নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিশ্রমকে সঙ্গী করে কত মানুষ উর্ধ্বে গেলো, আকাশের ঐ তারার দলে/ চিরদিনই অলস আমি, আছি পড়ে অনন্তকাল এই ধরনীর গাছের তলে।
পোশাকের উদ্ভব ও বিকাশের ইতিহাস বিষয়ক কোনো গ্রন্থ আছে কিনা জানা নেই। আমি কোনোদিন এ নিয়ে কোথাও কিছু পড়িনি। তবে সহজাত জ্ঞান-বুদ্ধিতে বুঝেছি পোশাকের উদ্ভব মূলত লজ্জা নিবারণ ও দেহের সুরক্ষার জন্য। প্রাচীন সময়ে মানুষ যখন পশু শিকার ও ফলমূল সংগ্রহ করে গুহায় জীবন-যাপন করত তখন তাদের মধ্যে পোশাকের ব্যবহার সম্পর্কে ধারণার সৃষ্টি হয়েছিল বলেই মনে হয়। গাছের ছাল-বাকল ও পশুর চামড়া দিয়ে বানানো তাদের পোশাকের ডিজাইনটা বর্তমান সময়ে মানুষের ব্যবহৃত অন্তর্বাসের মতোই। অর্থাৎ ঐটুকুই ছিল পোশাক। তার মানে দেহের সুরক্ষা বলতে পোশাকে ঢাকা ঐটুকু অংশের সুরক্ষাই ছিল। একই সাথে ঐটুকুই ছিল লজ্জার স্থান। সেই ধারাবাহিকতায় কালের পরিক্রমায় দেখা যায় এখনও আমরা লজ্জাস্থান হিসেবে ঐটুকুকেই বিবেচনা করি। পুরুষের নিম্নাঙ্গ ও নারীর স্তন ও নিম্নাঙ্গ হচ্ছে মানুষের দেহের লজ্জাস্থান হিসেবে গ্রহণ করে আলোচনায় এগিয়ে যাওয়াটা যুক্তিহীন কিছু হবে বলে মনে হচ্ছে না।
শিরোনাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে পোশাক নিয়ে বির্তকের জায়গাটাতেই আলোচনা এগোবে এবং ‘নারী অধিকার’ কথাটিতে বোঝা যাচ্ছে নারীর পোশাকই এখানে আলোচ্য বিষয়।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে একটু মনোযোগ দিয়ে তাঁকালে দেখা যায় পুরুষের পোশাক সমগ্র বিশ্বে মোটামুটি একই রকম হয়ে উঠছে। ইউরোপ বা আমেরিকার শীতপ্রধান দেশগুলোর সভ্য হিসেবে কথিত শ্রেণির মানুষের পোশাকই তৃতীয় বিশ্বের গরিব দেশগুলোর মানুষ আদর্শ পোশাক হিসেবে বিবেচনা করছে। তাই একটু বড় কোনো প্রোগ্রামে যেতে হলে আমাকেও স্যূটেড-কোর্টেড হয়ে যেতে হয়, গলায় ঝুলোতে হয় টাই নামক লম্বা দড়ি। জিন্স, টি-শার্ট, স্যূট, কোর্ট-এমন হাতে গোনা গুটি কয়েক রকমের পোশাকই পুরুষের পোশাক হিসেবে লক্ষ করা যায় পুরো বিশ্বে। এতে বির্তকের জায়গা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় না। তাই পোশাক বির্তক বিষয়টা আসলে নারীর পোশাক বির্তক।
সংবাদপত্র পড়ার অভ্যাসটা আমার আজও হয়নি। এমনকি রেডিও টেলিভিশনে সংবাদ শোনার আগ্রহও আমার নেই। তাই পুরো বিশ্বের হালচালের খবর আমার কাছে আসে মূলত আশেপাশের মানুষগুলোর মাধ্যমে। খবরও শুনি না শুনি করে মাঝেমধ্যে কানে আসে টেলিভিশনের নিউজ প্রোগ্রামগুলো। কিছুদিন পর পরই শুনি অমুক দেশে বোরকা নিষিদ্ধ হয়েছে, তমুক দেশে বোরকা না পরলে জরিমানা, কারাদণ্ড, অমুক দেশে অফিসারের জন্য শর্ট স্কার্ট পরা নিষেধ ইত্যাদি, ইত্যাদি। খবরগুলো কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমার মাথায় নানা রকমের চিন্তা খেলা শুরু করে। লেখার সময় ও সুযোগ এবং সার্মথ্য সামান্য বিধায় লেখা হয়ে ওঠে না চিন্তাগুলো।
