নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]
অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ কারণে তাদের জন্যই মূলত এ লেখা। এটি আমার একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। ট্রান্সজেন্ডার চারটি জিনিসের একটি। এর মূল হলো এলজিবিটি। সম্প্রতি আরেকটি অক্ষর যুক্ত হয়েছে। তা হলো কিউ। এল এর পূর্ণ রূপ লেসিবিয়ান। নারী নারীর সাথে যৌন কাজ করলে সেটা লেসবিয়ান। জি এর পূর্ণ রূপ গে। পুরুষ পুরুষের সাথে এ ধরণের সম্পর্কে লিপ্ত হলে তারা গে। বি তে বাই সেক্সুয়াল। এরা নারী পুরুষ উভয়ের সাথেই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। আর টিতে হলো ট্রান্স জেন্ডার। এরা অপারেশনের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ ও পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়। আর কিউ হলো কোয়েশ্চেনিং। সমাজে যাদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এই এলজিবিটির পূর্ণ মানে দাড়ায়-নারী ও পুরুষ সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী।
এ বিষয় নিয়ে কথা বলার আগে আমার অবস্থানটা আগে পরিস্কার করি। আমি সাধারণত সংখ্যালঘুর পক্ষে থাকি। দুর্বলের পক্ষে থাকি। ফুটবল খেলায় যদি কোন দলকে না চিনি, তবে যারা দুর্বল তাদের পক্ষ নেই। সমর্থন দেই। সাংবাদিকতা করেছি বলে এরকম একটা মাইন্ড সেট তৈরি হয়েছে। ফিলিস্তিনের গাজা ইস্যুতে দেখতে পাবেন, ইহুদীরাও গাজার গণহত্যার বিরোধীতা করছে। তাদের শ্লোগান হলো- ডোন্ট কিল ইন মাই নেইম। ইহুদীদের নামে গণহত্যায় তারা বিক্ষু্ব্ধ হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য সুইেডনে প্রথম লিভে প্যালেস্টিনা গানটি গাওয়া হয়। পরবর্তীতে এই গানটি পুরা ইউরোপ আমেরিকার রাজপথ কাপাচ্ছে। এই মিছিলে মুসলমানের চেয়ে অমুসলিমদের সংখ্যা বেশি। তারা মুসলমানকে ভালোবেসে যে রাস্তায় নেমেছেন তা ভাবার কোন কারণ নেই। এরা বেশির ভাগ প্রথাবিরোধী মানুষ। তাদের ভিত্তি এটাই যে দুর্বলের পক্ষে দাড়াতে হবে। দেখবেন লেখক সাহিত্যিক শিল্পী সবাই মজলুমের পক্ষে থাকে। আপনি নিজেকে কতটুকু মানুষ দাবি করবেন তা কোনো বিষয়ে নিজের অবস্থানের ভিত্তিতে ধরে নিতে পারেন। সংখ্যাগরিষ্ঠরা শক্তিশালী হয়। কম সংখ্যকরা দূর্বল হয়। আমি দুর্বলের প্রতি পক্ষপাত। এই দুর্বল শুধু ধর্মীয় না; সামাজিক বা অর্থনৈতিকও। এ কারণেই আমি ভারতের মুসলমানদের পক্ষে কথা বলি। আর বাংলাদেশে হিন্দুদের পক্ষে কথা বলি। আমি অনেকাংশে প্রথাবিরোধি মানুষ।
এত কথা বলার উদ্দেশ্য কী! এবার পরিস্কার করি। এদেশে এলজিবিটি হাতে গোণা। নগন্য৷ বাংলাদেশের এরা এলজিবিটি কী-না;তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। কারণ বলা হয়-বাঙালিদের মধ্যে ট্যাবুর পরিমাণ এত বেশি যে, তারা খালেস নাস্তিকও হতে পারেনা। এলজিবিটির প্রতি আমার ব্যক্তিগত কোন বিদ্বেষ নেই। তারা সমাজে রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। তবে আমার মনে হয়, লেসবিয়ান, গে আর বাই সেক্সুয়ালিটি একটা মানসিক সমস্যা। ভালো সাইকোলজিক্যাল থেরাপি দিলে এদের ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। তবে যারা চিকিৎসা উদ্ভাবন করবেন- তারা এটিকে উৎসাহিত করছে। ফলে এর চিকিৎসা ব্যবস্থা অনাবিস্কৃত রয়ে গেছে। যারা এর বিরোধীতা করেন- তার উদ্ভাবন তো দূরের কথা এরা উদ্ভাবনের উচ্ছিষ্টভোগী। তবে আমরা যাকে হিজড়া বলি তাদের সম্পর্কে ইসলামে একটি নীতি রয়েছে। কারো শরীরে নারীর চিহ্ন বেশি থাকলে তিনি নারীর মতো জীবন যাপন করবেন। আর পুরুষের চিহ্ণ বেশি থাকলে তিনি পুরুষ হিসেবে জীবন যাপন করবেন। কোরআনে এসেছে, “তাগিরু খালকিল্লাহ” আল্লাহর সৃষ্টিকে বিকৃত করার কোন সুযোগ নাই। তবে কোন ব্যক্তির শরীর বেশিরভাগ নারীর মতো দেখতে হলে সে হরমোন প্রতিস্থাপন বা সাপ্লিমেন্ট করে নারী হতে চাইলে এক্ষেত্রে ইসলামি ধর্মবেত্তারা উদার হতে পারেন। তবে সম্পূর্ণ পুরুষ মানুষ অপারেশন করিয়ে নারী সাজবে ইসলামে এর কোন সুযোগ নাই। এদের সংখ্যা লঘু হিসেবে আমি বিবেচনা করিনা। প্রথাবিরোধী হয়েও এদের পক্ষ নিতে পারছিনা। দুঃখিত। তবে মানসিক রোগী বা সেক্স প্রতিবন্ধী হিসেবে তাদের প্রতি আমার সহানুভূতি রয়েছে।
