তু তবুও
কিছু কিছু এলাকার যেমন জাজনগর, সোনারগাঁও, লখনৌতি, একডালার ভৌগোলিক বর্ণনা দিতে তিনি ভুল করেন
নি। তিনি বাংলার প্রশাসনিক বিভাগেরও, যেমন দিয়ার-ই-বাংলা, ইকলিম-ই-বাংলা এবং আরসাহ-ই-বাংলার
নির্দেশনা দেয় । এ প্রসঙ্গে আমাদের প্রখ্যাত মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদের মতে তারিখ-ই-ফিরুজশাহী
মুসলিম শাসনের উত্তরণ যুগে মুসলিম প্রশাসন ব্যবস্থার ক্রমবিকাশের ব্যাপারে বেশ কৌতূহল জাগায়।

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে বুঝলাম আপনি তারিখ ই ফিরোজশাহী পড়েছেন।
তবে অরণ্যকুল দুর্গটা কোথায় তা বারানী উল্লেখ করে যান নি। তবে স্থানটি দেবগিরি পার হয়ে তেলেঙ্গার পথে বুঝা যায়। কারণ অরণ্যকুল দুর্গ জয়ে দেবগিরির রাজা সহায়তা করেছিলেন।



আপনার মন্তব্যের পর পুণরায় অনণ্যকুল দুর্গের অভিযান যেটা বারানী উল্লেখ করেছেন তা পড়েছি। মালিক নায়েব দিল্লীর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর যোগাযোগ স্থাপনে নজর না দিয়ে যুদ্ধের দিকে নজর দিয়েছিলেন।


আপনাকে ধন্যবাদ।

৩| ১৫ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

ঢাকার লোক বলেছেন: কোথাও পড়েছিলাম, পারস্যে নাকি আউলিয়া-পীরদের সম্বন্ধে একটা কথা প্রচলিত আছে, পীরেরা উড়ে না, মুরিদরা উড়ায় ! ভক্তদের অতিভক্তির কারণে উপমহাদেশে পীর আউলিয়াদের সম্বন্ধে অনেক গাল গপ্পো প্রচলিত আছে যার কোনো সত্যিকার ভিত্তি নেই। অতীতে পীর আউলিয়াগণ জায়নামাযে বসে নদী পার হয়ে গেছেন বা উড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় চলে গেছেন, এমন সব ঘটনা প্রায়ই শোনা যায়, আজকাল কোনো পীর আউলিয়া এমনটা করেছেন কেউ স্বচক্ষে দেখেছেন এমন কাউকে পাওয়া দুস্কর !

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এদেশে মুসলমানদের সংখ্যাই পীর ওলী আউলিয়ার কারামত বলে দেয়। আজকাল তো বেশিরভাগ ধান্ধাবাজ। ইসলাম নিয়ে ব্যবসা করছে। এদের দিয়ে তাদের মাপলে কীভাবে হবে!

৪| ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার কি পীর আউলিয়ার উপড় ভক্তি বা বিশ্বাস আছে? এখনতো শুনি বিষয়টা পুরোপুরি শিরক।

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ওহাবি সালাফিরা এ ধরণের শিরকের কথা বলে। ওরা বা ওদের মতাদর্শের কেউ এদেশে ইসলাম প্রচারে আসলে এদেশে মুসলমানরা ক্ষুদ্র একটি জনগোষ্ঠি ছাড়া কিছুই থাকতো না। ওয়াজ না কি ইসলাম প্রচারের জন্য। বর্তমানে ওয়াজের মঞ্চে যেভাবে লাফিয়ে গলা ছেড়ে রগ মোটা করে চিৎকার দিয়ে ইসলাম প্রচার করছে তা দেখে অন্যধর্মের লোকের কথা বাদ দিন আমার নিজেরও ভয় লাগে। নিজে নিজে বলি এটা কোন ইসলাম!

