নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১। ইশকুলে বাচ্চাদের আমপাতা জোড়া জোড়া না শিখাইয়া প্রথম ৩ বছর অ আ ক খ এর পাশাপাশি শুধু নৈতিক শিক্ষা দেন। ৬/৭ বছরের আগে বাচ্চা যা শিখে তার প্রভাব সারাজীবন থাকে, কোনভাবেই এর প্রভাব থেকে মুক্ত করা যায় না।
২। ছেলে মেয়ের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ করেন, ১২ বছরে বালেগ হয় আর বিয়া করে ৩৫ বছরে, এই ২৩ বছর কি মাটি চাবাইবো?
৩। ইজতেমার মতো গণবিবাহের আয়োজন করেন, সরকারি খরচে, যৌতুক ছাড়া।
৪। বয়ঃসন্ধির সময় স্কুলে বাচ্চাদের যৌনশিক্ষা দেন, না দিলে তারা মিয়া খলিফার থেকে যৌনশিক্ষা নিবে।
৫। কয়েকটা স্কুল মিলে একজন মহিলা কর্মকর্তা নিয়োগ দেন যার কাজ হবে রুটিন করে একেকদিন একেক স্কুলে কাটাবে সেখানকার কোনো ছাত্র ছাত্রীর (বিশেষ করে ছাত্রী ) মানষিক সাপোর্টের প্রয়োজন আছে কি না তা দেখভাল করবে।
৬। স্কুলে লুডু ক্যারাম বাদ দিয়ে আউটডোর খেলাধুলার ব্যাবস্থা করেন, খেলাধুলার ইভেন্ট করেন। খেলাধুলাকে সিরিয়াসলি নেন, পূর্ণমান ১00 করে খেলাধুলা সাবজেক্ট সকল ক্লাসের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করেন।
৭। উচ্চশিক্ষা সবার জন্য নয়, কারগরি শিক্ষার দিকে নজর দেন। অনার্স থার্ড ইয়ারে উঠে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে আর লেখাপড়া করেনা, এই দুই বছর সরকারের টাকা নষ্ট করার মানে নাই। ইন্টার শেষেই তাহলে তার লেখাপড়া বাদ দেওয়া উচিৎ ছিলো। ছেলেদের বেলায়ও একই নিয়ম।
৮। সামাজিকভাবে মোহরানা কম নেওয়া, বেকার ছেলেদের কাছে বিয়ে দেওয়া ইত্যাদি প্রতিষ্ঠা করেন। যৌতুক না নেওয়া যেভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
৯। হুজুরেরা নারীর পর্দা সামলে চলার ওয়াজ কমিয়ে পুরুষের "পুরুষদন্ড" সামলে চলার ওয়াজ করেন।
এগুলা ধর্ষণ কমানোর কয়েকটা টোটকা, হ্যা কমানোর বন্ধ করার না, এই টোটকাগুলো এপ্লাই করলে কমপক্ষে বর্তমানের ডাংগর ধর্ষকগুলো এবং আগামীর যে ধর্ষকগুলো এখনো বাচ্চা রয়েছে তাদের কয়েকটা নাহয় ভালো হবে।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
নতুন বলেছেন: আপনার টোটকা অনুযায়ী বিবাহ পূর্ব যৌন আকাম কম হবে কিন্তু ধর্ষন কমবে না।
ধর্ষন করে ক্ষমতার জোরে। এলাকার প্রভাবশালীর মেয়ে/স্ত্রীকে কেউ ধর্ষন করেনা। দরিদ্রের মেয়েরাই ধর্ষিত হয়।
যারা ধর্ষন করে তারা আগে থেকেই জোর খাটিয়ে চলা পোলাপাইন।
আপনার যদি ক্ষিদা লাগে আপনি কোন দোকানে গিয়ে হাত দিয়ে জোর করে তুলে খেয়ে চলে যাবেন না। অনেকেই আছে যাদের খেতে ইচ্ছা করলে দোকানে গিয়ে নিয়ে চলে যায় দোকানী টাকা চায় না।
পুরুষ যদি জানে ধর্ষন করলে কয়েক ঘন্টা পরে তাকে পুলিশ ধরে ফেলবে। তার কয়েক বছরের জেল হবে সে কখনোই সজ্ঞানে ধর্ষন করবেনা। আমাদের দেশের রাজনিতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা পোলাপাইন ধর্ষন করে জানে তাদের কিছু ই হবেনা।
তাই ধর্ষনের ওষূধ আইনের প্রয়োগ।
হিট অফ দা মোমেন্টের অপরাধ কেউই থামাইতে পারেনা সেটা হবে। কিন্তু এই রকমের বুঝে শুনে ধর্ষন কমে যাবে।
