নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চেতনায় মুক্তিযোদ্ধা

সায়েমুজজ্জামান

কাজী সায়েমুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের স্কলারশিপ নিয়ে কিউং হি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ট্রেড পলিসি বিষয়ে মাস্টার্স। জন্ম ১৯৮১ সালে চট্টগ্রাম শহরের দামপাড়ায়। তার পূর্বপুরুষ ছিলেন দক্ষিণাঞ্চলের বাউফলের ঐতিহ্যবাহী জমিদার কাজী পরিবার। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখিতে হাতে খড়ি। তবে ১৯৯৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত হন। তিনি যুগান্তর স্বজন সমাবেশের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক। ২০০৪ সালে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগ দেন। পরে ইংরেজী দৈনিক নিউ এজ এ সিনিয়র প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে ২৮ তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সিনিয়র সহকারী কমিশনার, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রেক্টর (সচিব) এর একান্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপিতে লিয়েনে চাকরি করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামে ন্যাশনাল কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। শিল্প সচিবের একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷বর্তমানে সরকারের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলা ছাড়াও ইংরেজী, আরবী, উর্দ্দু ও হিন্দী ভাষা জানেন। ছোটবেলা থেকেই কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন। যেকোনো প্রয়োজনে ইমেইল করতে পারেন। [email protected]

সায়েমুজজ্জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহ মখদুমের মাজার জেয়ারত

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩৮

এক.
রাজশাহী আসার আগেই হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (র.) এর মাজার জেয়ারতের নিয়ত করেছিলাম। আল্লাহর এই ওলী বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী রা. এর নাতি। আমি সুফিদের অনেক ইতিহাস পড়েছি। হযরত মখদুম রুপোশ (র.) এর জীবনীও পড়েছি ছোটবেলায়। ওই সময় মনের ভেতরে একটা দৃশ্য ফুটে উঠতো। বিরাট নদী। তাতে বিশাল এক কুমিরের পিঠে একজন দরবেশ। আবার তিনি যখন বন জঙ্গলে, তখন বাঘের পিঠে। বাঘ তাকে নিয়ে হেটে যাচ্ছে। আজ সেই দরবেশের মাজার দর্শন করবো। এটা ভাবতে গিয়ে আবারও মনে পড়লো। আমার কাজ শেষ হয় আজ দুপুরে। বিকেলেই বেড়িয়ে পড়েছি। প্রশাসন থেকে একটি গাড়ি দিয়েছিল। ঘুরে দেখলাম রাজশাহী। বলা হয়-রাজা আর শাহীদের স্থান এই রাজশাহী। অনেকে বলেছেন, মোঘল বাদশাহ আকবরের প্রধান সেনাপতি রাজা মানসিংহ এই শহরে এসেছিলেন। তাঁর অন্যতম খেতাব ছিল ‘ শাহী রাজ ’। তাঁর এই সফরের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই শহরের নাম রাখা হয় ‘রাজশাহী’। অনেকে বলেন, এই শহরে এত দরবেশে আর শাহ দের আগমন ঘটেছিল যে, তারা এক পর্যায়ে যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়ে রাজার ক্ষমতা পেয়েছিলেন। সে কারণেই রাজশাহী। নামকরণের যেই কারণ থাকুক না কেন, শহরের পুরাতন শাহী ভবনগুলো দেখলে রাজশাহী নামকরণ স্বার্থক বলেই তো মনে হয়। প্রথম গেলাম রাজশাহী কলেজ। দেশের তৃতীয় প্রাক্তন কলেজ। ইংলিশরা যাই করুক তাতে নিজেদের ছাপ রেখে গেছে। পুরো রাজকীয় ভবন। সেখান থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফেরার সময় মাগরিবের নামাজ পড়লাম হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (র.) এর মাজার সংলগ্ন মসজিদে।

