নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

life is a game . lets make a highscore

প্রফেসর সাহেব

প্রফেসর সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়লোকদের বড় অসুখ

২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৫


ক্লিনিকালি ডিয়াগনসড ডিপ্রেশন ছাড়া কেউ নিজেকে ডিপ্রেসড বললে আমি বিশ্বাস করি না।

গ্রামের মানুষেরও ডিপ্রেশন হয়, ওরা শুধু ডিপ্রেশন শব্দের সাথে পরিচিত না। গ্রামের মানুষ এটাকে চিন্তা/দুশ্চিন্তা বলে চালিয়ে দেয়, এই চালিয়ে দেওয়াটাও এক ধরনের চিকিৎসা।

আগে বড়লোকদের ডায়বেটিস হতো, এখন গরীবেরও ডায়বেটিস হয়, কারণ সে টেস্ট করায়, আগে করতো না, এজন্য বলা হতো ডায়েবিটিস বড়লোকদের অসুখ।

গ্রাম এমনকি শহরের অনেকেই বেশিরভাগ মেন্টল ইলনেসকে জ্বীন ভূতের আছড় (আমি জ্বীন বা ব্লাক ম্যাজিকের অস্তিত্ব অস্বীকার করছি না) ইত্যাদি নামে সজ্ঞায়িত করে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয় না, হয় ওঝার।

ওঝাও তার নিজস্ব কলায় যে চিকিৎসা করে তাও একধরনের মনোরোগের চিকিৎসা, অনেক রোগী সুস্থও হয়, সে শুধু সার্টিফাইড না বা তার চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের মতের অমিল আছে এই যা, যদিও অনেক ক্ষেত্রে তারা কুচিকিৎসা করে।

অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে তথাকথিত এইসব জ্বীনের আছড়ের বেশিরভাগই দূর করা সম্ভব,তখন এইসব রোগের নামও হবে বৈজ্ঞানিক, যেমন হিস্টোরিয়া ।

বড়লোকেরা যেভাবে ডিপ্রেশন সেলিব্রেট করে গ্রামের মানুষ সেভাবে সেলিব্রেট করে না, শহুরেরা যেকোনো দুশ্চিন্তাকে ডিপ্রেশন বলে ধরে নিয়ে নিজেকে এলিট এলিট মনে করে। অথচ বেশিরভাগ তথাকথিত ডিপ্রেশনই শারিরীক ব্যায়াম আর প্রেয়ার/মেডিটেশন এবং দুয়েকটা টুটকা আছে যেগুলো ফলো করলে চলে যায়।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্যাখ্যাটি যথার্থ ও মনঃপূত হয়েছে। ভালো লিখেছেন।

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫২

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ

২| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


গরীবদের মানসিক রোগ নিজস্ব আইডোলজি দ্বারা সমাধান হয়ে যায়।

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: রোগমুক্তির অর্ধেক চিকিৎসা হচ্ছে বিশ্বাস, ডাক্তার আপনার পছন্দের না হলে সেই ডাক্তারের চিকিৎসায় রোগমুক্তির চান্স কম

৩| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


গ্রামে, ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যাগুলো কি আনন্দের প্রকাশ?

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: হ্যা, যদি কষ্টের অনুপস্থিতিকে আনন্দ হিশেবে ধরেন

৪| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সংক্ষিপ্ত কিন্তু সুন্দর হয়েছে আপনার লেখাটা।

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ নিবেন

৫| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ওঁচা একটু পজিশনে গেলে মানুষ এমন ভুলভাল বলে; আর তাদের ভুলভাল আমরা "সঠিক কথা" বলে মনে নিয়ে আহা আহা করে মাথা ঝাকাই।

আমি যখন ছবির লেখাটা পড়ছিলাম, তখন আপনি যা লিখেছেন এগুলিই মাথায় ঘুরছিলো। তাই আপনার কথা গুলি ভালো লেগেছে বলতেই হবে।

২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ২:১৫

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: "কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা" বাক্যটির পিতার মানষিক অবস্থাকে কোনো লেখক সাহিত্যিক "ডিপ্রেশন" বলে কখনোই উল্লেখ করেন নি, এই বাক্য পড়লে বা শুনলে আমাদের চোখে এক পিতা যে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন তা ভেসে উঠে, এই দুশ্চিন্তাকেই শহুরে ভাষায় ডিপ্রেশন বলে। আপনাকে ধন্যবাদ