যাই হোক যেভাবে প্রতিযোগীতামূলক আর ব্যক্তি কেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে; তাতে কে ট্রান্সজেন্ডার হলো- কে গে বা লিসিবিয়ান আর কে রূপান্তরকামী তা নিয়ে মানুষের মাথা ঘামানোর সময় নেই। উচিতও নয়। এদেরকে কেউ আক্রমণও করেনা। যার যার রুচি নিয়ে সে বসবাস করবে। একজন পুরুষ অস্ত্রোপচার করে নারী হতেই পারেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আল্লাহ আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করবেননা- কেন অমুকে পুরুষ থেকে নারী হলো। তবে সমস্যাটা তখনি দাড়ায়, যখন এটাকে মহৎ একটি কাজ দেখিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। এদেশে এরা মজলুম নয়। যে ব্যক্তি অস্ত্রোপচার করে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন, এই সমাজে তার এমন কী অবদান! তার জন্য একটি পত্রিকায় এত জায়গা বরাদ্দ করে বড় করে ফিচার লিখতে হবে কেন! এ দেশে এর চেয়ে বড় বড় সমস্যা রয়েছে। দারিদ্রতা দূর করা যায়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থার করুন হাল। সরকারি সেবা পেতে কী যে লাগে তা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারেন। এদেশে নারীরা রাতের বেলায় একা রাস্তায় হেটে যেতে পারেনা। তাছাড়া এই সমাজে আড়ালে আবডালে চিরদিনই এসব ছিল। এমন আড়ালের জিনিসটা বের করে তাকে মহান হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে কেন? বুঝাই যাচ্ছে এর পেছনে সুদূরপ্রাসারী কোন চক্রান্ত রয়েছে। সমাজকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চলছে। উন্নত দেশেও তাদের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ দেখেছি। তারাও বিষয়টা মেনে নেয়না। অথচ এদেশে এলজিবিটি গ্রহণযোগ্য করার জন্য টোপ ফেলা হচ্ছে। আবারো বলছি, যারা এলজিবিটি এরা সাধারণ কোন জীব না। আামাকে দিয়ে সম্ভব নয়। তার মানে তারা হয় অস্বাভাবিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ, না হয় জীনগত সমস্যা। এরা থাকুক এদের মতো। তবে এজিবিটি নিয়ে যেসব গণমাধ্যম প্রচার প্রচারণা চালায়- তাদেরকে আমার এলজিবিটির অতি নিম্নমানের অরুচিকর কাস্টমার বলেই মনে হয়। এসব পত্র পত্রিকা থেকে সতর্ক থাকা উচিত। এদের বর্জন করা উচিত।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
যে যার মতো ভালো থাকুক। দেশে এলজিবিটিকিউ কোন ধরণের সমস্যা নয়। কেউ এলজিবিটি বলে মারেও নাই। হামলার ঘটনাও নেই। অথচ এমনভাবে প্রচার হচ্ছে যেন এটা ঘরে ঘরে। এর চেয়ে অটিজম নিয়ে বেশি প্রচারণা হওয়া দরকার। এটি এখন ঘরে ঘরে দেখা যাচ্ছে।
এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক।
২| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
কামাল১৮ বলেছেন: এটা মানসিক সমস্যা নয়।বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে এটা জীনগত সমস্যা।সমাজে কারো ক্ষতি না করলে যে যার মতো চলার সাধীনতা রাখে।জাতিসংঙ্গ এটাকে স্বীকৃতি দেয়।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেসবিয়ান, গে ও বাই সেক্সুয়ালিটিকে মানসিক সমস্যা বলেছি। ট্রান্সজেন্ডারকে মানসিক সমস্যা বলিনি। দয়া করে আরেকবার পড়ে দেখুন। লেসবিয়ান, গে ও বাই সেক্সুয়াল যারা তাদের জীনগত কী ব্যাপার থাকতে পারে বলেন! তবে হ্যাঁ. ট্রান্সজেন্ডার ভিন্ন ইস্যু। সেটাকে মানসিক রোগ বলি নাই। সেটা অবশ্যই জীনগত সমস্যা।
