নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
প্রথমে দুইটা সত্যি ঘটনা শেয়ার করি।
২০২২ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা পর্যায়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মৌখিক পরীক্ষার ঘটনা। দুজন নারী প্রার্থী। দুজনই দেশের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন। রেজাল্টও ভালো। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে অনার্স বা মাস্টর্সে উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ পড়ানো হয়। তারপরেও তাদের প্রশ্ন করা হয়, জেন্ডার স্টাডিজ নিয়ে পড়েছেন কীনা। দুজনেই উত্তর দেন, এ বিষয়ে তারা একটি কোর্স পড়েছেন। ফলে এই অধিক্ষেত্রে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে আর কোন বাঁধা থাকার কথা নয়।
প্রথম জনের বেশভূষা দেখে বুঝা যায়, তিনি আধুনিক। তাকে প্রশ্ন করা হলো-জেন্ডার ও সেক্সের মধ্যে পার্থক্য কী? এ প্রশ্নে তিনি থামলেনও না, ভাবতেও সময় নিলেন না। গড়গড়িয়ে বলে যেতে লাগলেন, জেন্ডার হলো- লিঙ্গ। নারী পুরুষ। আর সেক্স হলো, নারী পুরুষ মিলে যৌন কাজ করা। সেক্স ওঠার পর পুরুষ লিঙ্গ শক্ত হয়। পরে তা স্ত্রী লিঙ্গে …. প্রশ্নকর্তা এ পর্যায়ে দ্রুত তাকে থামিয়ে দেন। বললেন, আর বলতে হবেনা। পুরা ভাইভা বোর্ড অপ্রস্তত। তারা প্রার্থীর বেশভূষা দেখে আধুনিক ভেবেছিলেন। তবে মুখ খোলার পরে বুঝতে পারেন- ইনি তো অতিআধুনিক। সেক্স কীভাবে করে সেটা ভাইভা বোর্ডের মতো একটি ফরমাল পরিবেশে অবলীলায় কোন ইতস্ততা ছাড়াই বলে যেতে শুরু করেছেন। এটাই অতিআধুনিকতার সাইড ইফেক্ট।
এবার অন্য নারী চাকরি প্রার্থীর কথা বলি। তিনি আপদমস্তক ঢেকে এসেছেন। মুখও ঢেকে রেখেছেন। ধার্মিক হিসেবে সম্মানের যোগ্য। তাকেও একই প্রশ্ন করা হয়। জেন্ডার ও সেক্সের মধ্যে পার্থক্য কী! এ প্রশ্নে তিনি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন। বললেন, চাকরি করতে আসছি বলে কী এমন সব প্রশ্ন করবেন! আপনাদের কী মা বোন নেই! বলেই কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন। প্রশ্নকর্তারা তাকে থামানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু পারছেন না। অতিধার্মিকতার সাইড ইফেক্ট শুরু হয়ে গেছে। পরে তাকে মা-টা বলে টলে বহু কষ্টে থামনো হয়।
দুটি ঘটনার অস্বাভাবিকতায় প্রশ্নকর্তারা হতভম্ব। কাকে দোষ দেবেন! দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষ দিতে পারেন। সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের একটি সাবজেক্ট থেকে পাস করা চাকরি প্রার্থিদের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজের বেসিক বিষয়ে ধারণা নেই। তবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দোষ দিয়ে বসে থাকলে তো হবেনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কারণ এরা বাইরে গিয়ে যদি লোকজনকে বলে দেয়, ভাইভায় সেক্স নিয়ে প্রশ্ন করেছে। তাহলে তৌহিদী জনতার ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে। পাবলিকের মার একটাও নিচে পড়বেনা। পরে আর কী! দুজন