নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. ইউনুসের সরকার..........দীর্ঘ সময় দরকার!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫



সম্প্রতি জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলম ড. ইউনুস সম্পর্কে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছে। সে মোটাদাগে যা বলতে চেয়েছে তা হলো, ড. ইউনুসের আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকা উচিত। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা। আমি যেহেতু দেশে থাকি না, দেশের সাধারন মানুষের পালস বোঝার জন্য আমার ভরসা দেশের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সোশ্যাল মিডিয়া। তাতে করে আমি যে ধারনা পাই সেটা হলো, দেশের জনগনের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই এটা চায়। না, আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মতো নিজের কথাকে জনগনের কথা বলে চালিয়ে দিচ্ছি না। আমি নিশ্চিত, দেশে যদি এই বিষয়ে একটা রেফারেন্ডাম দেয়া হয়, তবে এমনতরো আওয়াজই বেরিয়ে আসবে।

সারজিস আলম বা দেশের বেশীরভাগ মানুষের মতো আমিও চাই ড. ইউনুস আরো পাচ বছর ক্ষমতায় থাকুন। এই চাওয়ার পিছনে আমি আমার যুক্তিগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করবো এই পোষ্টে।

বর্তমান বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটা দেশকে সত্যিকার অর্থে এগিয়ে নিতে কেমন নেতৃত্বের দরকার হয়? এমন একজন, যিনি কিনা শুধুমাত্র দেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুগুলোই সামলাবেন না, সেইসঙ্গে আঞ্চলিক এবং সার্বিকভাবে সমগ্র বিশ্বের সাথে কার্যকর সম্পর্কও সামলাবেন। আর সেজন্যে যদি সমস্ত বিশ্বে সন্মানীত আর গ্রহনযোগ্য একজন নেতা পাওয়া যায়, আর সেই নেতা যদি একজন অর্থনীতিবিদ হন তাহলে সোনায় সোহাগা। কারন কে না জানে.........বর্তমানে সবকিছুর চালিকাশক্তিই হলো অর্থনীতি। অধুনা বিশ্বে এমন থ্রী-ইন-ওয়ান নেতা বাংলাদেশ ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন দেশে আছে বলে আমার জানা নাই। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা এমন একজন নেতা পেয়েছি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে, চক্রবৎ পরিবর্তন্তে সুখানি চ দুঃখানি চ..........অর্থাৎ সুখ-দুঃখ চক্রাকারে পরিবর্তিত হয়। দেশ একটা ঘোরতর অমানিশা পার করে আলোর দেখা পেয়েছে। একজন মাফিয়া সর্দারনীকে খেদানোর পর একজন বিশ্ববরেন্য নেতা পেয়েছে। এটা যেন সংস্কৃতের ওই শ্লোকবাক্যেরই প্রতিধ্বণি!!!

চলেন তাহলে, বিষয়টা আরো বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করি। প্রথমে ঘরের দিকে নজর দেই। গত ১৬ বছরে দেশের প্রতিটা সেক্টরে, রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে ব্যাপক দূর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস আর অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাত্র ৮ মাসে সেটা কতোটুকু ঠিক করা সম্ভব? বিশেষ করে হাসিনার শ্বশুরবাড়ী হিজরতের পরে তার প্রতিষ্ঠিত তাবেদার সরকারের লোকজনের অসহযোগিতার ফলে দেশের সবকিছু যেভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল, তাকে শুধুমাত্র একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের সাথেই তুলনা করা যায়। সেখান থেকে ফিনিক্স পাখীর মতো উঠে দাড়ানো চাট্টিখানি কথা না। এই আটমাসে বর্তমান সরকার পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয়েছে। সামরিক এবং বেসামরিক প্রশাসন, প্রধান রাজনৈতিক দল, স্বৈরাচারের পা-চাটা সুশীল সমাজ; এমনকি সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টার কাজে অবহেলা কিংবা অকর্মন্যতাও কম দায়ী না। তারপরেও ক্রমান্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে, চিকিৎসা ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানে সরকার উদ্যোগী হয়েছে.........মোটকথা, প্রতিটা সেক্টরে বলার মতো কোন না কোন দৃশ্যমান উন্নতি কিংবা উন্নতির চেষ্টা জনগণের দৃষ্টিগোচরে আসছে। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠতে পারলে পরবর্তী যে কোনও কাজ সহজ হয়, উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়; সেটাই আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি। ক্রমে ক্রমে ব্রেক ইভেন পয়েন্ট থেকে উন্নতির গ্রাফ উর্ধমুখে ধাবিত হবে, এটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। দীর্ঘদিনের নির্যাতিত সাধারন জনগনের জন্য এটা যে কতোটা স্বস্তির ব্যাপার, এটা বিএনপি না বুঝলেও জনগন ঠিকই বুঝতে পারছে।

ঘরের বাইরের সাফল্য তো আরো বেশী। হাসিনা ভেগে যাওয়ার পর থেকে ভারত যেভাবে ড. ইউনুস সরকারকে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তা এক কথায় নজিরবিহীন। আমরা দেখেছি, বিশ্ব পর্যায়ে বাংলাদেশের ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে গোদি মিডিয়া কতোটা প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে, আমেরিকার তুলসীকে কিভাবে বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণায় ব্যবহার করা হয়েছে; কিন্তু দিনশেষে আবাল মোদির ঝোলার প্রাপ্তি শুন্য। আমেরিকা ৭৩ মিলিয়ন ডলার সহায়তার ঘোষণা দিল রোহিঙ্গাদের জন্য, অথচ বলা হচ্ছিল ট্রাম্প আইসা ইউনুসরে হুতায় দিবে। সব সহায়তা বন্ধের ঘোষণা দেওয়াতে এখন ইউনুস গাড্ডায় পড়বে ইত্যোকার আবালমার্কা শত কথার ফুলঝুরি!!! তুলসীকে ভাড়া করে আনা হলো সংখ্যালঘু ইস্যুতে বাংলাদেশকে পচানোর জন্য; আর ওইদিকে স্টেট ডিপার্টমেন্ট ব্রিফিংয়ে জানিয়ে দিলো সংখ্যালঘু নিয়ে ড. ইউনুসের কাজে তারা সন্তুষ্ট!!! কতো বড় একটা থাপ্পড় গোদি মিডিয়ার গালে!!!!

যেই সরকারকে মোদি স্বীকৃতিই দিতে চায় নাই, আজ বাধ্য হয়ে সেই সরকার প্রধানের সাথেই মোদি আলোচনায় বসেছে। চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ড. ইউনুসের দিকে। আপনাদের মনে আছে, কঠোর নিয়ম-কানুনের দেশ আরব আমিরাত ড. ইউনুসের এক ফোনকলেই ৫৭ জন আন্দোলন করা প্রবাসীকে মুক্ত করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এরা তাদের আইন ভঙ্গ করলে এমনকি পশ্চিমা দেশের অনুরোধও রাখে না। স্বাস্থ্যখাতে ভারত-নির্ভরতা কমিয়ে চীনের সাথে বাড়ানো হয়েছে। ভারত শুধু নিতো, তবে চীন আমাদেরকে এই খাতে দীর্ঘমেয়াদে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করতেও রাজি হয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান চীন ছাড়া সম্ভব না। সেই চীনের সাথে সম্পর্ক কার্যকরভাবে সুদৃঢ় করা একমাত্র ড. ইউনুসের পক্ষেই সম্ভব। আর কতো বলবো.........এই আটমাসেই তালিকা অনেক বড়!!!

আমি ভারতকে বাদ দিয়ে চলার কথা বলছি না, তবে তাদের সাথে সম্পর্কটা হবে ভারসাম্যপূর্ণ, দাসত্বের না। যেটা এই মুহুর্তে একমাত্র ড. ইউনুস করতে পারে। ভারতমুখীতা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বমুখী হয়েছে। পুরো বিশ্বের সাথে ক্রমান্বয়ে সম্পর্কের পুর্নবিন্যাস করা হচ্ছে। বিশ্ব আগে বাংলাদেশকে দেখতো ভারতের চোখে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সাজানোই হতো ভারতের চাওয়া-পাওয়াকে কেন্দ্র করে। সেটা ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। এসব একদিনের বিষয় না, এর জন্য যথেষ্ট পরিমান সময়ের দরকার। ড. ইউনুসের বয়স হয়েছে। কতোদিন সক্রিয় থাকবেন জানিনা, উনার দীর্ঘজীবন তো অবশ্যই কামনা করি। তবে যতোটুকু সময় পাওয়া যাবে, যড়যন্ত্রকারীদের কালোহাত গুড়িয়ে দিতে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। আমরা ভাগ্যবান যে, উনি ৫ই অগাষ্ট উত্তর দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগ মাত্র দেড় বছর নেয়া, আমাদের দৈন্যতা আরো বাড়িয়ে দিবে। শুধু কল্পনা করেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তারেক, আর তার ল্যাস্পেন্সার থ্রি-স্টুজেস, সালাহউদ্দিন, মেজর হাফিজ, রিজভী প্রমুখদের কথা। এদের আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতা কি? আচ্ছা..........আন্তর্জাতিক বাদ, দেশেই তাদের গ্রহনযোগ্যতা কি? একটা নমুনা দেখেন (যারা দেখেন নাই, অবশ্যই দেখবেন। এটা আমার অনুরোধ।) এরা আল্টিমেটলি আবার ভারতের পকেটে চলে যাবে। এই এতো এতো তরুনদের আত্মত্যাগ.........সবকিছুতে পানি ঢালবে বিএনপি। ব্যাক টু দ্য স্কয়ার ওয়ান, আবার সেই ভারতের দাসত্ব!!!!

একটা উপায় হতে পারে, ড.ইউনুসকে আরো পাচ বছর ক্ষমতায় রাখার জন্য সংবিধান সংস্কার করে রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার পদ্ধতিতে যাওয়া এবং ড. ইউনুসকে রাষ্ট্রপতি করা অথবা ফ্রান্স স্টাইলের সরকার পদ্ধতির প্রবর্তন করা যাতে করে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতাকে চেক এন্ড ব্যালেন্স করা যায়............মোদ্দাকথা, ড.ইউনুসকে রাষ্ট্রক্ষমতায় রাখা। আমাদের সেনাপ্রধান যা করেছে, করেছে। এখন দেশে তার ইমেজ রিবিল্ডের একটাই উপায়, সেটা হলো রিফাইন্ড আওয়ামী লীগের নাম করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা না করা এবং ড. ইউনুসকে কার্যকরভাবে ক্ষমতায় ধরে রাখতে দেশবাসীকে সহযোগিতা করা। তাহলেই দেশবাসী তাকে মাথায় তুলে রাখবে।

দেশের জনগন জানে যে........বিএনপির নেতৃবৃন্দ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভারতের দালালী করছে। ক্ষমতার জন্য তারা ৫ই অগাষ্টের পর থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে প্রোটেক্ট করার চক্রান্তে নেমেছে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো অবস্থায় কোনদিনই যেতে পারবে না। এনসিপি এখনও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার মতো ম্যাচুরিটি অর্জন করতে পারে নাই। কাজেই ড. ইউনুস ছাড়া গতি নাই। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রক্ষমতা চালানো মানে শুধুমাত্র আভ্যন্তরীন বিষয়গুলো মোকাবেলা করা না, একই সঙ্গে অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতির চ্যালেন্জ মোকাবেলা করা। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করা।

বর্তমান বিশ্বে আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলা করার মতো কেউ নাই বিএনপিতে। আভ্যন্তরীন রাজনীতি মেনে দেশ চালাতে তেমন কোন যোগ্যতা লাগে না, তবে এটাও তারা ঠিকমতো করতে পারবে না। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, ব্লগারদের অনেকেই দেশের একটা মন্ত্রণালয় চালানোর জন্য বর্তমানের বিএনপি'র ডায়াপার নেতাদের চাইতে বেশী যোগ্যতা রাখে, কিন্তু একেই যদি আন্তর্জাতিক রাজনীতি মোকাবেলায় ছেড়ে দেয়া হয়........তার নাকের পানি, চোখের পানি এক হয়ে যাবে। সে কিছুই ডেলিভার করতে পারবে না। একটা কথা ভারতীয় দালালরা ছাড়া আমরা সবাই জানি যে, ভারত যাকে অপছন্দ করে.......সে বাংলাদেশপন্থী বা দেশের জন্য উপকারী। ভারত ড.ইউনুসকে চরমভাবে অপছন্দ করছে। আওয়ামী লীগ করছে; সো এজ বিএনপি। তাহলে লজিকাল ইনফারেন্স কি বলে? আপনারাই ঠিক করেন।

আভ্যন্তরীন রাজনীতি আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। কতোটা ভিন্ন, সেটা বিজ্ঞ ব্লগারদেরকে আমার ব্যাখ্যা করার দরকার নাই। শুধু একটা উদাহরন দেই, ক্রিকেটের ঘরোয়া যে কোনও টুর্নামেন্টে অত্যন্ত সফল একজন ক্রিকেটারকে যখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামানো হয়, সে ডাহা ফেল করে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন উদাহরন ভুড়ি ভুড়ি আছে। কেন এমনটা হয়? ভাবেন! গভীরভাবে ভাবেন!!! দেশের স্বার্থে ভাবা প্র্যাকটিস করেন; এর মধ্যেই দেশ ও জনগনের কল্যান নিহিত আছে। মনে রাখবেন, দেশ আবার যদি গভীর গাড্ডায় পড়ে, আপনি বা আপনার পরিবার এর বাইরে থাকবে না। বিপদ শুধুমাত্র তখনই এড়াতে পারবেন, যদি আপনি ক্ষমতাসীনদের পা-চাটা স্বভাবের হন!!!

মজার ব্যাপার হলো, মির্যা আব্বাসের পরে এইবার আমীর খসরু বলেছে, সংষ্কার না, অন্তবর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে সুষ্ঠু নির্বাচন করা। এই ছাগল এটাও জানে না যে, শুধুমাত্র সুষ্ঠু নির্বাচন করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাজ। অন্তবর্তী সরকারের এক্তিয়ার সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাইরেও আরো অনেক কিছু। আমি গ্যারান্টি দিতে পারি, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দৃশ্যমান কোন সংস্কারই করবে না। কিছু আই ওয়াশ করলেও করতে পারে। সাত বছরে ভারতে জামাই আদরে থাকা নয়া সংবিধান বিশেষজ্ঞ সালাহউদ্দিন এখন জুলাই ২০২৪ কেই অস্বীকার করতে চাচ্ছে, একে গণজাগরণ মঞ্চ'র সাথে তুলনা করে। আমি বার বার বলছি, তথ্য উপাত্ত দিয়ে বলেছি যে, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নব্য ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠবে। বিরোধী মতের কেউ আসে নাই আমার যুক্তি খন্ডন করতে। তার মানে তাদের বলার মতো কিছু নাই; থাকার কথাও না।

খেয়াল করেন, আওয়ামী লীগও কিন্তু এখন বিএনপি'র সমালোচনা করে না। বরং তারা বিএনপি'র নেতৃত্বে ইউনুস সরকারের পতন ঘটাতে চায়। তারা এই সরকারের কোন ফ্যাক্ট বেইজড সমালোচনাও করে না, করে গুজব নির্ভর সমালোচনা যা মূলতঃ ভারতের গোদি মিডিয়া ক্রমাগত করে যাচ্ছে। ক্ষমতার লোভে বিএনপি এখন পাগলা হাতির মতো আচরণ করছে। বিএনপি কি ক্রমান্বয়ে জাতিয়তাবাদী আওয়ামী পার্টিতে পরিনত হচ্ছে? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যাচ্ছি। আমার সবচাইতে বড় দুঃখ, গত ১৬ বছরের নির্যাতন, গুম, খুন থেকে বিএনপি কোন শিক্ষাই নেয় নাই। হাসিনার পালাইতে ১৬ বছর লেগেছিল, তারেক জিয়ার পালাইতে কয় বছর লাগবে? বুকে হাত দিয়ে বলি, সেই দিন আমি দেখতে চাই না। একেবারেই না।

জনগন যদি ড. ইউনুসের বদলে খাম্বা তারেককে বেছে নেয়, সেটা হবে এই জাতির বুদ্ধিহীনতারই পরিচায়ক। ধরে নিতে হবে, স্বৈরাচারের প্যাদানী খাওয়া এই জাতির অত্যাধিক পছন্দ। একটা জাতির জীবনে লী কুয়ান ইউ, পার্ক চুং-হি, মাহাথির মোহাম্মদ আর ড. ইউনুসের মতো ভিশনারী লিডার ঘন ঘন আসে না; এর জন্য যুগ যুগ অপেক্ষা করতে হয়। সিঙ্গাপুর, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া সেইসব নেতাদের মাথায় তুলে রেখেছিল, দেশকে বদলে দিয়েছিল। মনে রাখবেন, বাংলাদেশকে ভাগ্য বদলানোর সুযোগ সৃষ্টিকর্তা বারে বারে দিবেন না, উনার আরো কাজ আছে। জনগনকেই এখন ঠিক করতে হবে, তারা ড.ইউনুসকে কি পেয়েও হারাবে; খাম্বা তারেক আর তার লুটেরা বাহিনীকে তাদের অতীতের কীর্তি জানার পরও লুটপাটের আর ভারতের গোলামীর আরেকটা সুযোগ দিবে.............নাকি বদলে যাবে।

আগামীতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আরো বিভিন্নমুখী সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ভারত। আর তাতে সহযোগী হবে বিএনপি। এখন যেখানে ঐক্য জরুরী, সেখানে এরা অনৈক্য তৈরী করার চেষ্টা করবে; সাথে ভারত আর আওয়ামী লীগের দেশের ভিতরের আর বাইরের দালালেরা আরো অধিকতর সক্রিয় হবে। আগামী দিনগুলো ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

চয়েস ইজ ইওরস। তবে খুব সাবধান..........হায়েনারা ওৎ পেতে আছে!!!


