নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Extraction (2020)
Imdb: 7.2
Rotten tomatoes: 64%
Personal: 6
(কিছু অশ্লীল গালি আর হালকা স্পয়লার আছে)
এটা একটা টিপিক্যাল নেটফ্লিক্স মুভি, "Polar" বা "Triple Frontier" এর মতই সর্বসাধারণের জন্য উপভোগ্য করে বানানো হয়েছে, এখানে আর্ট, মেসেজ ইত্যাদি খুঁজলে ভুল হবে। এটা হচ্ছে সেইসব মুভির মতো, যতক্ষণ দেখবেন উপভোগ করবেন ভালো লাগবে, দেখার পরে ভুলে যাবেন, কিন্তু দ্বিতীয়বার দেখার আগ্রহ পাবেন না।
ভালো লাগা বলতে সিনেমাটোগ্রাফি খুব ভালো লেগেছে, এক শটে নেওয়া কিছু লম্বা ফাইট সিন ভালো লেগেছে, একশন সিনগুলো যথাসম্ভব "রিয়েলিস্টিক" রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। রনদীপ হুদা আর ক্রিস হেমসওর্থের অভিনয় ভালো লেগেছে।
আর নেগেটিভ দিক বলতে গেলে প্রথমেই কিছু চরিত্রের বাংলা শ্রুতিকটু লেগেছে, জঘন্য সব উচ্চারণ। পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আর বাংলাদেশের বাংলার মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা উনারা বুঝেননি। যেমন এক টোকাই'র একটা ডায়লগ ছিলো "বোকাচোদা আমার মেশিন নিতে চায়", আমাদের দেশের টোকাইরা "বোকাচোদা" সাধারণত ব্যাবহার করেনা। এটা পশ্চিমবঙ্গীয় গালি, আমাদের দেশের টোকাইরা বরং "মাদারচোদ" বা "খানকির পোলা" এগুলোর ব্যাবহার বেশী পছন্দ করে।
আংগুল কাটা জগলুর বাংলা শুনে মনে হলো বিহারি, বিহারিরা এরকম বাংলা বলে, ঢাকায় এরকম বিহারি টোকাই আছে কি-না জানা নাই,তবে ছেলেটার অভিনয় ভালো (যতক্ষন না মুখ খুলে)।
আসিফ নামে যে ড্রাগ লর্ড দেখলাম উনার অভিনয় বা বাংলা কোনটাই পছন্দ হয়নি৷ এই চরিত্রে উনারে এক্কেবারে মানায়নি, যেমন ভালো লাগেনাই অভি মহাজনরেও। বাচ্চাটারে কেউ বলে দেওয়া উচিত ছিলো যে, এটা থিয়েটার না রে বাবা এটা সিনেমার সেট, তার অভিনয় অতি নাটকীয় মনে হয়েছে।
কাস্টিং ডিরেক্টর টাকা হালাল করে নেয়নাই।
স্টোরি ভালো, কিন্তু স্ক্রিনপ্লে তার তুলনায় নিম্নমানের। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় শেষ দিকে যখন টেইলরের গুলি লাগে তখন অভি'র কান্না এবং তার দিকে ছুটে যাওয়া অতি আবেগি মনে হয়েছে, কারন তার আর টেইলরের মাঝে কেমিস্ট্রি এতো গভীর ছিলোনা যে তার এভাবে কান্না করা মানায়, উভয়ের স্ক্রিনটাইম শুধুমাত্র একশন সিনে ভরা, কেমিস্টি বিল্ডআপের যথেষ্ট সময়ই মেলেনি,আর মিললেও তা কাজে লাগানো যায়নি বলে মনে হয়েছে।
মুভির গল্প ঢাকার হলেও শুটিং হয়েছে ভারতে, এটাকে ঢাকা বানাতে যেয়ে ব্যাকগ্রাউন্ডে (ভুল বানানে ভর্তি) বাংলা সাইনবোর্ড, সবুজ কালারের সিএনজি সহ ঢাকার রাস্তার নানাবিধ এলিমেন্ট আনার চেষ্টা মোটামুটি সফল বলা যায়।
এছাড়া ধাওয়া খেয়ে মানুষের ঘরে ঢুকার পরে সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ডে পুরাতন হিন্দি মিউজিক, কিংবা চুলার উপর রাখা বাসনকোসন (বাংলাদেশে পরিবারে এধরনের হাড়িপাতিল ব্যাবহার করেনা) কিংবা কুকুরের আওয়াজ (শহরের নিম্নমধ্যবিত্ত ফ্যামিলিতে সাধারণতকুকুর পালে না) এগুলা বাংলাদেশের সাথে যায়না৷ অন্তত এগুলো কমন না৷ তবে বাংলাদেশী বা বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা নাই এমন কেউ ছাড়া এর ত্রুটিগুলো ধরতে পারবেনা।
সর্বোপরি বলা যায় টাইম পাসের জন্য মুভিটা খারাপ না। দেখলে দেখতে পারেন, না দেখলে আফসোস করার কিছু নাই, আহামরি কিছুনা। এভারেজ বা এভারেজের চাইতে একটু বেশী।
২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:১৬
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: তাই নাকি? খেয়াল করিনাই।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১১
রাজীব নুর বলেছেন: মুভি দেখব। অবশ্য মারামারির মুভি আমার ভালো লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই ছবির তিনটা রিভিও আসলো