প্রার্থীকেই চা নাশতা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয। তারপর ভাইভা বোর্ডের জেষ্ঠ্য সদস্য তাদের বুঝিয়ে দেন, জেন্ডার হলো-ছেলে মেয়ে, নারী পুরুষের সামাজিকভাবে নির্মিত ভুমিকা, আচার, আচরণ অভিব্যক্তি ও পরিচয়। আর সেক্স বলতে পুরুষ ও মহিলার বিভিন্ন জৈবিক ও শরীরবৃত্তিয় বৈশিষ্ট্যকে বুঝায়। মানে- জেন্ডার সোসাল পারসপেকটিভ আর সেক্স বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল পারসপেকটিভ। এটা যারা বুঝেনা তারাই বলে, আমার ছেলে আমার মেয়ে। বলা উচিত আমার পুত্র, আমার কন্যা। নিজের পরিচয় দেয়া উচিত, আমি ছেলে বা আমি মেয়ে। বুঝতে পেরেছেন, এটা কত বেসিক বিষয়৷ একজন প্রাথমিক শিক্ষকের এটা জানা দরকার৷
আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন আমি অতিআধুনিক ও অতিধার্মিক পছন্দ করিনা। উপরের ঘটনা এর কারণ। অতিআধুনিকরা অল্পতেই সাবালক হতে চেষ্টা করে। কোনটা ঢেকে রাখতে হয়, আর কোনটা খোলা রাখতে হয়- এই ভেদাভেদটাই তাদের থাকেনা। তারা সব কিছু উদোম রাখতে চায়। আর অতিধার্মিকরা এর বিপরীত। যেটা খুলে রাখার বিষয় সেটাও তারা ঢেকে রাখতে চায়। এদের সাথে বোনাস হিসেবে যুক্ত হয় প্রতিক্রিয়াশীলতা।
যাই হোক আর একটি বোনাস গল্প বলি।
বাংলাদেশ থেকে এক মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র গেছে। ইমিগ্রেশন পার হতে গিয়েই তার জেরার মুখোমুখি হতে হয়। তাকে আলাদা করে একটি কক্ষে নেয়া হয়। এরপর একটি সাদা কাগজ ধরিয়ে দেয়া হয়। বলা হয়, সে যেন সঠিক ও সত্য তথ্য দেয়।
প্রথমে তাকে নিজের নাম লিখতে বলে। সে নিজের নাম লিখে।
পরে তাকে বলে সেক্স সম্পর্কে লিখেতে। নিজের সেক্স লিখতে গিয়ে সে থমকে যায়। ভাবে, যুক্তরাষ্ট্র উন্নত দেশ। উন্নত প্রযুক্তি। ভুয়া তথ্য দিলে ধরে ফেলতে পারে। পরে আর যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেবেনা। একারণে সে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি। সে সেক্স লিখে হাইপেন দেয়৷ পরে তার সামনে লিখে, থ্রি টাইমস অনলি।
এজন্যই বলি ভাই ভগ্নিগণ, জেন্ডার ও সেক্সের মধ্যে পার্থক্য জানুন। নয়তো নিজে অতিআধিুনিকতা বা অতিধার্মিকতার পরিচয় দিয়ে ফেলবেন। অন্যদিকে অন্যরা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বেন।
২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। এতটুকুই পোন্ট আসলে।
২| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্কুলে যখন ব্যাকরণ পড়তাম তখন লিঙ্গ ৩ ধরণের জানতাম। পুং লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ আর ক্লিব লিঙ্গ। বড় হওয়ার পরে এখন শুনি লিঙ্গ মানে নাকি একটা অঙ্গ যেটা পুরুষের দেহের মধ্যভাগে সামনের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। ছোটবেলায় এই লিঙ্গকে বলতাম টুনটুনি। এখন শুনি টুনটুনি হয়ে গেছে লিঙ্গ। আসলে স্কুলে থাকতেই টুনটুনি, লিঙ্গ এগুলির সাথে ব্যাকরণের লিঙ্গের পার্থক্য পড়ানো উচিত যেন বাচ্চারা সঠিক জিনিসটা জানতে পারে।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হলে জাতি বড়ই উপকৃদ হতো বৈ কি!
