নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আতংক নয়, প্রশাসন মাঠে

২০ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮

* বাড়িতে সঙ্গ নিরোধ কার্যকর করা হচ্ছে
* দেশব্যাপী জরিমানা ও দণ্ড প্রদান
* সঙ্গ নিরোধে থাকা প্রত্যেক প্রবাসিকে পাহারায় গ্রাম পুলিশ, স্বোচ্ছাসেবি
* জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনা বিষয়ক কমিটি গঠন
* জনসমাগম স্থল বন্ধ
* চেয়ারম্যান মেয়রসহ স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের এলাকায় থাকার নির্দেশ

ভারতের একটা পত্রিকায় দেখলাম, তিনটি হেডিং করেছে। রেশন, ভাষণ ও শাসন। বাংলাদেশে মানুষ ভাষণ নিয়ে ব্যস্ত। কোন রাজনীতিবিদ কী বললেন তা নিয়ে ফেসবুকে সরগরম। ফেসবুকে ঢুকলে মনে হয় করোনা ভাইরাস নিয়ে শুধু ভাষণই হচ্ছে। অন্য কোন কাজ হচ্ছেনা। অথচ প্রশাসন পুরো পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করছে। প্রতিটি ইউনিয়নে, উপজেলায় ও জেলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ বিষয়ক কমিটি করা হয়েছে। জেলা উপজেলা পর্যায়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। সরকার গতকাল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ যেমন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের কর্মস্থলে থাকার জন্য কড়া নির্দেশ দিয়েছে।

ঢাকায় আজকে মোহাম্মদপুরের প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে পাঁচশ মানুষের জমায়েতে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয। সেখানে ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত হয়ে সবাইকে বুঝিয়ে ফেরত পাঠান। সরকারের নির্দেশ অমান্য করে অনুষ্ঠান করতে দেয়ায় ম্যানেজার পলাতক। মিরপুর এলাকায় দ্রব্যমূল্য বেশি রাখার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট করা হয়েছে। লালবাগ এলাকায় প্রায় ৩৮টি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। ১৩ টি কিমউনিটি সেন্টারে আজ সরেজমিনে গিয়ে এ মাসের সকল অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়। প্রশাসনের তৎপরতায় ধানমন্ডিতে অবস্থিত ম্যারিয়ট কনভেনশন সেন্টার, স্বাদের দুয়ার পার্টি সেন্টার, ফখরুদ্দিন কনভেনশন সেন্টারেরও এমাসের সকল বুকিং বাতিল করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটরা আজ মোহাম্মদপুর টাউন হল, কাওরান বাজার, মিরপুর, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার মনিটরিং করেছেন।

দেশের ৪৯২ টি উপজেলায় তৎপর রয়েছেন। আমি শুধু কয়েকটি উপজেলার আজকের কার্যক্রম সংগ্রহ করেছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন। তাদের কাজগুলো একই। তারা বিদেশ ফেরত প্রবাসীদের সঙ্গ নিরোধ কার্যকরে নেমে পড়েছেন। তাদের কাছে তালিকা রয়েছে। আজকেও অনেক উপজেলায় সরকারি নির্দেশ না মানার কারণে প্রবাসী কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও বিক্রেতা আড়তদারদের দণ্ড দেয়া হয়েছে। বাজারে বাজারে মোবাইল কোর্ট টহল দিচ্ছেন। মেলা, সার্কাস, সকল প্রশিক্ষণ, নির্বাচন, বিয়ের অনুষ্ঠানসহ গনসজমায়েত বন্ধ করা হয়েছে ৷