দুই.
মসজিদের উত্তর পাশেই রয়েছে মাজার। মসজিদের সামনে পুকুর। মাজারটা পদ্মা নদীর একেবারেই কাছে। পদ্মা নদী সর্বনাশা। কত লোকালয় তার পেটের ভেতরে। অথচ শত শত বছরেও মাজারটির দিকে হাত বাড়ায়নি। মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব এ মাজার জেয়ারত করেছিলেন। তিনি নৌপথে ঢাকা যাচ্ছিলেন। পথে এই মাজার জিয়ারত করেন। আওরঙ্গজেব মাজারের খাদেমের কাছে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) এর পুরো জীবনী জানতে চেয়েছিলেন। পরে ফার্সী ভাষায় তা লিখে বাদশাহর কাছে পাঠানো হয়। ইংরেজ আমলে দরগাহ শরীফের সম্পত্তি সরকার বাজেয়াপ্ত করে। এর বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা হয়। মামলার প্রয়োজনে ১৮৩৮ সালে ফার্সি ভাষা থেকে তার জীবনী বাংলায় অনুবাদ করা হয়। জানা গেছে, এই বইটিই বাংলা ভাষায় প্রথম গদ্য রচনা। এর মূল পান্ডুলিপি নাকি বাংলা একাডেমীর দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থমালা সিরিজে সংরক্ষিত আছে। শুধু আওরঙ্গজেবই নয়। মাজারের বর্তমান খাদেম আমাকে জানালেন, মাজারে ঢুকতে পাথরের যে বিশাল চৌকাঠসমেত দড়জা রয়েছে সেটি দিল্লীর বাদশাহ ফিরোজ শাহ তৈরী করে দিয়েছেন। হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) এর জীবনী ইতিহাসের পাঠ। এটা ভালোভাবেই সংরক্ষিত হয়েছে। এ নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। মাজারের খাদেম আমাকে একটি বই দেখালেন। শাহ মখদুম রূপোশ (রহঃ) দরগা এস্টেট বইটা প্রকাশ করেছে। বই খুলে কিছুক্ষণ পড়লাম। তাতে লেখা তিনি ১২৮৯ সালে রাজশাহী বা সেকালের মহাকালগড়ে আসেন। আর ১৩২৪ সালে ইন্তেকাল করেন। শাহ মখদুম (র.) প্রকৃত নাম ছিল আব্দুল কুদ্দুছ জালালুদ্দীন। এদেশে আসার পেছনে অনেক বড় ইতিহাস রয়েছে। তার জন্ম বাগদাদে। পিতা ছিলেন বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর পুত্র আজাল্লা শাহ (র.)। হালাকু খান বাগদাদ ধ্বংস করলে তিনি তিনপুত্রসহ ভারতে চলে আসেন। তখন ভারতের শাসক ছিলেন নাসিরুদ্দীন শাহ। হালাকু খানের মৃত্যুর পর তিনি বাগদাদে ফিরে গেলেও তার পুত্ররা ইসলামের জন্য থেকে যান। এক পুত্র মখদুম র. নোয়াখালী গিয়ে খানকাহ স্খাপন করেন। পরে শুনতে পান মহাকলগড় এলাকায় ইসলাম প্রচাররত শিষ্য তুরকান শাহকে দৈত্যরাজরা হত্যা করেছে। এ কারণেই তিনি নোয়াখালি ছেড়ে কুমিরের পিঠে চড়ে রাজশাহীর বাঘায় আসেন।

