নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্লগে আমার লেখায় একজন এই প্রশ্নটা করেছেন, প্রশ্নটা হাইপোথিটিক্যাল তার উত্তরও হাইপোথিটিক্যাল হবে।
আমার উত্তর (এটা ধরে নিয়ে যে সরকারের পতন হবে যদিও দিল্লি বহত দূর হ্যায়) হইতেছে, বিষয়টা নির্ভর করে সরকারের পতনের ধরনের উপর।
ক। সেনা অভ্যুত্থান হলো, প্রধানমন্ত্রী গ্রেফতার বা ডিসিজড হলেন, ক্ষমতা নিল সেনাবাহিনী, তারা কাউরে ধইরা তত্ত্বাবধাক বানাইয়া বসাইয়া দিল, সেটা ফখা মঈনের মতো আর কি, পরে বেচারার মর্জি হলে নির্বাচন দেবে। এরইমধ্যে পাল্টা অভ্যুত্থানও হতে পারে, এইভাবে অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থান কইরা কইরা দেশ অনিশ্চিত একটা ভবিষ্যতের দিকে যাত্রা করতেও পারে।
খ। আন্দোলনের তীব্রতায় সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীকে বললো যে আমরা আর পারছিনা তখন প্রধানমন্ত্রী আর কোনো উপায় না পেয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনিও কাউরে ধইরা বসাইয়া নিজে পদত্যাগ করলেন, দেখা গেলো সেটা প্রধানমন্ত্রীর নিজের লোক, তারে বিএনপি মানলো না, লাগা আন্দোলন ।
এখন পর্যন্ত এই দুইটা পদ্ধতি মাথায় আসছে, আপনাদের কি কোনো আইডিয়া আছে? থাকলে মতামত জানাতে পারেন ।
২| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫০
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: হয়তো বা এমনি হতে পারে তবে এমন কোন সম্ভাবনা নেই যে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে। আন্দোল করে এই দলকে হটানো যাবে না তা নিশ্চিত। কেননা ওদের কাছে মানুষের জীবন মূল্যহীন।
৩| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১১:৩৬
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি একটা সাদামাঠা ব্যাখ্যা দিলেন।বাংলাদেশের রাজনীতিতে আন্তর্জাতিক মহল জড়িত।বিশ্ব এখন স্পষ্ট দুই শিবিরে বিভক্ত।ভারত চাইবেনা ভারত বিরোধী শক্তি ক্ষমতায় আসুক।আমেরিকা চাইছে তাদের পছন্দের লোকরা ক্ষমতায় আসুক।তারা গত ইলেকশনে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
গৃহযুদ্ধ হলে ভারত পন্থীরা জয়লাভ করবে।কারণ আমাদের চারপাশে ভারত।আমরা হলাম ডাল নাই তলোয়ার নাই নিধীরাম সর্দার।দেখা যাক কি হয়।
৪| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতীয় মিডিয়ার খবর। কেউ কি কিছু জানেন?
৫| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ২:১৭
নতুন বলেছেন: ১৫০ মানুষ হত্যার করে শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর বেদনার পরিমান এখনো খুব বেশি হয় নাই। আরো কত লাশ পড়লে উনি বুঝতে পারবেন যে উনার থামার সময় এসেছে বুঝতে পারছিনা।
আয়ামীলীগের পতন হলে কে আসবে সেটা জানিনা।
কিন্তু এতোগুলি প্রানের পরে আয়ামীলীগের আর দরকার নাই।
আমি মনে করি সেনা বানিহী আবার তত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে ৩-৪ মাসের মাঝে নিবাচন দিক।
জনগন ভোট দিয়ে নেতা নিবাচন করুক।
তাকে কোন দল যেন একক সংখাগরিস্ঠনা না পায় এবং মোটামুটি সরকার চলুক। তারপরের নিবাচনে দলগুলি বুঝতে পারুক যে জনগনের ভোট তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করবে। তখন তারা ১৫০ জন হত্যার মতন সিদ্ধান্ত নিতে সাহস করবেনা। দূনিতি দমনের চেস্টা করবে।
জনগনের মন জুগিয়ে চলার চেস্টা করবে।
সর্বপরি দেশে জনগনের ভোটের অধিকার আসা দরকার।
তারপরে কি হবে সেটা তখন দেখা যাবে। কিন্তু ১৫০ জন মানুষ হত্যা সেই সব সাইকোপ্যাথদের মনে দাগ কাটে না তাদের সরানো ফরজ হয়ে গেছে।
৬| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৫:১৩
আলচুদুরওয়ালবুদুর বলেছেন: সেনা অভ্যুত্থান আর পাল্টা অভ্যুত্থান হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ ওভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার মত সেনা অফিসার নাই, সেনাবাহিনীর মোটামোটি সব উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এখন দলীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। ধরে নিলাম হঠাৎ করে একজন অজানা-অচেনা অফিসারের মাথায় এই ব্যপারটা আসলো, কিন্তু সেই চিন্তা কার্যকর করতে গেলে তাকে সমমনা অফিসার জোগাড় করতে হবে, যদি করেও, তাকে এধরণের কিছু করতে গেলে বিশাল রক্তারক্তির মাধ্যমে যেতে হবে, এমন রক্তারক্তি হবে যে সেনাবাহিনীর মেরুদন্ড পুরা ভেঙ্গে যাবে। আর একনায়কন্ত্রের রেকর্ড মানব সভ্যতার ইতিহাসে খুব একটা ভালো না, বিশেষ করে এই উপমহাদেশেতো নয়ই, আর ভাল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই, খুবই কম। ইতিহাস আর পরিসংখ্যান সেই সাক্ষ্য দেয়।
আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার স্থায়ী সমাধান না, হলে বড়জোর এই চার বছর চালাতে পারবে, তারপর সরকারকে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেই হবে, নাহলে বিদেশী চাপ আসা শুরু করবে। কিন্তু তার পরও কোন লাভ নাই, নির্বাচনে লড়ার মত আর কোন দল নাই। পাব্লিক বি.এন.পি.-জামাত নিয়ে খুব আশাবাদি নয়, আর উভয় দলের অবস্থা খুবই দুর্বল, তাদের কারোরই পক্ষে বড় কিছু মোবিলাইজ করা সম্ভব না। আর বি.এন.পি.-জামাত আসলে কিছুই পাল্টাবেও না। সেই একই অবস্থা হবে ১-২ বছর পর, আবার দূর্নীতি আর লুটপাট শুরু হবে।
আরেকটা কাজ যেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে পারে যে তারা দেশে এমন পরিবেশ তৈরি করবে যে, প্রাকৃতিক (অরগানিক) ভাবে বিভিন্ন মতবাদের নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি হতে শুরু করে, কিন্তু সেটা রাতারাতি হবেনা, অনেক সময় লাগবে। এরকম চেষ্টা আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকার করেছিল, কিন্তু সেটা বেশীদূর আগায় নাই। আর যদি ধরেও নেই যে তারা কোনভাবে সফল হয়, সেসব রাজনৈতিক দল যে আবার আরেকটা বি.এন.পি. বা আওয়ামীলিগ হয়ে উঠবে না তার কোন গ্যারান্টি নাই।
আরেকটা উপায় হয়তো আছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে ক্ষমতাসীন সরকারকে পুরা জ্বিন-ভুত তাড়ানোর মত ঝাটাপেটা করে চোর বাটপার সরিয়ে নতুন করে গোড়া থেকে সব ঢেলে সাজাবে। ২০০২ এ বি.এন.পি. সরকার এরকম একটা চেষ্টা করেছিল, অপারেশন ক্লিন হার্ট। কিন্তু কাজ হয় নাই, দেশে এত বেশী চোর বাটপার ছিল যে ক্লিনহার্ট করার পর এমনকি ক্ষমতাসীন দল চালানোর মত জনবল ছিলনা, চিন্তা করে দেখুন। আর ক্লিনহার্ট অপারেশন নিয়ে বিতর্কের শেষ নাই, বিচার বহির্ভুত হত্যা আর "এনকাউন্টার" এসব নিয়ে সারা বিশ্বে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আর এসব করেও কোন লাভ হয় নাই, এক বছরের মাথায় আবার চোর-বাটপার দিয়ে ভরে গেছে দেশ।
একটাই মাত্র উপায় আছে, যেটা হলো চোর-বাটপারি কে পুরাপুরি বন্ধ করে ফেলা, বা এমন একটা সিস্টেম করতে হবে যে চোর-বাটপারি করে সম্পদ তৈরি করতে যেন মানুষ সব উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। এর দুইটা উপায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীন এবং দলীয় প্রভাব থেকে মুক্ত করতে হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বেতন ভাতা বাড়িয়ে বর্তমানের দ্বিগুন-তিনগুন করতে হবে। আর এখন ক্লিনহার্ট টাইপের কাজ করেও কোন লাভ হবে না, কারণ মাফিয়া আর আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী সমস্যা ২০০২ এর মত এখন নাই, মূল সমস্যা হলো আমলাতন্ত্র। দেশের পুরা আমলাতন্ত্র দলীয় নিয়োগ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটা কিভাবে "ক্লিন" করা যাবে সেটা আল্লাই জানে। আর মানুষ যাতে দুর্নীতি করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলে, সে জন্য পাল্টা ইনকামের ব্যবস্থা করে দিতে হবে, হয় দেশে সরকারী পোস্টের সংখ্যা এবং বেতন-ভাতা বাড়াতে হবে, বা দেশেই যেন বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহজে গড়ে উঠতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে, কিংবা সেটা না পারলে বিদেশ থেকে বড় বড় কোম্পানীর হাত-পা ধরে দেশে এনে ব্যবস্যা খুলার জন্য ধর্ণা দেওয়া শুরু করতে হবে। এছাড়া কোন রাস্তা দেখছিনা।
৭| ২২ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টে যিনি প্রশ্ন করেছেন, তিনি আপনার থেকেও কম বুদ্ধিমান মানুষ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
নব অভিযান বলেছেন: নির্বাচন সিস্টেমতো মেডাম নষ্ট করে পেলেছেন। আবার সিস্টেমে নিয়ে আসতে হবে আরকি।