৬| ২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: চিকিতসা ব্যাবস্থা যত আধুনিক হয়েছে ততবেশী নতুন নতুন রোগ আবিস্কার হয়েছে। এটাও চিকিতসা বিজ্ঞানীদের একটা কেরামতি।
বড়লোকদের পকেট থেকে পয়সা খসাতে ছোটখাট রোগের খুব গুরুগম্ভীর নাম দেয়া হয়েছে। যে রোগ একটু মানসিক বা শারিরিক ব্যায়ামে কিংবা বিশ্রাম বা হাওয়া পরিবর্তনে সেরে যায় সেগুলোকে ওষুধ সেবন করিয়ে কঠিন থেকে কঠিনতর রূপ দেয়া হয়েছে।
রোগ-শোক সবখানেই আছে। কিছু রোগ চিকিতসকের কাছে গেলে ভয়ঙ্কর রূপে প্রকাশ পায় আর না গেলে এমনিতেই হয়তো ঠিক ঠাক হয়ে যায়।

২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: একমত

৭| ২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

নতুন বলেছেন: গ্রামের মানুষের বড় লোকের অসুখ গুলি কম হয় এটা সত্যি। কারন শহরের মানুষের চেয়ে গ্রামের মানুষের জীবনের মান অনেক সামাজিক, শারিরিক পরিশ্রমও বেশি করে। মানুষ অল্পতে সুখী, প্রতিযোগিতা কম, ঝামেলা কম।

কিন্তু উনি যেমন ঢালাও ভাবে গ্রামের দরিদ্র মানুষের মানুষিক ব্যাধীর সম্ভবনা নাকচ করে দিয়েছেন বিষয়টা সেই রকমের না।

অনেকেই মানুষিক অসুখে ভোগে কিন্তু সেই গুলি জীনে ধরা, বাতাস লাগা হিসেবে নিয়ে টোকটা চিকিতসা করে। ঘরে বন্দি করে রাখে।

২৩ শে মে, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।

৮| ২৩ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: দেখুন, অসুখ বিসুখ ধনী গরীব দেখে হয় না।
একটা বয়সের পর যে কারো নানান রোগ হতে পারে।
প্রতিদিন গ্রাম থেলে লাখ লাখ লোক ঢাকা আসে চিকিৎসা করাতে।

৯| ২৩ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা সময় ছিলো গ্রামের মানুষের মধ্যে হাজার কষ্ট থাকলেও মুখে হাসি ছিলো । অসুখ বিসুখ তারা পাত্তা টাত্তা কম দিতো । এখন আর সেই সময় নাই কি গ্রাম কি শহর । রোগ বালাই লেগেই আছে । গ্রামের মানুষের মুখে হাসি নাই ।

১০| ২৪ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

শাওন আহমাদ বলেছেন: ধনীরা ডিপ্রেশানে ভুগে আর গরিবেরা দুশ্চিন্তায় পার্থক্য শুধু এতোটুকুই।

১১| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

রিদওয়ান খান বলেছেন: গ্রামে এখন যে পরিমাণ সমাজতন্ত্র চলে এর চাইতে শহর ফার বেটার। সমাজে সমাজে দন্দ। কাচা ঘরগুলো পাল্লা দিয়ে পাকা হচ্ছে আর মানুষে মানুষে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে। গ্রাম সরদার আর মেম্বাররা যেনো এক একজন গ্যাংস্টার। নীতি নৈতিকতা শুণ্যের কোটায়। ছেলেপুলেরা মুরুব্বিদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মাদক সেবন করে। শহরে জায়গাজমির ডিসকাশন হয় কাগজে কলমে, টাকা-পয়সা অথবা মন্ত্রণালয়ের মামা খালুদের মাধ্যমে আর গ্রামের জায়গা জমির বেশিরভাগ মিমাংসা হয় টোটা আর দা বটি দিয়ে! এভাবেই সবকিছুতে গ্রামের মানুষ জড়িয়ে পড়ছে। আগে গ্রাম কী গ্রাম ঘুরেও অনার্স মাস্টার্স কমপ্লিট কাউকে খুঁজে পাওয়া যেতোনা অথচ এখন মাস্টার্স কমপ্লিট করে গ্রামে এসে বিভিন্ন ব্যবসা করার ঘটনা অহরহ। কাজেই নওয়াজুদ্দিন সাহেব যেভাবে গ্রামকে ইন্ট্রডিউস করেছেন সেটা আগে হলে ঠিক ছিলো বর্তমানে গ্রামের চেহারা ভিন্ন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.