তিন.
সে সময়ে রাজশাহী বা মহাকালগড় শাসন করতেন দৈত্যরাজ। দুই ভাই। এই দৈত্যরাজরা ছিলেন যাদু বিদ্যায় পারদর্শী। দৈত্যদের উদ্দেশ্যে নরবলি দিতেন। একদিকে প্রিয় শিষ্যকে হত্যা আর অন্যদিকে অত্যাচার। এই অবস্থায় হযরত শাহ মখদুম রুপোশ (রহঃ) নিপীড়িত মানুষের পাশে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। দৈত্যরাজদের সাথে তিনি তিনবার যুদ্ধ করেছিলেন। পরে দৈত্যরাজদের পরাজিত করে আটক করেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। অনেক গল্প। আমি এসব ভাবতে ভাবতেই মাজারে ঢুকলাম। মাজারটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট। বাংলা পিডিয়ার মতে, ১৬৪৪ খ্রিস্টাব্দ জনৈক আলী কুলি এই মাজারটি নির্মাণ করে দেন। মূল প্রবেশপথে সেই পাথরের চৌকাঠ। কোন জোড়া নেই। মাথা সোজা করেই মাজারে প্রবেশ করা যায়। হাত দিয়ে ধরে দেখলাম। কত শত বছরের পুরানো পাথরের দড়জা। কালের সাক্ষী হয়ে আছে। ডান পাশে তার বংশ তালিকা। মোবাইল ফোন বের করে বংশ তালিকার ছবি তুলে নিলাম। দড়জা পার হলেই ভেতরে আল্লাহর এ ওলীর মাজার। পাশাপাশি দুটি কবর। পশ্চিম পাশের কবরটি তার ভাতিজা হযরত শাহনূর র. এর। বলা হয়, মৃত্যুর আগে তিনি নিজে এখানে লাঠি দিয়ে কবরের চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। বলেছিলেন, আমার ভাতিজা শাহ নুর বাগদাদ শরীফ হতে আসবেন এবং তিনিই এখানকার খলিফা পদ পাবেন। সত্যিই তিনি পরবর্তীতে এখানে এসেছিলেন। বর্তমানে মাজারটা এসি। কয়েকটা ফ্যানও ঘুরছে। নামাজ শেষে স্কুল পড়ুয়া একদল ছেলেও আমার সাথে মাজারে ঢুকেছে। তারা কবরের চারপাশে গোল হয়ে বসে প্রার্থনায় রত। কেউ মাজার ছুয়ে সালাম করছে। আমি কোনমতে জায়গা করে নিলাম। পায়ের কাছে। দাড়িয়ে সালাম দিলাম। জেয়ারত শেষে হাত তুলে সবার জন্য দোয়া করলাম। আমি উসিলায় বিশ্বাস করি। তার উছিলায় সবার শান্তি প্রার্থনা করলাম। ফেরার সময় মাওলানা রুমীর কবিতার লাইন মনে পড়ছে, জুমলা মা শু কাস্ত ও আশেক পরদাহই, জেন্দাহ মা শু কাস্ত ও আশেক মোরদাহই। এই পৃথিবীতে যা কিছু দেখছ, সবই আল্লাহর অস্তিত্বের নমুনা, সবই আল্লাহর। আল্লাহর খাঁটি আশেক যারা, তাদের পক্ষে যা কিছু দেখা যায়, সবই আল্লাহর নমুনা।
ভ্রমণের এই একটা সুবিধা রয়েছে। আল্লাহর নমুনা দেখা যায়।

কাজী সায়েমুজ্জামান
সার্কিট হাউজ, রাজশাহী
২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭
রাত ১২ টা৷

মূল মাজারের বাইরের অংশ৷ মাজার গোলাকার৷


এই দড়জাটা পার হলেই ভেতরে শাহ মখদুম র. চির শয়নের স্থান৷মাজারের খাদেমের দাবী দিল্লীর ফিরোজ শাহ এটি বানিয়ে পাঠিয়েছেন৷


হযরত শাহ মখদুম র. ছিলেন হযরত অাবদুল কাদের জিলানী র. এর নাতি৷ বংশ লতিকা৷


মাজারের মূল পথে পাথরের চৌকাঠ৷ বিশাল এক পাথর কেটে এটা বানানো হয়েছে৷


দৈত্যরাজা এখানেই দৈত্যদের নামে নরবলি দিতেন৷


নরবলি দেয়ার বেদিটাও একটা বিশাল পাথরে প্রস্তুত৷ বলির পর রক্ত গিয়ে এর পাত্রে জমা হতো৷


শাহ মখদুম র. এর হুজরা মোবারক৷ তিনি এখানে বসেই ইবাদত বন্দেগী করতেন৷ এখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন৷