ছবিসূত্র। Click This Link

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ঈদ মুবারক ভাইয়া

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এতো গুরুত্বপূর্ণ একটা পোষ্ট দিলাম, সেইটা নিয়া কোন কথা নাই!!! এইসব কি!!!!

যাইহোক, প্রথম হইলেন, সেইজন্য একটা উপহার। গতকাল হাটতে গিয়া অনেকগুলা তুলছি.......আপনেরে একটা দিলাম। ;)

আপনেরেও ঈদ মোবারাক। :)

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এতোদিন দেখেছি সরকার খেদানোর জন্য মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করেছে এখন মনে হয় দেখতে হবে সরকার রক্ষার জন্য মানুষ বিক্ষোভ মিছিল করবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা বাংলাদেশের জন্য একটা অভূতপূর্ব ব্যাপার। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার পরে এই প্রথম এতো জনপ্রিয় একটা সরকার বাংলাদেশে এসেছে। এই সরকারকে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, জনগন করবে।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার গত ৮ মাসে দেশের আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতি ও বৈদেশিক সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার ও স্থিতিশীলতার জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তাঁর আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা, অর্থনৈতিক দূরদর্শিতা এবং ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি বাংলাদেশকে একটি সুযোগ্য নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বিএনপি-আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংঘাত ও ভারতের হস্তক্ষেপের মধ্যেও ড. ইউনুসের সরকারকে সমর্থন করা দেশের স্বার্থে জরুরি। তাঁর মতো বিশ্বস্ত ও দক্ষ নেতা বিরল, এবং তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়নের পথে এগোতে পারে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই সরকার প্রতিষ্ঠার পর থেকে পদে পদে বাধা আর অসহযোগিতা পেয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। এরা যেন ভালোভাবে কাজ না করতে পারে, সেইজন্য দেশে আর দেশের বাইরে বহু গোষ্ঠি সক্রিয়। তারপরেও প্রতিটা ক্ষেত্রে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। সবাই সহযোগিতা করলে আরো অনেক বেশী হতো। এখন আমাদের বেইমানদের চিহ্নিত করে তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করতে হবে। তা না করতে পারলে এই বেইমানেরা দেশটাকে আবার ভারতের হাতে তুলে দিবে।

সেইজন্যই...........ড. ইউনুসের সরকার..........দীর্ঘ সময় দরকার!!! :)

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০৬

নতুন বলেছেন: ড: ইউনুস দলীয় নেতা না। তাই দলীয় দূনিতির জন্য তার উপরে চাপ থাকবেনা। তাই তিনি অবশ্যই দেশকে সহী পথে নিয়ে আসতে পারবেন।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা, অর্থনীতির উন্নতি হলে জনগন অবশ্যই তাকেই প্রধান হিসেবে দেখতে চাইবে।

দেশের জনগনের দরকার নাই বিএনপি/আয়মীলীগ বা জামাতের স্বাসন।

তাদের দরকার নিরাপত্তা, দ্রবমুল্যের নিয়ন্ত্রন, ব্যবসা, চাকুরীর ব্যবস্থা, ---- এই সবই আসল কে প্রধানমন্ত্রি হইলো তা দিয়ে জনগনের কোন লাভ নাই।

ভাল সবটুকুই নেতাদের। তারাই চিক্কুর পারবে ক্ষমতার জন্য।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ড: ইউনুস দলীয় নেতা না। তাই দলীয় দূনিতির জন্য তার উপরে চাপ থাকবেনা। অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত কথা। এটাই আমাদের বুঝতে হবে।

আমি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ভিডিওর নীচে কমেন্টগুলো যতোটা পারি, দেখি। সবাই বিএনপিকে গালি দিচ্ছে আর চাইছে যেন এই সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকে। সেইজন্যই বিএনপি'র ডায়াপার পড়া নেতাগুলা এখন বেদিশা হয়ে ক্রমাগত আবোল-তাবোল বকছে। এরা কখন ক্ষমতায় যাবে, আর লুটপাট শুরু করবে, সেই আশায় আছে।

আর গর্তে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী চোরগুলো অপেক্ষায় আছে কবে এই সরকারের পতন হবে, আর তারা গর্ত থেকে বের হয়ে বিএনপি'র ছত্রছায়ায় ভোল পাল্টে আবার দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।

তবে এইবার তাদের কারোরই আশা পূরণ হবে না। :)

৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ইউনুস সাহেবের যদি খায়েশ থাকে ক্ষমতায় থাকার, তাহলে উনি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসুক।
নাটক বন্ধ করুক। ইদের জামাতে টাকা দিয়ে লোকজনকে নাটক করা থেকে বিরত থাকুক।
পাচ বছর। পাচ বছর। কি সুন্দর নাটক!!! ছিঃ

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যেই সরকার আসে, সেইটার নির্বাচন লাগে না। জনগনের অভ্যুত্থানই তাদের সবচেয়ে বড় ম্যান্ডেট। অবশ্য বেকুবদের এইসব বোঝার কথা না। তারা তাদের কথিত নাটক দেখতে থাকুক!!! :-B

৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষ তো পাগল হয়ে গিয়েছে নির্বাচনের জন্য। খেয়ে গেছে এক দল । আরেক দল খাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এখনই যে অবস্থা , ক্ষমতা পেলে না জানি কী করবে! আমার উপরের জনের মন্তব্য দেখেন ... এই দেশে নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়ন , ভালো করতে কেউ পারবে না । কিছু মানুষের প্রতি ঘৃণা ধরে গেছে।

ইউনুস স্যারের একটা ভালো কাজও তাদের কাছে ভালো নয় অথবা স্বীকারই করতে চাচ্ছে না। চিন্তা করেন এইবার রোজায় সবজি থেকে ধরে অনেক কিছুরই মূল্য বাড়ে নাই। মানুষ কত শান্তিতে হা হুতাশ ছাড়া রমজান মাস কাটিয়েছে। কোনো যানজটও ছিল না ঈদে। টিকেটে ছিলো না কালোবাজারি।

আমি অন্তত ইউনুস স্যারকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। তিনি বহির্বিশ্বে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশকে সুন্দরভাবে তুলে ধরতেছেন। তিনি একজন আলোকিত মানুষ, বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকলে আলো ছড়াবেনই ইংশাআল্লাহ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন:



দেশের এইসব ভুয়া রাজনীতিবিদদের এখন জনগন দুই পয়সাও দাম দেয় না। এইগুলি ক্ষমতায় আসার আগেই যা শুরু করছে, ক্ষমতায় আসলে দুইদিনেই দেশ বেইচা দিবে।

আমার উপরের জনের মন্তব্য দেখেন ... এই দেশে নিঃস্বার্থভাবে উন্নয়ন , ভালো করতে কেউ পারবে না । কিছু মানুষের প্রতি ঘৃণা ধরে গেছে। বাদ দ্যান। বেকুবদের কথার কোন গুরুত্ব দিতে নাই। কি কয়, নিজেও বুঝে না। B:-/

যারা দলবাজী করে, তাদের এখন বুঝতে হবে এইসবের দিন শেষ। এখন দলবাজী, চাদাবাজী আর টেন্ডারবাজী; বাস-টেম্পু স্ট্যান্ড আর মার্কেটে চাদাবাজী করে অথবা ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় আসার দিন আর নাই। আম্লীগের সাথে সাথে এইসবকেও ঝেটিয়ে বিদায় করা হবে। :)

৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

যাযাবর চখা বলেছেন: ইউনুস সাহেবের নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সঠিক কথা। ড.ইউনুসের কোন বিকল্প নাই!!!

৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

আরোগ্য বলেছেন: দুই বেটির চুলাচুলি থেইকা নিস্তার পায়া এহন এক শিক্ষিত মার্জিত ভদ্রলোককে আমরা নেতা হিসাবে পাইসি। দুই বেটি এহনও জিন্দা আছে আবার দুইটারই একখান কইরা আকামা পোলা আছে।জাতি যদি ইউনুস সরকারের কদর না করে আমার ভয় হয় আল্লাহ হয়তো আমগো উপরে আবারও সেই পিশাচগো শাসন চাপায়া দিবো। choice is ours!

আপনে পোস্টে কইসেন বিএনপি আইলে ওরা নব্য ফ্যাসিস্ট হইবো। হইবো কেমনে অলরেডি হয়া গেসে। ওরা তো মনে করে ড. ইউনুস দুধ ভাত হুদাই চেয়ারটা ধইরা রাখসে। ওরা তো ৫ তারিখ ওই মুহূর্ত থেইকা নিজেগো রাজ মনে করতাসে। আমরা যারা ভুক্তভোগী আর চাক্ষুষ সাক্ষী আমরা এটা খুব ভালো মতন জানি। অধিকাংশ মানুষের একটাই চাওয়া এই খাটাশের দল যাতে না আহে। কত সংসার যে নষ্ট হইতাসে কি আর কমু। এই কয় মাসে যে অভিশাপ জমা হইসে ওগো খাতায় না জানি কোন অমাবস্যার চাঁদ দেহে সামনে।

লোকে কয় ইউনুস সরকার পাঁচ বছর থাউক। উনি যে সিলেকশন পদ্ধতিতে আইসে ওইটাই শরীয়তসম্মত আর সব ঠিক থাকলে জনগণ সন্তুষ্ট থাকলে উনি আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকতে পারব এটাও শরীয়ত। দেহি আমরা কার যোগ্য!!!

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি অবশ্য খালেদা জিয়ারে ভালা কই, তয় শাসন ক্ষমতা হ্যায় ঠিকমতোন এপ্লাই করবার পারে নাইক্কা। পোলাডারে কন্ট্রোল করনের জরুরত আছিলো। বাকী তিনটা যেমুন কইছেন, তেমুনই। এক্কেরে আকাইম্যা।

আপনে পোস্টে কইসেন বিএনপি আইলে ওরা নব্য ফ্যাসিস্ট হইবো। হইবো কেমনে অলরেডি হয়া গেসে। ইকটু রাখঢাক কইরা কইলাম আর কি!! হাজার হইলেও এক সুমায় এই পার্টির লগে আছিলাম!!! বেশী কিছু কইতে শরম লাগে!!!! :P

নির্বাচনের মায়েরে বাপ!!! কিয়ের নির্বাচন? জনগন ডাইনীরে খেদায়া ইউনুসরে বহাইছে। এর থেইকা বড় আর কিছুই নাইক্কা। এর বাইরে যেরাই চিক্কুইর পারবো, ঝাটা মাইরা খেদাইতে হইবো দ্যাশ থেইকা। X(

৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পাচার হওয়া ২৮ লাখ কোটি টাকার মধ্যে অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে বিএনপির হাই কমান্ডের পকেটে। এই কারনে নির্বাচন ও আওয়ামিলীগ পুনর্বাসনের জন্য পাগল হয়ে গেছে বিএনপি। বিএনপিকে যদি না ঠেকানো যায় তবে হয়ত সামনে পিলখানা, শাপলা চত্বর ও জুলাই এর চাইতেও বড় হত্যাকান্ডের সম্ভাবনা আছে। গাজাতো সবার সামনে একটা উদাহরন হয়েই আছে। বিএনপির উন্মাদীয় আচরনে সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এই ধরনের ভয় প্রকাশ করছে। অন্তবর্তী সরকারের বর্তমান সেটআপকে যেভাবেই হোক ক্ষমতায় অন্তত পাঁচ বছর রাখতে হবে। ডক্টর ইউনুসের একজনের যোগ্য বিকল্পও প্রস্তুত রাখতে হবে। ডঃ আলী রিয়াজ, ডঃ ফাওজুল করিমের এত মত আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন ব্যক্তিদের তৈরী করে রাখতে হবে।

বিএনপিকে আটকাতে হবে দুদকের মাধ্যমে । তানাহলে এরা জনগনের মৃত্যূদুত হয়ে সামনে আবির্ভুত হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঘটনা হলো, বিএনপিকে ভারত বলেছে ''রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ'' এর নামে আওয়ামী লীগকে পূনর্বাসিত করতে। যদি করতে পারে, তাহলে পুরস্কার স্বরুপ তারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে। আরো অভয় দিয়েছে, এতে সেনাবাহিনীর কিছু উর্ধতন কর্তৃপক্ষেরও সায় আছে। ফলে বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে আছে।

তাছাড়া তাদের মনে ভয়ও ঢুকে গিয়েছে। কারন ড. ইউনুসের সাফল্যের কারনে জনগনের মনোভাব যেভাবে পাল্টে যাচ্ছে, তাতে যতো দেরী হবে, তাদের ক্ষমতায় যাওয়া ততোই সূদুঢ় পরাহত হবে। সেইজন্যই তাড়া তাড়াহুড়া করছে। বেকুবীর জন্য বিএনপির খ্যাতি আছে। তাড়াহুড়া করতে গিয়ে ডায়াপার নেতারা এমন সব বেফাস কথা বলছে, আর বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে যে জনমত তাদের আরো বিপক্ষে চলে যাচ্ছে। এরা বুঝতেও পারছে না এই ক্ষোভ যে কোনও সময়ে জনরোষে পরিণত হতে পারে।

এদের নিমকহারামী দেখে আমি আসলেই আশ্চর্য হয়েছি। ৫ই অগাষ্টের পরে তারা যদি জনগনের পালস বুঝে কাজ করতো, তাহলে তাদের যে ইমেইজ বিল্ডআপ হতো তা অকল্পনীয়। সেটা না করে জাতির সাথে বেইমানী করে তারা নিজেদের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারলো। এতো এতো আত্মত্যাগের কোন মুল্যই নাই এই শুয়োরগুলোর কাছে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছে!!! X(

শহীদ জিয়ার আদর্শে গড়ে ওঠা একটা এতোবড় রাজনৈতিক দলের নেতারা এতো ছাগল আর লোভী হয় কিভাবে, আমার জানা নাই।

আপনে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে করা পিনাকীর লেটেস্ট ভিডিওটা দেখছেন?