৩| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
দেশে এসব এলজিবিটিকিউ বালাই নেই।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৪| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪১
রানার ব্লগ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: এটা মানসিক সমস্যা নয়।বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে এটা জীনগত সমস্যা।সমাজে কারো ক্ষতি না করলে যে যার মতো চলার সাধীনতা রাখে।জাতিসংঙ্গ এটাকে স্বীকৃতি দেয়।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৪০
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেসবিয়ান, গে ও বাই সেক্সুয়ালিটিকে মানসিক সমস্যা বলেছি। ট্রান্সজেন্ডারকে মানসিক সমস্যা বলিনি। দয়া করে আরেকবার পড়ে দেখুন। লেসবিয়ান, গে ও বাই সেক্সুয়াল যারা তাদের জীনগত কী ব্যাপার থাকতে পারে বলেন! তবে হ্যাঁ. ট্রান্সজেন্ডার ভিন্ন ইস্যু। সেটাকে মানসিক রোগ বলি নাই। সেটা অবশ্যই জীনগত সমস্যা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৫| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯
নতুন বলেছেন: নারী পুরুষ দেখতে আলাদা বা মানুষিক ভাবে আলাদা হলেও আসলে শারিরিক গঠনের দিক থেকে একই।
ভ্রুন থেকে ১০ সপ্তাহ পযন্ত নারী বা পুরুষ আলাদা করা যায় না। ১১ সপ্তাহের পর থেকে নারী বা পুরুষের গঠন শুরু হয়।
এই কাজটা করে বিভিন্ন ক্যামিক্যাল এবং হরমন। যদি শরির পুরুষের মতন গঠিত হলো এবং মন নারীর মতন তবে তার যৌনতার পছন্দ নারীর মতন হতেই পারে।
একটা বাস অথবা ট্রাকের গাড়ীর চ্যাসিস মুলক একই রকমরে। কিন্তু কাজ আলাদা করে, দেখতে আলাদা,
মানুষ যেমন বা হাতী হয়। সবই ঠিক কিন্তু ব্রেনের একটু ডান/বামের কারনে একজন বা হাতে সক্রিয়। তেমনি এটাও মানুষের মন থেকে ই হয়।
আপনি নিজেকে দিয়েই একটা পরিক্ষা করতে পারবেন।
আপনি যদি ১০০% স্ট্রোইট হন তবে গে পর্ন দেখলে আপনি উত্তেজনা বোধ করবেনা না বরং আপনি ঘৃনায় বরং শিথিল হয়ে যাবেন। আপনার মুডই চলে যাবে।
মানুষের গায়ের রং যেমন স্পেকট্রাম খুবই সাদা থেকে খুবই কাল। তেমনি যৌনতার পছন্দও একটা স্পেকট্রাম। ১০০% স্ট্রাইট থেকে ১০০% গ্র এমন কি কিছু মানুষ ১০০% এসেক্সুচায়াল তারা কোন যৌন অনুভুতি অনুভব করেনা।
এইসব জটিল বিষয়গুলি ওয়াজশুনে ধর্মানুভিতি প্রাপ্ত জনগনের মাথায় ঢুকবেনা। এরা ভিন্নমত পছন্দ করেনা এবং বিজ্ঞান সপ্র্কমে জানতে আগ্রহী না।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: লেসবিয়ান, গে, বাই সেক্সুয়ালিটির চিকিৎসা সম্ভব বলে আমার কাছে মনে হয়। এসবের চিকিৎসা আবিস্কার সম্ভব। এই তিনটি যতটা না জীনগত তারচেয়ে বশি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত। দেশের একটা অঞ্চলে গে খুব জনপ্রিয়। কওমি মাদরাসায়ও এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে বলে কানাকানি আছে। এটা আসলে সেক্সুয়াললি ডিপ্রাইভড থাকার কারণে। তবে ট্রান্সজেন্ডার ভিন্ন ইস্যু।
ধন্যবাদ আপনাকে। বিষয়টি সুন্দর করে বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যাখা করেছেন।
৬| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:০২
অধীতি বলেছেন: ভালো বলেছেন।
১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক।
৭| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেসবিয়ান, গে, বাই সেক্সুয়ালিটির চিকিৎসা সম্ভব বলে আমার কাছে মনে হয়। এসবের চিকিৎসা আবিস্কার সম্ভব। এই তিনটি যতটা না জীনগত তারচেয়ে বশি সামাজিক সাংস্কৃতিক ও পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত।
যারা বা হাতি তাদেরও কি চিকিতসা সম্ভব বলে আপনার মনে হয়?