কোনো বিষয় ট্যাবু থাকা উচিত নয়।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
বাকপ্রবাস বলেছেন: অতি যুক্ত হলেই যত সমস্যা।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাড়াবাড়ি আল্লাহ পছন্দ করেনা। অথচ মানুষ সহজ জিনিজটা বুঝতে চায়না।
ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৪| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ, অতিরিক্ত ধার্মিক, অতিরিক্ত প্রগতিশীল, অতিরিক্ত ভোগবাদী, অতিসমাজতান্ত্রিক সব।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এই সহজ জিনিসটা মানুষ বুঝতে চায়না। বাড়াবাড়ি আল্লাহ পছন্দ করেনা।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
৫| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৫৫ সালের আগে জেন্ডার শব্দটা শুধু ইংরেজি ব্যাকরণে ব্যবহৃত হত। ১৯৫৫ সালের পরে ট্রান্সজেন্ডার মানুষ বৃদ্ধির সাথে সাথে নতুন ভাবে বলা হচ্ছে যে জেন্ডার আর সেক্স আলাদা বিষয়। ট্রান্সজেন্ডার মানুষ না থাকলে জেন্ডার আর সেক্সের অর্থ একই। হিজড়ারা আদিকাল থেকেই আছে। তাদের ক্ষেত্রে জেন্ডার বা সেক্স শব্দের ব্যবহার নিয়ে কোন সমস্যা হয় নাই। ফেমিনিসটরাও জেন্ডার শব্দটাকে প্রচার করা শুরু করে ৭০ এর দশকে। আগে এবং এখনও অনেক দেশের আইনে জেন্ডার বুঝাতে সেক্স শব্দটা ব্যবহৃত হয়। কারণ এখনও অনেক দেশই ট্রান্সজেন্ডার মতবাদ মেনে নেয়নি। পৃথিবীর অনেক ভাষায় সেক্স এবং জেন্ডারের জন্য আলাদা কোন শব্দ নাই (যেমন জার্মান এবং ফিনল্যান্ডের ভাষায়)। বাংলা ভাষাতেও নাই। মুলত ট্রান্সজেন্ডারকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এই পার্থক্য এখন করা হচ্ছে।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: নূতন কিছু জানলাম। চেক করতে হবে। ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:১০
অহন৭১ বলেছেন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একটি সামাজিক গঠন হিসাবে লিঙ্গ সমাজ থেকে সমাজে পরিবর্তিত হয় এবং সময়ের সাথে সাথে এটির পরিবর্তন হতে পারে। সমাজবিজ্ঞানীরা সাধারণত লিঙ্গকে একটি সামাজিক গঠন হিসাবে বিবেচনা করেন। তারা জৈবিক লিঙ্গ এবং লিঙ্গের মধ্যে পার্থক্যে বুঝার পরামর্শ দেন।
অন্য দিকে সেক্স বা সেক্সচুয়াল ওরিয়েনটেশন হচ্ছে, দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অন্যের ক্ষতি না করে আনলিমিটেড যৌন ফ্যান্টাসি উপভোগ করা। এটি হতে পারে স্ট্রেইট সেক্স, এনাল সেক্স, ওরাল সেক্স, মাস্টারবেশন, ডিলডো, ম্যাসাজ, লুব্রিকেশন, রিভার্স, ড্রেসআপ, ক্রসড্রেসিং, ডায়ালগ, মোনিং, রোল-প্লে....... ইত্যাদি যা ইচ্ছা তাই। সামাজিক বা ধর্মীয় রীতি/নীতি দিয়ে এটিকে সীমাবদ্ধ করা ব্যক্তির মানবাধিকার লঙ্ঘন।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাই এ বিষয়ে তো দেখছি আপনার পুরা গবেষণা রয়েছে।
আপনি ঠিক আছেন তো!
৭| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩২
অহন৭১ বলেছেন: দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ বলতে আমি বুঝিয়েছি : ছেলে-মে, ছেলে-ছেলে, মে-মে, non binary.
ধন্যবাদ ভাইয়া।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন:
৮| ২৪ শে মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৬
ফেনা বলেছেন: কোন কিছুতেই অতি ভাল না।
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এটাই মানুষ বুঝতে চায়না।
ধন্যবাদ।
৯| ২৪ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: তারপর ওই দুই শ্রেণির প্রার্থীর চাকরি হয়েছিল?