১০| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্তদের নির্বাচনে অযোগ্য করার সুপারিশ করেছিল নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে অভিযুক্তরা সাজা হ‌ওয়ার আ‌গেই নির্বাচ‌নে অ‌যোগ্য হ‌বেন। বিএনপি এ সুপারিশের সঙ্গে একমত নয়

আপনি বিএনপিকে বেকুব ভাবছেন , কিন্তু বিষয়টা মোটেও তা নয়। অন্তবর্তী সরকার এখন পর্যন্ত দেখেন যে বিচার শুরু করতে পারছে না । কেন ? কারন বিচারকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। প্রসাষন, আদালত সর্বত্র বসে আছে স্বৈরাচারের দোসররা। আর এই পরিস্থিতিতে বিএনপি বলছে তারা দ্রুত নির্বাচন চায় এবং এই ট্রাইব্যুনালে অভিযুক্ত আওয়ামিলীগ নেতারা নির্বাচনে অযোগ্য হবে না=!!! সেনাপ্রধানতো তাও একটু রেখেঢেকে রিফাইন্ড আওয়ামিলীগের রাজনিতির কথা বলেছেন। এমনিকি এটাও বলেছেন যে, সেই আওয়ামিলীগ শেখ পরিবারকে ত্যাগ করবে। আর বিএনপিতো সরাসরি বর্তমান কারাগারে অন্তরীন আওয়ামিলীগ নেতাদের নির্বাচন করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে!! এই কারনে দেখবেন যে জামাত সহ অন্যান্য রাজনৈ্তিকদলগুলো বিএনপির পাশ থেকে সরে গেছে। বিএনপি এখন জাতীয় বেইমান দল। পিনাকি ভট্টাচ্ররয বিএনপি সম্পর্কে যা বলছে, তা প্রতিটা কথা সত্য বলেছে। সাংবাদিক খালেদ মহিউদ্দিন বিএনপির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বাকি যারা পেইড এজেন্ট বিএনপির পক্ষে দালালি করছে, সোস্যাল মিডিয়ায় গেলে দেখবেন যে তরুনেরা তাদের জিয়া বটর ফোর্স নামে আখ্যায়িত করছে। মানুষ এমনি এমনি ক্ষেপে উঠে নাই। ইন্টারিম গভর্নমেন্ট বিএনপির আসল চেহারা ফাশ করে দেয়াতে এখন মানুষ ক্ষেপে গেছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিএনপিকে বেকুব কেন ভাবছি? এদের আওয়ামী লীগের মতো চিকন বুদ্ধি নাই। মোটা বুদ্ধি। প্রতিবার এদের ভুলের কারনে আওয়ামী লীগ এদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেয়েছে। ইতিহাস দেখেন, কিভাবে প্রতিবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে। আবারও সেই ঘটনা ঘটবে, যদি বিএনপি নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসে। এদের টার্ম শেষ হলে এদেরই অকাম-কুকামের কারনে জনসমর্থন হারাবে। আর আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে গ্রাউন্ড পাবে। আর এটা নিশ্চিত করবে ভারত। খুবই সহজ হিসাব। এই কারনেই বিএনপিকে আমি বেকুব বলি। তাছাড়া এরা যে চালাক হয়েছে, তার গত আট মাসের একটা নমুনা আপনি আমাকে দেখান। পারবেন না।

আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সেনা প্রধান, ভারত............সবার কমন শত্রু হলো একা ড. ইউনুস। উনার কারিশমা। এই কারিশমার কাছে তাদের প্রতিটা ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। এটা তারা কিভাবে সহ্য করবে? তাই যে কোনও মুল্যে উনাকে সরাতে হবে। ড. ইউনুস ভারতের সাথে ন্যায্যতার সম্পর্ক আর আওয়ামী লীগের বিচার......এই দুই ব্যাপারে আপোষহীন। আপনি সবখানে স্বৈরাচারের দোসরদের কথা বললেন না!!! যথাযথ সময় পেলে এই সব বাধা ড. ইউনুস পার হতে পারবে।

তবে আমার ধারনা, ভারতের দোসরদের এইসব নোংরামীর সাথে তাল না রাখতে পেরে ড. ইউনুস নিজেই নির্বাচন দিয়ে সরে যেতে চাইবেন। এখন আমাদের কাজ হবে, উনাকে ধরে বেধে রেখে দেয়া। উনাকে বোঝানো যে, দেশের মঙ্গলের স্বার্থেই উনার কমপক্ষে পাচ বছর ক্ষমতায় থাকা দরকার। এই সময়ের মধ্যে আশা করা যায়, বাংলাদেশের পরিস্থিতি একটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।

১১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন:






এইরকম অসংখ্য স্যম্পল এখন সোস্যাল্মিডিয়ায় গেলে দেখবেন। মির্জা ফখরুলের জামাতা এই ধরনের ট্যগিং এর সমালোচনা করায় জেন- জির ধাওয়ার উপ্রে আছে :) আফসোস যে বিএনপি এই প্রজন্মের তরুনদের চিনতে ভুল করেছে।



০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই হালারে তো চিনলাম না। এইটা ক্যাডা?

১২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সরি এক ছবি তিনবার এসে গেছে।




০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:২৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আন্দোলনের দিনগুলোতে এদের ভিডিও দেখতাম, ভালোই লাগতো। কিন্তু এখন এদের চেহারা দেখলেও বিরক্ত লাগে। স্বার্থের কারনে মানুষ কিভাবে বদলায়!!!! X(

১৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,




দেশের আবাল রাজনীতিবিদদের জাঙ্গিয়া/ডায়াপার ধরে টান দিয়েছেন।

আর কিছু বলার নাই। শুধু বলি - দেশের হাড্ডি পর্য্যন্ত চিবিয়ে খাওয়া হায়েনাদের কোন নসিহতেই মানুষ করতে পারবেন না। তাই জুলাই-আগষ্টে রাজপথে থাকা সকল ছাত্র-জনতাকে, মা-বোনদেরকে আবার রাজপথে নামতে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে সব সময়।
কেউ যেন তার/তাদের বিনা মেহনতে (মেহনত করেছে ছাত্র-জনতা) পাওয়া ফাঁকা সিংহাসনে রাজারহালে বসার সুযোগ না পায় সেজন্যে ছাত্র-জনতার প্রতি মূহুর্তে সজাগ থাকার বিকল্প নেই।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের আবাল রাজনীতিবিদদের জাঙ্গিয়া/ডায়াপার ধরে টান দিয়েছেন। লাভ কি হবে জী এস ভাই? এরা এতোটাই নির্লজ্জ যে এদেরকে নাঙ্গা করে যদি রাস্তায় দাড় করিয়ে রাখা হয়, তারপরেও এদের স্বভাব আপনি পাল্টাতে পারবেন না। মর্নিং শো'জ দ্য ডে........কথাটা তো এমনি এমনি আসে নাই!!! B-)

কেউ যেন তার/তাদের বিনা মেহনতে (মেহনত করেছে ছাত্র-জনতা) পাওয়া ফাঁকা সিংহাসনে রাজারহালে বসার সুযোগ না পায় সেজন্যে ছাত্র-জনতার প্রতি মূহুর্তে সজাগ থাকার বিকল্প নেই। সজাগ থাকতে হবে আর ড.ইউনুসকে ধরে বেধে হলেও রেখে দিতে হবে। কোনভাবেই উনাকে ছাড়া হবে না। উনাকে বুঝতে হবে, উনি চলে গেলে দেশ আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। এতো আন্দোলন আর আত্মত্যাগ কি বৃথা যাবে?

১৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৮

করুণাধারা বলেছেন: ড. ইউনুসের সরকার, দীর্ঘসময় দরকার অবশ্যই!

নমুনা হিসেবে দেয়া ভিডিও আগে দেখা হয়, নাই এখন দেখলাম। মির্জা সাহেবের কথা বলার ভঙ্গি দেখে চমৎকৃত হলাম, এই কি একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের কথা বলার ভাষা এবং ভঙ্গি!! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে যেমন ওপেন ডিবেট হয়, তেমনি ভাবে মির্জা সাহেবের সাথে সারজিস কিংবা জারা কিংবা জেবিনকে বিতর্ক করতে দিলে মানুষ সহজেই যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে পারতো!

লেখাটা ভালো হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমিও একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম, জিয়াউর রহমান,ড. ইউনুস, এবং সংস্কার কমিশনের একজনকে নিয়ে। এখন বুঝতে পারছি না আর লেখার দরকার আছে কিনা! কিন্তু ১৯ তারিখে একটা পোস্ট দিতে চাই, অবশ্যই সেই পোস্টে দেয়া স্ক্রীন শট নিয়ে মন্তব্য করবেন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মির্জা সাহেবের কথা বলার ভঙ্গি দেখে চমৎকৃত হলাম, এই কি একজন সিনিয়র রাজনীতিবিদের কথা বলার ভাষা এবং ভঙ্গি!! এরা এমনই!! রসুনের সবগুলো কোয়ার পশ্চাদ্দেশ এক জায়গাতে গাথা!!! :)

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে যেমন ওপেন ডিবেট হয়, তেমনি ভাবে মির্জা সাহেবের সাথে সারজিস কিংবা জারা কিংবা জেবিনকে বিতর্ক করতে দিলে মানুষ সহজেই যোগ্য প্রার্থী বাছাই করতে পারতো! এইসব ধান্ধাবাজ রাজনীতিকরা কখনও এমন কিছুতে রাজি হবে না, আপনি নিশ্চিত থাকেন।

আমিও একটা সিরিজ লেখা শুরু করেছিলাম, জিয়াউর রহমান,ড. ইউনুস, এবং সংস্কার কমিশনের একজনকে নিয়ে। এখন বুঝতে পারছি না আর লেখার দরকার আছে কিনা! অবশ্যই দরকার আছে। এখন প্রতিটা মানুষকে এসব কথা সব ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বারে বারে বলতে হবে, যাতে মানুষের মনে গেথে যায়। টিভিতে একই এড বারে বারে বছর ধরে দেখায় কেন জানেন নিশ্চয়ই!! আপনি লেখা শেষ করে পোষ্ট করেন। দেশের স্বার্থেই আমাদের সবার এটা জারী রাখতে হবে। সচেতনতা একজন একবার বললে হয় না। এটার ইম্প্যাক্ট ক্ষণস্থায়ী। সবাইকে বারে বারে বলতে হবে যে, ড.ইউনুসকে আমাদের দরকার!!!

কিন্তু ১৯ তারিখে একটা পোস্ট দিতে চাই, অবশ্যই সেই পোস্টে দেয়া স্ক্রীন শট নিয়ে মন্তব্য করবেন। অবশ্যই। :)

১৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:১৭

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আগামীতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার আরো বিভিন্নমুখী সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে ভারত। আর তাতে সহযোগী হবে বিএনপি। এখন যেখানে ঐক্য জরুরী, সেখানে এরা অনৈক্য তৈরী করার চেষ্টা করবে; সাথে ভারত আর আওয়ামী লীগের দেশের ভিতরের আর বাইরের দালালেরা আরো অধিকতর সক্রিয় হবে। আগামী দিনগুলো ক্রমান্বয়ে জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে, এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে ও এমন একটি উক্তি লজ্জার কিনা? যদি ভারতের পদলেহন করেই দেশ চলাতে হয়? জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশ কখনো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না, দেশ প্রেমিক কোন রাষ্ট্রনায়ক ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, যে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে সংগ্রাম হয়েছিল, তা ও পুরন হয়নি।‌ এই অস্থিরতার ইন্ধনে কোন দেশটি তা ও মোটামোটি পরিস্কার!!!

স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় দৃশ্যত কোন দেশ বাংলাদেশকে সাহায্যে করেনি!!! যুক্তি ছিল, ভারতের পেটের মধ্যে একটি রাষ্ট্র কিভাবে স্বাধীন সার্বভৌম ভাবে পরিচালিত হবে? তাহলে আরব, চায়না আর হেনরি কিসিঞ্জারের "বোটমল্যাস বাস্কেট" করা ভবিষ্যতবাণী ই সঠিক ছিল?

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসের বয়স এখন ৮৪, ওনি আর কতদিন দেশ পরিচালনা করতে পারবেন??? সিংগাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া একটি জেনারেশন সর্বস্ব ত্যাগ-বিসর্জনের মাধ্যমে আজকের এই পর্যায়ে এসেছে। আর ওই রাষ্ট্রনায়কের দেশ পরিচালনার পথ ও অতো টা মসৃণ ছিল না। ডক্টর ইউনুস শেষ বয়সে ওনার রেখে যাওয়া ল্যাগেসির সাথে কম্প্রোমাইজ করবেন‌ কিনা সেটা ও ভাবার বিষয়??? তবে আমার মনে হয়, বাঙালি তার পুর্ব পুরুষের রেখে যাওয়া কোন‌ পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছে। তা না হলে, এখন ই ট্রাম্পকে কেন ক্ষমতায় আসতে হবে?

পুরো পোস্ট ৯০ ভাগ হতাশা আর ১০% আশার আলো? তা ও আবার খুবই ক্ষীণ!!!!

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার উল্লেখিত আমার পোষ্টে বলা কথাটা স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে অবশ্যই লজ্জার। এর প্রধানতম দায় রাজনৈতিক দলগুলোর। এরা বাংলাদেশপন্থী না হয়ে বিভিন্ন দেশের তাবেদারী করে এসেছে সব সময়ে। আরেকটা বড় দায় আমাদের সুশীল সমাজ, আতেল সমাজ আর শিক্ষিত সমাজের। এরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার লোভে নিজেদের আত্মা বিক্রি করে যে কোন একটা রাজনৈতিক দলের তাবেদারী করেছে, অন্ধভক্ত হয়েছে। আমি যতোই চিন্তা করি, ততোই আশ্চর্য হই যে, একজন শিক্ষিত ব্যক্তি কিভাবে নিজের আত্মসন্মান বিসর্জন দিয়ে কোন একটা রাজনৈতিক দলের পা চাটতে পারে!! আমার কি মনে হয় জানেন, এই দুই দায়ী গোষ্ঠী ক্ষমতা আর টাকার লোভে নিজের মা-বাবা-সন্তানকেও বেচে দিতে পারে। এদের মতো কু-সন্তান জন্ম দেয়াই বাংলা মায়ের সবচাইতে বড় অপরাধ। সেইজন্যই স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও আমাদের এমনসব লজ্জাস্কর উক্তি করতে হয়। তারপরেও যাদের নিয়ে করা, তাদের লজ্জা হয় না। বড়ই আফসোসের বিষয়, তাই না!!! B:-)

তবে এখন কিছুটা পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আশা করছি, এটাই আস্তে আস্তে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাড়াবে। এটা যদি কন্টিনিউ করা যায়, আর দূষিত রাজনৈতিক নেতাদের নিষ্ক্রিয় করা যায়.............তাহলে আশান্বিত হওয়াই যায়।

ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসের বয়স এখন ৮৪, তাতে কোন সমস্যা নাই। উনি যতোদিন এমনিভাবে সক্রিয় থাকতে পারেন, ততোদিনে দেশকে বহুকিছুই দিতে পারবেন। উনার বেচে থাকাটাই বাংলাদেশের জন্য একটা বিরাট প্রাপ্তি। হাসিনা মাতারীর জন্য উনার স্বর্ণযুগে উনাকে আমরা ব্যবহার করতে পারি নাই। এখন যতোটা সম্ভব পুষিয়ে নিতে হবে। তবে উনাকে সরানোর জন্য ভারতের ছত্রছায়ায় বিএনপি সক্রিয়। এইবার যদি এদের বদমায়েশী জনগন রুখে না দেয়, তাহলে আগামী ৫৪ বছর বাংলাদেশ আবার একটা অথর্ব দেশে পরিণত হবে। আশা করা যায়, ভারতের অধীনেও আমরা চলে যেতে পারবো!! আওয়ামী লীগের সময়ে ভারত অতি-আত্মবিশ্বাসী হয়ে যে যে ভুল করেছিল, সেটা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিএনপি'র সময়ে তারা আর ভুল করবে না। নিশ্চিত থাকেন।

১৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যা/ না ভোট নিলে বেশীর ভাগ সাধারণ জনগণ ডঃ ইউনুসকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে চাবে। এই মুহূর্তে ওনার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা বেশ ইতিবাচক। মানুষ এখন বলা শুরু করেছে যে, দেশ ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে ভালোর দিকে যাচ্ছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো। এই রমজানে বাংলাদেশের মানুষ এই প্রথম দেখলো যে জিনিস পত্রের দাম নিম্নমুখীও হয়। মধ্যবিত্তরা এটাই বলাবলি করছে। ভয় ছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে, সেটাও এখন ঊর্ধ্বমুখী। মুদ্রাস্ফীতিও এখন আগের চেয়ে কম।

ভারত আশা করছে অ্যামেরিকা বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতকে সাহায্য এবং সমর্থন দিবে। এই চাপ সামলানোর জন্য ডঃ ইউনুস হলেন উপযুক্ত ব্যক্তি। আশা করা যায় যে, ওনার কারণে যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলি বাংলাদেশের ব্যাপারে নমনীয় থাকবে এবং ভারতের অন্যায় আবদারকে প্রশ্রয় দিবে না।

ডঃ ইউনুস দল নিরপেক্ষ একজন মানুষ। ফলে দেশের কল্যাণের জন্য যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কোন ধরণের চাপের সম্মুখীন তিনি হবেন না। যে কোন দল ক্ষমতায় আসার পরেই শুরু হয় দলীয়করণের মহোৎসব। তারা ব্যস্ত থাকে বিরোধীদল দমনে আর টাকা পয়সা লুটপাটে। ডঃ ইউনুসের ক্ষেত্রে সেই ধরণের কোন সম্ভবনা নাই। উনি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্বের বড় বড় নেতারা তাকে সম্মান করে। যার কারণে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া উনি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় ভারত আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না।

ভারত এবং আওয়ামীলীগ হেন কোন চেষ্টা বাদ রাখেনি বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে। তথাকথিত হিন্দু নির্যাতনের ইস্যু, আনসার আন্দোলন, জুডিশিয়াল ক্যুর প্রচেষ্টা, ইস্কনের মাধ্যমে হিন্দুদের উস্কে দেয়া, গার্মেন্টস সেক্টরে হাঙ্গামা সহ অন্তত ৫০ ধরণের প্রচেষ্টা তারা করেছে। কিন্তু ডঃ ইউনুস ঠাণ্ডা মাথায় এগুলিকে সামলেছেন। ওনার জায়গায় অন্য কেউ হলে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে বিপদে ফেলে দিত। সেনাপ্রধান এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পাড়ছেন যে আসল শক্তি তার হাতে না বরং ডঃ ইউনুসের হাতে আছে।