পীর আউলিয়া ইসলামের প্রকৃত রূপ ভালোবাসা ছড়িয়ে এ অঞ্চলে ইসলাম প্রচার করেছে। একারণে তাদের প্রচারিত দর্শনই আমাদের রাষ্ট্রের ইসলাম ধর্মব্যবস্থার মূলনীতি। একটু ব্যখ্যা করলেই বুঝবেন।

বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মীয় যে নীতি বা দর্শন তা হযরত শাহ জালাল রাঃ এর প্রচারিত ব্যবস্থা। তিনি যে ইসলামি দর্শন প্রচার করেছেন তা পীর মুরিদের ভিত্তি। তার মামা ও পীর তাকে এদেশে পাঠিয়েছেন। তাকে এদেশের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হলেও তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা নয়; ইসলাম প্রচারে মনোনিবেশ করেছিলেন। তবে তার সম্মানে এখনো তার মাজারে কোনো ভূমিকর নির্ধারণ করা হয়না।

আপনি খেয়াল করবেন আওয়ামী লীগ বা বিএনপি হযরত শাহ জালাল রাঃ এর মাজার জেয়ারতের পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে। এর কারণ তার দর্শন মেনে রাষ্ট্র পরিচালনা। একারণে এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঈদে মীলাদুন্নবী, শবে বরাত, শবে কদর, ফাতেহা ইয়াজ দহম পালিত হয়।

ওহাবী সালাফিরা এসবের বিরোধীতা করে। তারা ওলীদের প্রতি সরাসরি প্রকাশ্যে বিষোদগার করতে না পারলেও মাজারের প্রতি বিষোদগার করে। এরা সৌদীতে ক্ষমতায় এসে সকল সাহাবাদের মাজার ভেঙ্গে ফেলেছে। মহানবীর রওজাও ভেঙ্গে ফেলতে চেয়েছিলো। রওজার গিলাফে আগুন দিয়েছিলো। পরে মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া হয়। এজন্য দায়ী সৌদী আরব যার নামে সেই সৌদের দাদাকে তুরস্কে ধরে নিয়ে ওসমানীয়রা শিরোচ্ছেদ করেছিল।

যা বলছিলাম; হযরত শাহ জালাল রাঃ এর যে দর্শন তা নিজাম উদ্দীন আউলিয়া রাঃ, খাজা গরীবে নেওয়াজ রাঃ বা বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী রাঃ, জাফর সাদেক ইমাম রাঃ, হযরত হুসাইন রাঃ, হযরত আলী রাঃ হয়ে হযরত মুহাম্মদ দঃ পর্যন্ত পৌঁছায়।

একজন সাহাবার মর্যাদা অলীদের মর্যাদার চেয়ে বেশি। তারপরেও এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফাতেহা ইয়াজদাহম পালিত হয়। যা হযরত আবদুল কাদের জিলানী রাঃ এর ওফাতের দিন। যে ধারা বললাম তার বাইরে কোনো সাহাবার সাথে সংশ্লিষ্ট দিবস এদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয়না। তার মানে এদেশের মানুষের ওপর বড়পীরের প্রভাব রয়েছে। তার দর্শন রাষ্ট্রীয়ভাবে মানা হয়।

আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

৫| ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি খাজা মাইনুদ্দীন চিশতি ও নিজাম উদ্দিন আওলিয়ার মাজারে যাই। ভালো লাগে।

১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এটাই মূলধারা। তারা ভালোবাসা দিয়ে ইসলাম প্রচার করেছেন। তারাই এ অঞ্চলে ইসলামি অধ্যাতিকতার প্রাণপুরুষ। তাদের বাদ দিয়ে আমরা বেশিদূরে যেতে পারবোনা। তাদের যারা বাদ দিয়েছে তারা জঙ্গীবাদে জড়িত হয়েছে।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনার শব্দচয়ন অত্যন্ত দৃষ্টিকটু।

শায়েখ নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার আধ্যাতিকতা পরখ করেছিলেন সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি???? খিলজি পরখ করার কে!!!