নারীর পোশাক দেশ, কাল, জাতিগোষ্ঠী দ্বারা ভিন্ন ভিন্ন রকমের কোড দ্বারা সুনির্দিষ্ট দেখা যায়। নারীবাদী জায়গা থেকে সত্যিই প্রশ্নটা করা যায় যে কেন নারীর পোশাকেই এত ধরাবাঁধা নিয়ম। এক্ষেত্রে পুরুষের আধিপত্যবাদী ভাবনার সত্যতা অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু তবু পোশাকের ঐ ভিন্নতা যেহেতু দৃশ্যমান এবং অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই, সেহেতু এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ প্রয়োজন। আর বর্তমান সময়ের পোশাক বির্তকের ক্ষেত্রে তা আরো জরুরি। আমার আলোচনা একেবারেই আমার ব্যক্তিগত ভাবনা প্রসূত। এখানে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্যসূত্র বা ঐ জাতীয় সুনির্ধারিত বিষয় নেই।
নারীর পোশাক কেমন হবে? সেটা নির্ধারণের অধিকার অবশ্যই নারীর। সে নারী হিন্দু, মুসলিম, বাঙালি, আদিবাসী, বাংলাদেশি, ভারতীয়, ইউরোপীয় বা আফ্রিকান হোক তবু তার পোশাকের অধিকার তার নিজের।
তবে পোশাকটা বাছাইয়ের পূর্বে নারীকে জানতে হবে পোশাকের উদ্ভব ও বিকাশের ইতিহাসটা যেটা নূন্যতম জ্ঞান-বুদ্ধিতেই বোঝা যায়। পোশাকের ভিন্নতা হয় স্থান, কাল, পরিবেশ ও সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে। সেক্ষেত্রে নারীকে তার পারিপ্বার্শিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখেই পোশাকটা নির্ধারন করতে হবে।
মনে রাখার প্রথম বিষয়টা হচ্ছে পোশাক ব্যবহারের কারণ ও উদ্দেশ্য।
প্রথমত, লজ্জা নিবারণ ও দেহের সুরক্ষা। লজ্জাস্থান যেহেতু সুর্নিধারিত সেহেতু সেটুকু ঢাকতে হবে এইটুকু বোধ থেকেই তৈরি হবে নারীর পোশাকটা। এরপর দেখতে হবে তার বসবাসের স্থান। প্রচণ্ড শীতপ্রধান দেশে শর্টস্কার্ট নিশ্চয়ই যথার্থ নয়। তেমনি যেখানে তাপমাত্রা ৪৫/৫০ বা তার অধিক সেখানে নিশ্চয় ওভারকোর্ট পরার সুযোগ নেই। এমনিভাবে আবহাওয়া, জলবায়ু পোশাকের উপর বিশেষ একটা প্রভাব ফেলে জেনেই বেছে নিতে হবে পোশাকটা।
পোশাক নিয়ে বির্তকের জায়গাটা মূলত তৈরি হয়েছে নারীবাদী অবস্থান থেকে যার পেছনে রয়েছে পুরুষতান্ত্রিক আধিপত্যবাদী ভাবনা। নারী কোন ধরনের পোশাক পরবে সেটা যখন ধর্ম বা সংস্কৃতি নির্ধারণ করে দিচ্ছে তখনই নারীবাদী অবস্থান থেকে বিরোধিতা আসছে, যা অত্যন্ত স্বাভাবিক। মধ্যপ্রাচ্য বা আরবদেশের পোশাকের কোড মেনে নিশ্চয়ই বাংলাদেশ বা ভারতের মতো রাষ্ট্রের পোশাকের কোড তৈরি সম্ভবপর নয় অথচ ধর্মীয় দোহাই দিয়ে পুরুষতান্ত্রিক ভাবনার প্রকাশটা সেখানে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকের এর বিরোধিতা করে নারীবাদীরা তৈরি করছে তাদের নিজস্ব কোড। একজন নারী যদি এমন একটা শার্টই পরেন যাতে তার স্তন সুন্দরভাবে প্রকাশিত হয়- তাতে কিন্তু পোশাক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কারণটা আর থাকে না। লজ্জাস্থান প্রকাশিত হচ্ছে অথচ পোশাকও পরিহিত আছে এমন পোশাকগুলো প্রকৃতপক্ষে নারীবাদী চিন্তার বাণিজ্যিক ব্যবহারের ফল। নারীর শরীরের কয়েকটি স্থান আছে যেগুলোর প্রদর্শন পুরুষকে উদ্দীপ্ত করে। আর সেটা এতটাই প্রাকৃতিক বিষয় যে তা নিয়ে বির্তকে জড়িয়ে পড়ার যৌক্তিক কোনো কারণ নেই। ঐ স্থানগুলোর দৃশ্যায়ন রোধ করা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণের ইতিবাচক দিক কিন্তু ঐ যে নারীর পোশাক