উপরের ছবিতে দেখুন কিছু মানুষ ১০০% স্ট্রেইট কিছু ১০০% গে মাঝামাঝি যারা আছে তারা যদি সুযোগ পায় তবে বাই হবে।
তাই সমাজের গে/লেসবিয়ানরা কিছু মানুষকে প্রভাবিত করতে পারবে।
কিন্তু এটা মানুষের প্রকৃতিগত সমস্যা। যদি কারুর দোষ দিতেই হয় তবে সেটা সৃস্টিকর্তার দোষ। কারন তার সৃস্টির প্রকৃিয়াতেই গন্ডগল হয়েছে। তার সাজা মানুষকে দেওয়া উচিত না।
বিদেশে কারুর যৌন পছন্দের উপরে তাকে খারাপ জানেনা। তারা ১০ জন সাধারন মানুষের মতনই জীবন জাপন করে।
আমাদের দেশেও মানুষকে ঘৃনা না করে তাদের সাভাবিক জীবন জাপন করতে দেওয়া উচিত।
১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: নেক্রোফিলিয়া, পেডোফিলিয়া, এক্সিবিশনিজম, ফ্রটারিজম, সেক্সুয়াল স্যাডিজম এসব সাইক্রিয়াটিক সমস্যা। এদেশে ওহাবী মাদরাসায় যে গে কর্মকান্ড চলে তা মোটেও জীনগত নয়। সেক্সুয়াল ডিপ্রাইভেশনে এসব করে থাকে। এদের অনেকের উপরোক্ত মানসিক সমস্যা থাকে।
"আমাদের দেশেও মানুষকে ঘৃনা না করে তাদের সাভাবিক জীবন জাপন করতে দেওয়া উচিত।" লেখায় সেটাই মূল ম্যাসেজ। তবে এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক। এ দেশে এটা বড় কোনো সমস্যা নয়।
৮| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: লেসবিয়ান, গে, বাই সেক্সুয়ালিটির চিকিৎসা সম্ভব বলে আমার কাছে মনে হয়। এসবের চিকিৎসা আবিস্কার সম্ভব।
আপনার সমস্যাটা কি? লেসবিয়ান, গে, বাই সেক্সুয়াল হিজড়া কে কিভাবে চলবে সেটা সম্পুর্ন তাদের নিজস্ব ব্যাপার। চিটাগাং সহ সারা বিশ্বে তারা তাদের নিজেদের মত জীবন জাপন করছে। আপনি তাদের চিকিৎসা করার কে?
১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: তা ঠিক বলেছেন বটে!
আমার কোনো সমস্যা নাই। তবে এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক বলে মনে হয়।
৯| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
নতুন বলেছেন: এদেশে ওহাবী মাদরাসায় যে গে কর্মকান্ড চলে তা মোটেও জীনগত নয়। সেক্সুয়াল ডিপ্রাইভেশনে এসব করে থাকে।
এইটা কি বলেন।
এরা তো এইটা স্বীকার করেনা। সমস্যা স্বীকার না করলে সমাধান সম্ভবনা।
দেশে হাজারো সমস্যা আছে। আমাদের দেশের ধর্মব্যবসায়ীরা এই সব টপিক নিয়ে মাঠ গরম রাখে যাতে তারা ভাইরাল থাকে এবং করে কেটে খেতে পারে।
এনজিওরাও কিছু করে কেটে খেতেই এমন প্রচালনা করে।
১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:২৫
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এনজিওরাও কিছু করে কেটে খেতেই এমন প্রচালনা করে।
এটাই আসল কথা। ফান্ড তো এসব হাবিজাবি প্রচালনার জন্য পায়। রাস্তায় পড়ে থাকা মানুষের জন্য এদের কোনো ফান্ড নেই।
১০| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সবার আগে বিষয়টি নিজেকে দিয়ে বিচার করি, যেমন- ধরি আমি এমন একটি দ্বীপে বাস করি যে দ্বীপের সবাই গে বা পুরুষে পুরুষে সেক্স করে, নারী-পুরুষ সেক্স যেখানে গর্হিত অপরাধ যাকে বলে একদম বাইবেল বিরুদ্ধ। কিন্তু উক্ত দ্বীপে একমাত্র আমিই ভিন্ন বা আমি ১০০% স্ট্রেই পুরুষ, আমার শুধু নারীদের প্রতিই আকর্ষণ, পুরুষের সাথে সেক্স আমার কাছে খুবই জঘন্য বলে মনে হয়, তাই আমি রাতের বেলা চুপি চুপি নারীদের সাথেই সেক্স করিয়া বেড়াই।
এভাবে চুপি চুপি নারীদের সাথে আমার সখ্যতা দেখে দ্বীপের পুরুষগণ আমার দিকে অভিযোগের তীর ছুড়লো- তুমি কত খারাপ, নারীদের সাথে কেউ সেক্স করে? তুমি পুরুষ মানুষ পুরুষের সাথে সেক্স করবা, পুরুষ মানুষ হয়ে নারীদের সাথে এত ইটিশ পিটিশ কেন? তুমি কি বাইবেলে বিশ্বাস করো না?
দ্বীপবাসী বলতে লগালো- আমার মানসিক সমস্যা, কেউ কেউ বলল এটা জ্বীনগত সমস্যা, কেউ কেউ কেউ বলল শারীরিক/ মানসিক সমস্যা এসব কিছুই না, ধইরা মাইর দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে!! কেউ কেউ বলল একে প্রতিদিন বাইবেল পাঠ করাতে হবে।
অবশেষে দ্বীপবাসী সিন্ধান্ত নিলো- বাইবেলের শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি আমাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসাও করাবে, ইনজেকশনের মাধ্যমে হরমোন পুশ করবে এবং সেই সাথে চলবে মানসিক থেরাপী, তাহলেই আমি ভালো হয়ে যাবো বা পুরুষের সাথে সেক্স এনজয় করবো।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে- - আমি কি দ্বীপবাসীর কথা অনুযায়ী প্রতিদিন বাইবেল পাঠ এবং হাসপাতালের ওই চিকিৎসা গ্রহণ করবো? যাতে আমার পুরুষদের সাথে সেক্স করার মানসিকতা তৈরী হয়?