আসুন কয়েকটা উপজেলায় আজকের চিত্র দেখি।

গংগাচড়া, রংপুরঃ গতকাল সন্ধ্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে ২১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। ২ টি বৌভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এ উপজেলায় ৫ জন কোয়ারেন্টিনে আছেন। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিআরডিবি’র নয় জন প্রশিক্ষণার্থী তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে মাস্ক তৈরির কাজ শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে দুই স্তরের এক হাজার মাস্ক তৈরির উপকরণ ক্রয় করা হয়েছে। তাদের জন্য ৯টি সেলাই মেশিন যোগাড় করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কম্পলেক্সের ভেতরে একটি আবাসিক ভবন খালি করে ৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে ইউ পি মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষকের সমন্বয়ে বিদেশ হতে আগতদের বিষয়ে তথ্য প্রদান, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করার জন্য কমিটি করা হয়েছে। তিনটি ইউনিয়নে শিক্ষার্থীদের ঘরে অবস্থান নিশ্চিতকরণ, মহিপুরস্থ তিস্তা সেতুতে ভ্রমণ নিরুৎসাহিতকরণ, কোচিং বন্ধকরণসহ করোনা ভাইরাস বিষয়ক সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এতে হটলাইন ও জরুরী নম্বরসমূহ ঘোষণা করা হচ্ছে। অটোরিক্সাযোগে জেলা প্রশাসন, রংপুর হতে প্রাপ্ত লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। সেতুর উপরে অস্থায়ী দোকানপাট তুলে দেয়া হয়েছে। সেতুতে গ্রাম পুলিশদের রোটেশন ডিউটি দেয়া হয়েছে । উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের সাথে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জরুরি বিবেচনায় ও ব্যাপক জনসমাগমের আশংকায় স্কুল সমূহের এসএমসি নির্বাচনের জন্য তফসীল ইতোমধ্যে ঘোষিত হলেও বোর্ডে কথা বলে এ মাসের সকল নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।

পীরগাছা, রংপুরঃ এই উপজেলায় ৮৭ জনকে জোরপূর্বক সঙ্গ নিরোধে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের সাথে গ্রামপুলিশ/আনসার সংযুক্ত করা হয়েছে। রেগুলার মনিটরিং চলছে। অফিসের সামনে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে।

কেন্দুয়া, নেত্রকোনাঃ এ উপজেলায় মোট ৮ জন সঙ্গ নিরোধে রয়েছেন। আজ সঙ্গ নিরোধ ভঙ্গ ও অমান্য করায় একজনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাঁথিয়া, পাবনাঃ এ উপজেলায় ৬৩ জন প্রবাসীকে বাধ্যতামূলক সঙ্গ নিরোধ নিশ্চিত করা হয়েছে। তারা মনিটরিংয়ে আছেন।

ডামুড্যা, শরীয়তপুরঃ সঙ্গ নিরোধ ভঙ্গের জন্য দুইজন প্রবাসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির জন্য একজনকে পাঁচ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রূপসা, খুলনাঃ এই উপজেলায় স্যার ও দ্রব্য মূল্যের বৃদ্ধির জন্য ২ টি মামলায় চার হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ৩৮ জনকে বিদেশ ফেরতকে সঙ্গ নিরোধে রাখা হয়েছে। মেম্বার, গ্রাম পুলিশ ও আইসি এর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেটেড ইউনিট করা হয়েছে। মাইকিং চলছে। উপজেলা প্রশাসন লিফলেট বিতরণ ও ফেসবুকে পোস্টের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছে। সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ করা হয়েছে।

সদরপুর, ফরিদপুরঃ আজ পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করার কারণে দুই চাল ব্যবসায়ীকে ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

রাজশাহীঃ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে করে চারটি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। একটি কোচিং সেন্টারকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ধুনট,বগুড়াঃ এ উপজেলায় ২৩ জনকে জোরপূর্বক সঙ্গ নিরোধে রাখা হয়েছে। প্রত্যেকের সাথে গ্রামপুলিশ/ আনসার সংযুক্ত করা হয়েছে। রেগুলার মনিটরিং চলছে। একজন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিন ভঙ্গ করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ সকল ওয়ার্ড পর্যন্ত সচেতনতামুলক মাইকিং চলমান রয়েছে৷ দ্রব্যমুল্য ও বিদেশ ফেরতদের প্রতি আইন অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত ও লিফলেট বিতরণ চলছে। ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি করা হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গ নিরোধের জন্য ২৩টি প্রতিষ্ঠানে ২২৮টি কক্ষ প্রস্তুত করা হয়েছে।

