নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যেকোনো শিল্পের বিকাশে বা বিলয়ে কালচারাল কনজুমারদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে উন্মার্গগামী শিল্পকে সঠিক পথে আনতে একদল রুচিশীল পাঠক/শ্রোতা/দর্শক অকল্পনীয় ভূমিকা রাখেন। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ঠিক তার উল্টোটাও ঘটে,যেমন রুচিশীল ভোক্তার অভাবে শিল্পের নিয়ন্ত্রকরা অখাদ্যকে উচুমানের কোনকিছু হিসেবে সবার সামনে উপস্থাপন করেন আর শিল্পের প্রকৃত স্বাদ না জানা একশ্রেণির ভোক্তারা ওই অখাদ্যকেই হাপুসহুপুস করে গিলতে থাকে যার মধ্য দিয়ে একটি শিল্পের কফিনে পেরেক ঠোকা শুরু হয়।
আমি সব সময় বলি বাংলাদেশ সংগীত আর সাহিত্যে বিশ্বের যেকোনো দেশের সাথে (আই রিপিট যেকোনো দেশের সাথে) প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা এবং যোগ্যতা রাখে,আমি সাহিত্য বিশারদ কিংবা সংগীতজ্ঞ নই তবে গত কয়েক বছরের বাংলা সাহিত্য এবং মিউজিকের কথা যদি বলি তাহলে আমার এই বুক ফুলিয়ে দেওয়া স্টেটমেন্ট নিয়ে নিজের কাছে নিজেই লজ্জিত হই।
আশ্বিন কার্তিকে কুকুরের যেমন বাচ্চা দেওয়ার হিড়িক পরে তেমনি ফেসবুক ইউটিউব সেলেব্রিটিরাও ইদানিং বইমেলা আসলেই বই প্রকাশের জন্য উতলা হয়ে উঠেন। সেলেব্রিটি হওয়ার দায়বদ্ধতা থেকে বইমেলায় তাদের একটি নতুন বই ছাপানোকে তারা তাদের নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। দিশেহারা এই জাতি তাদের এই বই না পড়লে দিশা খুঁজে পাবেনা বলে তাদের মনে যে 'অশ্লীল' ধারণার জন্ম হয় সেই ধারণার আগুনে ঘি ঢালতে একদল 'সস্তা' পাঠক তাদের বই কিনে ফেসবুকে ছবি দিয়ে নিজেকে 'বইপোকা' 'সাহিত্যানুরাগী' ইত্যাদি প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে আর এতে তাদের বইয়ের বিপুল কাটতি'র ফলে তারা একেকজন সাহিত্যিক বনে যান।
কেউ একজন বলেছিলেন যে, কোন জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে জানতে হলে তাদের লাইব্রেরিতে আর বাজারে যেও,তারা কি পড়ে আর কি খায় তা দেখেই তুমি সেই জাতিগোষ্ঠী সম্পর্কে একটা ধারণা পাবে। আমি এটাকে একটু ইম্প্রুভ করে তারা গুগলে কি সার্চ দেয়, ইউটিউবে কি দেখে এগুলোও ফলো করি। এই সুত্র অনুসরণে কেউ অগ্রগামী হয়ে বর্তমান বাংলাদেশ সম্পর্কে ধারণা নিতে গেলে তা যে আমাদের সম্পর্কে ভালো ধারণা দিবেনা তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
বিভিন্ন সময়ে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া বিভিন্ন লেখালেখি সহ হাজার বিশেক টাকা কোন প্রকাশকের হাতে ধরিয়ে দিয়ে এসব সেলেব্রিটিরা লেখক বনে যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের ফেসবুক স্টেটাসে কখন বই প্রকাশ করতে হবে তার একটা উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেছেন যে, প্রসবের ব্যাথার মতো লেখকও বই প্রকাশের জন্য ব্যাথা অনুভব করবেন, সময়ের আগে যেমন প্রসব ঘটানো যায়না তেমনি বইও সময়ের আগে প্রকাশ করা উচিত নয়, লেখক নিজেই তার বই প্রকাশের সঠিক সময় এলে ব্যাথা অনুভব করবেন, কিন্তু এখন আমরা আছি সিজারিয়ানের যুগে, ব্যাথা উঠুক না উঠুক পেট কেটে বাচ্চা বের করে দেয়। ফেসবুক সেলেব্রিটি লেখকদের হচ্ছে এই অবস্থা।