উত্তর হচ্ছে- না, অ্যা বিগ না!! আমি কখনোই চাইবো না চিকিৎসার মাধ্যমে আমার হরমোনের পরিবর্তন ঘটিয়ে, পুরুষের সাথে সেক্স করতে, আমাকে যত লোভ আর ডর ভয়'ই দেখানো হোক না কেন, আমি নারীদের সাথেই সেক্স করতে চাইবো, কারণ জন্ম থেকেই আমার মানিসক এবং শারীরিক অবস্থা ও ভাবেই তৈরী হয়েছে। যে কোন মূল্যে আমি দ্বীপ থেকে পালাতে চেষ্টা করবো তা না হলে আত্নহত্যা করবো। মিরপুরে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ঠিক আমার মতই উপরোক্ত ঘটনাটি ঘটবে যদি কেউ এলজিবিটিদের চিকিৎসা করাতে যায়, হয় সে পালাবে আর না হয় সে আত্নহত্যা করবে, আর যে কারণে এর চিকিৎসা পদ্ধতিও খুব একটা বিকাশ ঘটেনি।
উপরে নতুন ভাইও বেশ ভালো কিছু উত্তর লিখেছেন।
১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: নারী পুরুষের সম্পর্কটা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক সম্পর্কের কোনো উদাহরণ হয়না। পাগল মনে করে সে সুস্থ। বাবী সব পাগল। এখন আপনি পাগলের দ্বীপের উদাহরণ সাজাতে পারেন। আপনার ব্যাপার। তবে চিবিৎসাটা পাগলের হয়। আপনার নয়। স্বাভাবিকতার তো মানদন্ড রয়েছে। যেটা বলতে পারেন তাদের জন্মগত মনে দৈহিক স্বাভাবিক নয়। তারা প্রতিবন্ধী। এটাও মানা যায়। কিন্তু তাদেরকে মানদন্ড ধরে স্বাভাবিক সম্পর্ককে অস্বাভাবিক বলার এই উদাহরণ মনোবৈকল্যের পরিচায়ক।
ধন্যবাদ মতামত দেয়ার জন্য।
১১| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮
নতুন বলেছেন: আরেকটা জিনিস হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের খেয়ে দেয়ে কাজ নাই। তারা কিছু একটা পেলেই তাতে জজবা লাগিয়ে আলোচনা করে।
যারা এতো এলজিবিটিকিউ নিয়ে চিল্লাপাল্লা করে তারা কতজন ব্যক্তিগত ভাবে এলজিবিটিকিউ মানুষের সাথে দেখা করেছেন?
১% মানুষও না। কিন্তু সোসাল মিডিয়াতে বিরোধিতা করছে ধর্মীয় জজবা থেকে...
দেশের মানুষ ভন্ড তারা দূনিতি করবে, ঘুষ খাবে, সুদ খাবে, ব্যবসায় মানুষ ঠকাবে, ভ্যাজাল দেবে...
নারীদের পর্দা করতে নছিহত করবে... কিন্তু লেসবিয়ান/গে হলে পিটিয়ে মেরে ধর্ম উদ্ধার করবে...
১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কোথায় লেসবিয়্ন গে কে পিটিয়ে মারা হয়েছে? এটা এদেশে কোনো ইস্যু নয়। এগুলো পর্দার আড়ালের কর্মকান্ড। এসব নিয়ে যারা আলোচনা করে তাদের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে।
১২| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫২
জ্যাকেল বলেছেন: কেবলমাত্র বিকৃত রুচির মানুষরাই গে লেসবিয়ানদের মতো মানসিক সমস্যা আক্রান্তদের প্রশ্রয় দিতে পারে।
আসলে এদের কুতর্ক মেনে নেওয়ার কোন সুযুগ নাই। কারণ তাদের যুক্তি মতো
পেডোফাইল
চুর ছেচ্চড়
খাটাইশ
সবারই নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার অধিকার থাকা উচিত।
ওতএব এইসকল দুর্জন বিদ্বান লোকদের পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।
১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: কেবলমাত্র বিকৃত রুচির মানুষরাই গে লেসবিয়ানদের মতো মানসিক সমস্যা আক্রান্তদের প্রশ্রয় দিতে পারে।
একমত।
ধন্যবাদ। দ
১৩| ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রতিনিয়তই মানব শীরের শারিরিক এবং মানসিক সূক্ষ সূক্ষ পরিবর্তন ঘটেই চলছে যা আমারা বুঝতে পারি না, হয়তো ২০/৩০ হাজার বছর পর আমরা সম্পুর্ণ ভিন্ন আরেক প্রজাতিতে রুপান্তর হবো, তখন হয়তো তারা আমাদের নিয়ে হাসাহসি করবে, ঠিক এখন যেমন আমরা নিয়ান্ডারথালদের বুদ্ধিসুন্ধি নিয়ে হাসাহাসি করি।
১০ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেখণাম। আলেমদের মধ্যে দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একদল বলেন আদম আ প্রথম মানুষ। অনেক দল বলেন আদম আ কে আল্লাহ তার প্রতিনিধি করে পাছিয়েছেন। তার আগে মানুষ ঝিল যারা হিংস্র ছিল।
তবে আমরা আদমের প্রজাতির এতে সন্দেহ নেই। হাদীসে মানুষের শারিরীক পরিবর্তন হবে এটা বলা হয়েছে। হযরত আদম আ থেকে এ পর্যন্ত উচ্চতাসহ বিভিন্ন শারিরীক পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এ দিক থেকে বিজ্ঞানের সাথে থ বড় বিরোধ নাই।