তুলসি চেষ্টা করেছিল ভারতকে সাহায্য করতে, কিন্তু পরে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে ব্যাপারটার একটা ব্যাখ্যা দেয়া হয় যেটার দ্বারা তারা বুঝিয়ে দেয় যে তুলসির কথাকে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে না। এগুলি সম্ভব হয়েছে ডঃ ইউনুসের ব্যক্তিগত ইমেজের কারণে। এই চপেটাঘাতের পরে আমার ধারণা ভারত এবার সতর্ক হবে। অন্তত বাহ্যিকভাবে তারা কোন ঝামেলা করবে না। তলে তলে যাই করার চেষ্টা করুক না কেন।

আমিরাতে যে ৫৭ জন বাংলাদেশী বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে এটা এক কথায় অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল। শুধু মাত্র ডঃ ইউনুসের সম্মানে তারা মুক্তি দিয়েছে। উনি কথায় না কাজে বিশ্বাস করেন। ফলে ধীরে ধীরে ওনার কাজ এবং অর্জনগুলি সামনে আসছে।

ডঃ ইউনুস চীনের সাথে মিত্রতা প্রদর্শন করে ভারতকে একটা বার্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ভারতও সেটা বুঝতে পারবে বা পেড়েছে ইতিমধ্যে। এতদিন পর্যন্ত রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোনই আশা দেখা যাচ্ছিল না। ডঃ ইউনুসের কারণে এখন কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে।

বিশ্ব আগে বাংলাদেশকে দেখত ভারতের চোখে। কিন্তু মনে হচ্ছে এখন তারা বাংলাদেশের ব্যাপারে ভারত দ্বারা প্রভাবিত হবে না। বাংলাদেশ আসলে বহুদিন থেকেই ইমেজ সংকটে ছিল। ডঃ ইউনুসই একমাত্র ব্যক্তি যিনি নিজের ব্যক্তিগত ইমেজের দ্বারা বাংলাদেশের ইমেজ সঙ্কট দূর করতে পারেন।

পিনাকির ভিডিও দেখলাম। দুই মির্জাকে ল্যাংটা কইরা ছাইড়া দিসে। লজ্জা থাকলে এই দুই বাটপার আর লাফালাফি করবে না।

বিএনপি ভুল পথে হাঁটছে। এরা সামনে বিপদে পড়বে। এদের পরিণতি আওয়ামীলীগের চেয়েও খারাপ হতে পারে। ঝুকি হল এই মুহূর্তে বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের মধ্যে এক ধরণের সমঝোতা আছে। সুযোগ আসলে আওয়ামীলীগ বর্তমানের সুসম্পর্ক ভুলে বিএনপিকে ল্যাং মেরে ফেলে নিজেরা ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করবে। সেটা বোঝার মত বুদ্ধি বিএনপির নেই। এই মুহূর্তে আওয়ামীলীগ, বিএনপি এবং ভারত একই দলে আছে। আমাদের দেশের সাধারণ জনগণকে সেটা বুঝতে হবে। নইলে আবারও ১৫ বছর দাসত্ব করতে হবে। ডঃ ইউনুস হল একমাত্র সমাধান।

আমাদের মত দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতি মোকাবেলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপিতে এগুলি সামলানোর মত কোন নেতা নাই।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি তো আপনের মতো দ্রুত বাংলা টাইপ করতে পারি না, তাই আপনের মন্তব্য দেখলে ভয় পাই!!! :P

হাসিনা সব সময়ে তার আকাম-কুকাম করার আগে বলতো, জনগন চায়। একই সূরে বিএনপি'র আবাল নেতারা বলছে, জনগন নির্বাচন চায়। অথচ ছাত্র-জনতা নির্বাচনের কথা না আন্দোলনের সময়ে বলেছে, না এখন বলছে। তাদের একটাই চাওয়া। সেটা হলো........দেশে যেন আরেকটা স্বৈরাচারের উদ্ভব না ঘটতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় এবং বিস্তারিত সংস্কার; আর ড. ইউনুসকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখা। বিএনপি'র হেডাম থাকলে তারা এইসব বিষয়ে হ্যা/না ভোট বা রেফারেন্ডামের দাবী করুক। জনগন এদের উচিত শিক্ষা দিয়ে দিবে। আজকাল এদের কাজ-কারবার আর কথাবার্তা শুনলে রাগের চোটে আমার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়!!! X(

ভারত কোনকালেই আমাদের বন্ধু ছিল না, ভবিষ্যতেও সেই সম্ভাবনা নাই। কাজেই ভারতের সাথে আতাত করে যারা দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার চেষ্টা করবে, তারাই দেশের শত্রু, নব্য রাজাকার। আওয়ামী লীগের পরে বিএনপি এখন নব্য রাজাকারদের নব্য সংযোজন।

ড. ইউনুস দেশের ক্ষমতায় থাকলে দেশ বদলে যাবে। যারা বলছে, দেশের উন্নতির জন্য একটা নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নাই, তাদের মুখে ঝাটা। গত ৫৪ বছরেও আমরা কয়েকটা নির্বাচিত সরকার দেখেছি। লুটপাট আর যতো ধরনের দুই নাম্বারী আছে তা করা ছাড়া আর কি করেছে?

পিনাকির ভিডিও দেখলাম। দুই মির্জাকে ল্যাংটা কইরা ছাইড়া দিসে। লজ্জা থাকলে এই দুই বাটপার আর লাফালাফি করবে না। এইসব শুয়োরদের কোন লজ্জা নাই। এদেরকে ল্যাংটা করে যদি মতিঝিলে দাড়া করায়ে রাখেন, তারপরেও বলবে, আমরা অতি দ্রুত নির্বাচন চাই!! জনগন এদের পশ্চাদ্দেশ দিয়ে নির্বাচন ভরে দিবে। সেই দিন অতি সন্নিকটে, এই আপনেরে কয়া রাখলাম। B-)

আমাদের মত দেশের জন্য আন্তর্জাতিক ভু-রাজনীতি মোকাবেলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিএনপিতে এগুলি সামলানোর মত কোন নেতা নাই। নিজেদের পকেট সামলানো ছাড়া আর কোন কিছু সামলানোর ক্ষমতাই এদের নাই। সব মির্জা আব্বাসের মতো বিএ পাশ করা লেভেলের নেতা।

১৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৩১

অপু তানভীর বলেছেন: যারা কোন রাজনৈতিক দলের দলদাস নয়, তারা সবার মনভাব হচ্ছে ইউসুফ সরকার আরও কিছুদিন থাকুক। শব্দটা দল সমর্থক না কিন্তু দলদাস, দলকানা। আপনার যদি দেশের প্রতি যত্নবান হওয়ার মনভাব থাকে তাহলে আপনার চাওয়া এমন হবে এটা স্বাভাবিক।

আরেকটা সত্যি কথা হচ্ছে বিএনপিও কিন্তু আওয়ামীলীগের পথেই হাটতে চেয়েছে কিন্তু বিএনপি পারে নাই। ৯৬তে দেখেন, ২০০৫ তত্তাবোধায়ক সরকারের প্রধান নিজেদের পছন্দের মত করার ষড়যন্ত্র। সবই কিন্তু আওয়ামীলীগের মতই। পার্থক্য হচ্ছে আওয়ামীলীগ পারছে, আর বিএনপি পারে নাই।

আমাদের আসলে এই দুই চোরের দল ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষও যে খুব বেশি উন্নত তাও তো বলা যাবে না।

মাঝে মাঝে মনে হয় ২০০৭ সালে ইউসুফ সরকার রাজনৈতিক দল খুলেছিলেন তবে সেটা তিনি চালিয়ে যান নাই। যদি সেটা তিনি চালিয়ে যেতে পারতেন তবে হয়তো কোন একটা পরিবর্তন আসতো। তবে এই অসভ্য রাজনীতির ভেতরে তার মত ভদ্র মানুষ রাজনীতি করে টিকে থাকতে পারবেন না।

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের শিক্ষিত জনগোষ্ঠির একটা বড় অংশই ধান্ধাবাজ। এরা মুখে বলবে, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়; কিন্তু বিশ্বাস করবে ঠিক উল্টাটা। এরা সব দলেই আছে। এদের বিএনপি'র অংশটাই এখন সক্রিয়। এইসব দলদাসের কয়েকটারে স্যাম্পল হিসাবে ল্যাংটা কইরা ঢাকা স্টেডিয়ামে লটকায়ে রাখা দরকার!!! :-B

আপনেরে আজকে আমিও একটা সত্যি কথা কই। বর্তমান বিএনপি'র নেতা-কর্মী-সমর্থক সবাই ছাগল কিসিমের। এরা মাগনা কাঠাল পাতা খাওয়ার জন্য বিভিন্ন কায়দা-কানুন করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত লেজে-গোবরে করে ফেলে। এই ছাপ আমার গায়ে যাতে না লাগে, সেইজন্য '৯৬তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে পরেই বিএনপি'র সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করছি। আওয়ামী লীগ ছিল ইভিল ডেভিল। আর বিএনপি হইলো ছাগল ডেভিল!!!! :P

আমাদের আসলে এই দুই চোরের দল ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমাদের দেশের মানুষও যে খুব বেশি উন্নত তাও তো বলা যাবে না। উপায় আছে। আপনে-আমি বদলাইলেই দেশ বদলাবে।

ড. ইউনুসের আনুষ্ঠানিক রাজনীতি করার দরকার নাই। গন-অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়া উনি ক্ষমতায় আসছেন। এইভাবে পাচ বছর থাকলেই দেশের অনেক পরিবর্তন হবে। দেশ একটা সুস্থ ধারার পরিবেশে ফিরতে পারবে। আমাদের আর কি দরকার? বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশী তরুণ প্রজন্ম। এই প্রজন্মকে বর্তমানের পচা, গলা, ডায়াপার পড়া বুইড়া খাটাশ রাজনীতিবিদরা কিছুই দিতে পারবে না। এরা শুধু খাই খাই করে। আমাদের নতুন খাদকের দরকার নাই। সেই জন্যই ড. ইউনুসকে দরকার।

বাই দ্য ওয়ে, ইনভেস্টমেন্ট সামিটে বিডা'র চেয়ারম্যান আশিকের প্রেজেন্টেশান দেখছেন? না দেখলে দেইখেন। এমন লোকজন ড. ইউনুসের ডাকে সাড়া দিয়া তাদের চমৎকার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বাদ দিয়া আসতেছে। ডা. তাসনীম জারা ইংল্যান্ডে তার বর্নাঢ্য ক্যারিয়ার হোল্ডে রাইখা দেশে রাজনীতি করতে আসছে। বিএনপি'র বুইড়া খাটাশদের ডাকে বা তারা দেশের নিয়ন্ত্রণে থাকলে এমন কেউই আসবে না......লেইখা দিলাম।

১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:৫৫

নকল কাক বলেছেন: পাঁচ বছর পরে দেখা যাবে

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আচ্ছা।

১৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: বাঙালি আর মানুষ হইলো না।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের খবর কি? মানুষ হইছেন?? আপনে কি বাঙ্গালীত্বের মধ্যে পড়েন, নাকি বিহারী!!!! =p~

২০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৩

এস.এম.সাগর বলেছেন: ঢাবিয়ান
তাহলে আপনি গুপ্ত দলের গুপ্ত সংগঠন আলবটরের সদস্য!

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে কি কোন গোয়েন্দা সংস্থার সাথে যুক্ত? বিষয়টা আরেকটু বিশদভাবে ব্যাখ্যা করলে আমার মতো কম জানাদের বুঝতে সুবিধা হইতো!!! :P

২১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:১৪

এ পথের পথিক বলেছেন: যারা এই সরকারের বিপক্ষে যারা জাতীয় গাদ্দার, তাদের চিন্তা করা উচিত তারা যে নেতা নির্বাচন করতে যাচ্ছে তার যোগ্যতা কি রয়েছে এই দেশ পরিচালনার ?
লুটেপুটে খাওয়া আম্লিকের পর আরেক দন চেটে পুটে খাওয়ার চিন্তা করছে, তাদের হাতে দেশ নিরাপদ না ।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্কেরে জায়গাতে হাত দিছেন। সহমত। :)

২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

অপু তানভীর বলেছেন: আরেকটা কথা যে ইউসুফ সরকার বিদেশ থেকে যত পরিমান বিনিয়োগ আনতে পারবে তারেক জিয়া তার দশ ভাগের একভাগও আনতে পারবে না। তারেক জিয়া যেসব মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগই পাবে না যেই সব মানুষ ইউনুস সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আরেকটা কথা যে ইউসুফ সরকার বিদেশ থেকে যত পরিমান বিনিয়োগ আনতে পারবে তারেক জিয়া তার দশ ভাগের একভাগও আনতে পারবে না। এই ধরনের কথা কইলে তো বিম্পীর অন্ধভক্তরা চেইতা যাবে। আমি আর তারেক একই দেশে থাকি বহু বছর ধইরা। তারে এই দেশে কে চিনে? বিশ্বের কথা তো বহুত দূর কি বাৎ!!! আমার তো ধারনা, বাংলাদেশী বৃটিশদের বাইরে তার চেয়ে আমারে বেশী মানুষ চিনে!!! :P
সে কেমনে গ্লোবাল পলিটিক্স আর ইকোনোমিতে ড. ইউনুসের রিপ্লেসমেন্ট হবে? ফাজিল চিন্তা-ভাবনার তো একটা লিমিট থাকা উচিত, নাকি?

তারেক জিয়া যেসব মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগই পাবে না যেই সব মানুষ ইউনুস সাহেবকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যাবে। সে আর বলতে!!!

আপনে ইউনুসের জায়গায় ইউসুফ কয়া মজা লন নাকি? বিষয়টা পরিস্কার না। B:-/

২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:২৪

ক্রেটোস বলেছেন: আমার কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক মনে হয় এটাই যে, কী এমন জাদুবলে এত বেশি রেমিট্যান্স জনাব ইউনুস এই দেশে আনতে পারছেন! এইসব প্রবাসীগণ এতবছর এত কম রেমিট্যান্স কেন পাঠালো? তার চেয়ে বড় ব্যাপার, প্রবাসীর পরিবারগুলো এতকম রেমিট্যান্স পেয়েও ঝুপড়ি ঘরে বিল্ডিং করার ব্যাপারটা ! স্বীকার করি যে এটা সবচেয়ে বড় তেলেসমাতি! অভিমানি প্রবাসীদের মান ভাঙিয়ে তিনি রেমিট্যান্সের জোয়াড় বইয়ে দিচ্ছেন!


