নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পচিশ বছর আগের ঢাকার পরিবেশ ফিরিয়ে আনলেই চলবে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৫

বিশ্বের বিখ্যাত সব শহরগুলোর অবস্থান নদীর পাশে। কোন শহরের পাশে নদী থাকা মানে শহরটি অনেক আকর্ষণীয়। অনেক বর্ণিল। আলোর ঝলকানি পর্যটকদের টেনে নিয়ে যায় নদীর পাশে। আমার দেখা সিংগাপুরের নদীটি বেশি বর্ণিল। সন্ধ্যার পর গার্ডেন বাই দ্য বে ধরে হেটে গেলে মনে হবে স্বর্গের পথ ধরে হেটে যাচ্ছি। নদীর পাশে বড় বড় ভবনগুলো আলোকসজ্জায় উৎসবমুখর। অথচ এই নদীটা এক সময় ছিল অনেক দুষিত। আমরা জানি সিঙ্গাপুর পানির জন্য মালয়শিয়ার ওপর নির্ভরশীল। একসময় মালয়শিয়া থেকে পানি সরবরাহ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। এ কারণে সিংগাপুর পানির আধার তৈরির কাজে হাত দেয়। এজন্য নদীটিকে পরিস্কার করা হয়। আশির দশকে নদী পরিস্কার করার দৃশ্য ছবিতে দেখেছি। মন কে মন পলিথিনের স্তুপ, প্লাস্টিক নদী থেকে তোলা হয়। এখন ওই নদীর পানিই সিংগাপুরের মিস্টি পানির রিজার্ভ। আর নদীকে ঘিরেই শহরটাকে সাজানো হয়েছে। বিন্যাস করা হয়েছে সৌন্দর্যকে। সিংগাপুরের এক সময়ের শ্লোগান ছিলো- গার্ডেন সিটি। এখন তারা তা পাল্টে ফেলেছে। এখনকার শ্লোগান সিটি ইন দ্যা গার্ডেন।

কিছুদিন আগে চীন দেখা হলো। চীনের গুয়ানজু শহরটা দেখেও মন জুড়িয়েছে। চীনের প্রতিটি শহর যেন সিংগাপুরকে ফলো করছে। গুয়ানজু শহরের এক প্রান্তে তৈরি করা হয়েছে হারবার। সেখান থেকে পর্যটকরা প্রমোদতরীতে শহরের চারদিকে ঘুরে বেড়ায়। একই রকমের পরিবেশ। সন্ধ্যা হতেই আলোর ঝলকানি। সারা বিশ্ব যখন স্মার্ট সিটির কথা বলছে, চীন সেখানে অরো কয়েক ধাপ এগিয়ে আই সিটি (i-City)বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে গেছে। আইসিটি মানে ইন্টেলিজেন্ট সিটি। আই সিটিতে শহর মানুষের প্রয়োজন বুঝবে। আর মানুষ শহরের প্রয়োজন বুঝবে। এই জাপানের কথা আর কী বলবো৷ সবকিছু ছবির মতো সাজিয়ে রাখা হয়েছে৷ তবে নদীগুলোর প্রতি যত্ন আরো বেশী৷ সবগুলোর পাড় বাঁধাই করে ফেলা হয়েছে৷ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে বিষয়টি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে তা হলো- নদীর দুই পাশে সুউচ্চ অট্টালিকা। সাজানো গুছানো। সবুজের সমারোহ। পার্ক। খেলার মাঠ। কী নেই! পরিকল্পনা ছাড়া এমন ভবন গড়ে ওঠা সম্ভব নয়। অনেক শহরের নদীর পাশের ভবন ভেঙ্গে পুনরায় নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার নাম এখানে উল্লেখ করা যায়।
বিশ্বের প্রতিটি শহরেই পুরান শহর আছে। এটি পর্যটকদের আরেক আকর্ষণের জায়গা। যেসব শহরে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে, সেখানে পুরান শহরগুলো আরো সুন্দর। কোন গাড়ি নেই। লোকজন পায়ে হেটে হেটে ঘুরে দেখে। খাবারের জন্যও বিখ্যাত এই পুরান শহরগুলো। রাস্তায় রাস্তায় খাবারের উৎসব। সিংগাপুরের শহরের সব ভাঙ্গা হলেও চায়না টাউন বা ইন্ডিয়ান টাউনে হাত দেয়া হয়নি। এজন্য একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে বিশাল দেয়ালে শহরের ছবি। হাতে ঘষলেই সেখানে আগের চিত্র ফুটে উঠে। দেখা যায়, কি পরিবর্তন আনা হয়েছে। পুরান চায়না টাউনে শুধু রঙ করেই আকর্ষণীয় করা হয়েছে। ঐহিত্যকে সবখানেই সম্মান করা হয়ে থাকে।