সাধারণত গুরুজন তাঁর অধীনস্ত কোন ব্যক্তির শক্তি পরীক্ষা করলে, 'পরখ' শব্দটা ব্যবহার হয়।

শায়েখ নিজাম উদ্দীন আউলিয়া কি খিলজির অধিনস্ত কেউ ছিলেন?

১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:২৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: শব্দচয়নে শায়েখের অসম্মান হলে দুঃখিত জনাব। তবে আলাউদ্দীন খিলজি তার সাথে কখনো সাক্ষাৎ করেননি। তার দরবারে যাননি। পুরা ভারতবর্ষ তখন নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার প্রেমে পাগলপাড়া ছিল। এমনকি হযরত শাহ জালাল রাঃও সিলেটে আ সার আতাহে দিল্লীতে তার সাথে দেখা করে এসেছিলেন। অথচ খিলজি কীভাবে দূরে থাকতে পারলেন। ঐতিহাসিক জিয়া উদ্দীন বারানী এজন্য আফসোস করেছেন।

যাই হোক আপনি লেখাটা পড়েছেন আশা করছি। আপনি একটা শিরোণাম দিতে পারেন। আমি সেটাই দেবো।
ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:০২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আলাউদ্দিন খিলজি তার নিজের চাচা ও শ্বশুড় জালাল উদ্দীন খিলজিকে হত্যা করে দিল্লীর সিংহাসন দখল করেছিলেন।
সম্ভবত সেই অপরাধবোধের কারণে তিনি নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার সামনে মুখ দেখান নি।
পরে একইভাবে আলাউদ্দীন খিলজিও হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

.......................................................................................................................................................
একজন মুসলিম শাসক কি করে নিজ পরিবার/বংশের লোকজন হত্যা করে ???
নবীজির আমলে এমনটা দেখি নাই ।
এখন যদি আমরা দেখি অপরাধীকে আশ্রয় দেয়া বা সাহায্য করা অপরাধ !!!
তাহলে একজন আউলিয়া অপরাধীকে সহায়তা করে সমান অপরাধ করেছে ।
...............................................................................................
যদি ও আমি এসব গল্পের অনেক অংশ বিশ্বাস করিনা ।

১৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একজন ইতিহাসবিদ লিখেছেন আমি সেই ঘটনা উল্লেখ করেছি মাত্র। বিশ্বাস করা বা না করা আপনার বিষয়।

তবে এটা ঠিক আলাউদ্দীন খিলজি নৃশংস ছিলেন। কঠোর ছিলেন। নিজের চাচা ও শ্বশুড় জালাল উদ্দীন খিলজিকে হত্যা করে সিংহাসন দখল করেছিলেন। তবে ওই সময় তার মতো কঠোর নৃশংস শাসক দরকার ছিল। কারণ পরে তার কাছে জালাল উদ্দীনের দুই পূত্রের অসহায় আত্মসমার্পনই বলে দেয় তার ক্ষমতা নেয়া কতটা জরুরি ছিল।