* আপনি আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি দেখেন? কিন্তু প্রতিদিন খবরের কাগজ মেলে ধরলে আর টিভি খুললে এই কথা বিশ্বাস করতে ইচ্ছেই করে না। নিরাপত্তহীনতা তো বজায় আছে সমান অনুপাতে।

* আপনি একবার দেশে আসেন, বাজারের অবস্থা দেখে যান তারপর বলুন দাম স্বস্তিজনক কিনা। মুল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণ কোন চিপা দিয়া যে হচ্ছে বুঝতেছিই না।

* দেশে বেকারের সংখ্যা যে পরিমান বেড়েছে তাতে বোঝাই যায় কলকারখানার সচলতার কী অবস্থা। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবার তো কোন পদক্ষেপ দেখিই না, তবে হ্যাঁ তিনি অনেক বড় বড় কথা বলছেন সেইসব শুনে প্রতিদিন গ্যাস্ট্রিক হয় যেমন হইতো হাসিনার উন্নয়নের বাণী শুইনা।

* গত আটমাসে বিইপির নিচে অবস্থান করছে ব্যবসায়ের পরিস্থিতি। মানুষের আয় কমেছে প্রচুর, প্রচুর প্রতিষ্ঠান বন্ধ, কর্মসংস্থান নেই। এরমধ্যে অগ্রগতির কোন চিহ্ন দেখি না।

* মোদির সাথে ইউনুস সাহেব মিটিং করবার জন্য যে পরিমাণে পাগল ছিলেন তাতে মনে হয় তাকে মোদি দয়া করেছেন। এখানে বিজয়ের কী আছে আরও রাগ লেগেছে।

* রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর চাপাবাজিটাও দেখছি সবাই বিশ্বাস করছে। অথচ যে অঞ্চলে রোহিঙ্গারা ফেরত যাবে সেটা জান্তার দখলে না। আরাকানের বর্তমান মোড়লরা তো বিদ্রুপ করলো এইসব নিয়া। কিন্তু আমাদের ইউনুস সরকারের তরফ থেকে কোন বার্তা পাইলাম না এই নিয়া।

আরও কয়েকটা বলা যেত, পরে বলা যাবে। তবে এতক্ষণ যা বললাম তার জন্য আমারে আফসোসলীগ কিংবা জাতীয় বটর সার্ভিস পার্টির কেউ বলে ভাববেন না প্লিজ। তবে এটা ঠিক ইউনুসের মতন চাপাবাজ আরও কয়েক মাস থাকুক এটা আমি চাই না।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে সেই জুলাই-অগাষ্টের ভয়াবহ দিনগুলোতে ফিরে গেলাম। তখন রেমিট্যান্স শাট ডাউনের ডাকে প্রবাসীদের সাড়া ছিল অভূতপূর্ব। যারা সাড়া দিয়েছিল, তাদের একটা কমন মতামত ছিল, হাসিনার পতন হলে তারা আবার রেমিট্যান্স পাঠাবে; তবে আগে যেমন বাছ-বিচার না করে শুধু রেইট দেখতো, তা না দেখে বৈধ চ্যানেলেই তারা রেমিট্যান্স পাঠাবে, যাতে সরকারের লাভ হয়। তারা তাদের কথা রেখেছে। বর্তমানের যাদুটার মূলমন্ত্র সেখানেই।

আপনি যেহেতু পয়েন্টগুলোতে কোন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেন নাই, কাজেই সেসব নিয়ে স্পেসিফিক আলোচনার সুযোগ নাই।

প্রতিটা মানুষই তার নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে পরিস্থিতি বিচার করে। আপনি আপনারটা করেছেন, আমি আমারটা করি। তবে আমি কোন কিছুকে বিচার করার সময় সার্বিক পরিস্থিতি কনসিডার করার চেষ্টা করি। সহজ কথায়, গত ১৬ বছরে যেই পরিমান ডেস্ট্রাকশান দেশের প্রতিটা ক্ষেত্রে হয়েছে, তার সমাধান ৮ মাসে আশা করা বাতুলতা। আমি তুলনামূলক বিচারে মনে করি, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। এটার জন্য আমার দেশে আসার দরকার নাই। বর্তমান যুগে যে কেউ যে কোনও স্থানে থেকেই দেশের সব ধরনের খবরাখবর পায়। তাছাড়া আমি আমার সোর্সের কথা পোষ্টে বলেছি। সেই বিবেচনাও আমার লেখাতে এসেছে। আমি বলি না, এই সরকার কোন যাদুমন্ত্রে সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেছে বা ফেলবে; সেটা সম্ভবও না। তবে যেই পরিমানের প্রোপাগান্ডা আর অসহযোগিতা এই সরকার ফেইস করছে, সেই মানদন্ডে এই সরকারের সাফল্য অবশ্যই আছে।

মোদির সাথে ইউনুস সাহেব মিটিং করবার জন্য যে পরিমাণে পাগল ছিলেন তাতে মনে হয় তাকে মোদি দয়া করেছেন। এখানে বিজয়ের কী আছে আরও রাগ লেগেছে। এখানে বিষয়টা রিকগনিশানের। মোদি যেখানে ড. ইউনুসের সাথে মিটিং করাটাকেই বাতিল করে দিয়েছিল ''অনির্বাচিত সরকার'' বলে, সেখানে তার সেই স্ট্যান্ড থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়াটাই এক ধরনের বিজয়। এটা আপনি না-ই মানতে পারেন, তবে আমি এমনটাই মনে করি। আর মোদি এমন কোন আকর্ষনীয় বিষয় না যে ড. ইউনুস তার সাথে মিটিং করার জন্য ''পাগল'' হয়ে যাবেন। এটা পুরাই একটা কূটনৈতিক বিজয়ের অংশ বিশেষ।

তবে এতক্ষণ যা বললাম তার জন্য আমারে আফসোসলীগ কিংবা জাতীয় বটর সার্ভিস পার্টির কেউ বলে ভাববেন না প্লিজ। আমার মতের সাথে অমিল হলেই কাউকে চট করে ট্যাগিং করার আবালীয় অভ্যাস আমার নাই। যদি একান্তই করতে হয়, তার আগে আমি বেশকিছু বিষয় দেখি!!!! :)

তবে এটা ঠিক ইউনুসের মতন চাপাবাজ আরও কয়েক মাস থাকুক এটা আমি চাই না। আমাকে কেউ যদি ডিনারে দাওয়াত দিয়ে ফাইভ স্টার হোটেল অথবা ফুটপাথের হোটেল......যে কোনও একটা বেছে নিতে বলে, আমি ফাইভ স্টারই বেছে নিবো। আপনারটা আপনার নিজস্ব অভিরুচি!!! :-B

২৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:১২

ক্রেটোস বলেছেন: রেমিট্যান্স নিয়ে যা বললেন তার জন্য ধন্যবাদ। একটা ব্যাখ্যা পাওয়া গেল এই প্রথম!

পরিসংখ্যান কিন্তু আপনি নিজেও দেননি। আপনার পোস্টে কিছু খবর থেকে নেয়া তথ্যের ওপর বিশ্লেষণ আছে আবার আপনি নিজেও কিন্তু বলেছেন আত্মীয় স্বজন ও সোশাল মিডিয়ার তথ্য থেকেই আপনি নিজের বিশ্লেষণ তুলে ধরেছেন। আপনি নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান ছাড়াই এত বড় বিশ্লেষণ রচনা করলেন ও মতামত দিলেন আমার পয়েন্টগুলোর বিচারে পরিসংখ্যান ছাড়া আলোচনা সম্ভব বলাটা কিন্তু অমূলক শুধু নয় বেশ বড় রকমের হিপোক্রেসিও বলা যায়!

আমি দেশের বাইরে থাকি না দেশের ভেতরেই থাকি। সবকিছু প্রত্যক্ষভাবেই দেখছি। হাসিনার সময়তেও এমন অনেক তথ্য দেখেছি যাতে মনে হয় দেশ অনেক উচ্চ পর্যায়ে আছে। এমনকি এখানে মন্তব্য করা অনেকের ব্লগে গিয়ে করা পোস্টেও দেখতে পারবেন হাসিনা সরকারের ইনডিরেক্ট প্রশংসা কেমন করা হয়েছে। তারাও চোখ বন্ধ করে বলতো, "তুলনামূলকভাবে আমি বলবো আমরা ভালো আছি।" আপনার মনে হতে পারে কিন্তু বাস্তবতা তেমন নয় !

সে যাক, আপনি যখন সোশাল মিডিয়া থেকে তথ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তবে আপনার চোখে পড়বার কথা যে দেশে অনেক কারখানা ও প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষের আয় কমেছে ব্যয় অনুযায়ী। শ্রমিকদের হাহাকার তো পুরো সোশাল মিডিয়াতে ভেসে বেরিয়েছে সেগুলো কী চোখে পড়েছে আপনার? জানি না পড়েছে কিনা! না পড়লেও অসুবিধা নেইআমরা কেবল তাই তালাশ করি যা আমরা পছন্দ করি আর তাই এড়িয়ে যাই যা আমাদের বিরুদ্ধে!


এখানে বিষয়টা রিকগনিশানের। মোদি যেখানে ড. ইউনুসের সাথে মিটিং করাটাকেই বাতিল করে দিয়েছিল ''অনির্বাচিত সরকার'' বলে, সেখানে তার সেই স্ট্যান্ড থেকে সরে আসতে বাধ্য হওয়াটাই এক ধরনের বিজয়।

আচ্ছা ধরুন আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই, আপনার অফিসে কয়েকবার গিয়েও ফিরে এসেছি আপনি এপয়েন্টমেন্ট দেননি বলে। এবার কোন এক অকেইশনে আপনার সাথে আমার দেখা হলো আপনি আমার সাথে আলাপ করলেন। এতে করে আমার সাথে যে অপমানসূচক আচরণ করলেন তার থেকে যে ফিরে এলেন এটা কী করে প্রমাণিত হয় ? নাহ্ এত সরলভাবে আমি এটাকে বিজয় বলতে পারি না। ইউনুস যেভাবে ওনার সাথে ছবি বিনিময় করেছিলেন সেটা মোটেও রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে কূটনৈতিক আচরণ বলে মনে হয়নি বরং ব্যক্তিগত সম্পর্কের লেনাদেনা বলেই মনে হয়েছে। এটা আপনি মানতে নাই পারেন কিন্তু এটাই সত্য। মোদি আসলেই এমন কোন ব্যক্তি নন যে ওনার সাথে মিটিং করতে পাগল হতে হবে এটা মানি। কিন্তু ইউনুস পাগল যে হয়েছে তা তো তার বারবার মিটিং করবার প্রস্তাব পাঠানো ও প্রত্যাখ্যান হবার পরও লেগে থাকবার প্রবণতা থেকে স্পষ্ট হয় না। আপনার কাছে স্পষ্ট হতে পারে হয়তো আপনি তার ভক্ত তাই কিন্তু একদম নিরপেক্ষভাবে দেখলে ব্যাপারটা দৃষ্টিকটু ছিল। তাছাড়া মোদির সাথে আলাপ করে কোন কূটনৈতিক স্বার্থ হাসিল হলো? লবডঙ্কা! তাই বিরাট বিজয় হয়েছে এটা বলাটা শিশুসুলভ নয় শুধু মৃদু হাস্যকর বটে।

আমার মতের সাথে অমিল হলেই কাউকে চট করে ট্যাগিং করার আবালীয় অভ্যাস আমার নাই। যদি একান্তই করতে হয়, তার আগে আমি বেশকিছু বিষয় দেখি!!!! :)

এইটুকু আস্থা আপনার ওপর আছে বলেই আপনার এখানে মন্তব্য করেছি। আপনি সমালোচনা নিতে জানেন। এটা দেখে এসেছি এতকাল। কেউ আক্রমণ করলে ফিরতি আক্রমণটা স্বাভাবিক, আপনি তেমনটা করেন মাঝে মাঝে ওটা কোন বিষয়ই না। ওটা বলা আসলে যুক্তিকে ফেলে ব্যক্তি আক্রমণ করতে আসা মানুষদের জন্য! ওনারা আবার এইসবের জন্য মুখিয়ে থাকেন কিনা!

আমাকে কেউ যদি ডিনারে দাওয়াত দিয়ে ফাইভ স্টার হোটেল অথবা ফুটপাথের হোটেল......যে কোনও একটা বেছে নিতে বলে, আমি ফাইভ স্টারই বেছে নিবো। আপনারটা আপনার নিজস্ব অভিরুচি!!! :-B

আমি আগে দেখবো কোনটা স্বাস্থ্যকর, ফাইভস্টার মানেই যে ভেজাল খাবার পরিবেশন করবে না এমন কোন নিশ্চয়তা নেই। এখন শোঅফের জন্য আপনার এই অভিরুচি পোষণ করতেই পারেন। আমি দেখবো কোনটাতে আমার ভালো ! ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ আলোচনার জন্য, শুভকামনা রইল।

১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এই পোষ্ট এক্সপার্ট ওপিনিয়ন না, পিপলস ওপিনিয়নের উপর ভিত্তি করে লেখা। কাজেই পরিসংখ্যানের উপর জোর দেই নাই। আর এখানে পরিসংখ্যান খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ না। এই ব্লগেই আফসোস লীগ যেসব সোর্স থেকে পরিসংখ্যান দেয়, সেটা দেখে পরিসংখ্যান দেয়ার শখ মিটে গিয়েছে। এটা বড় না ছোট হিপোক্রেসি, তা আপনার বিচার। আমার বিচারে এটা কোন হিপোক্রেসিই না। পরিসংখ্যান ছাড়াও আলোচনা সম্ভব, তবে সেক্ষেত্রে বিষয়বস্তুর গভীরে যেতে হয়, যেটা অনেকেই পারে না কিংবা সেই সক্ষমতাও নাই। তাই সেটা হয় এন্ডলেস আলোচনা। সবাই যার যার মতামতে অনঢ় থাকে। ফলে এটা আমার কাছে একঅর্থে ইউজলেস আলোচনাও বটে। আমি যদি দেখি, আলোচক বিষয়বস্তুর গভীরে না গিয়ে ''তোতাপাখী ফর্মুলা'' এপ্লাই করছে, সেক্ষেত্রে এই ধরনের আলোচনা করার মতো সময় আমার আসলে নাই। আমি এড়িয়ে যাই।

এই পোষ্টের মূল বিষয়ে একমত না হয়েও আপনি লাইক দিয়েছেন। ''লাইক'' এর প্রচলিত ডেফিনেসান অনুযায়ী বরং এটা একটা হিপোক্রেসি। বড় না ছোট, সেই বিচারে যাবো না। :)

হাসিনার সময়টাতে যাদের মনে হতো দেশ অনেক উচ্চ পর্যায়ে আছে, তাদের আসলে বুদ্ধিবৃত্তিক সমস্যা আছে। তবে এটা বিরাট এবং অন্য আলোচনা। আওয়ামী লীগ আপাততঃ বাংলাদেশে অতীত। আমার এই পোষ্ট বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের কি ক্ষতি হবে আর ড. ইউনুস ক্ষমতায় থাকলে দেশের কি লাভ হবে সেটা নিয়ে। আমি এখন দেশে না থাকলেও বিএনপি যে দুই টার্ম ক্ষমতায় ছিল, তার প্রায় পুরোটা সময় দেশেই ছিলাম। বিএনপির কাজ-কারবার খুব কাছে থেকে দেখেছি এই দলের সাথে কিছু সম্পৃক্ততা থাকায়। কাজেই বর্তমানের বিএনপি আর অতীতের বিএনপিকে (৯০ এর পরবর্তী) ব্লেন্ড করে আমি আজ যা বলছি, বুঝে শুনেই বলছি। দেশ আমার কাছে সবার উর্ধে, সেই জন্যই আমি ড. ইউনুসকে চাই। আমি জানি উনি ফেরেশতা নন, উনারও সীমাবদ্ধতা আছে। কাজেই ৮ মাসে উনি সব ঠিক করে ফেলবেন, এমনটা আশা করা বোকামী। কিন্তু এই মুহুর্তে দেশে উনার কোন বিকল্প নাই..........এটাই বাস্তবতা। আপনি পারলে একটা বিকল্প দেখান!!!!

আমরা কেবল তাই তালাশ করি যা আমরা পছন্দ করি আর তাই এড়িয়ে যাই যা আমাদের বিরুদ্ধে! আমার সম্পর্কে আপনার ধারনা খুবই সীমিত। আমার পরিচিত ঘোর বিরোধীরাও আমাকে এই কথা বলে না। বিএনপি সেই ছাত্রাবস্থা থেকেই আমার পছন্দের দল। বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পরও তাদের সমালোচনা করা আমি কখনও বন্ধ করি নাই। আপনি দেশে এখনকার যেসব সমস্যার কথা বললেন তার মূলে না গিয়ে ইউনুস সরকারকে দোষারোপ করা আমার দৃষ্টিতে বালখিল্য আচরণ। আমি আবারও বলি, যে কোনও কিছু নিয়ে আলোচনা করতে গেলে সমস্যার গভীরে যেতে হবে। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিচার-বিশ্লেষণ করতে হবে।

মোদি-ড. ইউনুস এর মধ্যেকার মিটিংকে আমি বিজয় বলেছি, বিরাট বিজয় না। আশাকরি, এই দুয়ের মধ্যে পার্থক্য আপনার জানা আছে। এই ব্যাপারে আমার স্ট্যান্ড আমি ইতোমধ্যেই পরিস্কার করেছি, কাজেই নতুন করে আর কিছু বলার নাই। এই বিষয়ে আপনার অতি-সরলীকরণকৃত ব্যাখ্যা পড়ে মজা পেয়েছি, তবে এটা আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর। আমিও কিছু উদাহরন দিতে পারি, কিন্তু দিবো না। কারন আগেই বলেছি.......আমি যখন বুঝে ফেলি কোন আলোচনা এন্ডলেস আলোচনার দিকে যাচ্ছে, আমি এড়িয়ে যাই!!! শুধু একটা কথা আপনাকে বলি, অন্ধভক্তি আমার স্বভাবে নাই। এটা ব্লগে যারা আমাকে ভালোভাবে জানে, তারা সবাই স্বীকার করে। আপনি চাইলে ব্লগে একটা পোষ্ট দিতে পারেন ''ভুয়া মফিজের অন্ধভক্তি'' সম্পর্কে। দেখেন কি ফিডব্যাক পান!!! :)

আপনার জন্যও শুভ কামনা।

২৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮

ক্রেটোস বলেছেন: এই পোষ্টের মূল বিষয়ে একমত না হয়েও আপনি লাইক দিয়েছেন। ''লাইক'' এর প্রচলিত ডেফিনেসান অনুযায়ী বরং এটা একটা হিপোক্রেসি। বড় না ছোট, সেই বিচারে যাবো না। :)

বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক ব্যাপারটা আসলে নিরপেক্ষ একটা রিয়েক্ট। আর আমি এখানে লাইক দিয়েছি কারণ আপনি লিখেছেন অন্তত আপনি নিজের কথাগুলোকে সততার সাথে তুলে ধরেছেন বলে। আমার ভাই তোমার ভাই ইউনুস ভাই ইউনুস ভাই এই প্রবণতা আপনার পোস্টে দেখিনি বলে!