সদর, টাঙ্গাইলঃ আজ দুপুরে সঙ্গ নিরোধে ভঙ্গ করায় টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নে সিঙ্গাপুর ফেরত একজন প্রবাসী পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সকালে পার্কের বাজারে অতিরিক্ত দামে পেয়াজ বিক্রির অপরাধে এক আড়তদারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং অতিরিক্ত দামে চাল বিক্রির অপরাধে আরেক আড়তদারকে বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। ধোরের বাজারে আরেকজনকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

সিংড়া, নাটোরঃ এ উপলোয় বর্তমানে ১৮৮ জন সঙ্গনিরোধে আছেন। প্রত্যেকের সাথে গ্রাম পুলিশ ট্যাগ করা আছে। হট লাইন খোলা হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে ট্যাগ অফিসার দের মনিটরিং এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আজ একজনকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ইউনিয়ন ভিত্তিক সঙ্গ নিরোধ সেন্টার ঘোষণা করা হয়েছে।

শিবালয়, মানিকগঞ্জঃ গতকাল একজন প্রবাসীকে সঙ্গনিরোধ ভঙ্গ করায় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ঘিওর, মানিকগঞ্জঃ এ উপজেলায় ৪৪ জনকে সঙ্গ নিরোধে রাখা হয়েছে। দোকানগুলোর সামনে থেকে আড্ডা কমাতে বেঞ্চগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চালের দাম বাড়ানোর অপরাধে চারজন চালের আড়তদারকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ১১টি সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।

দোহার, ঢাকাঃ এ উপজেলায় বর্তমানে ৪৬ জনকে সঙ্গেনিরোধে রাখা রয়েছে। এছাড়াও মিনি কক্সবাজার খ্যাত মইনুট ঘাটে জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ভৈরব, কিশোরগঞ্জঃ এ উপজেলায় ১৫৩ জনকে সঙ্গনিরোধ অবস্থায় রাখা হয়েছে। ব্যক্তি ও পরিবারকে সেচ্ছাসেবক কমিটির মাধ্যমে পাহারা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে একজন বের হওয়ার পাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১৭ মার্চ একজন সঙ্গ নিরোধ ভঙ্গ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ট্রমা হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুইটি কলেজ হোস্টেলকে বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৫টি বিয়ে, আকিকা ও কুলখানির অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।

বন্দর, নারায়ণগঞ্জঃ গত দুই দিনে তিনন প্রবাসিকে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুইন প্রবাসির বিয়ে স্থাগিত করা হয়েছে। দুটি রিসোর্ট ও পার্ক বন্ধ করা হয়েছে। পরিবার পরিকল্পনার একটা অব্যবহৃত ভবনকে ৩০ জনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মসজিদগুলোতে প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাজের পর মাইকে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার উপজেলা প্রশাসনের দেয়া লিফলেট পাঠ করছে।

কাশিয়ানি, গোপালগঞ্জঃ এ উপজেলায় চারজন প্রবাসী ঘরে সঙ্গ নিরোধ অমান্য করায় মোট ৩৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

কোম্পানিগঞ্জ, নোয়াখালীঃ এ উপজেলায় একজন প্রবাসী দেশে ফিরে ঘরে সঙ্গ নিরোধ না করে গায়ে হলুদের প্রোগ্রাম করায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়।

বাকেরগঞ্জ, বরিশালঃ এ উপজেলার খয়রাবাদ বাজার ও বন্দর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অতিরিক্ত দাম নেওয়ায় ৪ জন ব্যবসায়ীকে ৫ দিন করে কারাদণ্ড ও মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

সদর, বরিশালঃ বরিশাল শহরের দুটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই প্রবাসীকে ঘরৈ সঙ্গরোধে না থাকায় একজনকে ২০ হাজার এবং অপরজনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ রামকাঠী গ্রামে এক ব্যক্তির বাড়িতে সুন্নতে খতনা ও চরআইচা গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়।

ভেড়ামারা, কুষ্টিয়াঃ ঘরে সঙ্গরোধ না মানায় দুইজন প্রবাসীকে ১৫ হাজার টাকা ও বেশি দামে মাস্ক বিক্রি করায় দুই জনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন মোতাবেক ৮০০০ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

