নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এভারেস্ট জয়ের পথে আমাদের ফেনীর মেয়ে মৃদুলা ।

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

এভারেস্ট জয়ের পথে আমাদের ফেনীর মেয়ে মৃদুলা ।

শিগগিরই এভারেস্টের চূড়ায় বাংলাদেশের পতাকা উড়তে যাচ্ছে আরও একবার। আর যার হাত দিয়ে এ চ্যালেঞ্জিং কাজটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে, তিনি মৃদুলা। পুরো নাম মৃদুলা আমাতুন নূর। গত শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায় হিমালয়ের বহুকাঙ্ক্ষিত বেজক্যাম্পে পৌঁছান তিনি। ভূমি থেকে ৫ হাজার ৩৬৪ মিটার, অর্থাৎ ১৭ হাজার ৫৯৮ ফুট ওপরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের এই তরুণী।
এর আগে শুক্রবার ৫ হাজার ১৮০ মিটার উঁচু বরফে ঢাকা গোরাকশিপে পৌঁছান মৃদুলা।
ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মৃদুলা আমাতুন নূর। নেপাল ও ভারতে বেশ কিছু পর্বতারোহী বন্ধুর কাছে পর্বতারোহণের অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। গত বছর অক্টোবরে হিমালয়ের শীতিধার চূড়ায় আরোহণের পর থেকেই মৃদুলার স্বপ্ন মাউন্ট এভারেস্ট জয় করা। এখন তিনি তার স্বপ্নের কাছাকাছি। সবকিছু ঠিক থাকলে মে মাসের প্রথমার্ধে মাউন্ট এভারেস্ট জয়ের ব্যাজটাও পরতে সক্ষম হবেন তিনি।
মৃদুলা মাউন্ড এভারেস্ট জয় করতে সক্ষম হলে তিনি হবেন তৃতীয় বাংলাদেশি নারী।
মৃদুলা আমাতুন নূর পরশুরামের গুথুমা চৌমুড়ীর আবু হেনাভুইয়ার মেয়ে, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব কামাল উদ্দিন ভুইয়ার নাতীন, তার নানার বাড়ি পরশুরাম উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের মালিপাথর গ্রামে।
এর আগে নিশাত মজুমদার ও ওয়াসফিয়া নাজরীন বাংলাদেশের হয়ে এভারেস্ট জয় করেন।
এর পরও সেবার একেবারে দুই হাজার ফুট ওপরে উঠেছিলেন তিনি। সেই থেকেই পাহাড় জয়ের নেশা পেয়ে বসে তাকে। গত বছর সেপ্টেম্বরে হিমাচল প্রদেশের মানালির অটল বিহারি বাজপেয়ি ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মৃদুলা। প্রতিষ্ঠানটি তাকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচন করে। বাংলাদেশ থেকে একাই ছিলেন তিনি। ছিলেন ৮০ জনের গ্রুপে সবচেয়ে কম বয়সী। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হলো তার টানা ২৬ দিনের বেসিক মাউন্টেনিয়ারিং কোর্স। হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য মৃদুলা রওনা দিয়েছিলেন ৭ অক্টোবর। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। ১৬ অক্টোবর সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান। এই শৃঙ্গ জয় করা তিনিই সবচেয়ে কম বয়সী মেয়ে। ২৫ অক্টোবর ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ক্যাপ্টেন রণধীর সিং তাকে ওই চূড়া জয়ের ব্যাজ পরান।

চিরাচরিত ঘরকুনো মেডিকেল স্টুডেন্ট অপবাদ ঝেড়ে এভারেস্ট জয়ের পথে পা বাড়ানো মৃদুলাকে অভিনন্দন এবং তার জন্যে শুভকামনা।
এভারেস্ট জয় করে নিরাপদে তিনি ফিরে আসুক আমাদের মাঝে, এই কামনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.