ওনার বিকল্প নাই এই কথাটাও বিতাড়িত আওয়ামী বয়ানের মতন বলেই মনে হয়। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো এই নীতিতে যদি থাকেন তবে আমার বলবার কিছুই নেই। ইউনুস যদি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আসে কোন আপত্তি থাকবে না। যেহেতু জনগণ চায় সেহেতু নির্বাচন করে উনি আসতেই পারেন। সেই ক্ষেত্রে তো কোন সমস্যা থাকেই না। অনির্বাচিত শাসন সংস্কৃতি আর কত এই দেশে চলমান থাকবে?


বিকল্পের কথা যে বললেন তার আগে আপনি মনে হয় এটা বোঝেন নাই যে আমি তাকে বিকল্পের যোগ্য বলেই মনে করি না। গত আট মাসে যা যা সংস্কার প্রয়োজন তার কোনটাতেই উনি হাত দেন নাই । জিয়ার ব্যাপারে তো আপনার জ্ঞান আমার চেয়ে বেশি মনে করি। উনি তো শাসনে বসেই প্রথমে নজর দেন বাজার ব্যবস্থার ওপর এবং দেশীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবার জন্য, মুজিবের সময়কার ধ্বজভঙ্গ শিক্ষাকে পুনর্গঠন করতে তিনি যথেষ্ট সচেষ্ট ছিলেন। আমি তুলনা করছি না কিন্তু ইউনুস কী এমন প্রধান সমস্যা নিরসনে কোন কাজ করেছে? করেননি। উনি বসা মাত্র নিজের প্রতিষ্ঠানের সংস্কার আগে করেছেন। কিন্তু ততটা সচেষ্ট হতে দেখিনি দেশের কাজে ।


উনি কী এই আটমাসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন? বিচার বিভাগ কী এখনও পূর্ণ স্বাধীন? সেগুলো বাদদিন দেশের অভ্যন্তরের ব্যবসায় পরিচালনার জন্য কার্যকরী যেসব পরিবেশ প্রয়োজন তার কোন একটি কী তিনি নিশ্চিত করতে পেরেছেন ? সবকিছুর উত্তর হলো না!


দুজন ছাত্রের মধ্যে পরীক্ষায় একজন পেল ২৫ অন্যজন পেল ৩০, পাশমার্ক ৩৩। দুজনেই ফেল করেছে। তো এখান থেকে কী আমার এই বলবো যে ৩০ যে পেয়েছে সে ভালো ছাত্র? আপনি যে ইউনুসের বিকল্পের কথা বলছেন আমি মনে করি সে নিজেও অকৃতকার্য ঠিক বিএনপির মতন। কানা মামা থেকেও আসলে কোন লাভ হয় না, কেবল মামা আছে এই গর্ব করা যায় কোন ফল পাওয়া যায় না !


আমি যখন বুঝে ফেলি কোন আলোচনা এন্ডলেস আলোচনার দিকে যাচ্ছে, আমি এড়িয়ে যাই!!!
মফিজ সাহেব আপনি চাইলে আলোচনা নাও করতে পারেন। এটা একান্ত আপনার ইচ্ছে। কিন্তু আপনি যে অজুহাতটা দিলেন সেটা খুব হাস্যকর একটা অজুহাত। এরকম অজুহাত আওয়ামী ছাগলেরা দিতো, তর্ক এড়ানোর জন্য। আপনিও যখন দিলেন তখন বলবার কিছুই নেই।

যাবার আগে মনের একটা খুঁতখুঁতে প্রশ্ন করে যাই, আপনি অন্ধভক্ত এটা তো আমি বলিনি। কোথাও বুঝাইনি আদৌ, কিন্তু আপনি কথা ঝাড়লেন কোন যুক্তিতে? ঠাকুরঘরে কে রে আমি কলা খাই না- এই প্রবাদের আদর্শে বশবর্তী হয়ে?

দেখুন চেষ্টা করে, অসাংবিধানিকভাবে রাখা যায় কি না! অগ্রিম শুভ কামনা রইল!

১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১২:২৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তিনটা কারনে আমি বড় মন্তব্য / প্রতি-মন্তব্য করতে চাই না।

- প্রধানতঃ আমি অফিস থেকে কাজের ফাকে ফাকে ব্লগিং করি। বড় মন্তব্য যেহেতু একবারে করা যায় না, তাই বিষয়বস্তুতে ফোকাসড থাকা কঠিন হয়ে যায়।
- আমার বাংলা টাইপিং স্পীড খুব খারাপ। অনেক সময় লাগে।
- আমি অলস প্রকৃতির মানুষ।

বাসা থেকে আমি পারতে ব্লগিং করি না, তবে সাইজের কারনে এটা বাসায় বসে করতে বাধ্য হলাম। :)

এবার আসল কথায় আসি। আপনার ধারাবাহিক মন্তব্যে আমার মনে হলো, ড. ইউনুস সম্পর্কে আমার বর্তমান স্ট্যান্ডের কারনটা পরিস্কার করা দরকার। ড. ইউনুস দেশের ঠিক কোন অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব নিলেন আর এখন কি অবস্থা সেটা খুব সংক্ষিপ্তাকারে একটু দেখি।

৫ই অগাষ্টের পর পুলিশ বাহিনী প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিভাবে? ব্রিফলি যদি নজর দেই...........তাদের গাড়ী পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, অস্ত্র লুট হয়েছে। প্রচুর কর্মকর্তা/কর্মচারী পালিয়েছে। যারা আছে, তাদের নৈতিক মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে; তারা থানার বাইরে যেতে ভয় পায়। থানা গুলো ফাঙ্কশনাল না। স্বৈরাচার পালিয়েছে, কিন্তু তার এলিমেন্টগুলো প্রশাসনে রয়ে গেছে। বাইরে থেকে আওয়ামী লীগ আর ভারত সরকার দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য কাজ করছে। উদাহরন হিসাবে বলা যায়, ডাকাতি করার জন্য আওয়ামী লীগের ৩০০ ডাকাত মাঠে ছেড়ে দেয়ার খবর এসেছে। এই সরকারকে দেড়শ'র উপরে আন্দোলন মোকাবেলা করতে হয়েছে, ইত্যাদি ইত্যাদি। এতোকিছু বিবেচনায় নিলে বরং বলা যায়, দেশের আইন-শৃঙ্খলার যতোটা অবনতি হওয়ার কথা ছিল, তা হয় নাই। এখন আস্তে আস্তে হলেও পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। তাছাড়া আওয়ামী সরকারের আমলের সাথে যদি তুলনা করেন..........তখন পুলিশ আর তাবেদার মিডিয়া আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত প্রকৃত সত্য জনগনের কাছে গোপন করতো। এখন সব কিছুই চট-জলদি আমাদের সামনে চলে আসছে। সেই কারনেও জনমনে উদ্বেগের পরিমান বাড়ছে।

দেশে / বিদেশে অবস্থিত আওয়ামী দালাল চক্র আর ভারতের গোদি মিডিয়ার তথ্য-সন্ত্রাস দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিপুলভাবে সক্রিয়। ইউনুস সরকারকে চরমভাবে বিব্রত আর ব্যতিব্যস্ত রাখাই তাদের লক্ষ্য। এখন পর্যন্ত এদেরকে মোটামুটি সফলভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে।

দেশের প্রধান প্রধান মিডিয়ার খবর........গত রমজানে বাজারের অবস্থা স্মরনকালের মধ্যে সবচাইতে ভালো ছিল।

শিল্প-কারখানার বেশীরভাগই আওয়ামী দালালদের দখলে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে কিছু কিছু ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছে; ফলে তারা এই খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করবেই।

''বর্তমান সরকার গঠনের পর বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণ কমতে শুরু করেছে। স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী বিদেশি ঋণ ব্যাপকভাবে পরিশোধ শুরু করা হয়েছে। মাত্র ছয় মাসেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হাত না দিয়েও কয়েক বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে স্বল্পমেয়াদী দুই বিলিয়ন ও দীর্ঘমেয়াদী তিন বিলিয়ন ডলার রয়েছে। ফলে শুধু বেসরকারি খাতেই বিদেশি ঋণ কমে এসেছে।'' এটা ফেব্রুয়ারী মাসের এনটিভি অনলাইনের খবর। এখন অবস্থা আরো ভালো। বাংলাদেশের বর্তমান রিজার্ভ ২৬ বিলিয়ন ডলার ছুই ছুই করছে। ব্যাঙ্কিং খাত ধ্বংসের দোরগোড়া থেকে ঘুরে দাড়িয়েছে। এক সময়ের দক্ষিণ এশিয়ার 'সবচেয়ে শক্তিশালী ইসলামিক রিটেইল ব্যাংক' এবং বাংলাদেশের 'সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক' হিসেবে স্বীকৃত ইসলামী ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হওয়া থেকে কোনমতে বেচে ফিরেছে। আগে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হতো। সেটা বন্ধ হয়েছে।

এখন ফিরেছে সভা-সমাবেশের অধিকার, বাক-স্বাধীনতার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। দুর্নীতি করার সংস্কৃতি রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হয়েছে। বিচার বিভাগ পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়েছে। ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতির অবসান হয়েছে। নতুন মিত্রদের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা হচ্ছে।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের লক্ষ্যে প্রথম দফায় ছয়টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এগুলো হলো—সংবিধান সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এসব কমিশন ইতোমধ্যে প্রতিবেদন পেশ করে বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করেছে।

এ ছাড়া সরকার আরও কয়েকটি কমিশন গঠন করে। এগুলো হলো—গুম কমিশন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, শ্রমিক অধিকার বিষয়ক সংস্কার কমিশন ও নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন। এ ছাড়া গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি গঠন করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে একাধিক টাস্কফোর্সও। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরতে একটি শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটিও গঠন করেছে সরকার। এসব নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ চলছে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই প্রয়োজনীয় সংস্কারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বিদেশি বিনিয়োগে উৎসাহ দেয়ার জন্য মাত্রই একটা সফল ইনভেস্টমেন্ট সামিট অনুষ্ঠিত হলো।

আট মাসে আর কি কি চান? আমি বলছি না, সরকার সবকিছু ঠিক করে ফেলেছে। প্রচুর সমস্যা এখনো বিদ্যমান। তবে সরকার রাইট ট্র্যাকেই আছে। এসবের কোন কিছুই রাতারাতি করা সম্ভব না। নির্বাচিত সরকার, তথা বিএনপি আসলে কি হবে সেটা আমরা সবাই জানি। কাজেই এদেরকেই এসব সংস্কার করে যেতে হবে। সেজন্যেই সময় দরকার। বহুবার বলেছি, ১৬ বছরের জন্জাল যারা ৮ মাসেই সাফ-সুতরা করার খোয়াব দেখে, তারা হয় বুদ্ধি-প্রতিবন্ধি নয়তো বিরাট আতেল!!! B:-/

আমি এতোদিন জানতাম, কোন কিছু পছন্দ হলেই লাইক দেয়া হয়। আপনার লাইক দেয়ার কারনটাও জানলাম। ধন্যবাদ। তবে, বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক ব্যাপারটা যে নিরপেক্ষ একটা রিয়েক্ট এইটা জানা ছিল না!!! =p~

ওনার বিকল্প নাই এই কথাটাও বিতাড়িত আওয়ামী বয়ানের মতন বলেই মনে হয়। মনে হলে কিছু করার নাই। ঠিকমতো চিন্তা করলে বুঝবেন, চাটুকারিতা আর বাস্তবতা আলাদা জিনিস। বিকল্প ২/১ টা নাম তো বললেন না। ও আচ্ছা, আপনি
তো আবার ড. ইউনুসকে বিকল্পের যোগ্য বলেই মনে করেন না; তাহলে না হয় এমনি এমনি আপনার পছন্দ থেকেই একটা নাম বলেন যার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা আছে!!! ইংরেজিতে ''বেস্ট অফ দ্য ওয়ার্স্ট'' বলে একটা কথা আছে। দুই ফেলটুর মধ্যে কে সেই ব্যক্তি হতে পারে........সেটাই না হয় বললেন আর কি!!! ;)

আমাদের মতো একটা দেশে শাসন সংস্কৃতি নির্বাচিত, নাকি অনির্বাচিত সেটা বড় কথা না। বড় কথা হলো, শাসক শ্রেণী দেশকে কিছু দেয়ার যোগ্যতা এবং সক্ষমতা রাখে কিনা, আর দিনশেষে সত্যিকারের কিছু দেয় কিনা। সেইজন্যই আমি সব সময়ে ''বেনেভোলেন্ট ডিক্টেটর'' এর পক্ষের মানুষ। আর ফর ইয়োর কাইন্ড ইনফো..........ড. ইউনুস সরকার অলরেডি একটা সাংবিধানিক সরকার। কাজেই তাদেরকে অসাংবিধানিকভাবে রাখার কিছু নাই। একটু খোজ-খবর নিতে পারেন এই বিষয়ে। এতোটা রিলাকট্যান্ট হলে কি চলে?

কিছু মানুষ আছে, খুব ভেঙ্গে না বললে অনেক কিছু সহজে বুঝতে পারে না; ফলে আপাতঃদৃষ্টিতে অনেকের ইনসাইট তাদের কাছে হাস্যকর মনে হয়। ব্যাপার না, শ্যালো মেন্টালিটির হলে অথবা বোঝার গভীরতায় সমস্যা থাকলে এমনটা হতেই পারে। সে যাই হোক, আমাকে আওয়ামী ছাগলদের সাথে তুলনা করাতে চরম আনন্দ পেলাম। বোঝাই যাচ্ছে ছাগল বোঝার ব্যাপারে আপনি বেশ কনফিডেন্ট। প্রতিবার গরু কোরবানী দেই, এইবার ভাবছি একটা ছাগল দিবো। ভালো ছাগল চেনা-বোঝার উপায় সম্পর্কে আমাকে একটু জ্ঞান দিয়েন। বড়ই কৃতজ্ঞ থাকবো। :P

যাবার আগে মনের একটা খুঁতখুঁতে প্রশ্ন করে যাই, আপনি অন্ধভক্ত এটা তো আমি বলিনি। কোথাও বুঝাইনি আদৌ, কিন্তু আপনি কথা ঝাড়লেন কোন যুক্তিতে? ঠাকুরঘরে কে রে আমি কলা খাই না- এই প্রবাদের আদর্শে বশবর্তী হয়ে? সরাসরি বলেন নাই তবে বুদ্ধি অতিরিক্ত হওয়ার কারনে ঘুরিয়ে-প্যাচিয়ে বলেছেন। ভক্ত বলেছেন। আর সেটাকে সাপ্লিমেন্ট করেছেন, কিন্তু একদম নিরপেক্ষভাবে দেখলে..........এইটা বলে। যখন কোন ভক্ত নিরপেক্ষভাবে কিছু দেখতে পায় না, তখন সেটাকে অন্ধভক্ত-ই তো বলে, নাকি? আমি বেহুদা কথা ঝাড়ি না। নিজে কি বলেন, বুঝে বলেন না? তাছাড়া ''যুক্তিসঙ্গতভাবে পছন্দ করা'' আর ''ভক্তি করা''র মধ্যে তফাৎ আছে। ভক্ত......ভক্তি এসব রিচ্যুয়াল ব্যাপার-স্যাপার। সেটা আনকন্ডিশনালই হয় এবং আনকন্ডিশনাল মানেই ব্লাইন্ড!!! আশাকরি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি।

আপনি বলেছেন, আপনি দেশে থাকেন। ভুল হতে পারে, তবে আমার ধারনা আপনি দেশের বাইরে থাকেন। সে যাই হোক, যেখানেই থাকেন, ভালো থাকবেন। আর কোরবানীর বিষয়টা মাথায় রাইখেন!!! :)

২৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৫:০৩

ক্রেটোস বলেছেন:

পুলিশের প্রচুর কর্মকর্তা পলাতক নন । পুলিশের কর্মকর্তারা পালিয়ে যাবার সুযোগ পায়নি । যদি যেত তবে প্রচুর কর্মীশূণ্যতা দেখা যেত এই সেক্টরে । সেরকম কোন ব্যাপার নয় । পুলিশের মনোবল আগের মতো নেই মানছি। তো সেটা ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব তো সরকারের তাই নয়কি? পুলিশের ব্যাপারটা ভগ্নাবস্থায় আছে বলেই তো সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হলো । কিন্তু সেখানেও তাদের পূর্ণ কর্তৃত্ব তো দেয়া হচ্ছে না। সেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সব কিছু ভেস্তে যাচ্ছে । এর দায় তো সরকারের তাই নয় কি ? এবার আমাকে বলুন তো সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এইসবকে মোকাবেলা করতে ?