২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: প্রথমটা যশোর জেলায় ছিল। আমি তখন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলাম। অন্যটা আরেক জেলার। সেটা শুনেছি।
তবে তারা ফেল করেছে কী না জানিনা। ভাইভায় মাত্র ১৫ নম্বর। যারা একটু পারে তাদের সবাইকেই প্রায় গড় নম্বর দিয়ে দেয়া হয়।
ধন্যবাদ।
১০| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
কামাল১৮ বলেছেন: শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করতে হবে।মান্ধাতার আমলের শিক্ষা দিয়ে সমাজকে বেশিদূর আগ্রসর করা যাবে না।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আসলেই। পৃধিবী কোথায় চলে গেছে। আমরা কোথায় পড়ে রয়েছি।
ভালো থাকবেন।
১১| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
জ্যাকেল বলেছেন: আধুনিকতার নামে সমকামিতার মত অসুস্থতাকে একদল কুলাঙ্গার অসৎ চর্চাকে বৈধতা দিতে চায়। এদেরকে বুঝিয়ে সভ্যতার শিক্ষা দান করতে হবে।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সমকামিতা যারা করে আর যারা সাপোর্ট করে সবগুলান মানসিক রোগী। এদের ট্রিটমেন্ট দরকার আগে।
১২| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মুসাফির নামা বলেছেন: খুবই মজা পেলাম।তবে শিক্ষা সেক্টরে দুর্বল মেধার লোকজনই এর প্রধান কারণ।বেশিরভাগ শিক্ষক এসব বিষয়ে অজ্ঞ।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে কী যে প্রোডাক্ট বের হচ্ছে তা চাকরির খাতা দেখলেই টের পাওয়া যায়। ভাইভা বোর্ডের কথা বাদই দিলাম।
১৩| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:০২
নাহল তরকারি বলেছেন: অল্প বিদ্য ভয়ংকর।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কুয়ার ব্যাঙ আর কি!
১৪| ২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৩
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আমার মনে হয় না এখানে শিক্ষা ব্যবস্থা বা অনুষদ তেমন একটা দায়ী। এই কোর্সটা ফোর ক্রেডিট এর একটা কোর্স। এই কোর্সের আউটলাইনটা এমনভাবে করা হয়, শুরুতে জেন্ডার আর সেক্স এর পার্থক্য, তারপর ক্রমান্বয়ে সোশ্যাল,পলিটিক্যাল, মিডিয়ার প্রভাব সব আসে। আর যারা ব্যাচেলরে এই কোর্সটা নেই, ফাইনাল ইয়ারে ভাইবা বোর্ডে এই প্রশ্ন টা আস্ক প্রায় সবাইকেই করে। এখন স্টুডেন্টদের কিছু শেখার মনোভাব থাকা ও জরুরী। আমাদের ডিপার্টমেন্টের ফার্স্ট গার্ল প্রতিবার রেজাল্ট দেয়ার পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিত " ফাস্ট " হয়েছি। মাস্টার্স পর্যন্ত সে একই শব্দ লিখেছে। সে এখন আবার লেকচারার ও হয়েছে। এর জন্য কে দায়ী বা তার এই শব্দ কিভাবে শুদ্ধ করা যায় আমার জানা নেই।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটিতে কী শিক্ষা কেমন শিক্ষা দেয়া হয়; এটা বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে বুঝতে পারবেন না। আমরা যে কোথায় পড়ে রয়েছি আমরা নিজেরাই জানিনা।
শিক্ষকদের মান নিয়ে কথা বলতে চাইনা। ওনারা আবার মাইন্ড করতে পারেন। তবে অনেক মেধাবিরাও শিক্ষক হচ্ছে। তবে একটা দুষ্টচক্রে আটকে আছে।
১৫| ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৭
অহন৭১ বলেছেন: লেখক বলেছেন : ভাই এ বিষয়ে তো দেখছি আপনার পুরা গবেষণা রয়েছে। আপনি ঠিক আছেন তো!