১৪| ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে +++
১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৫| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৬
পুরানমানব বলেছেন: কিছু বিষয় থাকে যাহা আসলে ভদ্র ভাষায় সমাধান করা সম্ভব হয়না। এই ইস্যু খানা লইয়া এখন পোগতিশীল বেশ ধরা জারজগুলান বেশ গলাবাজি করিয়া বেড়ায়। উহারা নিজেরাও জানে সমকামিতা সর্বদিক থাকিয়া একটা নোংরা এবং বিশ্রী কাজ এবং ইহার কোন আউটপুট নাই।
১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: যারা করে তা া জীনগত কারণে করতে পারে। তবে যারা সমর্থন করে তারা নোংরা মানসিকতার। এতে সন্দেহ নেই।
এদেশে এলজিবিটির প্রচার প্রচারণা উদ্দেশ্যমূলক।
১৬| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা কথা খুব সুন্দর বলেছেন, আমার মনের কথা - ঐ ব্যক্তিবর্গ ঐ কাজ করেন শুধু সেক্স ডিপ্রাইভেশনের কারণে
ছাগল, ভেড়া, গরুর পাল যদি কখনো দেখে থাকেন, তাহলে হয়ত দেখেছেন - সেক্সুয়ালি এক্সাইটেড ষাঁড়্গুলো হঠাৎ হঠাৎ অন্য গরুর উপরে উঠে যাচ্ছে, আবার ভেড়া উঠে যাচ্ছে ছাগলের উপর, ছাগল যাচ্ছে ভেড়ার উপর। এটা কোনো নেচারাল বিহেভিয়ার না। ঐ ষাঁড়, ভেড়া, ছাগলগুলো খুবই উত্তেজিত অবস্থায় থাকে, তাই সামনে যা পায়, তার উপরই মাউন্ট হয়। আবার, বাড়ির একটা মোরগকে দেখা যায় একটা হাঁস বা অন্য মোরগকে ছিলাবিলা করে ফেলছে, কারণ, ওর রিলিজ করা দরকার। যারা গে, তাদের একটা অংশ হলো এই বঞ্চিত শ্রেণি, যারা নারীসঙ্গ পায় না, বা বঞ্চিত। এর বাইরে যারা আছে, সবগুলো হলো মানসিক বিকৃতির উদাহরণ। সমকামিতা ইহজনমেও কোনো নেচারাল এক্টিভিটিজ না, সম্পূর্ণ রূপে মানসিক বিকৃতি। এদের অবশ্যই চিকিৎসার দরকার। একজন পুরুষ স্বাভাবিকভাবেই নারীর প্রতি আসক্ত হবে। কেবল মানসিক বিকৃতি ঘটলে সে অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হবে।
ট্রান্সজেন্ডারের ব্যাপারে যা বলেছেন, আমি একমত।
আরেকটা ব্যাপারেও একমত, এ ইস্যুগুলো নিয়ে এত হৈচৈ করা যে হচ্ছে, তাও নিশ্চয়ই উদ্দেশ্যমূলক।
১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। এনজিওরা এই ইস্যু বেচে খায়। আর এনজিওদের একটা পত্রিকা ফলাও করে প্রচার করে। ভালো লিখেছেন।
কোনো ছেলের যদি মেয়ে হতে ইচ্ছাই হয় হোক। সে যেন বাবার সম্পত্তি ভাইয়ের অর্ধেক নেয়।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
১৭| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এলজিবিটির মত স্পর্শকাতর একটি বিষয় নিয়ে এই পোস্ট'এ আলোচনার মত পরিবেশ দেখছি না, তারচেয়ে বরং "পোষ্ট ভালো হয়েছে প্লাস এবং যারা এলজিবিটির প্রতি সহনশীল তাদের গালিগালজ করে মন্তব্য করলেই পোস্ট'টির যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে " উপরে কয়েকজনের মন্তব্যে তা স্পষ্ট প্রতিয়মান, আর লেখক নিজেই আমাকে মনোবৈকল্যের সার্টিফিকেট দিয়ে দিলেন শুধুমাত্র একটি উদাহারণ দেওয়ার কারণে। বিষয়টি বুঝার স্বার্থে আমি বিষয়টি উল্টো একটি উদাহারণ দিয়ে বুঝাতে চেয়েছি যে যারা এতে আক্রান্ত তাদের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে তা। এটা সোজা করে পড়ে নিলেই হয়ে যায়।
উদাহরণে উল্লেখিত দ্বীপের মত দ্বীপ পৃথিবীর কোথাও নেই তা একজন বাচ্চা ছেলেও জানে কিন্তু লেখক এটাকেই ধ্রুব সত্য হিসেবে ধরে নিয়ে আমাকে মনোবৈকল্যের খেতাব দিয়ে দিলেন। আলহামদুলিল্লাহ।
পোস্টের লেখক এবং তার সমর্থকদের আচরণ খুবই এগ্রেসিভ যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে খুবই স্বাভাবিক। এখন বুঝতে মোটেও কষ্ট হয় না মিরপুরের ওই মেয়েটি সমাজের মানুষ দ্বারা কতটা নিগ্রহ, বুলিং এর শিকার হয়ে আত্নহত্যার মত পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে।
