নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক

ভালবাসি জন্মভুমি বাংলাদেশ ।অসহ্য মনে হয় যে কোন অন্যায়-কে।অসততার সাথে আপোষ নয় কখনই।

সহীদুল হক মানিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেয়ার গ্রিল........

০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

পুরো নাম এডওয়ার্ড মাইকেল গ্রিলস । জন্ম ৭ই জুন , ১৯৭৪

সালে ,যুক্তরাজ্যে । বাবা মা উভয়েই ছিলেন রাজনীতিবিদ ।



আয়ারল্যান্ডে বেড়ে উঠেন ৪ বছর পর্যন্ত । বাল্যকালেই

বাবার কাছে শিখে ফেলেন নৌকা চালানো ও পর্বতারোহণ ।



৮ বছর বয়সে বাবা তাকে মাউন্ট এভারেষ্টের একটি ফটো দেন

। তখনি তার মনে গেঁথে যায় এভারেষ্ট জয়ের স্বপ্ন ।

কৈশোরে শিখেন স্কাই ডাইভিং এবং মার্শাল আর্ট । স্কুল

লেভেল শেষ করে ঢুকেন সেনাবাহিনীতে । এ সময়

তিনি বিভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকার কলাকৌশল গুলো রপ্ত

করেন । ১৯৯৬ সালে একটি প্যারাশুট দূর্ঘটনার শিকার

হয়ে হাঁটতে অসমর্থ হয়ে পড়েন এবং সেনাবাহিনী থেকে অবসর

নেন । যখন ভাবা হচ্ছিল তিনি আর হাটতে পারবেন না , তখন

সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাত্র ১৩ মাসে হাঁটাচলা শুরু করেন

। এর পাঁচ মাস পর জয় করেন শৈশবের লালিত স্বপ্ন মাউন্ট

এভারেষ্ট কে । মাত্র ২৩ বছর বয়স ছিল তখন তার ।

এটি সর্বপ্রথম এভারেষ্টে সবচেয়ে কম বয়সে উঠার

বিশ্বরেকর্ড । এরপর তার রেকর্ড আরো দুজন ভাঙে ।

এছাড়াও তিনি ভিক্টোরিয়া ফলসের হাজার হাজার ফুট

উপরে কিছু সহযোগীকে নিয়ে একটি প্যারাশুট পার্টি করেন ,

যা কিনা আরেকটি বিশ্বরেকর্ড ! ২০০৪

সালে তাকে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার উপাধিতে সম্মানিত

করা হয় । ২০০৫ সালে তিনি এগারজন

সহযোগীকে নিয়ে সাহারা মরুভূমিতে একটি সারভাইভল মিশন

চালান । এটি যুক্তরাষ্ট্রের চ্যানেল ফোরসহ

আরো কয়েকটি চ্যানেলে দেখান হয় । এরপর তিনি চ্যানেল

ফোরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন

এবং তাকে নিয়ে একটি টিভি প্রোগাম বানানো হয় , যা 'বর্ন

সারভাইভর' নামে পরিচিত । এই অনুষ্ঠানটি কানাডা ,

ইন্ডিয়াসহ কয়েকটি দেশে 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড'

নামে সুপরিচিত । ২০০৬ থেকে ২০১২ এর মার্চ পর্যন্ত

তিনি চ্যানেল ফোর তখা ডিসকভারি চ্যানেলের

সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকেন এবং মতের অমিল হওয়াতে চ্যানেল

ফোর এ অনুষ্ঠানটি বানানো বন্ধ করে দেয় ।সারা বিশ্বে 'ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড' এর দর্শক প্রায় ১.২

বিলিয়ন । ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি তিন সন্তানের জনক

এবং 'বেয়ার' নামটি তার স্ত্রীর দেয়া !



তিনি কয়েকটি বই লিখেছেন যার প্রতিটিই বেষ্ট সেলার ।

ছোটদের জন্যও অনেক বই লিখেছেন । বিভিন্ন চ্যারিটি ,

স্কাউট এবং মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের সাথে তিনি জড়িত ।

তিনি প্রথম টিভিতে আসেন একটি ডিওডোরান্ট এর

বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে । কয়েকটি টিভি সাক্ষাত্কার অনুষ্ঠানেও

তিনি এসেছেন তার মধ্যে অন্যতম

হচ্ছে 'অপেরা উইনফ্রে শো' । তিনি 'ক্ল্যাশ অব

দ্যা টাইটান' ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন । কিন্তু

তিনি আগ্রহী ছিলেননা এ ব্যাপারে ।

" আমি বেয়ার গ্রিলস , আমি আপনাদের

দেখাবো কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হয় । "



এডভেঞ্চারার ও রোমাঞ্চ প্রিয় যারা আছেন ,

তারা একথা শুনে শিহরিত হন না ,

এমনটা হয়তো পাওয়া যাবেনা !!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

প্রিতম মুজতাহিদ বলেছেন: আমার তাঁকে খুবই ভাল লাগে । তিনি অনুপ্রেরণারও একজন উৎস ।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪৮

এন ইউ এমিল বলেছেন: অনেক ভাল লাগে যদিও খাটাস বলি

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪

যোগী বলেছেন:
আমি তার খুবই ভক্ত +++

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪১

আমাবর্ষার চাঁদ বলেছেন: :D বেয়ার গ্রিলরে ভালা পাই..............

৫| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: সত্যি আমি অনুস্ঠানটি মসি করি না ....আজ তাকে পুরোটা জানতে পারলাম ধন্যবাদ

৬| ০৫ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার ভীষণ ফেরারিট

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.