এইসব সেলেব্রিটিদের অনেক ফলোয়ার থাকার কারণে তাদের বইয়ের বিক্রি ভালই হয়, পক্ষান্তরে সত্যিকারের সাহিত্য যারা রচনা করেন তারা প্রচারের অবিদ্যমানতায় প্রসার ঘটাতে পারেন না, ফলে অনেক তরুণ কবি সাহিত্যিক এইসব ফেবু সেলেবদের নিচে (বই বিক্রির দিক দিয়ে) চাপা পড়ে যান।
রকমারি'র বই বিক্রির দিক দিয়ে টপে থাকা এক লেখকের ফেসবুকে বিরাট খ্যাতি রয়েছে দেখে উনার দুয়েকটা লেখা পড়ে দেখলাম। লুতুপুতু প্রেমের সস্তা আবেগ ভরা উনার গল্প আর কবিতা পড়ার পরে উনার বই যে মানুষ টাকা দিয়ে কিনে এটাই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিলো।নাম বলতে চাচ্ছিনা, হয়তো আমার এই লেখা যারা পড়ছেন তাদের অনেকেই সেই লেখকের ভক্ত থাকতে পারেন, তাদের মনে কষ্ট দিয়ে তাদের বিরাগভাজন হতে চাই না।
তরুণদের মধ্যে ভালো লেখকদের কারো কারো বইয়ের বিক্রি ভালো হলেও সেখানেও কারণ সেই ফেসবুক , যেমন মারজুক রাসেলের বই নিয়ে এবার একটা ক্রেজ তৈরি হয়েছে তা উনার সেলেব্রিটি পরিচয়ের কারণেই.যারা উনার বই কিনছেন তাদের মধ্যে কতজন এই বইমেলার আগে জানতেন যে মারজুক অভিনেতা'র পাশাপাশি একজন ভালো কবিও বটে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। নাহলে কামরুজ্জামান কামু'র বই মারজুকের মতো বিক্রি হচ্ছেনা কেনো? এসময়ের অন্যতম প্রতিভাবান কবি আখতারুজ্জামান আজাদ ভাইরাল হচ্ছেন না কেনো? কারণ ফেসবুকে তাদের অতো ফ্যান ফলোয়ার নাই৷
যা দিয়ে শুরু করেছিলাম তা দিয়েই শেষ করি,আসল কথা হচ্ছে পাঠক যা চায় এইসব সেলেব্রিটিরা তাই লেখে, আর সত্যিকারের কবি সাহিত্যিকেরা লেখেন নিজের জন্য। আর সেই লেখায় সত্যিকারের পাঠকেরা নিজেকে খুজে পায়৷ এখন সেইসব পাঠকের বড় অভাব।
বি. দ্র. উদাহরণ দিতে গিয়ে যে দুয়েকজনের নাম নিলাম তাদের নিয়ে মন্তব্য না করলেই খুশি হবো, লেখার উদ্যেশ্য তাদের প্রচার করা না, উদাহরণ দিতে গিয়ে শুধু তাদের নাম ব্যাবহার করলাম।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: জ্ঞানে! আহা!
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: শুদ্ধ বাংলা এখন কিছু অপাংক্তেয়দের হাতে পরে প্রতিনিয়ত হাঁসফাঁস করে। যেই দেশের সাহিত্যে রন্ধনশিল্পী আর ইউটিউবার'রা বেস্ট সেলার হয় সেখানে বিশুদ্ধ বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যত কী নিজেই চিন্তা করুন। দেশে এখন কোন বাংলা সাহিত্যের পাঠক নেই। সবাই এখন বই কেনে লেখকের সাথে সেলফি তোলার জন্য।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৬
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: একমত।
৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৩
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার এই বিখ্যাত লেখকের বইয়ের কিছু অংশ পড়ার পর বমি চলে এসেছিল।
এটা যদি আপনার বাংলা সাহিত্যের নমুনা হয় তাহলে আমাদের খবর আছে!