লেখাপড়া জানা এবং বহির্বিশ্বের খোঁজ খবর রাখা ব্লগারদের অবস্থা'ই যদি এমন হয় তাহলে দেশের আম সাধারণের আরও না জানি কি অবস্থা!! এই দেশে প্রাকাশ্যে কেউ যদি নিজেকে গে বা লেসবিয়ান হিসেবে ঘোষণা করে তাহলে খুব সম্ভবত তাকে হত্যা করতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।
আচ্ছা ঠিক আছে ভাই আমি আর এলজিবিটি নিয়ে কথা বলছি না, আপনি না আবার আমাকে গে হিসেবে খেতাব দিয়ে দেন সে ভয়ে আছি। এলজিবিটি নিয়ে আপনারা যা ভাবেন সেটাই সঠিক, আর যারা এলজিবিটিতে আক্রান্ত তাদের মোটেও পশ্রয় দেয়া যাবে না, যেখানে এদের পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলতে হবে, অথবা বন্দি করতে হবে, দেশ থেকে এদের সমূলে নির্মূল করতে হবে।
আশা করি এবার আপনি আমার মন্তব্যে খুশি হয়েছেন।
ধন্যবাদ।
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:২২
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ভাইজান দয়া করে পোস্টটি আবার পড়ে দেখতে পারেন। কোন কর্ণারের প্রতি বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য এই লেখা নয়। কথায় কষ্ট পেয়েছেন এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে টয়লেটে বাসার উদাহরণ খাবার টেবিলে হয়না।
এদেশে এটা অ্যাড্রেস করার মতো কোনে ইস্যু নয়। যে মেয়েটির কথা বলছেন সেটা দুঃখজনক। তবে তৃতীয় লিঙ্গের হামলায় নির্যাতনে দেশে বহু লোকের মৃত্যু হয়েছে। আবারো বলছি, এদেশে এলজিবিটি অ্যাড্রেস করার মতো কোনো বিষয় নয়। এটি বহু সমস্যার দেশ। একজন পুরুষ অপারেশন করে মহিলা হয়েছেন; বিশ্বে অহরহ হচ্ছে। বিজ্ঞানের নূতন কোনো আবিস্কারও নয়। তা ফলাও করে মহান হিসেবে উপস্থাপন করার পেছনে উদ্দেশ্য রয়েছে।
আমার ব্লগিং হুট করে লেখা কোনো বিষয় না। প্রচুর লেখাপড়া ও গবেষণার ফল। এখানে কাউকে আঘাত করা উদ্দেশ্য নয়। তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে মানুষকে প্রতিক্রিয়াশীলতা মুক্ত উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে আমার লেখালেখি। সমাজের মানুষ যাতে ভালো থাকে। উগ্রতা যাতে না ছড়ায়। একসময় লেখালেখি পেশা থাকলেও সেটা পরিবর্তন করেছি।
ভালো থাকবেন।
আমার ব্লগে সবসময় স্বাগত।
১৮| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২২
কামাল১৮ বলেছেন: আদম হাওয়া একটা মিথ।বাইবেলের ওল্ড স্টাটমেনের একটা গল্প।আব্রাহামিক ধর্মগুলি এটা গ্রহন করে । বাকি ধর্মগুলি এটা মানে না।হিন্দু বা বৌদ্ধ ধর্মে এই কাহিনী নাই।
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সঠিক বলেছেন। সেমিটিক ধর্মগুলোর কাহিনী একই। ইহুদি, খ্রিস্টান ও ইসলাম ধর্ম মূলত সেমিটিক ধর্ম হিসেবে পরিচিত। সেমিটিক ধর্মগুলো এমন ধর্ম যেগুলোর উদ্ভব ঘটেছে মূলত: সেমিটিয় তথা হিব্রু, আরব, আসিরীয় ও ফিনিশীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে। বাইবেলের ও আল কুরআন এর বর্ণনানুসারে নূহ (আ-এর এক পুত্রের নাম ছিল 'শাম'। শাম -এর বংশধরগণ 'সেমিটীয়' নামে পরিচিত।
তবে কোরআনে অনেক ঘটনার প্রতি ইংগিত করা হয়েছে। বিস্তারাত নেই। বিস্তারিত তাওরাত, ইঞ্জিল ও যাবুরে পাওয়া যায়। হযরত আদম আ. এর ঘটনাটাও তেমনি। ইসলামেএসব ধর্ম ধর্মগ্রন্থ ও নবীদের উপর বিশ্বাস না থাকলে সে মুসলমান হতে পারেনা। এটা ইসলামের কোর বিশ্বাস।
ধন্যবাদ।
১৯| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৩
শেখ সোভানা ইয়াসমিন বলেছেন: খুবই সুন্দর এবং শিক্ষণীয় লেখনী যা বর্তমান যুগোপযোগী। বর্তমানে ট্রান্সজেন্ডার একটি অতি আলোচিত বিষয় এবং অধিকাংশ মানুষ এ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে অবগত নয়। আপনার তথ্যবহুল লেখা অন্যদের জানার সুযোগ করে দেবে আশা করছি।
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোভানা। স্টে উইথ মাই ব্লগিং। ব্লগে স্বাগতম। তোমার কবিতাগুলো পোস্ট করতে থাকো। শুভ কামনা।