হযরত শাহ মখদুম র. এর বাহন কুমির মারা গেলে এখানেই দাফন করা হয়৷ এই কুমিরের পিঠে চড়েই তিনা নদী পারাপার হতেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে৷


মাজারের সামনে পুকুর৷ কুমির এই পুকুরেই থাকতো৷

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


"এ কারণেই তিনি নোয়াখালি ছেড়ে কুমিরের পিঠে চড়ে রাজশাহীর বাঘায় আসেন। "

-মানুষ ঘোড়ায় চড়েন, হাতিতে চড়েন, গরুর গাড়ীতে চড়েন; কুমীরের পিঠে চড়া কি স্বাভাবিক, নাকি রূপকথা?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: রাজশাহী বা মহাকালগড়ের তৎকালীন রাজা ছিলেন দৈত্যপুজারি। তিনি ম্যাজিক জানতেন। তন্ত্রমন্ত্রও জানতেন। তার এটকা যাদুর কুপ ছিল। সেখানে যাদুর অনেক সামগ্রিও সেট করা ছিল। মানুষকে রাজা ম্যাজিক বা যাদু দেখিয়ে বশ করে রেখেছিলেন ওই দৈত্য রাজারা। ফলে সেখানে ঢুকতে গেলে কারামত দেখানোই ছিল সর্বোত্তম কৌশল। তিনি হয়ত সেই কৌশলটাই ব্যবহার করেছেন। সেই কুমির মারা গেলে যেখানে দাফন করা হয়েছে তার ছবি দিয়েছি দেখুন।
তবে কুমিরের পিঠে চড়ে নদীতে পথ চলায় আপনার এত অবাক হবার কি হলো বুঝলাম না। কারণ এখনো একটা কুমিরকে প্রশিক্ষণ দিলে সম্ভব। সিল মাছ এখন তো নৌবাহিনীর সদস্য হয়ে গেছে। সিল দিয়ে জাহাজ বিধ্বংসি মাইন পর্যন্ত লাগানো হচ্ছে।

২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:


"সে সময়ে রাজশাহী বা মহাকালগড় শাসন করতেন দৈত্যরাজ। দুই ভাই। এই দৈত্যরাজরা ছিলেন যাদু বিদ্যায় পারদর্শী। "

-আপনি কি সরকারী চাকুরী করছেন?

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: তার আগে দশ বছর সাংবাদিকতা করে এসেছি। এই রাজারা আসলে হিন্দু ছিলেন না। নরবলি দিয়ে দৈত্যর পুজা করতেন। নিজেদের ঈশ্বর প্রতিপন্ন করতেন। নিজেদের নাম ধারণ করেছিলেন দেও বা দৈত্য রাজা। এটা নিয়ে রিসার্চ আছে। প্রমাণ্য ইতিহাস আছে। উইকিপিডিয়ায় তাদের নাম লেখা হয়েছে- আংশুদেও চান্দভন্ডীও বর্মভোজ এবং আংশুদেও খেজুর চান্দখড়্গ গুজ্জভোজ। আগে জানুন। তারপর তক্ক করতে আসবেন।

৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

মলাসইলমুইনা বলেছেন: অনেক দিন আগে কয়েক বছর আমি রাজশাহী ছিলাম | রাজশাহী থেকে চলে আসবার আগে রাজশাহী ইউনিভার্সিটির একজন প্রফেসর আমাকে বললেন আমি যেন শাহ মখদুমের মাজারে গিয়ে আমার যেন আবার রাজশাহী ফিরে আসতে না হয় সেই দোয়াও করি | কারণ একটা প্রচলিত বিশ্বাস যে একবার রাজশাহী যায় থাকার জন্য সে আর ওখান থেকে চলে আস্তে পারেনা শাহ মখদুমের দোয়া/অনুমতি (এরকম কিছু একটা বলেছিলেন) না থাকলে | যাহোক, কিছু ব্যস্ততার জন্য আমার আর যাওয়া হয়নি শাহ মখদুমের মাজারে | এখনতো অনেক বছর রাজশাহীতেই আর যাবার সুযোগ হচ্ছে না |