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধর্ষকদের মধ্যে অবিবাহিতদের হার কত? এটা না জানা থাকলে টাটকা প্রয়োগ কার্যকর হবে না। ৩, ৫, ৭, ৮, ১১ বছর বয়সী মেয়েদের যারা ধর্ষণ ও খুন করেছিল, তারা সবাই বিবাহিত ছিল। বগুড়ার তুফান সরকার বিবাহিত। গত ৩/৪ বছরে যতগুলো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে (এমসি কলেজ ও নোয়াখালি ছাড়া- এগুলো এখনো আমি জানি না) সবাই বিবাহিত (যেগুলো ভাইরাল হয়েছে)। এবং দেখেন, এখানে পর্দা-বেপর্দাও কোনো ফ্যাক্টর না।
সঠিক আইন ও তার কঠোর প্রয়োগ, প্রয়োজনে কিছু নৃশংস পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া এগুলো বন্ধ বা কমানো সম্ভব না।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩৫
মা.হাসান বলেছেন: নতুন ভাইয়ের কথার সাথে সহমত।
নীতি কথা বহুত পড়ানো হয়। আমাদের সামনের রোল মডেলরা কুঞ্জ বনে ঘুরাঘুরি করে। বইয়ের নীতিকথার সাথে বাস্তবের মিল নাই। মহিলারা যদি ধরে ধরে সব পুরুষ খোজা করে দেয় তাহলে ভালো। এর আগে স্পার্ম ব্যাঙ্কে কিছু স্পার্ম জমা রাখা যায়, অথবা পুরুষহীন পৃথিবী গড়া যায়। ক্লোনিঙের মাধ্যমে মহিলাদের সংখ্যা ঠিক রাখা যাবে। পুরুষ প্রজাতি না থাকলে জগতের ক্ষতি বৃদ্ধি হবে না।
৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১১:২৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ধর্ষণ প্রতিরোধে মূল প্রতিকারমূলক বিষয় হলো দ্রুত বিচার করে ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। আর এটি করতে হলে ধর্ষণবিরোধী নতুন আইন প্রণয়ন আবশ্যক। ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করতে হবে। বিশেষ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ আইন প্রণয়ন সময়ের দাবি। জালিয়াতির মতো মামুলি অপরাধ ঠেকাতে ব্রিটেনকে জালিয়াতির শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে আইন তৈরি করতে হয়েছিলো। ধর্ষণবিরোধী নতুন আইন তৈরির সময় এ মামলার বিচারের ক্ষেত্রে প্রধান ত্রুটিগুলো নিরসনে মনোযোগ দিতে হবে। সারাদেশে বিচারের জন্য ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের দেড় লক্ষাধিক মামলা ঝুলে আছে। এসব মামলার বিচার চলছে ঢিমেতালে। বছরে নিষ্পত্তি হচ্ছে মাত্র ৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ মামলা। আর সাজা পাচ্ছে হাজারে মাত্র সাড়ে ৪ জন৷ সাজার হার ০.৪৫ শতাংশ। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে ৬ মাসের মধ্যে এসব মামলার বিচার শেষ করার বিধান আছে। কিন্তু নানা অজুহাতে তা শেষ হয় না। অনেকেই আইনের আশ্রয় না নিয়ে সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মোকাবিলা করতে চান। অপরাধীর শাস্তি না পাবার কারণে অপরাধপ্রবণতা স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। ধর্ষণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ফরেনসিক পরীক্ষা হলে ধর্ষণের শারীরিক প্রমাণ পাওয়া সহজ হয়। দেরি হলে প্রমাণ বিলীন হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে ভিকটিমদের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ১০-১২ দিন পর৷ ফলে এখানেই ধর্ষকের ছাড়া পাওয়ার পথ তৈরি হয়ে যায়। ব্লাস্টের তথ্যমতে, ৭৫ শতাংশ ধর্ষণের সার্ভাইভার নারীকে স্থানীয় পুলিশ মেডিক্যাল পরীক্ষার নাম করে অপেক্ষা করতে বাধ্য করে। এফআইআর করতে অস্বীকৃতি জানায়, নানারকম নথিপত্রগত বা প্রশাসনিক ধমক প্রয়োগের মাধ্যমে মেডিক্যাল পরীক্ষাকে বিলম্বিত করে। এর পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীরা নানাভাবে ধর্ষণের ঘটনাটি আদালতের বাইরে নিষ্পত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আর এর মধ্য দিয়ে সেই অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭২ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। ধর্ষণের চিহ্ন মুছে যাওয়ার আগেই ডাক্তারি পরীক্ষা করানো জরুরি। ধর্ষণকারী যেসব জিনিসের সংস্পর্শে এসেছে যেমন জামা-কাপড়, অন্তর্বাস, প্যাড ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ আলামত সংরক্ষণও আবশ্যক৷ আছে ডিএনএ পরীক্ষাসহ ধর্ষণের চিহ্ন নিশ্চিত করার বিশেষ কিছু ব্যবস্থা৷ এ সব আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ধর্ষককে চিহ্নিত করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত মামলা করা সহজ৷ শুধু তাই নয়, কোনও নারী যদি বলেন, ধর্ষণের সময় তিনি ধর্ষককে নখের আচড় বা খামচি দিয়েছেন, তাহলে পরে তার নখ কেটে পরীক্ষা করেও ধর্ষকের চিহ্ন পাওয়া সম্ভব। ধর্ষণের ঘটনা অবগত হওয়ার পরও পুলিশ অফিসার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে ব্যর্থ হলে তাকেও ওই মামলায় ধর্ষণের অপরাধের সহযোগী হিসেবে আসামি করার বিধান আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা অনুযায়ী যে আদালত বিচার করছেন, সে আদালতের বিচারকের তদন্ত করার সুযোগ নেই। কিন্তু ইনকুইজেটরিয়াল বিচার পদ্ধতিতে বিচারিক জজের তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। এ পদ্ধতির অনুসরণে আমাদের দেশেও ধর্ষণ মামলার বিচারের ক্ষেত্রে বিচারিক আদালতকে পরীক্ষামূলকভাবে তদন্তের ক্ষমতা দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষায় পুলিশের গাফিলতির প্রশ্ন উত্থাপিত হলে বিচারিক আদালত নিজেই এ বিষয়ে তদন্ত করতে পারবেন। এর ফলে পুলিশও প্রভাবশালীদের অবাঞ্ছিত চাপমুক্ত থেকে তদন্ত করতে পারবেন। ডিএনএ পরীক্ষা ও অপরাধ প্রমাণের বোঝা এখনও ধর্ষণের শিকার নারীর ওপরই রয়ে গেছে। নতুন আইনে এ দায়িত্ব ধর্ষকের ওপর দিতে হবে। অর্থাৎ ধর্ষককে প্রমাণ করতে হবে সে ধর্ষণ করেনি।
ধর্ষণ মামলার বিচারে নতুন আইন প্রণয়ন ও ধর্ষণে উদ্বুদ্ধকারী উপায়-উপকরণ বিশেষ করে পর্ন ছবি ও অশ্লীল সামগ্রীর সহজলভ্যতা বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ও ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে পারলে ধর্ষণের অভিশাপ ও দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি মিলবে বলে আশা করা যায়।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ষন না কমা পর্যন্ত ধর্ষনকারীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৪৮
জগতারন বলেছেন:
প্রফেসর সাহেব- এর সাথে আমি সহমর্মিতা পোষন করি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ছাত্ররাজনীতি গুন্ডামি, মাস্তানি এ সমস্ত ও বন্ধ করতে হবে।