২০| ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: একজন পুরুষ অস্ত্রোপচার করে নারী হতেই পারেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আল্লাহ আরেকজনকে জিজ্ঞাসা করবেননা- কেন অমুকে পুরুষ থেকে নারী হলো। তবে সমস্যাটা তখনি দাড়ায়, যখন এটাকে মহৎ একটি কাজ দেখিয়ে প্রচারণা চালানো হয়। এদেশে এরা মজলুম নয়। যে ব্যক্তি অস্ত্রোপচার করে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছেন, এই সমাজে তার এমন কী অবদান! তার জন্য একটি পত্রিকায় এত জায়গা বরাদ্দ করে বড় করে ফিচার লিখতে হবে কেন! এ দেশে এর চেয়ে বড় বড় সমস্যা রয়েছে। দারিদ্রতা দূর করা যায়নি। চিকিৎসা ব্যবস্থার করুন হাল। সরকারি সেবা পেতে কী যে লাগে তা ভুক্তভোগীরাই বলতে পারেন। এদেশে নারীরা রাতের বেলায় একা রাস্তায় হেটে যেতে পারেনা। তাছাড়া এই সমাজে আড়ালে আবডালে চিরদিনই এসব ছিল। এমন আড়ালের জিনিসটা বের করে তাকে মহান হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে কেন? বুঝাই যাচ্ছে এর পেছনে সুদূরপ্রাসারী কোন চক্রান্ত রয়েছে। সমাজকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা চলছে। উন্নত দেশেও তাদের বিরুদ্ধে বিশাল বিক্ষোভ দেখেছি। তারাও বিষয়টা মেনে নেয়না। অথচ এদেশে এলজিবিটি গ্রহণযোগ্য করার জন্য টোপ ফেলা হচ্ছে। আবারো বলছি, যারা এলজিবিটি এরা সাধারণ কোন জীব না। আামাকে দিয়ে সম্ভব নয়। তার মানে তারা হয় অস্বাভাবিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ, না হয় জীনগত সমস্যা। এরা থাকুক এদের মতো। তবে এজিবিটি নিয়ে যেসব গণমাধ্যম প্রচার প্রচারণা চালায়- তাদেরকে আমার এলজিবিটির অতি নিম্নমানের অরুচিকর কাস্টমার বলেই মনে হয়। এসব পত্র পত্রিকা থেকে সতর্ক থাকা উচিত। এদের বর্জন করা উচিত।
চমৎকার লিখেছেন +++++
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন।
২১| ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ২:০৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: তার মানে তারা হয় অস্বাভাবিক বা মানসিকভাবে অসুস্থ, না হয় জীনগত সমস্যা
..............................................................................................................
এই বিষয়টি শুধুমাত্র আমাদের দেশের সমস্যা নয় ।
সরকার বিষয়টির উপর কার্যক্রম শুরু করলে,
সহজেই সমাধান চলে আসবে ।
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: দেশে সমস্যার অন্ত নাই। বিদেশী ক্লাসমেটদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম বাংলাদেশ কীভাবে চেনে? তারা বলেছে স্কুলে পড়েছে প্রচুর জনসংখ্যা আর সমস্যায় ভারাক্রান্ত দেশ। উপজোলায় চাকরির সময় দেখেছি বেশিরভাগ মানুষ নিজের সাক্ষর দিতে পারেনা। তিনবেলা খাবার খেতে পারেনা বহু লোক। প্রচুর মানুষ দিন আনে দিন খায়। এদেশে বিলাশবহুল দেশের সমসবযা নিয়ে আলোচনা মানায়না।
ধস্যবাদ।
২২| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
জ্যাকেল বলেছেন: নাস্তিক ভেকধারি এক শ্রেণির লোক আছে যারা ইনিয়ে বিনিয়ে বিজ্ঞানের মত বাস্তব জ্ঞান দিয়ে আমাদের ছাইপাশ বুঝাতে যায়। অথচ এদের যে লুঙ্গি খসে পড়ে তলের ফু**ক্কা দেখা যায় উহা মোটেও খেয়াল না করার ভান করে।
ইহাদের জন্য দুর্ভোগ, সহজ সরল পথ বাদ দিয়ে এইসব ইতর শ্রেণির লোকেরা জগন্য নর্দমার পথ বেছে নিয়েছেন।
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ময়লা তাজা থাকতে ঘাটতে হয়না। শুকালে ঘাটাতে হয়। অথবা চাপা দিয়ে রাখতে হয়। অথচ এক শ্রণির মানুষ ময়লা পকেটে নিয়ে ঘুরে। ময়লার পক্ষে গুণগান গায়।
আফসোস তাদের জন্য।
২৩| ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমি এই বিষয়ে দুইটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তার মধ্যে একটার লিঙ্ক নীচে দিলাম। ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন।
https://www.somewhereinblog.net/blog/shaarechuattor/30358155
১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: পড়লাম। ভালো লিখেছেন। মানুষ পরিবেশ দ্বারা প্রভাবিত হয়। এদেশে কখনোই এলজিবিটিকিউ কে প্রশ্রয় দেয়াটা ঠিক হবেনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২০
করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
+ + + +