কুমারখালী, কুষ্টিয়াঃ ঘরে সঙ্গরোধের শর্ত ভঙ্গের জন্য ৩ জন প্রবাসীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করার অপরাধে ১২ টি মামলায় ২৯ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হয়। কোচিং করানোর জন্য ২ টি কোচিং সেন্টার বন্ধ করে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনসমাগম এর জন্য সুন্নতে খতনা এবং বিয়ের ২১ টি অনুষ্ঠান বন্ধ এবং ২ টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয। তালিকাবদ্ধ প্রবাসীদের গতিবিধি লক্ষ্য করতে বাসা প্রতি একজন
গ্রাম পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মধুপুর,টাঙ্গাইলঃ এ উপজেলায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের দাম নিয়ন্ত্রণে ৪ দোকানে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর অপরোধে ৯ দোকানকে মোট এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশান ইউনিট রেডি রাখা হয়েছে। কটা বিয়ের অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। দুটি মাদ্রাসা চালু রাখায় জরিমানা করা হয়েছে। পুরা উপলোয় এক দিন পরপর মাইকিং করা হচ্ছে।

গৌরীপুর, ময়মনসিংহঃ এ উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করার অপরাধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চার জন চাল ও আটা ব্যবসায়ীকে মোট ৩৬ হাজার পাঁচশ টাকা জরিমানা করা হয়।

ঢাকাসহ কয়েকটা উপজেলায় আজকের কর্মকাণ্ডের চিত্র দিলাম। সারাদেশে কাজ চলছে। তবে একটা বিষয় দেখে আতংকিত বোধ করছি। ম্যাজিস্ট্রেটরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। তাদের মাস্ক ছাড়া কোন সুরক্ষা নেই। দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তারা। আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। প্রশাসন মাঠে আছে। আপনারা প্রশাসনকে সহায়তা করুন।


দক্ষিণ কোরিয়া
২০ মার্চ ২০২০

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোস্ট।
সরকারকে সাধুবাদ জানাই।

২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:২৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। সারাদেশে কাজ চলছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির হুজুক দুই একদিনের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

২| ২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৫৯

আকন বিডি বলেছেন: যারা ফ্রন্ট লাইন এ (ডাক্তার, নার্স, বয়, আয়া) তাদের জন্য কিছু করা হয় নাই। বন্ধু ডাক্তার, একটা মাস্কও পায় নাই।
৫৫ দিনে প্রায় ৭ লক্ষ প্রবাসী দেশে আসছে।
নেপালে দেখুন। তাদের প্রস্তুতি উহানের সময় থেকে।
সরকার ৪৫০+ কোটি টাকার পটকা ফুটাইছে। করোনার জন্য বরাদ্দ ৫০ কোটি।
১৭ মার্চ দুই কণ্যা কবিতা লিখে পাঠে মগ্ন ছিল, মগ্ন ছিল হাতিরঝিল বেড়াতে।

২১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: প্রশাসনের লোকজনেরও কোন প্রটেকশন নেই। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা সঙ্গনিরোধ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কথা আপনিও জানেন আমিও জানি।
পটকা তিনতে এত টাকা লাগে না কী। আমার আইডিয়া এক লাখ টাকার পটকা ফুটালে সারা রাত ফুটানো যায়। এই টাকার অংক কোথায় পেলেন? সরকার কী বলেছে?

যারা দায়িত্বে থাকেন তারা সব ধরণের কাজই করেন। দুর্যোগের মধ্যে এন্টারটেইনমেন্টেরও ভূমিকা আছে। পৃথিবীর কোন সরকার চায় না কী তার জনগণ আতংকিত হোক। কেউ চায়না। ইটালিতে এন্টারটেইনমেন্টের যেসব বিষয় টাকা দিয়ে কিনতে হতো, সরকার সেগুলো ফ্রি করে দিয়েছে।

ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৮

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশে প্রশাসন শাসন করা নিয়েই ব্যস্ত, ঔপনিবেশিক শাষনামলের অনুসরনে র প্রশাসন তাই করতে পারবে।
কোরোনা ভাইরাস প্রতিরক্ষায় সরকারের কাছে সময় ছিল ৩ মাস; তিন মাসে সকল পরীক্ষা সরঞ্জাম সুবিধা সহ ১০০০ শয্যা র হাসপাতাল কি নির্মান করা যেত না?
শুধু বাস্তবতা বর্জিত বড়বড় বুলি পত্র পত্রিকায় চোখে পড়েছে।
"সরকার ৪৫০+ কোটি টাকার পটকা ফুটাইছে। করোনার জন্য বরাদ্দ ৫০ কোটি।" এই বক্তব্যটি যদি সঠিক হয়ে থাকে, তাহলে তো সহজেই অনুমেয় যে সরকার "কোরোনা ভাইরাস" প্রতিরোধে কোন প্রকার গ্রহণযোগ্য প্রস্তুতিই নেননি, মনে হচ্ছে।
স্পেন সরকার হোটেল খালি করে জনগনের জন্য হাসপাতাল বানাচ্ছে, আর আমাদের এখানে কি হচ্ছে। একজন বাংলাদেশি সব নির্দেশ অনুসরন করেও যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়, দোষটা কি তার? ইটালীতে হাসপাতালের নার্স - ডাক্তাররা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, সব প্রতিরক্ষামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেও, আমাদের এখানে তো শোনা যাচ্ছে, কোরোনা ভাইরাসের রুগীর নাম শুনলে তার চিকিৎসা করতে কোন ডাক্তার-নার্স আর এগিয়ে আসছেন না। কারন সম্ভবত তাদের জন্য কোন প্রকার যথেষ্ট পরিমানে প্রতিরক্ষামুলক সকল পরীক্ষা সরঞ্জাম সুবিধা ব্যবস্থা করা হয় নাই

৪| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৪৭

ফেরদাউস আল আমিন বলেছেন: স্থানীয় সরকারের উপ-সচিব যে প্রজ্ঞাপন টি জারি করেছেন, তাতে ওনাকে
"কোয়ারেন্টাইন" (Quarantine) এবং
"আইসোলেশন" (Isolation) এই দুটি শব্দের সংজ্ঞা আালাদা করে বোঝানো উচিত ছিল।
সরাকরী "রুলস ওত বিজনেস" এর ভাষায় Quarantine ঐ ব্যক্তি কে করতে হয় যখন তার দেহে ছোঁয়াচে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়(তথা ডাক্তারকে বলতে হবে)
Isolation এর সরাকরী "রুলস ওত বিজনেস" ভাষায় কোন সংজ্ঞা আমার চোখে পড়েনি, তবে কাউকে একা রাখার প্রথাকে Isolation বলা যেতে পারে।
যেহেতু বর্তমান ভাইরাসের কারনে এই প্রজ্ঞাপন জারী করা হোল, দুটোরই সংজ্ঞা নতুন ভাবে করা উচিত ছিল, বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে ক'জন Quarantine ও Isolation ভালভাবে বোঝেন!

২১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪১

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: মানুষ এখন জানেন, কোনটা কী? প্রতিদিন একটু পর পর টেলিভিশনে প্রচার করা হচ্ছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে একদিন পরপর মাইকিং করা হচ্ছে। ফেস্টুন ব্যানার টাঙনো হচ্ছে। তারপর যারা প্রবাসি তাদের সাথে ফোনে ফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সবাই জানে। কিন্তু মানতে চায়না।

৫| ২১ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো । ভালো থাকুন।

২১ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই মে, ২০২০ রাত ২:৫৪

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রশাসন মাঠে ছিলো তো। কোনদিক দিয়েই তো আতংক কমলো না দেখলাম। কলোনিয়াল রাজা মহারাজাদের কি ওরাকল টাইপ মাইডাস টাচ আছে নাকি?

১১ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: প্রশাসেনর কতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে- দয়া করে একটু খবর নিন৷ পরে আশপাশের দেশগুলোর সাথে একটু মিলিয়ে দেখুন৷ আমাকে আর বলতে হবেনা৷ দেশের এ ক্রান্তিকালে প্রশাসন যা করছে তার জন্য তাদের ধন্যবাদ প্রাপ্য৷ না দিলে নিজেকে খাটো করা হয়৷
ধন্যবাদ আপনাকে৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.