না ভাইয়া, ধর্মের অলংঘনীয় বিধান সুনিশ্চিত করার জন্য ঘরেঘরে শরিয়তী গোপন ক্যামেরা ফিট করতে হবে। তবেই না ইসলাম!! একমাত্র সত্য!!?? ধর্ম। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ইসলামের সাথে এই পোস্টের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। ইসলাম টেনে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। দেশের নাস্তিক আর জঙ্গীরা একই মূদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। দুই দলই প্রতিক্রিয়াশীল।
ধন্যবাদ।
১৬| ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১:২৭
অহন৭১ বলেছেন: লেখক বলেছেন : সমকামিতা যারা করে আর যারা সাপোর্ট করে সবগুলান মানসিক রোগী। এদের ট্রিটমেন্ট দরকার আগে।
জিঁ ভাইয়া.............. চিল্লায়া কন, ঠিক ঠিক।
আপনি পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিগ্রস্ত, অসৎ, ধাপ্পাবাজ, চোর/ছেচর, অশিক্ষিত, মূর্খ, অসভ্য, প্রান্তিক, হিংস্র, পশ্চাৎপদ এবং প্রচন্ড ধর্মবাজ দেশের লিডার/নেতা তাতে সন্দেহ নেই।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: তৃতীয় বিশ্বের সবগুলো দেশের বৈশিষ্ট্য একই। এতে জাতি ধর্ম বা ভাষার কোনো অবদান নেই।
১৭| ২৫ শে মে, ২০২৪ ভোর ৬:০০
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: সবাই শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খারাপ, এই বিষয়ে একমত। কিন্তু নিজের মেধাবী ছেলে- মেয়েকে শিক্ষক বানাতে নারাজ!
সবাই চায় তার ছেলে - মেয়ে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিসিএস কর্মকর্তা হোক। ভাল পয়সা ইনকাম করুক (উপায়ের বিষয়ে আর নাই বা বললাম।)
শিক্ষক হলে এদেশে পয়সা নাই। শিক্ষকেরা কম বেতন পান। দেশের শিক্ষকদের একটা বিশাল অংশ বহুদিন বেতনই পান না। সরকারী শিক্ষকেরা, বিসিএস ক্যাডারেরাও সার্ভিসে বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছেন।
এসব সমাধানের কথা কেউ বলেন না।
দেশে আমলা-পুলিশদের পদ বাড়ে, সুপার নিউমারারী প্রমোশন হয়, সুযোগ সুবিধা বাড়ে, আবাসিক প্রজেক্ট হয়, দামী গাড়ি কেনা হয়, তার খরচ চলে, বিদেশে ট্রেনিং চলে দলে দলে।
শিক্ষকেরা চাকুরী নিয়মিত করার দাবীতে, বেতনের দাবীতে প্রেসক্লাবের সামনে অনশন করে, গরমে ঘেমে ক্লান্ত বসে থাকে। মাঝে মাঝে শুকনা মুখে সবাই মিলে দশটাকার বাদাম চিবুয়। আর সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিব সাহেবেরা এসি রুমে মিটিং করেন, কি খান সেটা দেখার সুযোগ হয়নি। কারন ব্রাম্মনপাড়ায় ধুকতে হলে আবার পৈতে লাগে, যেটা আবার সবাই পান না।
এটাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র।
এখানকার অবস্থা তো এরকমই হবে।
২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এই দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের জীবন যাত্রার ব্যয় সবচেয়ে বেশি। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চাকরিজীবীদের বেতন সবচেয়ে কম। এটা মেনে নিয়েই সবাই চাকরি করে।
কোয়ালিটির সাথে বেতন সুযোগ সুবিধার কোন তুলনা হয়না। এটা লেইম এক্সিউজ ছাড়া কিছুই নয়। আগের দিনে শিক্ষকদের বেতন সুবিধা আরো কম ছিল। তারপরেও তাদের মধ্যে আদর্শ ছিল। তারা শিক্ষার নামে ধান্ধা করতেন না। এখন সেই আদর্শটাই তো নেই। আপনি কী বলবেন- আদর্শের সাথেও বেতন ভাতার সম্পর্ক রয়েছে !