'না খেতে পারা' নিদারূণ আফসোস কেনার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ।
জয় হোক নব্য বাংলা সাহিত্যের।
ধন্যবাদ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: লেখায়-ই বলেছি মারজুকের বইয়ের স্টলে লম্বা লাইন উনার কবিতার জন্য না,আর আন্ডারলাইন করে যে কবিতা দিলেন সেই ( শ্লীল অশ্লীল) ডিবেট অনেক পুরনো আর যুগ যুগ ধরে চলছে.লেখায় আমি এও বলেছি উদাহরণে দেওয়া ব্যাক্তিদেরকে নিজে মন্তব্য না করলেই ভালো।
৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৪
নীল আকাশ বলেছেন: পোস্টের হেডিং এ দৌড় বানান ঠিক করে দিন। বড়ই দৃষ্টকটু লাগছে।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ, করে দিলাম।
৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
শেহজাদী১৯ বলেছেন: পৃথিবী পরিবর্তনশীল। কালের পরিক্রমায় সবকিছুই বদলে যায়। এটাই জগতের নিয়ম। কাজেই ফেসবুক এবং ইউটিউবের যুগে সবখানেই তার প্রভাব পড়বে যা একদিক অতি সাধারন ব্যাপার বলেই সবার দ্বারা গৃহিত হয়ে যাবে। তখন অনেকে বলবে আমাদের আমলে বই ছাপানো এত সহজ ছিলো না একমাত্র প্রকৃত লেখকের বই নানা গুণ বিচারে ছাপাতেন একদল; বিজ্ঞজনেরা। আবার একদিন ইউটিউব লেখকদের জায়গা দখল করে নেবে আরও একদল মানুষ, আরও একদল নতুন কিছু আবিষ্কার নিয়ে......
কাজেই বি পজিটিভ উইথ নিউ জেনারেশন একটিভিটিজ.......
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: সব পরিবর্তনকে পজিটিভলি নিতে হবে এই রীতিতে বিশ্বাস করিনা। সাহিত্য বিপথে চলে গেলে পাঠক হিসেবে আমাদেরও দায় থেকে যায়।
৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
শেহজাদী১৯ বলেছেন: @ নীল আকাশ। মারজুক রাসেলের বই আমি পড়িনি। আপনি পড়েছেন এবং যে অংশটুকু মার্ক করেছেন সেটা পড়ে ভাবছি এমন পাঠকও মনে হয় কম নয় যারা এই বই কিনবেন এবং আগ্রহ ভরেই পড়বেন। আমি কিন্তু আপনাকে মিন করিনি বরং ধরেই নিয়েছি আপনি একজন ভালো বই বোদ্ধা এবং সমালোচক বলেই এই রকম লেখাগুলোর খবর রেখেছেন যা মানসন্মত বইমেলার সাথে যায় না। আর আমার কথাও সেখানে মানসন্মত বইমেলায় বই যাবার আগে অবশ্যই এই ধরনের লেখাগুলো যা আমাদের এই ভাষা বা সমাজব্যবস্থার মান ক্ষুন্ন করে তা বিবেচনা করা উচিৎ। এই লেখার পাঠক থাকবেন এবং তারা অন্য কোথাও হতে এসব সংগ্রহ করবেন কিন্তু বইমেলায় উচিৎ নয়।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: তাহলে আপনার আগে মারজুকের বই পড়া উচিত বলে মনে করি, আর মেলায় সবার বই যাবে, সেখানে সেন্সরের পক্ষপাতি নই। পাঠক কাকে গ্রহণ করছে আর সঠিক ব্যাক্তিকে গ্রহণ করছে কি-না তা-ইদেখার বিষয়।
৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
তাদের লেখার মান যাই হোক, তারপরও আমি চাই তারা লিখুক। পড়া এবং লেখা মানুষকে মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে।
একটা বই ছাপাতে তথাকথিত লেখকেরও অনেক টাকা লাগে। প্রকাশক তো আর এমনি এমনি বই ছাপায় না।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার লেখার উদ্যেশ্য যতটানা সেই লেখকদের নিয়ে তারচেয়ে বেশি সেই পাঠকদের যারা ভালো সাহিত্যর কদর না করে সেইসব তথাকথিত লেখকদেরকে নিয়ে মেতে আছে। তারাই আসল কালপ্রিট।
৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
লিখতে লিখতেই একসময় শিখবে।
লেখা চলুক দূর্বার গতিতে।
বছরের একটা মাস অন্তত
জ্ঞান চর্চায় মসগুল থাকুক।
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:১০
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: শিখে তারপর বই প্রকাশ করা উচিত নয় কি?
৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০
শেহজাদী১৯ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব পরিবর্তনকে পজিটিভলি নিতে হবে এই রীতিতে বিশ্বাস করিনা। সাহিত্য বিপথে চলে গেলে পাঠক হিসেবে আমাদেরও দায় থেকে যায়।
আপনি পজিটিভলি না নিলেও এই ধরনের পরিবর্তনগুলি অটো পজিটিভ হয়েই একদিন নতুন প্রজন্মে ধারাবাহিত হবে। একদিন আমাদের দেশের মেয়েরা অনেক পর্দানশীন ছিলো। বোরখা, ওড়না, শাড়ি বড়জোর সালোয়ার কামিজ পরতো। শার্ট বা টি শার্টের কথা কেউ ভাবতেও পারতোনা। যা দু একজন পরতো তাদেরকে বাঁকা চোখে দেখা হত। কালের পরিক্রমায় শার্ট টি শার্ট বা হাফ শার্টও এখন ডালভাত। একইভাবে ইউটিউব, ফেসবুকও দখল করে নেবে সাহিত্যের জগতও। মহাভারত বা বঙ্কিম, শরৎ থেকে আজ মারজুক রাসেল যেমন প্রবাহিত তেমনই কালের স্রোতে আর সবকিছুর মতই প্রবাহিত হবে সাহিত্য সমগ্রও।
সাহিত্য বিপথে গেলো বলে হায় হায় করে কেউ হয়ত কিছুই আটকাতে পারবেনা। একদিন এই বিপথ সাহিত্যও চোখ সয়ে যাবে।
আসলে পরিবর্তন তেমন আটকানো যায় না। কালের স্রোতে সকলি বদলায়।
১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৭
শেহজাদী১৯ বলেছেন: লেখক বলেছেন: তাহলে আপনার আগে মারজুকের বই পড়া উচিত বলে মনে করি, আর মেলায় সবার বই যাবে, সেখানে সেন্সরের পক্ষপাতি নই। পাঠক কাকে গ্রহণ করছে আর সঠিক ব্যাক্তিকে গ্রহণ করছে কি-না তা-ইদেখার বিষয়।
কিছু লেখক যেমন সঠিক বলতে যে সব লেখাকে বুঝানো হয় সেসব গ্রহন করছে না ঠিক তেমনই সকল পাঠকও সঠিক লেখা গ্রহন করবে না। সেসব দেখেও কিছু বলার থাকে না আসলে। ধিক্কার ছাড়া। আর তাই সেন্সর ছাড়া গতি নেই। সমাজ, দেশ ও দশের মঙ্গলের জন্য যা দরকার তাই করতে হবে। নইলে গলা ফাটিয়েও কোনো লাভ হবে না। সঠিক বিশেষজ্ঞ দ্বারা সাহিত্য মান নিয়ন্ত্রন ছাড়া আর কোনো গতি নেই বলে আমি মনে করি।
মারজুকের বই আমি পড়তাম হয়তো যদি তার অভিনয় বা আর কোনো কিছু আমার ভালো লাগতো। আমার তার অভিনয় কথার স্টাইল বা চেহারা (এই কথাটা লেখার জন্য দুঃখিত) কিছুই ভালো লাগে না। হয়ত পৃথিবীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার একটা ব্যপার তার চেহারায় ফুটে উঠেছে বলেই আমার এমনটা মনে হয়।
১১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রফেসর সাহেব,
লেখার বিষয়বস্তু একেবারেই বাস্তব।
তবে সহব্লগার শেহজাদী১৯ এর মন্তব্যগুলোতে করা কথাগুলোও ভেবে দেখার মতো।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৪
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ
১২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪১
শেহজাদী১৯ বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।
আমি শুধুই ভেবেছি এবং ভেবে দেখেছি কালের পরিবর্তন আসলে ঠেকানো যায় না।