যাই হোক আমাদের ঢাকা শহর এর প্রতিটি দিক থেকে সমৃদ্ধ। শহরটি নদীর পাশে। আছে পুরান শহর। আমাদের পুরান ঢাকা। মোঘলদের রুচির প্রশংসা করতে হয়। ঢাকা শহর এই অঞ্চলের মধ্যে সেরা একটি জায়গা। ঢাকার পানি, আবহাওয়া এই অঞ্চলের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। সারাদেশে যখন খরা, ঢাকায় তখন বৃষ্টি হয়। ঢাকায় বসবাস করলে স্কিন সুন্দর হয়ে যায়। স্বাস্থ্যকর স্থান হিসেবে ঢাকার পরিচিতি ছিলো উপমহাদেশ জুড়ে। কালের পরিক্রমায় সেই শহরটি এখন বিশ্বের সেরা খারাপ শহরের শীর্ষে। মাঝে মাঝেই আগুনে হতাহত প্রচুর মানব সন্তান। এখন পপুলার একটি ধারণা নিয়ে সবাই বেশ আলোচনায় মত্ত হয়ে আছে। সেটা হলো কেমিক্যাল। সবার ধারণা কেমিক্যাল সরালেই পুরান ঢাকার বিপর্যয় দূর হবে। আমার মনে হয়, এটা সদূর পরাহত। একটা বিপদ গেলেও কয়েক হাজার বিপদ পুরানো ঢাকার মাথার উপর ঝুলছে। এরপরেও আগুন লাগবে। আর আগুন লাগলে বের হওয়ার রাস্তাই নেই সেখানে। মানুষ একই হারে মারা যাবে। আমরা ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় আনতে চাইনা। এটা হলে ইতিহাসের বড় একটি মানবিক বিপর্যায় ঘটবে এই পুরান ঢাকায়। একারণে সময় এসেছে পুরান ঢাকা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার।

আমি ভারতের হায়দরাবাদ গেছি। হায়দরাবাদ এখন দুটি রাজ্যের ডি ফ্যাক্টো রাজধানী। একটি অন্ধ্র। অন্যটি তেলেঙ্গানা। ২০১৪ সালে তেলেঙ্গানা রাজ্যটি প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ১০ বছরের জন্য হায়দরাবাদ শহরকে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার যৌথ রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে এর পর কে পাবে হায়দরাবাদ। তা নিয়ে টানাটানি চলে। সিদ্ধান্ত হয় হায়দরাবাদকে তেলেঙ্গনা রাজ্যে পাবে। অন্ধ্র প্রদেশের নেতা মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে নতুন রাজধানী গড়তে যত টাকা লাগে দেয়া হবে বলে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রতিশ্রুতি দেয় হয়। তিনি কৃষ্ণ নদীর তীরে অমরাবতিতে রাজধানী স্থাপনের ঘোষণা দেন। ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতি পেয়েই নাইডু সিঙ্গাপুর চলে যান। সেখানে অনেক দিন অবস্থান করেন। সিংগাপুরের প্রতিটি বিষয় খুটিয়ে খুটিয়ে দেখেন। পরিবহন ব্যবস্থা। নিরাপত্তা। এরপর সিঙ্গাপুরকে রাজি করান এই শহরের আদলেই অমরাবতিতে একটি শহর প্রতিষ্ঠার। সিঙ্গাপুর রাজি হয়। এ শহরে কোন ট্রাফিক লাইট থাকবেনা। স্বয়ংক্রীয়ভাবে গাড়ি চলবে। কোন গাড়িকে থামতে হবেনা। থাকবে পার্ক। খেলার মাঠ। লেক। সাধারণের জন্য ফ্লাট। আর বিশিষ্টজনদের জন্য বাংলো। এ শহরে ৫১ ভাগ থাকবে গ্রিণ স্পেস। ১০ ভাগ থাকবে ওয়াটার বডি। ঠিক আরেকটি সিংগাপুর। এজন্য বিশ্বব্যাংক ৫শ মিলিয়ন ডলার দেবে। ২৫০০ কোটি রুপি দিচ্ছে ভারত সরকার। আর ৭৫০০ কোটি রুপি দেবে হাডকো। সব মিলিয়ে ৩৩ হাজার কোটি রুপির বিশাল কর্মযজ্ঞ।

