নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১।
সেলেব্রিটি অবসেশন নতুন কিছু না, নতুন হইতেছে এই অবসেশনের কমার্শিয়ালাইজেশন। সেলেনা, লেডি গাগা বা কার্দাশিয়ানরা শুধুমাত্র নিজেদের সেলেব্রিটি তকমার কমার্শিয়াইজেশন কইরা মিলিয়ন ডলারের মেকাপ বেচতেছে। অথবা বাংলাদেশের ক্রিকেটরা নিজেদের জনপ্রিয়তার বাণিজ্যিকীকরণ করতেছে দোকান উদ্ভোদন বা পণ্যের বিজ্ঞাপন করার মাধ্যমে ।
২। কোনো নির্দিষ্ট সেলেব্রিটির কাজ ভালো লাগা স্বাভাবিক, বা কোনো সেলেব্রিটিকে দেখলে একটা সেলফি তুলতে চাওয়া বা কথাবলতে চাওয়া বা সেলেব্রিটি দেখলে হার্টবিট বেড়ে যাওয়া এইগুলা স্বাভাবিক বায়োলজিক্যাল রিয়েকশন । কিন্তু এদের কাউকে জীবনের অংশ বানিয়ে নেওয়া বা উপাসনা করা হলে সেটা মেন্টাল ডিজওর্ডার । celebrity worship syndrome নামে একটা ডিজওর্ডার আছে। বিটিএসের কারণে ঘর ছাড়া, সালমান শাহের মৃত্যুর পর অনেক মেয়ের আত্মহত্যা করা, পছন্দের সেলেব্রিটির বিয়ে হয়ে যাওয়ায় চিরকুমার থাকা, ভক্তের দ্বারা জন লেননের খুন হওয়া, খেলার মাঠে ঢুইকা পছন্দের প্লেয়াররে জড়াইয়া ধরা এইগুলাকে উদাহরণ হিশেবে দেখতে পারেন।
৩। হিউম্যান সাইকোলজি আর রিয়েকশনরে এনালাইজ কইরা তারকারা নিজে অথবা তারকাদের মার্কেটিং টিম তাদের সকল এক্টিভিটিরে সেই অনুযায়ী সাজায় যেই অনুযায়ী সাজালে তার এই তারকা ইমেজ ঠিকে থাকে, ঈদে শাহরুখের মান্নাতের সামনে ভীড় করা পাবলিকের প্রতি হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানানো সেটার একটা অংশ।
৪। একবার একজনরে বলছিলাম "তোমারে যখনই দেখি তখনই হাসিখুশি দেখি, কখনো গোমড়া মুখে দেখি না, ডোন্ট চেঞ্জ, কিপ ইট দিস ওয়ে" তারপর থেকে তার সাথে দেখা হলেই চওড়া হাসি দেয়, অনেক সময় দূর থেকে খেয়াল করে দেখছি সে অন্য কারো সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত কিন্তু আমি পাশ দিয়ে গেলেই সেই হাসি, অনিচ্ছাসত্ত্বেও হাসে। আসলে সে হাসিখুশি থাকাটারে দায়িত্ব বানায়া নিছে। সমাজের দেওয়া তকমারে নিজের উপয় চাপায়া নিছে। যেভাবে সমাজ ভালো ছেলে খারাপ ছেলে তকমা দেয় আর সেই ভালো ছেলে আরও ভালো হয় আর খারাপটা আরও খারাপ হয় বিকজ দে এক্ট একরডিংলি। We are not who we think we are.We are not who they think we are.We are who we think they think we are। শাহরুখও ফ্যানের দেওয়া সুপারস্টার তকমারে নিজের উপর চাপায়া নিছে, এখন তাকে সেই অনুযায়ী আচরণ করতে হবে, ঈদের দিন পেট খারাপ হলেও মান্নাতের ছাদে উইঠা হাত নাড়াইতে হবে।
৫। এডাল্ট কেউ যদি কোনো সেলেব্রিটির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহ দেখায় তাইলে বুঝতে হবে তার ব্যক্তিজীবনে ফুলফিলমেন্ট এবং পারপাসের অভাব আছে। নিজের জীবনের গর্তগুলোরে পছন্দের তারকার সাকসেস দিয়া ভরতে চায়। নিজেরে মধ্যে সেই সেলেব্রিটির ফ্যান হইতে পারা তথা সেলেব্রিটি সোশ্যাল সার্কেলের ( যেমন বিটিএস আর্মি, বিহাইভ (বিয়ন্সে), বিলিভারস (জাস্টিন বিবার) সুইফটি (টেইলর সুইফট) অন্তর্ভুক্ত হইতে পারার মিথ্যা অনুভূতি নিয়া বাচে । সেলেব্রিটি ওয়ারশিপের মাধ্যমে তারা নিজের জীবনের কোনো প্রবলেমকে ইগনোর করতে চায়, রিয়ালিটি ফেইস করার ভয় থেকেই এইগুলা আসে।
৬ ।
মানুষ কখনোই পরিপূর্ণ হতে পারবেনা যদি না সে তার চাইতে বড় কোনো কিছুর সাথে কানেক্টেড না হয়। কেউ তার চাইতে বড় বলতে টাকা, কেউ ক্ষমতা, কেউ কোনো প্যাশন যেমন মিউজিক বা আর্ট, কেউ পীর, কেউ রাজনৈতিক নেতা, কেউ কোনো সেলেব্রিটি ইত্যাদি বুঝে আর এইগুলার সাথে কানেক্টেড হইতে চায়। কেউ আবার টাকা ফেইম সব থাকা সত্বেও অন্তরে খালি খালি অনুভব করে, কারণ পাইয়া গেলে সেটা আর বড় থাকে না, অরাধ্যটাই বড়।স্বাভাবিকভাবে এইগুলার সাথে কানেক্টেড হইতে চাওয়াটা খারাপ কিছু না, কিন্তু "নিজেরে পরিপূর্ণ করতে গিয়া এইসব জাগতিক "বড়" বিষয়গুলোর কানেক্টেড হইতে চাওয়াটা একত্ববাদের সাথে কন্ট্রাডিক্টরি"।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪
নতুন বলেছেন: মানুষ নিজের গুরুত্ব বুঝতে পারলে সেলেব্রিটি নিয়ে এতো মাতামাতি করতো না।
প্রতিটা মানুষই তার জীবনের নায়ক/নায়িকা। একটা মানুষ ৪০-৫০ বছর বয়সে এসে যদি তার জীবনের ঘটনাগুলি গল্প আকারে লেখে এবং সেটা ভালো পরিচালককে দেয় তবে সেটাও চমতকার একটা মুভি হবে।
আর সেলেব্রিটিরাও একটু বেক্তিগত জীবন জাপন করতে চায়, তাই সেলেব্রিটিদের দেখলেই সবখানে ছবি তোলা বা অটগ্রাফের জন্য ঝাপিয়ে পড়া ঠিক না।