প্রতিদিন পত্রিকা খুললে যেসব সংবাদ পাওয়া যায় সেসব হয়তো আপনার নজরে পড়ে না শুধু রমজানেরটা বাদে তাই আপনি মনে করতেই পারেন দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা অতটা খারাপ নয়। কিন্তু আমরা যারা বাস করছি এদেশে তাদের মতামত আলাদা ।

আর বাজারের অবস্থা বললেন না? আপনি হয়তো পুরো খবরটা পড়েননি । নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কোনটাই স্থিতিশীল ছিল না, চাল থেকে তেল এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কিন্তু গতবছরের সমানই ছিল ।


রিজার্ভ বেড়েছে সেটা ঠিক তবে এটাকে ইউনুসের সফলতা বলে ভাববার তো কোন কারণ দেখি না, ইউনুস বাদে অন্য কেউ যদি হাসিনার মত না হয়ে থাকতো তবে তার বেলাতেও একই ব্যাপার ঘটতো । ব্যাংক ধ্বংসের দোরগোড়া থেকে ফিরেছে সেটা কিন্তু ঠিক না । এখনও প্রচুর ঋণখেলাপি আছে যেগুলো ব্যাংকগুলো উদ্ধার করতে পারেনি । এমনকি ওদের কার্যক্রমও সীমিত হয়ে এসেছে । তাছাড়া রদ বদলের হিড়িক পড়বার কারণে ব্যাংকের কার্যক্রমেও যে ব্যাহত হচ্ছে তা স্পষ্ট ! আরেকটি কথা টাকা পাচার বন্ধ যদি হবে তবে আওয়ামী লীগের দোসররা সব বিক্রি করে পালাতে পারলো কী করে ? তবুও আপনার বলা এইসব কথা মেনে নিলাম ।


বাকস্বাধীনতা কেবল হাসিনার এই ১৫ বছর বাদে সব সময় ছিল । তাই সে বিদায় হবার মাত্রই এটা আবার পুনর্বহাল হয়েছে । এতে ইউনুসের কোন কৃতিত্ব নেই । তবে হ্যাঁ ইউনুসের এই বাকস্বাধীনতার অধিকারে হস্তক্ষেপ না করবার জন্য প্রশংসা করবার একটা সুযোগ ছিল কিন্তু দেশে যেভাবে ডিটেনশন আইনের চর্চা তার সময়ে আবার শুরু হলো তাতে তাকে প্রশংসা করাটা অন্যায় হবে ।

ইউনুসের সরকার অন্তবর্তীকালীন সরকার তো স্বল্প সময়ের । এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকমাস গেল কেবল কমিটি গঠনে । কিন্তু কমিটির সভা দেখি শেষ হতে পুরো বছর যাবে । হাল আমলের সেই দীর্ঘসূত্রীতার অবলম্বন দেখছি তিনি ভালোই করছেন । আর প্রতিবেদনের কথা বলেছেন না, ওগুলো কিন্তু এখনও প্রক্রিয়াধীন তাই সেসবকে ধর্তব্যে এনে কী লাভ ?

আটমাসে তিনি কেবল কয়েকটি কমিটি গঠন করেছেন এইতো ? আটমাসে কিন্তু দৃশ্যমান অনেক সংস্কার সম্ভব ছিলো । আপনাকে আমি পূর্বের মন্তব্যে জিয়ার উদাহরণ দিয়েছি । তিনি কিন্তু স্বল্প সময়ে বাজারকে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিলেন । তিনি স্বল্প সময়ে যা যা করেছেন তার অন্তত একটির অর্ধেকও যদি উনি করতেন তবুও আশ্বস্থ হতাম ।


এখনও বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী এটা তো জানেন । দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখনও চরম জঘন্য পর্যায়ে আছে। আমিও একজন বাবা আমার সন্তানের জন্য সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন সেটাই সে পাচ্ছে না । তবুও বলবো দারুণ আছে এই দেশ ? ইউনুস আসবার পরেও দূর্নীতি হয়েছে সেটা ওনার বিগত শিক্ষাউপদেষ্টা বলে গেছেন জানেন নিশ্চয়ই ? সেটাও ওনার সময়ে থাকতেই ।

কেবল কয়েকটি কমিশন আর কমিটি গঠনটাই আপনার কাছে যদি সংস্কার হয়ে থাকে তবে হতাশ না হয়ে উপায় নেই । আট মাসে সাফ সুতরো করা সম্ভব নয় কিন্তু আটমাসে তো একটু হলেও পরিষ্কার করা সম্ভব । কেবল “পরিষ্কারের সব চেষ্টা করছি ও কমিশন গঠন করা হয়েছে” এই বুলি শুনেই সংস্কার হচ্ছে যারা ভাবে তারা হয় ধান্দাবাজ নয়তো ছাগল । এটা বলতেই হলো !


আপনি মনে হয় ফেইসবুকে নিয়মিত নন। সেখানে লাইক রিয়েক্টটা তেমন একটি রিয়েক্ট বলেই জেনজিদের কাছে পরিচিত । জেনজিদের বিপ্লব উপভোগ করছেন তাদের আচরণের সাথে পরিচিত নন ? অসুবিধা নেই আমি নিজেও অনেক কিছুর সাথে পরিচিত নই।

কমিশন গঠন , সামিটের আয়োজন আর কিছু বক্তৃতার কারণে যদি তাকে শ্রেষ্ঠ মনে করা হয় তবে তো সেটাকে বাস্তবিক বলা যায় না । নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো এই প্রবাদে আপনি বিশ্বাসী হতেই পারেন কিন্তু আমি বিশ্বাসী “দুষ্ট গরুর চেয়ে শূণা গোয়াল অনেক ভালো” । কানা মামা কোন কাজে আসে কেবল লোক দেখানো “ আছে ” বলে গর্ব করা বাদে । তাই এই নিয়ে আর আলাপ করতে চাই না ঐ বিকল্প নিয়ে আরকি ।


আমাদের মতন দেশে নির্বাচিত সরকার গুরুত্বপূর্ণ না হয়ে শাসক গুরুত্বপূর্ণ হলে তবে কেন এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন? উনি তো হাসিনার মতন এত নিষ্ঠুর ও পাচারবাজ ছিলেন না । গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া যে এই সময়ে এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ কোনভাবেই নিজেকে উন্নত করতে পারবে না সেটা সবাই জানে কেবল আপনি জানেন না । হতেই পারে !

ইউনুস সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে বৈধ । আমি আপনাকে বলেছি ইউনুস সরকারকে যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখতে চান তবে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাখুন । অসাংবিধানিক এক নায়কতন্ত্র আর কত ? একটু পড়ে বুঝে তারপর তো মন্তব্য করবেন তাই না ?


আপনাকে আমি আওয়ামী ছাগলের সাথে তুলনা করিনি । তবে এখন আপনাকে আমি ছাগল বলেই মনে করছি ।


ভক্ত আর অন্ধভক্তের মধ্যে পার্থক্য কী ? যেসব ভক্তরা যুক্তি ও প্রমাণকে এড়িয়ে অন্ধের মতন তার প্রেমাস্পদকে ভক্তি করে যায় তারাই তো অন্ধভক্ত । আপনি যে অন্ধভাবে সমর্থন করেন বা ভক্তি করেন সেটা আমি বলিনি । কিন্তু তবুও আপনি সেটাকে তেনা পেঁচিয়ে অন্য দিকে নিয়ে গেলেন। হাস্যকর আচরণ । ভক্ত নিরপেক্ষভাবে কোন কিছু দেখতে নাও পারে কিন্তু সে যা দেখতে পাচ্ছে তা যৌক্তিক হবে । নিরপেক্ষভাবে দেখলে তো সেটা তার সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে যাবে । কী সব আবোল তাবোল কথা যে বলছেন আপনি, হায় খোদা!

তবে আপনার সমর্থনের পেছনে কোন যুক্তিইই দেখাতে পারেননি । যা দেখাতে পেরেছেন সেটা হলো যাস্ট গাঞ্জাখুরি বক্তব্য ।


শেষে বলি উত্তম ছাগলের বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার যা যা বৈশিষ্ট্য তাই । এবার কী করবেন না করবেন তা আপনার ইচ্ছা। আপনি বরং গরু কুরবানি দিন নিজেকে নিজে কেউ কুরবানি দিতে পারে নাকি। তবে আপনার ক্ষেত্রে বলতে পারি না ,

শুভ কামনা রইল!

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৩১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউনুস সরকার হাত-পা গুটিয়ে বসে নাই। কাজ করছে। এই কাজের কিছু ফলাফল দৃশ্যমান, কিছু ফলাফল দৃশ্যমান হতে সময় লাগবে। আর সবকিছু দৃশ্যমান হতে আরো সময় লাগবে। মাত্র ৮ মাসে বিগত সরকারের হিমালয়সম আবর্জনা দূর করা সম্ভব না...........এই সহজ কথাটা আপনার মাথায় ঢোকানো গেল না। মাথায় যেটুকু ঘিলু ছিল বিক্রি করে ফেলেছেন নাকি? করলে ভালো। আনইউজড ব্রেইন থাকা, না থাকা সমান কথা। তাছাড়া আনইউজড ব্রেইন (প্রায় নতুন!!!) বিক্রি করে ভালো দামই পাওয়ার কথা!!!! :-B

ফলাফল দেখতে চাইলে দেখার মতো চোখ থাকা দরকার। আন্ধাদের পক্ষে কিছুই দেখা সম্ভব না। ধীরে ধীরে বুঝতে পারছিলাম যে, আপনি বলদ টাইপের মানুষ। কিন্তু আপনি যে গাছ-বলদ, এইটা বুঝি নাই। আমার এই অক্ষমতাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

আপনার মতো ইমপ্যাশেন্ট আর আনগ্রেটফুল মানুষের জন্য হাসিনাই ঠিক আছে। প্যাদানী খাবেন আর বলবেন..........আহা চমৎকার!!!! =p~

আমার বিরাট ভুল হয়েছে যে, উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে কুত্তার পেটে যে ঘি সহ্য হয় না, এই কথাটা মনে ছিল না। মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

বিদায়!!!! B-)

২৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার ক্রেটোসের কিছু মন্তব্যের জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি। ওনার সব মন্তব্য পড়ার পরে আমার মনে হয়েছে উনি বলতে চাচ্ছেন যে আগেই তো ভালো ছিলাম। মাত্র ৮ মাসে গেলো। এখনই যদি ভাবা হয় আগেই ভালো ছিলাম সেই ক্ষেত্রে বলার কিছু নাই। ওনাদের জন্য হাসিনা আর খালেদাই ভালো।
মাত্র ৮ মাসে একটা অভ্যুত্থান/ বিপ্লব (যে নামেই ডাকা হোক না কেন) পরবর্তী সরকারের কাছে উনি বেশী আশা করছেন। ৮ মাস খুবই কম সময়। অন্তত ৩ বছর সময় না দিলে কোন সরকারকেই সমালোচনা ওরা উচিত না। ব্লগার ক্রেটোসের বিবেচনায় সেটা নাই।

উনি বর্তমান সময়ের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু হাসিনার কারণে যে এটা ঘটছে সেটা উনি বলতে চাচ্ছেন না। আওয়ামীলীগের লোক টাকা ঢেলে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই সহ হেন কোন কাজ নাই যেটা করাচ্ছে না। গত ৮ মাসে অনেক দাবি দাওয়া এবং আন্দোলনের মদদ দিয়েছে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগ এবং ভারত এই দেশকে অস্থিতিশীল করতে এগুলি করছে। ব্লগার ক্রেটোসের দোষ দেয়া উচিত আওয়ামীলীগকে। কিন্তু উনি এই ব্যাপারে সমালোচনা করছেন ডঃ ইউনুসকে। তারপরও এখন পরিস্থিতি ৩/৪ মাসের আগের চেয়ে ভালো। আমার ধারণা আগামী ৩/৪ মাসে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে।

জিনিসপত্রের দাম এই রমজানে আগের চেয়ে অনেক ভালো ছিল। আমি দেশে থাকি এবং অনেকের সাথেই এই ব্যাপারে আলাপ করেছি। এই দেশের মানুষ জীবনে প্রথম দেখলো যে রমজান মাসে জিনিস পত্রের দাম কম থাকে । গত বছরের তুলনায় বেশ কিছু জিনিসের দাম কম ছিল। একটা এতো বড় বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পরে দেশের অর্থনীতি যে ধাক্কা খাবে সেটা একটা পাগলেরও বোঝার কথা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে। এটার সাথে অনেক কিছু জড়িত। আওয়ামীলীগ ভারতকে নিয়ে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও দেশ বিরোধী কাজ কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে ডঃ ইউনুসের সরকারকে সমস্যা পড়তে হচ্ছে।

পৃথিবীর কোথাও বেকার সমস্যা কেউ ৮ মাসে সমাধান করতে পারবে না। আওয়ামীলীগের লোকজন গার্মেন্টস সেক্টরের আন্দোলনে মুখ্য ভুমিকা রেখেছে এবং উস্কানি দিয়েছে। সেটার জন্য ডঃ ইউনুসকে কেন দোষারোপ করা হবে এটা আমার মাথায় আসছে না। অনেক ব্যবসার মালিক ছিল আওয়ামীলীগের লোকজন। যে কারণে এখন সেই প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যবসা খারাপ চলছে। আমি এই ধরণের কয়েকটা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানি। গত সাড়ে ১৫ বছরে ব্যবসায়ীদের বড় অংশ ছিল আওয়ামীলীগপন্থী। তাই ধাক্কা তো একটা লাগার কথাই ছিল।

বর্তমান পৃথিবীতে মোদীর চেয়ে বেশী প্রভাবশালী মানুষ হলেন ডঃ ইউনুস। বহির্বিশ্বে মোদীর বন্ধুর পাশাপাশি প্রভাবশালী শত্রু এবং প্রতিযোগী আছে। কিন্তু ডঃ ইউনুসের শুধু বন্ধু আর শুভাকাঙ্ক্ষী আছে। মোদী সাহেব কূটনীতিতে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ তার সরকার বলছিল যে এই ইউনুস সরকারের সাথে তারা কোন কথা বলবে না। কিন্তু তারা সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। বাংলাদেশের জন্য এটা একটা কূটনৈতিক বিজয়। মোদীর সাথে ডঃ ইউনুস বৈঠক না করলেও ডঃ ইউনুস বা বাংলাদেশের কিছুই যাবে আসবে না। তারপরও ডঃ ইউনুস ভদ্রলোক মানুষ বলে বিদ্বেষপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতিতে যাননি।

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে কি না সেটা এখনও অনিশ্চিত। তবে কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। হাসিনার সময়ে মিয়ানমারের কোন পক্ষের সাথে আলাপ করার মতই কোন পরিবেশ ছিল না।

ডঃ ইউনুসকে উনি চাপাবাজ বলেছেন। উনি বিশ্বের বড় বড় নেতাদের চেয়েও অনেক বুদ্ধিমান। কারণ বিশ্বের বড় বড় নেতাদের কেউই এখনও পর্যন্ত বুঝতে পারেননি যে ডঃ ইউনুস একজন চাপাবাজ।

হোটেলে খাবারের ব্যাপারে তার যুক্তিগুলি হাস্যকর। কারণ উনি স্বাস্থ্যগত বিবেচনার ক্ষেত্রে ফুটপাতের খাবারের দোকানকে ফাইভ স্টারের পর্যায়ে ভাবছেন। ফাইভ স্টারে ভেজাল খাবার পরিবেশন হতে পারে এই সন্দেহে কেউ গিয়ে ফুটপাতে খাবে এই ধরণের কথা কোন যৌক্তিক কথা না। ফুটপাতের খাবারে ভেজাল হওয়ার সম্ভবনা যে অনেক বেশী এটা আমরা সবাই জানি। আপনার ফাইভ স্টার নিয়ে এই উপমার মধ্যে উনি আবার শো অফের কি দেখলেন সেটা বুঝলাম না।

এই মুহূর্তে ডঃ ইউনুসের চেয়ে বেশী যোগ্য কে আছেন যাকে এখন ক্ষমতায় দেয়া যায়। ডঃ ইউনুস মোটেই কানা মামা না। ওনার মধ্যে সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে বলেই সাধারণ জনগণ তাকে পছন্দ করছে। দলীয় লোক ছাড়া তার বিরুদ্ধে কেউ কোন কিছু বলছে না। ৮ মাসে উনি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেড়েছেন। এই সরকার সাধারণ জনগণের আন্দোলনের ফসল। এই সরকারকে অনির্বাচিত বলে ছোট করার কিছু নাই।
ডঃ ইউনুস কোন কিছুই চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন না। যে কারণে সংস্কারের ব্যাপারে একটু ধীরে চলছেন। এই দেশের জনগণের এক অংশ বলছে সংস্কার দরকার আবার আরেক অংশ বলছে দরকার নাই। ডঃ ইউনুস রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্যকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। সমস্যা হল দলগুলি সংস্কারের ব্যাপারে বিভিন্ন মতে বিভক্ত। এই কারণেও ডঃ ইউনুস সংস্কারের ব্যাপারে তড়িঘড়ি করছেন না।