আমি দীর্ঘদিন ধরে চিন্তা করেছি। প্রথমেই বলে নেই, আমি নগরবিদ নই। এ বিষয়ে লেখাপড়াও আমার নেই। জ্বর হয়েছে শুনলে বাঙালি সবাই চিকিৎসক হয়ে উঠে। আমার অবস্থাও তেমনটাই। এখন যে অবস্থায় আছে পুরান ঢাকা, তাতে সেখানে দৃষ্টিনন্দন কিছুই করা সম্ভব নয়। আমাদের বুড়িগঙ্গা নদী বিশ্বের সবচেয়ে দুষিত নদীর একটি। এটাও পুরান ঢাকার কারণে। সবগুলো সুয়ারেজ লাইন নদীর সাথে যুক্ত। কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। এবার আওয়ামী লীগের নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে নদীর পাড় ঘিরে সিংগাপুরের আদলে শহর গড়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত হয়েছে। কিন্তু কিভাবে? এটা উল্লেখ করা হয়নি। পুরান ঢাকার সমাধান হলো- ভেঙ্গে নতুন করে আবার শহর তৈরি করা। পুরানো ঢাকা ভেঙ্গে ফেলার কথা শুনে কপালে চোখ উঠে যেতে পারে! এখনি সমগ্র পুরান ঢাকাকে ৫০টি জোনে বিভক্ত করা দরকার। সেই দয়াগঞ্জ থেকে গাবতলী। জরিপ করা দরকার ভবনগুলোর। বড় বড় ভবন আর ঐতিহাসিক স্থাপনা রেখে বাকী সব ভবন ভেঙ্গে ফেলতে হবে। বিশ্বে এখন ইউলুপ দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হয়। একটি সড়কের উপর আরেকটি সড়ক নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে কোন ট্রাফিক লাইটের প্রয়োজন হয়না। পরিকল্পনা করতে হবে। ৩০ ভাগ সড়ক রেখে বাকী জায়গায় তুলতে হবে সুউচ্চ ভবন। ব্যবসার জন্য এলাকা। মার্কেট। পার্ক স্থাপন করতে হবে। খেলার মাঠ তৈরি করতে হবে। লেক বানাতে হবে। করতে হবে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ আর মন্দির। আইন করা দরকার, ঢাকায় বিশেষ করে পুরান ঢাকায় কোন ব্যক্তি জমির মালিক হতে পারবেনা। ফ্লাটের মালিক হতে পারবেন। আর সেই কারণেই পুরান ঢাকার সব জমি অধিগ্রহণ করা দরকার। জমির মালিকরা ফ্লাট পাবেন। দেশে এতগুলো বেসরকারি ব্যাংক। এর একেকটি ব্যাংককে একটি জোনের দায়িত্ব দেয়া যায়। অর্থ সমস্যার সমাধান এভাবেই সম্ভব। আমার ধারণা এ বিষয়ে ফরেন এইডও পাওয়া যাবে। পুরান ঢাকার ভবনগুলো এখনো আকাশ ছোঁয়া হয়নি। এক পাড়ায় যে মানুষের বসাবাস তা একটি দুটি ভবনেই তুলে দেয়া সম্ভব। নদীর তীরটাকে বাধাই করে ফেলা দরকার। সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল সরিয়ে ফতুল্লা নিয়ে যাওয়া দরকার। এজন্য একটি নতুন সরকারি সংস্থা দরকার। রাজউক বা গৃহায়ণের মতো। আমার ধারণা- সঠিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা করতে পারলে তাদের জমির বিনিময়ে ফ্লাট নিশ্চিত করতে পারলে জনরোষের সম্ভাবনা নেই। আমরা অনুরোধ করলেও সিংগাপুর রাজি হতে পারে- এখানে একটি শহর প্রতিষ্ঠার। বিশ্বের যেখানেই যাই, যখনি তাদের শহরকে নিয়ে গর্ব করে কোন একটি জরিপ উপস্থাপন করা হয়, সেখানেই সবার তলানিতে ঢাকা শহরের নাম। লজ্জায় আর কথা বলতে পারিনা। আমরা সিংগাপুর চাইনা। শুধু পচিশ বছর আগের ঢাকার পরিবেশ ফিরিয়ে আনলেই চলবে।
কাজী সায়েমুজ্জামান
২ মার্চ ২০১৯