নির্বাচনের অধিকারটা যে নারীর সেটা বিবেচনায় রাখা হয় না ধর্মীয় অনুশাসনের জোরাজুরিতে। আবার ধর্মের ছাড়টাও যে পুরুষের পাল্লায় বেশি, সুতরাং নারীবাদীদের কথাও উড়িয়ে দেয়ার মতো না। কিন্তু তাই বলে নারী আবার ধর্মের অনুশাসনকে পুরুষের শাসন হিসেবে বিবেচনা করে তার বিপরীত কার্যকলাপ করবে তা-ও যৌক্তিক নয়। রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের নানা বির্তকিত বিষয়েই আমি দেখি দু’পক্ষ একেবারে বিপরীত দুটো দিকে অবস্থান করে অথচ সমস্যাটার সমাধানটা মাঝখানে। মাঝখানে কোনো পক্ষই আসতে নারাজ। পোশাক বির্তকটাও অনেকটা তাই। ধরুন, একজন নারীর চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত সবটুকু ঢেকে দেয়া হলো কাপড় দিয়ে এবং সেটাই তার পোশাক কোড হিসেবে ঘোষণা করা হলো সেটা কখন যৌক্তিক হতে পারে না। কারণ আলো-বাতাসের অপ্রতুলতা বা তাপমাত্রার বৃদ্ধিতে সে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পোশাকের উদ্দেশ্য দেহের সুরক্ষা, সেটাও বরং বিপরীত কাজ শুরু করবে। আবার ধরুন একজন নারী এমন একটি পোশাক বেছে নিলেন যেখানে তার হাত-পা সবাই ঢাকা এবং পোশাকটাও ভালোই (আমরা সাধারণ ভাষায় ভালো বলতে যা বুঝি) কিন্তু তার অন্তর্বাস দুটোর অংশে উপরের কাপড়টা কাটা অর্থাৎ অন্তর্বাস দুটো প্রকাশিত। তাতে দোষের কিছু নেই কিন্তু কাপড়ের ডিজাইনের সাপেক্ষে বোঝা যাচ্ছে নারীটি তার লজ্জাস্থানগুলোকে সুচিহ্নিত করে দিয়েছে কিংবা টাইড পোশাকে তার স্তনের আকৃতি প্রকাশিত- নিঃসন্দেহে লজ্জাস্থান কেবল ঢেকে রাখলেই যে লজ্জা নিবারণ হলো তা নয় বরং লজ্জাস্থানকে আরো আকর্ষণীয় ভাবে ঢাকার ভেতর দিয়ে আরো বেশি নির্লজ্জভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব। বিশ্বের বিভিন্ন মডেলিং ফটোশুট দেখলে বোঝা যায়।
নারীবাদীর এক অংশের জোরালো যুক্তি- আরে ভাই, এত্ত কথা কেন? নারী দরকার পড়লে নেংটা হয়ে ঘুরবে পুরুষের না তাঁকালেই হয়। এত পকরপকর করার কি আছে? কথাটা হচ্ছে ভাই, নারী-পুরুষ একে অপরের উপর একেবারেই সমানভাবে নির্ভরশীল। সুতরাং নারীর নেংটা হয়ে চলাতে পুরুষের সমস্যা আছে এবং সেই সমস্যা একেবারেই প্রাকৃতিক অর্থাৎ মানবসৃষ্ট ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক কারণ ছাড়াই তা সমস্যা।
এখন নারীবাদী কেউ যদি বলে উঠেন আচ্ছা ঠিক আছে, নারী তো আর নেংটা হয়ে রাস্তায় নামছে না, নারী তার মতো পোশাকটা তৈরি করে নিক। আপনি ক্ষান্ত হউন। নারীর অধিকারে হাত দিয়েন না। ভাই, আপনি যদি মনে করেন নারীর পোশাক নারী অধিকারের অংশ তবে সেটা দুঃখজনক ও হাস্যকর। নারীর অধিকার মানে নারীর স্বাধীনতা আর স্বাধীনতা মানেই কিন্তু যা ইচ্ছা করা বা যা ইচ্ছা পরা না। কোনো কিছু করার সময় যেমন আমাদের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে খেয়াল রাখতে হয় নৈতিকতা ও মূল্যবোধের বিষয়গুলো তেমনি কোনো কিছু পরার সময় মনে রাখতে হবে পোশাকের উদ্ভবের কারণগুলো।
