নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিড়ালের শহর

১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫০


তুরস্কের সংস্কৃতি এবং অর্থনীতির কেন্দ্রস্থল ইস্তাম্বুল। প্রাচীনকালে বাইজেন্টিয়াম ও কনস্টান্টিনোপল নামেও পরিচিত ছিল প্রাচীন এই শহরটি। ইস্তাম্বুল হচ্ছে সবচেয়ে জনবহুল ইউরোপীয় শহর এবং বিশ্বের ১৫তম বৃহত্তম শহর। সব পরিচয় ছাপিয়ে

ইস্তাম্বুলের বর্তমান আরেকটি পরিচয় ‘বিড়ালের রাজধানী’ হিসেবে।ইউরোপের জনবহুল এই শহরটির অলিতে গলিতে দেখা মেলে নানা রঙের বিড়াল।
২০১০ সালে
ইস্তাম্বুলকে ইউরোপীয় সংস্কৃতির রাজধানী হিসেবে ঘোষনা করা হয়। সংস্কৃতির অংশ হিসেবেই যেন এর আনাচে কানাচে চোখে পড়ে অসংখ্য বিড়াল। অলসতায় গা এলিয়ে বসে থাকা,পর্যটকদের কোলে উঠে আদর নেওয়া অথবা দোকানে খাবারের জন্য ঘোরাফেরা করা বিড়ালের দৃশ্য খুব সাধারণ এই শহরে।
রাস্তায় ঘোরা এসব বিড়ালদের নিয়মিত খাবার দেন এখানে বসবাস করা মানুষেরা। শুধু তারা নন ইস্তাম্বুলে ঘুরতে আসা পর্যটকরাও ভালোবেসে খাবার দিয়ে থাকেন আদুরে এই প্রানীটিকে।

বিড়াল পালনের জন্য আলাদা এপার্টমেন্ট নেওয়ার মতো দৃশ্যের দেখাও পাওয়া যায় এখানে। শুধু তাই নয় এসব বিড়ালের জন্য রয়েছে আলাদা পার্কও।প্রতিদিন পার্কে বেড়াতে আসা মানুষেরা বিড়ালের জন্য নিয়ে আসেন খাবার। রাস্তায় থাকা পশুপাখির জীবন কষ্টের হলেও ইস্তাম্বুলে সেই দৃশ্য একদম ভিন্ন।পার্কে তাদের বসবাসের জন্য দেওয়া রয়েছে কাঠের ছোট বাড়ি। আরামপ্রিয় এই প্রানী বাদে প্রাচীনর শহর ইস্তাম্বুল এখন কল্পনা করা দায়।

ইস্তাম্বুলের মেট্রোপলিটন পুলিশেরও রয়েছে এখানে বেশ বড় ভূমিকা। তারা বিড়ালের পাশাপাশি কুকুরদের জন্যও করেছে টিকার ব্যবস্থা।
এমনকি কিছু বিড়ালের রয়েছে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি। তেমনই এক বিড়াল হাগিয়া সোফিয়া মসজিদের ‘গ্লি’ যার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সাথে তোলা ছবি ভাইরাল হয়েছিল। ২০০৯ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার তুরস্ক সফরের সময় হাগিয়া সোফিয়া মসজিদে গ্লির গায়ে হাত বুলিয়ে ছবিতে পোজ দেন যে ছবিটি বিশ্বের প্রায় বড় বড় সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও গ্লির ছিল সরব উপস্থিতি। বার্ধক্যজনিত কারণে গ্লি মারা গেলে বিশ্বজুড়ে তার ভক্ত অনুরাগীদের দুঃখ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তাঁর মৃত্যুর খবরে

বিড়ালদের গৃহপালিত পশু হিসেবে রাখার প্রচলন প্রথমে মিশরে শুরু হয় এবং পরবর্তীতে তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা যায়। তথ্যমতে ইস্তাবুলে রাজার হালে থাকা এই বিড়াল এসেছে আফ্রিকা থেকে। ইসলাম ধর্মে বিড়ালের প্রতি নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো হয়েছে। ইস্তাম্বুলের বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম বলে বিড়ালের জন্য বাড়তি আদর যত্নের ব্যবস্থা র‍য়েছে বলে মনে করা হয়।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দারুণ বিষয়।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ওখানকার বিড়ালের ছবি দেখতে পারলে আরও ভাল লাগত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.