যুগে যুগে অতীত ইতিহাস থেকে আজ পর্যন্ত পেছনে ফিরে দেখলে এমনটাই দেখা যায়। পুরোনো ও নতুন যুগের মানুষগুলোর যুদ্ধ, হায় হায় হাহাকারে পুরোনোকে বা আদি বৈশিষ্ঠকে আঁকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা। যা অকারণ ও অপ্রতুল। কিছু বুঝিয়ে বলতে গেলে পুরোনোদের যত সুন্দর যুক্তি আছে নতুনের তা শুনবারও যেন সময় নেই। তাদের কাছে তারাই সত্য আর সত্য সব সময়ই যার যার কাছে সুন্দর! তাই শ্লীল অশ্লীলতার বিচারে না গিয়ে সভ্যতা ও ভব্যতার যে মুখোশখানি পরে থাকতে বলা হচ্ছে তা অবশ্য সত্য সুন্দর ও ভব্য সাহিত্য তবে নতুনেরাই তা কতখানি মানবে তা ভাববার বিষয়। আর এই মানাবেটা কে? কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতে হবে। বুঝিয়ে বলতে হবে সভ্যতা ও ভব্যতার মুখোশ টেনে ছিড়ে এইসব লিখো না। আমরা ভব্য জাতি আমাদের সাহিত্য রুচিশীল তোমরা যা লিখছো তা রুচিশীল নয়। দেখবেন তাদেরও যুক্তি আছে। যে যুক্তির কাছে হয়ত হা হয়ে যাবো আমরা যারা রুচিশীল বলে গলা ফাটাচ্ছি তারা।
নতুন যুগের মানুষের ভাবনার প্যাটার্ন চিরদিন আলাদা রকম যা পুরোনোদের সাথে বিভেদ লেগেই থাকে।
১৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৮
শাহিন বিন রফিক বলেছেন:
শেষের প্যার নিয়ে আমি একটি লেখা লিখতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি এই লেখায় খুবই চমৎকারভাবে আমাদের সাহিত্যের বর্তমান করুণ অবস্থা তুলে ধরেছেন।
আমার রেটিং-১০/১০
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ, আমার লেখার উদ্যেশ্য যতটানা সেই লেখকদের নিয়ে তারচেয়ে বেশি সেই পাঠকদের যারা ভালো সাহিত্যর কদর না করে সেইসব তথাকথিত লেখকদেরকে নিয়ে মেতে আছে। তারাই আসল কালপ্রিট।
একদম ঠিক কথা বলেছেন।
আসলে কেউ কেউ এইসব বই বাধ্য হয়ে কিনেন। অনুরোধ মানতে হয়। তাই কিনতে হয়।
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: পুশ সেলিং।
১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪১
টারজান০০০০৭ বলেছেন: ছেলি বিটি রা লিখিতেছে সমস্যা নাই ! লিখুক। হয়ত দুয়েকজন সত্যি ভালো লেখক হইবেক ! বাহিরের দেশেও অখাদ্য-কুখাদ্য লেখা হয় , প্রকাশ হয় , সেসবের পাঠকও আছে দেদার ! সমস্যা হইলো রিভিউ এ !! তাহাদের দেশে যেমন সমালোচক আছে যাহারা লেখার সত্যকারের সমালোচনা করেন , তাহা পড়িয়া অন্তত কিছু আইডিয়া পাওয়া যায়. আমাদের দেশে ইহার বড় অভাব !! তাই নামেই কাটতি !!
প্রতি বছর বইমেলাতে বই কিনিতে যাই ! কিনিতে গিয়া বিপদেই পড়িতে হয় ! নিজের বিবেচনার প্রতিই আস্থা রাখিতে হয় ! কি আর করা !! বুক রিভিউ টা যদি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে করা যাইতো তাহা হইলে ছেলি বিটি রাও ভালো লেখার চেষ্টা করিত ! বাল-ছাল লিখিয়া পাঠকের সময় , টাকা নষ্ট করিত না !!
মনডা কয় নিজেই একখানা রিভিউ সার্ভিস খুলি !! আহারে জেবন !!!
২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৬
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: খুলে ফেলেন তাইলে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পাঠক নিজের জ্ঞানে ভালো বই নিবে। কারো দৌড়ঝাপে কি লাভ।