নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত উৎসব দেশে দেশে..................

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩০



বসন্ত মানেই তো উৎসব। দেশ, কাল ও ঐতিহ্যভেদে উৎসবও হয় ভিন্ন ভিন্ন। তবে বসন্ত ছুঁয়ে যায় পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে। আর সেই সঙ্গে দিকে দিকে বসন্তের উৎসবও ভিন্ন ভিন্ন রকমের। বিশ্বের প্রতিটি দেশে বসন্ত পালিত হয় অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনায়। প্রতিটি জাতিই সারা বছর অপেক্ষা করে রঙ্নি ঋতুর জন্য। বসন্তের এ দিনে আমরা পরিচিত হবো বিভিন্ন দেশের বসন্ত উৎসবে সঙ্গে। তাদের বসন্ত সাজ, আনন্দঘন মুহূর্ত ও উৎসবের ধারা কেমন তা নিয়ে আজকের আলোচনা।

বাংলাদেশ:
বাঙালির অন্যতম ঐতিহ্যবাহী উৎসব পহেলা ফাল্গুন। এ দিনে ঢাকার চারুকলায় সকালে বসন্ত উৎসব শুরু হয় ফাগুনের গান দিয়ে। হলুদ রংয়ে রাঙানো শাড়ীতে মেয়েরা আর ও ছেলেরা পাঞ্জাবী। মেয়েদের গলায় ও মাথায় গাঁদা ফুল। ঢাকার টিএসসি, রবীন্দ্র সরোবর সহ আরো কিছু স্থানে বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে লাখ লাখ মানুষ।এ ছাড়াও সারা দেশে এখন এ উৎসব চলে মহা সমারোহে।
India

ভারত: দোল উৎসবের সঙ্গে সবাই কমবেশী পরিচিত। দোলযাত্রা একটি বৈষ্ণব উৎসব। এটি হোলি নামে পরিচিত। শীতের রুক্ষতা কাটিয়ে বসন্তের রঙে রঙে সবাইকে রাঙিয়ে দিতেই আসে দোল। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোল উৎসব পালিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, এদিন শ্রীকৃষ্ণ তার গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে উঠতেন। সেই থেকে বৈষ্ণবরাসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সব অশুভ শক্তির বিনাশ কামনায় দোল উৎসব পালন করে। এদিনে একে অপরের গালে আবির মেখে শুভকামনা জানায়। এদিন মিষ্টি, দইয়ের পাশাপাশি আরো থাকে মাঠা ও ভাংয়ের আয়োজন।

জাপান:
বসন্ত মানেই আনন্দ, ঘুরে বেড়ানো আর খাওয়া–দাওয়া। তাই প্রতি বসন্তেই জাপানিরা চেরি বাগানে বনভোজন করে। এটি তাদের ঐতিহ্যের অংশ। জাপানে বসন্ত খুব সহজেই নজর কাড়ে। যেন হঠাৎ করেই প্রকৃতিতে রঙের ছোঁয়া লাগে, তাই এ ঋতুটি তাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। চেরি ফুল উৎসবকে তারা সাকুরা নামে ডাকে। তারা বসন্ত ঋতুজুড়ে উৎসব আর বনভোজনে মেতে থাকে। সে সময় জাপানি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানীয়ের আয়োজন করা হয়। এ সময় গাছের নিচে জড়ো হয়ে সবাই খাওয়া–দাওয়ায় মেতে ওঠে। গাছের নিচে জড়ো হয়ে এ আয়েশি ভোজের নাম হানামি। বলতে গেলে এমন কোনো জাপানী নেই যে, হানামিতে অংশ নেয়নি।