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পঁচিশ বছর তো অনেক আগের কথা, ঢাকাকে এক বছর আগের পরিবেশে ফিরিয়ে আনাও সম্ভব নয়। যত দিন যাবে, ঢাকার অবস্থা তত খারাপ হতে থাকবে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এত নিরাশাবাদি হতে নেই। এখন নদী তার ইচ্ছা মতো পথ চলতে পারেনা। নদীকে শাসন করা হয়। এ যুগে সম্ভব নয় বলে কোন কথা নেই। মরুভূমিতে ফসল ফলানো হচ্ছে। সেখানে ঢাকাকে আগের পরিবেশে ফিরিয়ে আনা কোন ব্যাপারই নয়। তবে আমার মনে হয়, রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত ঘনিয়ে আসে। ঢাকার শহরও সে পর্যায়ে গেছে। কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। নয়তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে। একটি নতুন রাজধানী বানানোর চেয়ে ঢাকাকে সংস্কার করা সাশ্রয়ী। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

করুণাধারা বলেছেন: সুচিন্তিত পোস্ট। ভালো লাগলো। আপনার প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়িত করার মতন দূর দৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব আমাদের নেই।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে বলে ধন্যবাদ। দূর দৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্ব আমাদের আছে। তবে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, একটা দুষ্টচক্র বিরাজমান। শুধু ব্যক্তি নয়। দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা সংস্কৃতি পদ্ধতি আর মানসিকতাই এই দুষ্টচক্র। তবে যেকোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আর্থিক সক্ষমতা কিন্তু আমাদের তৈরি হয়েছে। মজার বিষয় হলো- এই সিস্টেমই সেটা সম্ভব হয়েছে। তবে বলতে পারেন এটা ধীরগতির। আমরা সুদিনের প্রত্যাশায়।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি ঢাকায় থাকাকালীন যখন খাদ্যের বর্জ্য ত্যাগ করেছেন, উহা এখনো বুড়িগংগায় আছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আমার সিঙ্গাপুর গিয়ে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে উদ্ভাবন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ হয়েছে। তারা তাদের নদীর আগের অবস্থা ও সংস্কার কার্যক্রমের ভিডিও ছবি আমাকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। সংস্কার পরবর্তী জলাধারটি তো বর্তমানে দেখেছিই। সিঙ্গাপুরের মানুষেরও সকল বর্জ্য ওই নদীতে গিয়ে মিশতো। একই পদ্ধতিতে আমাদের নদীটাকেও বাঁচানো সম্ভব। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব প্রয়োজন। যতোদিন এটা না হবে, ততোদিন কোন আশা নাই। ভোটের আগে অনেকে অনেক কিছুই বলবে, ভোটের পরে ভুলে যাবে.....এটাই বাস্তবতা। আমাদের নেতারা যে কম জানেন তা কিন্তু না। উনারা জানেন, কিন্তু দেশপ্রেমের চেয়ে আত্মপ্রেম উনাদের কাছে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিষয়। সে কারনেই দূর্ণীতি দূর হয় না.....বিবেকও জাগ্রত হয় না।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: রাষ্ট্রবিজ্ঞানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কথা আছে। সেটা হলো 'অ্যা নেশন গেটস অ্যা লিডারশিপ হোয়াট ইট ডিজারর্ভস'। আমরা নিজেরা কি ভালো। আমি কাউকে দোষারোপ করতে চাইনা। আমি নিজে কী করছি সেটাই আসল। পুরা শহরকে ময়লার ভাগাড় বানিয়েছে কোন রাজনীতিবিদ না। আপনি আমি সবাই। ময়লাটা নির্দ্বিধায় রাস্তায় ফেলে দিই।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: পঁচিশ বছর আগের জনসংখ্যা আর এখনকার জনসংখ্যা কি এক?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ঢাকা শহরের চেয়ে বেশি বা কাছাকাছি জনসংখ্যার শহর তো পৃথিবীতে আরো আছে। জনসংখ্যা বেশি থাকবে বলেই তো শহর। আর শহরেই বেশি সুযোগ সুবিধা থাকে। শহরের জন্য জনসংখ্যা কোন ঘটনা নয়।

