নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুরো গ্রাম পুরুষবর্জিত, সামাজিক প্রথার গণ্ডি ছাড়িয়ে একাকিনী নারীরাই এখানে সর্বেসর্বা

১২ ই জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৪





গ্রাম মানেই বসতি। আর সেই বসতি গড়ে ওঠে নারী-পুরুষের সমন্বয়ে তৈরি পরিবার ঘিরেই। কিন্তু এ এমনই এক গ্রাম। যেখানে কোনো পুরুষ বাস করেন না। শুধু নারীরাই থাকেন এই গ্রামে। জানেন, কোথায় রয়েছে সেই আজব গ্রাম। এ গ্রামে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রথা ভেঙে নারীশক্তির অনন্য দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে।

এ গ্রামের ঠিকানা কেনিয়ায়। কেনিয়ার উমোজ নামে এক গ্রাম রয়েছে। সেখানে শুধু নারীদের বাস। এ গ্রাম চলে নারীশক্তিতে। হাজার হাজার নির্যাতিতার ঠাঁই এ গ্রামে। সমাজে নির্যাতনের শিকার হয়ে এই পুরুষবর্জিত গ্রামে তারা বাসা বেঁধেছেন। তাঁদের নিজের মতো করে গড়েছেন সংসার।

সামাজিক অত্যাচার ও শোষণের নির্মমতাকে পিছনে ফেলে এ গ্রামের নারীরা তৈরি করেছেন নিজস্ব এক পরিচয়। কী রয়েছে এর নেপথ্যে। যে কারণে সমাজের মূলস্রোত থেকে সরে এসে নিজেদের একটা গ্রাম বানিয়ে নিতে হল তাঁদের। স্থাপন করতে হল নব পরিচয়!

প্রায় ৩০ বছর আগের ঘটনা। সাম্বুর সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারী গোড়াপত্তন করেন এ গ্রামের। সমাজ থেকে বিচ্যুৎ, পরিবার থেকে বিতাড়িত মহিলারা নিজেদের উদ্যোদে গড়ে তোলেন অভয়াশ্রম। তারপর ধীরে ধীরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নির্যাতিতা, নিপীড়িতারা যোগ দেন এই বৃহত্তর পরিবারে।

তাঁরা এই গ্রামে এসে শুরু করেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুরু হয়ে বেঁচে থাকার লড়াই। উমোজ গ্রামের সহ প্রতিষ্ঠাতা জেন নোমুকেন বলেন, এখন দিন বদলেছে, একজন মহিলার জীবনের সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁর নিজের। তিনি কী করবেন, কার সঙ্গে জীবন কাটাবেন, কীভাবে জীবন কাটাবেন, সেই সিদ্ধান্তের অধিকারী তিনি নিজেই।

এজন্য তাঁকে স্বাবলম্বী যেমন হতে হবে, তেমনই প্রতিষ্ঠা করতে হবে নিজস্ব এক জগৎ। নারীদের আধিপত্য পুরুষতান্রির ক সমাজ মানতে পারছিল না। এই অবস্থায় যেসব নারীরা মনে সাহস নিয়ে নিজেদের একটা জগৎ গড়ার তাগিদ অনুভব করেছেন। আর তারপরই আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

এ গ্রামের বাসিন্দারা নিজেদের ভাগ্যবান বলে মনে করেন। এখানে কাউ কাউকে চাপ সৃষ্টি করে না কোনো কাজের জন্য। কোনো অত্যাচারের ভয় নেই। সন্তানদের নিয়ে তাঁরা বেশ ভালো আছেন এখানে। এই গ্রামে সন্তান-সহ ৪০০ নারী বাস করেন। স্বাচ্ছন্দ্যেই চলে তাদের জীবন।


এ গ্রামে ছেলে সন্তানরা ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত থাকতে পারেন মায়ের সঙ্গে। তারপরই তাঁকে এ গ্রাম ছাড়তে হয়। এ গ্রামে কোনো পুরুষ রাত্রিযাপন করতে পারেন না। তবে পুরুষরা ঘুরে দেখার সুযোগ পান দিনে। এ গ্রামের জীবনযাত্রা দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন।

এ গ্রামের মহিলারা কৃষিকাজ ছাড়াও গহনা তৈরি করেন, পোশাক তৈরি করে বিক্রি করেন। সবাই স্বনির্ভর এই উমোজা গ্রামের মহিলারা। বিভিন্ন সম্প্রদায় থেকে এলেও সবাই এখানে একটি পরিবার। বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে শিশুদের জন্য স্কুল। সমাজিক কুপ্রথার বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বতন্ত্র পরিচয় স্থাপন করাই উমোজা গ্রামের মহিলাদের লক্ষ্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশেও যদি এমন কোন গ্রাম থাকতো, যেখানে থেকে নারীরা দুর্বিসহ যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেত।
সুন্দর একটি পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাংলাদেশেও যদি এমন কোন গ্রাম থাকতো!

৩| ১২ ই জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

শায়মা বলেছেন: এ দেখি স্বপ্নের এক পৃথিবীর গল্প!

আহারে আমাদের বাংলাদেশের নির্যাতিত মেয়েরা যদি চলে যেতে পারতো এই গ্রামে???

অনেক অনেক ভালোবাসা ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.