থাইল্যান্ড:
থাই নববর্ষের প্রথম দিনে এ উৎসবটি পালিত হয়। ইংরেজি মাস এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়। এদিন থাইল্যান্ডের অধিবাসীরা মেতে ওঠে জলকেলি খেলায়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবটি থাইদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। এদিন থাইল্যান্ডের অধিবাসীরা পরিবার, প্রতিবেশী গুরুজনদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে। ছোটরা সৌভাগ্য ও কল্যাণ কামনা করে সুগন্ধিযুক্ত পানি বড়দের হাতে য়। সেদিন তারা একে অন্যের দিকে পানি ছুড়ে জলকেলি খেলায় মেতে ওঠে। বসন্তের এ দিনে থাইদের কাজ একটাই, বসন্তের নতুন দিনকে বরণ করতে পিচকারি আর জল নিয়ে তৈরি হওয়া।

চাইনিজ:

চীনের নববর্ষ আর বসন্ত দুটোরই আগমন হয় একই সময়ে। বিশাল ভোজ, পথঘাট সাজসজ্জার পাশাপাশি দেশটির অধিবাসীরা নতুন সাজে নিজেদের সাজিয়ে নেয়। ২২-২৮ জানুয়ারি তাদের বসন্ত উৎসব চলে। দীর্ঘদিন জমজমাট বসন্ত পালনের পর যে যার স্থানে ফিরে যান। একে বলা হয় চুনইয়ুন।

নিউজিল্যান্ড:
৫০ বছর ধরে নিউজিল্যান্ডের আলেকজান্দ্রা শহরে ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবটি পালিত হচ্ছে। আলেকজান্দ্রা উৎসবটি সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শুরু হয়। এতে বিভিন্ন অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতা নৌকাবাইচসহ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আরো রয়েছে বিভিন্ন ধরনের রাইডে চড়ার সুযোগ।

মেক্সিকো:
সান মার্কোস মেক্সিকোর সবচেয়ে বড় উৎসব। এ দিনটিতে মেক্সিকোতে সমাগম হয় প্রায় ৭০ লাখ মানুষের। মোরগ লড়াই থেকে শুরু করে সুন্দরী প্রতিযোগিতা, কী নেই সে আয়োজনে! এপ্রিলের ১৪ তারিখ শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠানটি চলে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে। মেক্সিকোর আগুয়াস্কালিয়েন্টেসে অনুষ্ঠিত হয় সান মার্কোস উৎসবটি।

স্পেন: :
সময়টা বসন্ত। স্পেনের ভ্যালেন্সিয়ায় গেলে দেখা যাবে, অসাধারণ ফায়ার ওয়ার্ক। উৎসবটির নাম লাস ফালেস। এটি তাদের বসন্তের উৎসব। মা মেরির স্বামী সেইন্ট স্টিফেন জোসেফের স্মরণে তারা এদিন উৎসব পালন করে। সেদিন শহরের প্রতিটি সেন্টারের পাশে কাগজ, কাঠ ও মোমের সমন্বয়ে তৈরি বড় বড় পাপেট দিয়ে সাজানো হয়। এ পাপেটগুলোর নামই মূলত ফালেস। বিভিন্ন চরিত্রকে কেন্দ্র করে ফালেস তৈরি করা হয়। অনন্য এক দৃশ্য! একদিকে ফালেসের রহস্যময় চেহারা আর ঠিক তাদের চারপাশেই জ্বলছে কমলারঙা আগুন। সে আগুন ছুঁই ছুঁই করেও যেন ছুঁতে পারছে না তাদের। প্রতিটি এলাকার অধিবাসীরা দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এ ফালেসগুলো তৈরি করেন। যার খরচ দশ হাজার ডলারেরও বেশি। লাস ফালেস শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ের অনেক আগে থেকে। ১ মার্চ থেকে নাচ, গান, সাজসজ্জা, প্যারেড ও রান্নাবান্না কোনো কিছুরই কমতি থাকেনা এ দিনটিতে। উৎসব চলে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত। এ উৎসবে আতশবাজির ঝলকানিতে জেগে থাকে স্প্যানিশদের রাতগুলো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

বিজন রয় বলেছেন: হঠাৎ প্রপিক পরিবর্তন করলেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.