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: মানুষ দিনকে দিন অগ্রসর হয়। আমরা ভূতের মত পেছনে হাঁটতে থাকি। আমাদেরকে ভূতে পেয়েছে।
এই জন্য আমাদের সাধারণ নাগরিকদের উন্নতি নয়, অতীতে যে দিন ছিল, সেদিন ফিরিয়ে আনার দাবী তুলতে হয়। কি আধুনিক নেতৃত্বের তলে আমরা বাস করি।

যে দিন গেছে, সেদিন কি একেবারেই গেছে!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সেদিন আর সেদিনের স্বাচ্ছন্দকেই লক্ষমাত্রা বানানো দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: কী যে বলেন? আপনি এসব পশ্চাৎপদ চিন্তাধারা থেকে বেরিয়ে আসুন। আমাদের এসব নিয়ে চিন্তা করার সময় কোথায়? সাজানো-গোছানো শহর দিয়ে কী হবে? আমরা নেতারা বোকা ভোটারদের নাকের সামনে বিভিন্ন উন্নয়ন আর সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মুলো ঝুলিয়ে ক্ষমতায় এসে অন্যের মাথায় কিভাবে কাঁঠাল ভেঙ্গে খাওয়া যায় আর নিজের আখের কিভাবে গোছানো যায় হরহামেশা এসব চিন্তাভাবনা ছাড়া অন্যকিছু চিন্তা করার সময় কোথায় পাবো? ওসব ছবির মত সুন্দর শহর আমাদের না হলেও চলবে। দেশে যত বিশৃঙ্খলা থাকবে তত আমাদের পকেট আর ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলেফেঁপে ওঠার সুযোগ থাকবে। আর আমাদের তো চিন্তার কোন কারণই নেই। আমাদের স্ত্রী-সন্তানরা ওসব ঘিঞ্জি এলাকায় কখনও বসবাস করবে না। আমরা নিজেরা সবসময় ভিআইপি মর্যাদায় অভিজাত এলাকায় আলিশান অট্টালিকায় বসবাস করি। আমাদের স্ত্রীদের এই গরীব দেশের মার্কেটগুলোতে গিয়ে শপিং করায় প্রবল অনীহা। তাই যে কোন পর্ব-পার্বণে তারা বিদেশের দামি শপিংমলগুলোতে পদধূলি দিতেই গর্ববোধ করে। আমাদের চলাফেরাতেও কোন সমস্যা নেই। প্রশস্ত রাস্তায় সামনে-পেছনে গার্ডসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দামি গাড়ির বহর তো আমাদের রয়েছেই। আর আমাদের আদরের সন্তানেরা এদেশের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে খাপ খায়না বিধায় বিদেশেই তাদের শিক্ষাজীবন প্লাস ভবিষ্যতের ব্যবস্থা করে দিই। সুতরাং দেশের ব্যাপারে ভেবে কী কচুটা হবে? তার চেয়ে কিভাবে আরো সম্পদের মালিক হওয়া যায়, সুইস ব্যাংকের অ্যাকাউন্টটাকে কিভাবে আরও ঢাউস করা যায় সে চিন্তা নিয়েই সর্বক্ষণ মাথা ঘামানোটা সমীচিন নয় কি?