একজন গবেষকের লেখা থেকে এই অংশে তুলে দিলাম- "সুলতান আলাউদ্দীন খিলজি দিল্লীর সুলতান ছিলেন ১২৯৬ থেকে ১৩১৬ সাল পর্যন্ত। তিনি তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেন চিতোর, দেবগিরি, বারাঙ্গাল (যেখান থেকে তিনি কোহিনুর হীরাটি সংগ্রহ করেছিলেন), গুজরাট, হইসলা এবং পাশের রাজ্যগুলো নিয়ে। তিনি ভারতবর্ষের এমন এক দুঃসময়ে ক্ষমতায় আসেন, যখন ভারতবর্ষের সীমান্তে শোনা যাচ্ছিলো নিষ্ঠুর মঙ্গোল সৈন্যদের অশ্বের ভীতিকর খুরের পদধ্বনি। ভারতের সীমানায় ছিল মঙ্গোলদের ধারালো তরবারির মুহুর্মুহু ঝলকানি। মঙ্গোল আক্রমণের আশংকায় দেশটি হয়ে পড়েছিল ভীতসন্ত্রস্ত এবং অস্থির। মনে রাখতে হবে, সেই সময় মঙ্গোলরা কোন সাধারণ আক্রমণকারী ছিল না। আজকে অনেকেরই হয়তো ধারণা নেই মঙ্গোলরা তখন কতটুকু নিষ্ঠুর এবং ধ্বংসাত্মক ছিল। মঙ্গোলরা অন্য দেশ জয়ের পর সে দেশের সব পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করতো। নারীদের করতো অপহরণ, লুন্ঠন এবং অগ্নিসংযোগ করে পুরো দেশের অতীত এবং অস্তিত্ব মাটির সাথে মিশিয়ে দিতো। মঙ্গোলরা কোন দেশ জয় করে কেবলমাত্র লুন্ঠন এবং হত্যা করেই ক্ষান্ত থাকতো না, পুরো দেশটিকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করতো। সেখানে সভ্যতার কোন চিহ্নই আর খুঁজে পাওয়া যেত না। মঙ্গোলরা ছিল সন্ত্রাসী এক জাতি- যুদ্ধ, লুন্ঠন এবং ধ্বংসই ছিল তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। কখনও অন্য দেশ জয়ের পর সে দেশ শাসন করার বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না তাদের।

মঙ্গোলদের আক্রমণের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্ন ছিল। তারা কোন দেশ আক্রমণ করার আগে মোটা অঙ্কের অর্থ এবং নারী দাবী করে প্রথমে হুমকিপূর্ণ বার্তা পাঠাতো। দাবি মানা না হলে, আক্রমণ করে ধ্বংস করে ফেলা হতো পুরো দেশ। খিলজির শাসনকালে মঙ্গোলরা এমনই হুমকি দিলে, আলাউদ্দিন খিলজির পিতা ও ভাই মঙ্গোলদের সাথে সমঝোতা করার পক্ষে ছিল। কিন্তু আলাউদ্দিন খিলজি মঙ্গোলদের সাথে কোন আপস করতে প্রস্তুত ছিলেন না, যদিও মঙ্গোলদের দাবি পূরণ করা তখন তার জন্য ছিল অনেক সহজ। তিনি সহজ পথটি ছেড়ে কঠিন পন্থাটিই বেছে নিয়েছিলেন- মঙ্গোলদেরকে সরাসরি মোকাবেলা করা। তার জন্মভূমিকে রক্ষা করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন অত্যন্ত সাহসিকতা এবং দৃঢ়তার সাথে। তিনি অঙ্গীকার করেছিলেন, ভারতবর্ষের সীমানা থেকে মঙ্গোলদের সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করা না পর্যন্ত বিশ্রাম নিবেন না। তার সেই অঙ্গীকার তিনি রেখেছিলেন পুরোপুরি।আলাউদ্দিন খিলজির শাসনামলে মঙ্গোলরা পরপর ছয় বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে এবং দু' বার ছিলো দিল্লী দখলের ব্যর্থ চেষ্টা। কিন্তু ছয় বারই শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয় মঙ্গোলরা।"

আল্লাহরই হয়ত কোনো ইশারা রয়েছে। আলাউদ্দীন খিলজিকে কেন মসনদে বসিয়েছেন। ইতিহাসবিদরা একমত কঠোর নৃশংস না হলে কোনো শাসক মঙ্গোলদের মুখোমুখি হওয়ার সাহসই পেতোনা।