১৮| ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩
অহন৭১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইসলামের সাথে এই পোস্টের ন্যূনতম সম্পর্ক নেই। ইসলাম টেনে আনার কোনো প্রয়োজন নেই। দেশের নাস্তিক আর জঙ্গীরা একই মূদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। দুই দলই প্রতিক্রিয়াশীল।
জিঁ ভাইয়া!! বাংলাভাই, হলিআর্টিজেন, জুম্মার খুতবায় ইহুদি/নাসারা/পৌত্তলিক কতলের উস্কানি, ব্লগার হত্যার চাপাতি..... এই সবই তো নাস্তিকরাই। তাই না ভাইয়া??
১৯| ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: দু:খজনক হলেও আমার ধারনা সত্যি হয়েছে। এরকম মন্তব্যই পাব আশা করেছিলাম।
বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক অধিকার এর ১৫ (খ) ও (গ) নং অনুচ্ছেদ পড়ে দেখবেন। কোয়ালিটির সাথে বেতন সুযোগ সুবিধার তুলনা অবশ্যই করতে হবে। এটা করা হয়না বলেই দেশ থেকে অনবরত মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে।
বেতন কম মেনে নিয়ে চাকুরী করতে যাওয়া মানে এই না যে, নিয়োগকর্তা এই অধিকার পেয়ে গেছেন যে, জোর করে কর্মচারীকে কম বেতনে কাজ করানো যাবে কারন তার যাবার কোন জায়গা নেই। রাষ্ট্র নাগরিকের ন্যায্য মজুরী নিশ্চিত করছে না, এটা রাষ্ট্রের অন্যায় ও সংবিধান লংঘন।
আর আদর্শের কথা বলছেন?
আদর্শের পরম্পরা থাকে আমিও মানি। কিন্তু সমাজে ক্রমাগত আদর্শবানেরা নিগৃহীত হতে থাকলে সেই পরম্পরাও ভুখা পেটে বঞ্চনা সহ্য করে সর্বোচ্চ দুই জেনারেশনের বেশী টিকবেনা। এটাই বাস্তবতা। এজন্যেই আদর্শবান অনেক শিক্ষকের ছেলেমেয়েরাই আর আদর্শ নিয়ে শিক্ষকতা পেশায় আসছেন না। পেশা বদল করে ফেলছেন। আর অনেকেই আদর্শচ্যুত হয়ে বখে যাচ্ছেন। এগুলো সমাজের বাস্তব চিত্র।
আপনি যতই এসব অস্বীকার করেন না কেন।
২০| ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ৩:০২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্হার দূর্বলতার সুযোগে
সামাজি ক বি ভি ন্ন মাধ্যমে, কুশি ক্ষা কুরূচি আর অশোভনীয়
আচরন, পোষাক, অঙ্গভঙ্গী দে খতে হয়,
আর এসব উঠতি বয়সে র মাথা নষ্ট করে , সমাজে
নষ্টামী, অনৈ তি ক কাজকর্ম ঘটে ।
.................................................................................
সে কারনে জাপান চীনে দেখেছি নিয়ন্ত্রন আছে,
আমাদের সরকার কেন সেই ব্যবস্হা কঠোর হাতে নিচ্ছে না ???
টিকটক, রীল বন্ধ করে দিলে কার এমন ক্ষতি,
আর ফেসবুক নিয়ন্ত্রনে নেয়া যায় ।
আপনি কি ভাবছেন ???
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জেন্ডার হলো-ছেলে মেয়ে, নারী পুরুষের সামাজিকভাবে নির্মিত ভুমিকা, আচার, আচরণ অভিব্যক্তি ও পরিচয়। আর সেক্স বলতে পুরুষ ও মহিলার বিভিন্ন জৈবিক ও শরীরবৃত্তিয় বৈশিষ্ট্যকে বুঝায়। মানে- জেন্ডার সোসাল পারসপেকটিভ আর সেক্স বায়োলজিক্যাল অ্যান্ড ফিজিক্যাল পারসপেকটিভ। এটা যারা বুঝেনা তারাই বলে, আমার ছেলে আমার মেয়ে। বলা উচিত আমার পুত্র, আমার কন্যা। নিজের পরিচয় দেয়া উচিত, আমি ছেলে বা আমি মেয়ে।