আর শুনুন, দেশ নিয়ে কপচানি তো অনেক হল। এখন বাঙালি জাতির অতীব গুরুত্বপূর্ণ আর বিশাল ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি কিন্তু দরজায় কড়া নাড়ছে। আপনার সিঙ্গাপুরে কি বাংলাদেশের মত ১লা বৈশাখে ৫০০ টাকার ইলিশ ৫-১০ গুণ বেশি দামে কিনে পান্তার সাথে খাওয়ার অভাবনীয় ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী সংস্কৃতি জন্ম দেয়ার মত ক্ষুরধার মস্তিষ্ক আছে? ভ্যালেন্টাইনস ডে'র মত মহান ও উপকারি সংস্কৃতি আমদানি করার কৌশল রপ্ত করা আছে? বৈশাখি উৎসবে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের স্টাইলে একগাদা লোকের সামনে মেয়েদেরকে ন্যাংটো করে বিকৃত লালসা চরিতার্থ করার অভূতপূর্ব গৌরবময় সংস্কৃতি আছে? যদি না থাকে তাহলে বলব সিঙ্গাপুর আর আপনার তথাকথিত সেই নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে ভরা সেই শহরগুলো আমাদের থেকে যোজন যোজন পিছিয়ে আছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আর সংস্কৃতিই বিশ্বের সেরা। আপনি খামোখা দেশটা নিয়ে চিন্তা করে সময়ের অপচয় করছেন।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এটা আলাদা পোস্ট হতে পারে। আমার মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন।

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভালো লাগলো। সদিচ্ছা থাকিলে সম্ভব, কোন ব্যাপারই নহে ! কিন্তু একটা জিনিস কি ভাবিয়া দেখিয়াছেন, সারা বিশ্বে অবকাঠামো যত সুন্দর হইতাছে, পরিবেশ যত সুন্দর হইতাছে , মানুষ কেন এতো সুন্দরের মধ্যে থেকেও, এতো সৌন্দোর্য্য পূজারী হয়েও অসুন্দর হইতেছে ?

মানুষকে , মানুষের মনুষত্ব, নৈতিকতাবোধ সুন্দর করিতে আরও কতবড়, কত বড় আয়োজনে প্রকল্প নেওয়া দরকার।

আপনি ঠিকই বলিয়াছেন , আমরা ম্যাংগোপিপল নিজেরা সচেতন না হলে, নিজেদের অভ্যাস পরিবর্তন না করলে, সিঙ্গাপুরকেও ঢাকা বানাইতে বেশি সময় লাগিবে না !

আহা, ২৫ বছর আগের ঢাকা, সেতো স্বপ্নময় !

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত। আমাদের ঢাকা অনেক স্বাচ্ছন্দের ছিল।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দুই পরিবার মুক্ত হওয়া ছাড়া ঢাকা বা দেশের উন্নয়ন হবে না...

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৪৬

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: এর বাইরে নেতা দেখান, যাদেরকে সবাই মানে।
আমরা কী ভালো! যেখানে সেখানে ময়লা দুই পরিবার ফেলেনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্থানে তো অশিক্ষিত লোকজন যায়না। কোন অনুষ্ঠানের পর ক্যাম্পাসের চেহারার দিকে তাকানো যায়না। পুরো ক্যাম্পাসকে ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলে কারা!
নিজেরা পরিবর্তিত হলে শহরে রাস্তাঘাটে অন্তত উৎকট গন্ধ সইতে হতোনা।

১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে যখন আপনি আমি থাকব, তখন পরিবর্তন আসবে। এর আগে এই লোভী, ঘুষখোর, অসৎ নেতাদের দ্বারা পরিবর্তন সম্ভব নয়...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.