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: গিয়ে একবার সালাম দিয়েে আসুন।

৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: কিছু ছবি দিলে ভালো হতো।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। ছবি দিয়েছি।

৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


মলাসইলমুইনা বলেছেন,
"কারণ একটা প্রচলিত বিশ্বাস যে একবার রাজশাহী যায় থাকার জন্য সে আর ওখান থেকে চলে আস্তে পারেনা শাহ মখদুমের দোয়া/অনুমতি (এরকম কিছু একটা বলেছিলেন) না থাকলে | "

-এ কারণেই ওখনাে রগকাটার দল বাস করে

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: আপনার জানার পরিধি দেখলাম। এই জানা নিয়ে আবার তর্ক করতে আসছেন! রগকাটার দলের একটা সাফল্য আছে। পৃথিবী সৃষ্টির শুরু থেকে মুসলমানদের মধ্যে মাজার জেয়ারতের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল তার বিরুদ্ধে আপনার বা আপনার মতো মানুষকে এক করতে পেরেছে। সৌদী আরবের ওহাবী সরকার আসার পর মাজার ভাঙ্গা হয়েছে। অন্যান্য দেশে অনেক নবীর মাজার এখনো আছে। আমাদের নবীর সময়ও সেই মাজার ছিল। তিনি কখনোই তা মাটিতে মিশিয়ে দিতে বলেন নি। বললে কোন নবীর মাজার অবশিষ্ট থাকতো না।

৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭

কানিজ রিনা বলেছেন: না রগকাটারা মাজার পছন্দ করেনা।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: একমত। এই সিম্পল জিনিসটাই জানেনা তারা। রগকাটাদের বিশ্বাস না জেনেই যারে তারে রগকাটা দলে অন্তর্ভুক্ত করে দেয়।

৭| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬

মলাসইলমুইনা বলেছেন: নাইন ইলেভেনের পর থেকেই একটা সন্ত্রাসী পরিচয়ে নিয়ে চলতে হয় | যাক, এটা ভেবে ভালো লাগছে যে এই লেখার মন্তব্য সমীকরণ অনুযায়ী এটলিষ্ট রগকাটা-র অভিযোগে মুক্ত থাকা যাবে আর সেই অভিযোগে কেউ কোথাও চালান দিতে চাইবে না ! ব্যাপক খুশি হলাম !! ও হ্যা,মাজার আর পদ্মা নদীর ছবি থাকলে দিয়ে দিন|অনেক দিন পর রাজশাহীটা একবার দেখি |

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: সুফিবাদ কখনোই সন্ত্রাসে বিশ্বাস করেনা। কোন কালেই করেনি। না জানলে কিছু, যা দেখবে তাকেই বলবে লিচু। এদের অবস্থাও হয়েছে তাই। যাক ছবি দিলাম।

৮| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমার শাহ মখদুমের মাজারে যাওয়ায় হয়নি কখনো | ফটোগুলো ভালোই লাগলো | ধন্যবাদ |

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

আখেনাটেন বলেছেন: কলেজে পড়ার সময় ওখানে একবার শবে বরাতের রাতে গিয়েছিলাম। গিয়ে কিছু বিষয় দেখার পর আর সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে হয় নি।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: যারা জানেনা, কুসংস্করাচ্ছন্ন তাদের কাজে আপনি প্রভাবিত হবেন কেন? একজন নেয়ামতপ্রাপ্ত মানুষের সাথে দেখা করা। জেয়ারত করা। যারা বাড়াবাড়ি করে তাদের শিক্ষিত মনে হয়নি। নিজের বুদ্ধিতে চলেন ভাই। নাকে মাছি বসলে নাক কাটতে নেই।

১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমি রাজশাহীর স্থানীয় বাসিন্দা। ছোটবেলা থেকে এই দরগায় যাতায়াত করি। তাই আপনার দেওয়া ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো। আশা করি, অন্যান্য ব্লগার বন্ধুদেরও ভালো লাগবে। ধন্যবাদ।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

সায়েমুজজ্জামান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনি অনেক সৌভাগ্যবান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.