যহযরত নিজাম উদ্দীন রাঃ ছিলেন একজন দরবেশ। তার রাজনীতি নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিলনা। তার কেন হযরত হুসাইন রাঃ এর মর্মাত্মিক শাহাদতের ঘটনা ও পরবর্তী রক্তক্ষয়ী ঘটনার পরে ইসলামের মূলধারা জ্ঞান সাধানায় মগ্ন হন। তারা রাজনীতি থেকে দূরে থাকেন। জোর করার পরেও তারা রাজনীতি করেননি। উমাইয়া বা আব্বাসীয়দের সাথে রাজনীতি করেননি বলে ইসলামের অনেক ধর্মবেক্তাকে শহীদ করা হয়েছে। ইমাম নাসায়ী রাঃ কে মেরে ফেলা হয়েছে। হযরত ইমাম আবু হানীফা রাজনৈতিক পদ কাজী হতে অস্বীকার করায় তাকে মারাত্মক নির্যাতন করে শহীদ করা হয়। ইমাম বোখারিও মৃত্যুর আগে দেশহীন হয়ে ঘুরে বেড়াতে বাধ্য হয়েছেন। এ নিয়ে আমার একটা লেখা রয়েছে। পড়ে দেখতে পারেন। তাদের রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কারণে আমরা হাদীস পেয়েছি। ফিকাহ পেয়েছি। উসুল পেয়েছি।

হযরত নিজাম উদ্দীন আউলিয়ার আমলে রাজনীতি ছিলনা। তারা দরবেশ। অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তারা ধর্মপ্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। কে রাজা হলো কে সুলতান হলো তার দিকে তিনি ভ্রুক্ষেপ করেন নি।

ইসলাম ক্ষমতার ব্যাপারে কী বলে! কোরআন বলে রাজা হওয়াটা আল্লাহর ইচ্ছা। এ কারণে কেউ রাজা হয়ে গেলে যেভাবেই হোকনা কেন তার আনুগত্য করতে হয়। যতক্ষণ না ওই সুলতান ধর্মবিরোধী কিছু না করবেন। জ্বালাও পোড়াও ইসলামে নেই। কোনো ন্যায় পরায়ন সুলতানের বিরোধীতা করাটা ইসলামে নেই। আলাউদ্দীন প্রজাদের ব্যাপার ন্যায় পরায়ন ছিলেন। তার সময়ে বাজার দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল। মানুষ সুখে ছিল। অপরাধ ছিলনা।

তবে কীভাবে ইসলামে রাজনীতি ঢুকলো! এর পেছনে রয়েছে মওদুদী আর মিশরের হাসান আল বান্নার পদক্ষেপ। তারা বই লিখেছেন ইসলামে রাজনীতির ওপর। ওই সব বই আমি পড়ে দেখেছি। ব্যাখ্যা ছাড়া কোরআন হাদীসে সরাসরি কোথাও ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে হবে-এমন লেখা রয়েছে তা বলতে পারেনি। দেখাতেও পারেনি। বরং ন্যায়পরায়ন শাসক কেমন হবেন কোরআন হাদীসে সেটা বলা হয়েছে। এ গুলো ব্যাখ্যা করে ওই দুই "উজবুক" ইসলামে রাজনীতি আর জিহাদের একটা জগাখিচুরি তন্ত্র উপহার দিয়েছেন!

আপনি অহেতুকই একজন অসাপ্রদায়িক দরবেশের বিরুদ্ধে অপরাধিকে সহায়তা করেছেন মর্মে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।

৮| ১৮ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৬:০২

অগ্নিবেশ বলেছেন: এই লেখক ভিন্নমত পছন্দ করেন না, ব্লগ লেখেন শুধু বাহবা পাওয়ার জন্য।
মতের মিল না হলেই কমেন্ট মুছে দেয়। ইদানীং ব্লগ হয়েছে একটা ওয়াজ
করার জায়গা। হুজুর বলেন চমৎকার, চ্যালারা দেয় চিৎকার। ঠিক ঠিক।

১৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেখার সমালোচনা করুন। সমস্যা নাই। ধর্মবিরোধী, সরকার বিরোধী বা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য এখানে গ্রহণ করা হয়না। নাস্তিক বা জঙ্গী উভয়ে পরিত্যাজ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.