জেনারেল জিয়া সামরিক কায়দায় অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ওনার সময় প্রথম দুই এক বছর রাতে কারফিউ থাকতো। ডঃ ইউনুস তো সামরিক লোক না। উনি একই স্টাইলে দেশ চালাবেন না এটাই স্বাভাবিক। জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক দল ছিল। ডঃ ইউনুসের সেটা নাই। জিয়া অনেক কিছু জোর করে করেছেন, কোন কিছুর তোয়াক্কা করেননি। প্রেসিডেন্ট জিয়ার সময় এবং পরিস্থিতির সাথে ডঃ ইউনুসের সময় এবং পরিস্থিতির তুলনা হয় না। জিয়া প্রথমে অস্থায়ীভাবে এলেও পরে দীর্ঘ সময় থেকেছেন । ডঃ ইউনুসের সরকার তো দীর্ঘ সময়ের সরকার না, যদি না ভবিষ্যতে দেশের জনগণ এই ব্যাপারে কোন পরিবর্তন আশা করে।

ব্লগার ক্রেটোস সংক্ষিপ্ত সময়ের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে থেকে একটু বেশীই আশা করছেন। বিচার বিভাগের সংস্কার করা অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব না যদি না এই সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এই কারণেই অনেকেই চাচ্ছে যে ডঃ ইউনুস আরেকটু বেশী সময় থেকে যেন প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলি করতে পারেন।

মাত্র ৮ মাসে উনি উপসংহারে এসেছেন যে ডঃ ইউনুসের সরকার ব্যর্থ। আসলে এই বিপ্লবের পরে ৮ মাস সময় খুব কম সময়। যে ভাবে আওয়ামীলীগ আর ভারত বাংলাদেশের পিছে লেগেছে সেই তুলনায় ডঃ ইউনুস ভালো করছেন। আমার ধারণা আগামী কয়েক মাসে আরও কিছু উন্নতি আমরা দেখবো। ব্লগার ক্রেটোসকে বলবো উনি যেন কোন একজন ব্যক্তির নাম করেন যিনি ক্ষমতায় এলে ফেল না করে পাশ করবে।

উনি মনে হয় বলতে চাচ্ছেন যে জুলাই বিপ্লবটা দেশের আইন কানুন মেনে এবং সংবিধান মেনে করা উচিত ছিল। ওনাকে জিজ্ঞেস করেন যে পৃথিবীর কোথায় অভ্যুত্থান বা বিপ্লব আইন কানুন এবং সংবিধান মেনে হয়েছিল। এই ধরণের কথা সুশীলরা বলে থাকে। কোন বড় পরিবর্তন আনতে গেলে নিয়ম মানা যায় না। পাকিস্তানীরা আমাদেরকে এবং বঙ্গবন্ধুকে গাদ্দার বলতো। ১৯৭১ সালের যুদ্ধ পাকিস্তানের কাছে গাদ্দারি। ব্লগার ক্রেটোসের মত সুশীলগিরি করতে গেলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হত না।

পুলিশের কর্ম তৎপরতা প্রায় আগের মত হয়ে গেছে। আশা করা যায় আর ৬ মাসের মধ্যে পুলিশ আরও বেশী সক্রিয় হবে। সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব ডঃ ইউনুসের হাতে নাই। এটা আছে জেনারেল ওয়াকারের হাতে। ডঃ ইউনুস সেনাবাহিনীর উপরে কোন হস্তক্ষেপ করছেন না। উনি আরেকটু সময় নিতে চাচ্ছেন সম্ভবত। তাছাড়া সেনাবাহিনীর বড় বড় জেনারেলরা এখনও আওয়ামীলীগ এবং ভারতের আজ্ঞাবহ। ব্লগার ক্রেটোস যতটা সহজ ভাবছেন ব্যাপারটা তত সহজ না। ডঃ ইউনুস ধীরে আগাচ্ছেন সার্বিকভাবে অনেক কিছু বিবেচনা করে।

উনি আশা করছেন ৮ মাসে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর এবং সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। এগুলি অবাস্তব চিন্তা। আসলে মাত্র ৮ মাসের মাথায় ডঃ ইউনুসের সরকারকে ব্যর্থ বলাটা অযৌক্তিক। কমপক্ষে ২ থেকে ৩ বছর না গেলে কম উপসংহারে আসা ঠিক না।

এরশাদকে উনি একজন ভালো নেতা মনে করছেন। সেটা থেকেই ওনার চিন্তা ধারার গভীরতা সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

আপনি ব্যস্ত থাকেন। তাই আমার মন্তব্যের উত্তর দিতে তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার ব্যস্ততার ব্যাপারটা আমার মাথায় আছে।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই উজবুকটার পিছনে যেইটুকু সময় নষ্ট করলাম, পুরাটাই বৃথা গেল। এই সময়টা অফিসের কাজে লাগাইলে আমার অনেক উপকার হইতো। আপনের জন্য কিছুটা স্যরি ফিলিংস হচ্ছে; তবে আপনের যেহেতু টাইপিং সমস্যা নাই.........তাই খুব একটা ক্ষতি হয় নাই!!!!! :P

বাদ দ্যান। এইসব মাল্টিদের কামই হইলো ত্যানা প্যাচানো। এতো ত্যানা এরা কই যে পায়, আল্লাহ পাকই জানে!!!! B:-)

২৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১১:০১

ক্রেটোস বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর,

আরে আপনি রাম ছাগল আবার কোত্থেকে ম্যাঁ ম্যাঁ করতে চলে এলেন । প্রধান ছাগলই তো যথেষ্ট ছিল আপনি আবার কেন এলেন ?

আপনি আমাকে বলছেন আমি বোঝাচ্ছি আগে ভালো ছিলাম ? এত মিথ্যা কথা অবলীলায় কী করে বলতে পারেন সাড়ে চুয়াত্তর ? নিজেকে ইসলাম পালনকারী বলে পরিচয় করান। কিন্তু শয়তানি তো হাড়ে হাড়ে বজায় রেখেছেন!

এই আপনি নিজেই গত বছর হাসিনা সরকারের নিকৃষ্ট শিক্ষানীতি নিয়ে সুনাম করেছিলেন । হাসিনার সরকার অর্থনীতির দিক দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই নিয়ে একটা পোস্টও করেছিলেন । আপনার মত পল্টিবাজের ব্যাখ্যা পড়বার ইচ্ছে আমার নেই ।

আপনি আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজের দিকে নজর দিন । লজ্জা যদি থাকে তো পল্টিবাজি ছেড়ে এক পথে থাকুন ।

আর হ্যাঁ আমি জানি আপনি যেভাবেই হোক আমাকে হাসিনা পন্থি হিসেবে চালিয়ে দিতে চেষ্টা করবেন। তবে জেনে রাখুন সেই চেষ্টা করে লাভ নেই । আমার কোন মন্তব্যে এটা প্রকাশ পায় না আমি হাসিনার গুণগান করছি । তবে আপনি যে করেছেন তার প্রমাণ আছে আপনার ব্লগে। আপনি এরপর আমাকে আক্রমণ করবার জন্য নিশ্চয়ই ছাগলামি মার্কা আরেকটা পোস্ট করবেন। করতে পারেন আরও কতক ছাগলকে উত্তেজিত করতে পারবেন সমস্যা নেই এতে ব্লগেরই লাভ।

আরেকটি কথা দয়া করে কুরবানি ঈদ পর্যন্ত ম্যাঁ ম্যাঁ করা বন্ধ করুন । কারণ ভুয়া মফিজ ছাগল কুরবানি দিবে বলে ঠিক করেছেন । বলা তো যায় না উনি যদি আপনাকেই খোদা খাসি হিসেবে বেছে নিতে পারেন । অবশ্য আপনি সেটারও যোগ্য নন ।

যাইহোক, শুভরাত্রি পল্টিবাজ, ধান্দাবাজ ছাগল। পুরো রাতটা মনে হয় লাফালাফি করেই কাটবে আপনাদের !

১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিদায় গাছ-বলদ সাহেব!!! এখন গাছে চইড়া বইসা থাকেন!!!! :P

২৯| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার ক্রেটোস -
আপনি যুক্তি উপস্থাপন না করে আমাকে গালাগালি করেছেন। এটার দ্বারা বোঝা যায় যে আপনি মানসিকভাবে অপরিপক্ব এবং অল্পতে রেগে যান। আমি আমার দীর্ঘ মন্তব্যে আপনাকে গালিগালাজ করিনি। আপনার উচিত ছিল আমার যুক্তিগুলি খণ্ডন করার চেষ্টা করা। অনেক মানুষ তর্কে না পারলে গালি দেয়। আপনাকে আমি গালিগালাজ বাদ দিয়ে বিতর্কে আহবান জানাচ্ছি। সেটা পারবেন বলে মনে হয় না।

আপনি বলেছেন যে আমি অতীতে হাসিনা সরকারের শিক্ষানীতি নিয়ে সুনাম করেছি। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে আমার পোস্টের নামই ছিল ‘নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রমের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বিষয় সমুহ (৫ ডিসেম্বর, ২০২৩)’। অর্থাৎ এই পোস্টে এই শিক্ষাক্রমের ভালো এবং খারাপ দুই দিক নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। আমি শুরুতেই এই শিক্ষাক্রমের ৩ টা নেতিবাচক দিক তুলে ধরেছিলাম। তারপরে ৬ টা ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছি। এক তরফাভাবে শুধু সুনাম করিনি। ঐ পোস্টে আমার মন্তব্যগুলি দেখলেও বুঝবেন যে আমি এই শিক্ষাক্রমের অনেক সমালোচনাও করেছি। পোস্টের শেষের প্যারাগ্রাফে আমি লিখেছি ‘এই শিক্ষাক্রমের ভালো খারাপ দুইটাই আছে। খারাপগুলি সংশোধনেরও সুযোগ আছে। কিন্ত আমরা কোন বড় পরিবর্তন আসলে মানতে চাই না। আশা করি সরকার এই শিক্ষাক্রমের ত্রুটিগুলি সংশোধন করবে, মানুষের আর্থিক সামর্থ্যের ব্যাপারটা নিয়ে ভাববে এবং মূল লেখাপড়ার মান যেন কমে না যায় সেটা নিশ্চিত করবে।

আপনি বরং এক তরফাভাবে এমনভাবে বলছেন যে মনে হচ্ছে আমি শুধু সুনামই করেছি। আমার কুৎসা রটনার জন্য এটা আপনার এক ধরণের চালাকি।

অতীতে হাসিনার সরকারকে ক্রেডিট দিয়ে আমি কোন পোস্ট দেই নাই যেটা থেকে কেউ মনে করতে পারে যে আমি হাসিনার সরকারের উন্নয়ননীতির এক তরফা প্রশংসা করেছি। আমার একটা পোস্টে (যতই অবজ্ঞা কর বাংলাদেশকে, এই দেশের সুদিন নিকটবর্তী। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না – ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪) আমি বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। আমি এখনও আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এই পোস্ট থেকে কারও মনে করা উচিত না যে আমি আওয়ামীলীগ সরকারের প্রশংসা করেছি। যদিও এই কথা স্বীকার করতেই হবে যে অন্যান্য সরকারগুলির মতই আওয়ামীলীগ সরকারের কিছু কিছু নীতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করেছে। যে কারণে আমার পোস্টে আশাবাদ যেমন ছিল তেমনি কিছু সতর্কতামুলক কথা ছিল। যেমন আমি বলেছিলাম যে ‘এই সাফল্য আরও আগেই অর্জন সম্ভব যদি দুর্নীতি কমানো যায় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা যায়।

মূল বিষয় হল আমি বলতে চেয়েছি যে, এই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের ভুমিকা আছে। দেশের মানুষ তাদের প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা সরকারেরও কিছু ভুমিকা থাকে। হাসিনা সরকারের কোন ভুমিকা ছিল না এটা বলা ভুল হবে। আমার পোস্ট কোন দলের জন্য ছিল না। আমি বাংলাদেশের জনগণের প্রচেষ্টার মধ্যে একটা সম্ভবনা দেখি। সেটাই সেই পোস্টে বলেছি। এখনও আমি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী। সরকারে যেই থাকুক না কেন। আপনি চালাকি করে আমার পোস্টকে আওয়ামীলীগের তোষণকারী পোস্ট বানিয়ে দিয়েছেন। কারণ আপনার মাথা গরম এবং আপনি যুক্তি প্রদর্শনে দুর্বল।

আমি আওয়ামীলীগের প্রশংসা করে কোন পোস্ট কখনও দেইনি। যেমন আমার আরেকটা পোস্ট আছে ‘আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে যা করতাম ( ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩)’। এই পোস্টের শেষের দিকে আমি বলেছি ‘আসলে ঘুরে ফিরে চিন্তা করলে দেখা যায় আমাদের মূল সমস্যা দুর্নীতি, অযোগ্য নেতা, সুশাসনের অভাব এবং দুর্বল গণতন্ত্র চর্চা, মেধাহীন এবং লোভী আমলার সংখ্যা গরিষ্ঠতা, অদূরদর্শি পরিকল্পনা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞানে পিছিয়ে থাকা। আমরা হয়তো এই দেশকে উন্নত দেখে যেতে পারবো না। তবে এখন থেকে ৫০ বছর পরে এই দেশের মাথপিছু আয় হবে অন্তত ৩০,০০০ ডলার। তখন রাজনীতিবিদরা এই দেশের সাধারণ মানুষকে বোকা বানাতে পারবে না। মানুষ তখন নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই গড়তে পারবে। তবে দুর্নীতি তখনও যদি থাকে তাহলে মানুষের করের টাকা নিয়ে লুটপাট চলতেই থাকবে। তবে এই জাতি ২০ বছর পরেই অনেক সাফল্য অর্জন করবে এই দেশের গরীব মানুষের প্রচেষ্টার কারণে। সেখানে সরকারের অবদান খুব বেশী থাকবে না। সরকারের লোকেরা সৎ হলে আরও ২৫ বছর আগেই এই দেশ আরও ভালো অবস্থানে থাকতো। ‘ আওয়ামীলীগকে তোষণ করলে এতো সমালোচনা করতাম না। আশা করি আপনি বুঝতে পেড়েছেন।

আমি যে আগে থেকেই আওয়ামীলীগের সমালোচক এটার প্রমাণ হল আমার আরেকটা পোস্ট ‘কোন মুক্তিযোদ্ধার সমালোচনা করলে কি রাজাকার বলা হবে সমালোচনাকারীকে?’ (৩ আগস্ট, ২০২৪) এই পোস্টের শুরুর দিকে আমি লিখেছি ‘বঙ্গবন্ধু যে কুখ্যাত রক্ষীবাহিনী গঠন করেছিলেন তার অধিকাংশ সদস্য ছিল মুক্তিযোদ্ধা। রক্ষীবাহিনীর কুকর্ম ঐ সময়ে সর্বজন বিদিত ছিল। ‘ আমি আওয়ামীলীগকে তোষণ করলে এই বাক্য দুটি নিশ্চয়ই লিখতাম না।

আপনি যে মাথা গরম করে মন্তব্য করছেন সেটা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পাড়ছেন। আপনি প্রমাণ করতে চাচ্ছেন যে আমি পলটি দিয়েছি। বিভিন্ন লোকের পোস্টে মন্তব্যের মাধ্যমে আওয়ামীলীগের সমালোচনা আমি করেছি ৫ আগস্টের আগে। তবে তখন স্বাধীনভাবে লেখা ঝুকিপূর্ণ ছিল তাই কম লিখতাম। এখন বেশী লিখি।

ব্লগটা হল বিতর্কের জায়গা। যদি ভালো ভাবে বিতর্ক করতে চান করতে পারেন। আমি উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। গালিগালাজ করে নিজেকে ছোট করবেন না। গালি দিলে আমার কিছুই হবে না। তাই চাইলে আরও দিয়ে দেখতে পারেন। আপনার বালখিল্য মন্তব্য আমাকে প্রভাবিত করবে না।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আক্রমনাত্মক যে কোনও ধরনের মন্তব্য পরিহার করতে হবে। যুক্তিনির্ভর আলোচনার কোন বিকল্প নাই। তবে আক্রমণ করলে পাল্টা আক্রমণ করা দোষের কিছু না। :)

৩০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ৯:০৯

রোবোট বলেছেন: যেহেতু জনগণ নির্বাচন না করার জন্য এত রক্ত দিয়েছে, আগামী পনের বছরের জন্য নির্বাচন নিষিদ্ধ হোক। যারা এর বিরোধিতা করবে তারা সব ফ্যাসিবাদের দালাল, যেমন মির্জা ফখরুল, তারেক রহমান, জাতিসংঘ।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ২:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এমন একটা যুগান্তকারী মন্তব্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন!!! :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.