মানুষের কর্মক্ষেত্র অনুসারেও পোশাকের তারতম্য ঘটে। একজন ফুটবল খেলোয়ার যেরকম পোশাক পরবে আমি শিক্ষক হিসেবে সেরকম পোশাক কোনোদিনই পরতে পারব না। নারীও তার স্ব স্ব ক্ষেত্র অনুসারে পোশাক নির্বাচন করবে। আমি মনে করি পোশাকের নূন্যতম উদ্দেশ্যকে খেয়ালে রেখে, নারীর বিচরণক্ষেত্র ও পারিপ্বার্শিক আবহ বুঝে পোশাক নির্বাচন করা হলে পোশাক বির্তক থাকার কথা নয়। আর হ্যাঁ নারী অধিকার এতই বিস্তৃত একটা ব্যাপার যে পোশাক ইস্যুতে তা টেনে এনে তর্ক বাড়ানো যৌক্তিক নয়। অধিকার, স্বাধীনতা শব্দগুলো কেবল আক্ষরিক অর্থই নয় বরং তার অধিক কিছুকে বোঝায়। তেমনি এগুলো কেবল দৈহিক বা প্রত্যক্ষ স্বেচ্ছাচারিতাকে নির্দেশ করে না বরং গভীরতম জায়গা থেকে চিন্তা করার, মতামত প্রকাশের, নতুন কিছু তৈরি করার স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করে।
জানুয়ারি ২০, ২০১৭ খ্রি:
সুব্রত দত্ত
পিএইচডি গবেষক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬
সুব্রত দত্ত বলেছেন: :-) ঠিকই বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ পোস্টটা পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৯
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আমার মতে নারী কিংবা পুরুষ প্রত্যেকেরই পোষাক নির্বাচনে স্বাধীনতা থাকা উচিত।পোষাক যতই উদ্ভট হোক তাতে যদি অন্য কারো ক্ষতি না হয় তবে তো প্রশ্ন থাকার কথা না।
আপনার নিজস্ব ভাবনা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!
ভালোথাকুন!
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আপনার মতের সঙ্গে আমার দ্বিমত নেই। কেবল একটা কথাই আমি ভাবি যে পোশাকটা গুরুত্বপূর্ণ কেন? পোশাক কেনই বা ব্যবহার করব? সেগুলোর উত্তর পাওয়া যায় পোশাকের ইতিহাস নিয়ে একটু ভাবলেই। অবশ্যই পোশাক ব্যবহারের প্রধান কারণ লজ্জা নিবারণ। আর কোন কোন জায়গাগুলো লজ্জার সেগুলো পুরো বিশ্বেই মোটামুটি একইরকম। তাহলে পোশাকের সেই উদ্দেশ্যই যদি পোশাকে না থাকে, তবে তো অবজেকশন আসা স্বাভাবিক। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:২০
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: নারীবাদীদের মাঝেমাঝে কোম্পানির ভাড়া করা এজেন্ট মনে হয়, যাদের কাজই হচ্ছে আসল সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে রাখা। বাণিজ্য মেলায় কনকনে শীতের মধ্যেও এক স্টলে দুটা মেয়েকে হাফহাতা টিশার্ট পরে দাড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। অথচ সে কোম্পানির দিকে আংগুল তোলার সাহস কোন নারীবাদীর হয়নি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৩
সুব্রত দত্ত বলেছেন: আসলে বিষয়টা সাহসের না। পুঁজিবাদী অর্থনীতির একটা বড় গুণ সকল ধরনের মতবাদকে গ্রহণ করার ক্ষমতা। উত্তর-আধুনিকতা মতবাদ সেক্ষেত্রে বড় সহায়ক। নারীবাদীরা যে জায়গা থেকে তাদের আন্দোলন করে তাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না কিন্তু তারা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে যে পন্থা অবলম্বন করে সে পন্থার গলদগুলো ধরার সুযোগ তারা পায় না। সে সুযোগে পুঁজিবাদী অর্থনীতি তাদের ব্যবসাটা করে নেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
নারীর পোশাকে বেশী কাপড় লাগছে, খরচ কমানো দরকার।