নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপে বলিউডের পরিচিতি আর জনপ্রিয়তা কল্পনার চাইতেও বেশি, আরো ক্লিয়ার করে বললে শাহরুখ খানের জনপ্রিয়তা।
মধ্যপ্রাচ্যের অনেককেই দেখেছি গুনগুনিয়ে "চাম্মাক চালো" বা "তেরি মেরি মেরি তেরি"গাইতে শুনি।
আর ইউরোপের অনেককেই দেখেছি ইন্ডিয়া বলতেই বলিউড বুঝে, আসলে বলিউডের কারণেই যে অনেকে ইন্ডিয়া চিনে, শাহরুখের কারণেই ইন্ডিয়া চিনে। তাইতো ফ্রান্সে সালমানের "টিউবলাইট" সিনেমার পোস্টারে প্রধান কাস্ট লিস্টে প্রথমেই শাহরুখের নাম লেখা ছিলো।
সবার তো জানাই যে ফ্রান্সের সরকারের কতৃক সর্বোচ্চ বেসামরিক পদকও শাহরুখ খান পেয়েছেন।
যে ছবিটি দিয়েছি সেটা হচ্ছে ফ্রান্সের উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের এক ক্লাসের ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকের ছবি, ইন্ডিয়ার সংস্কৃতির একটা অংশ হিসেবে বলিউডকে নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
কতটা গুরুত্ব দিলে আর জনপ্রিয়তা থাকলে একটা বিষয়কে পাঠ্যপুস্তকে স্থান দেওয়া হয়?
আসলে ইন্ডিয়া আর বলিউডের জনপ্রিয়তা দেখলে ঈর্ষা হয়, আমাদেরও যদি এমন একজন থাকতো যার কারনে সারা বিশ্ব আমাদের চিনতো।
প্রায় একবছর ধরে ফ্রান্স আছি, এদেশের টেলিভিশনে বাংলাদেশ নিয়ে যত নিউজ বা ডকুমেন্টারি দেখেছি তার ৯৯% ই নেগেটিভ। হয় বাল্যবিবাহ, নাহয় প্রস্টিটিশন.গার্মেন্টস নিয়ে যে দুই একটা ভালো নিউজ বা ডকুমেন্টারি হয় তার অর্ধেকটাই থাকে গার্মেন্টসকর্মিদের বেতন নিয়ে টানাটানির আর কাজের অনিরাপদ পরিবেশ নিয়ে গল্প।
কবে আমাদের এক শাহরুখ খান হবে, কবে এদেশের পাঠ্যপুস্তকে পজিটিভ ভাবে আমাদের দেশের নাম আসবে।আমার মতে আমাদের আন্তর্জাতিক মানের অভিনেতা প্রচুর আছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের কোন ডিরেক্টর নাই, আসলেই নাই।
"বিশ্ব দরবারে বাংলা সিনেমা কেন স্থান করে নিতে পারছেনা" এই প্রশ্নটা আপনাদের কাছে রাখা বোকামি হবে,কারণ বাংলাদেশের সিনেমা তো বাংলাদেশের মানুষের মনেই স্থান করে নিতে পারছেনা। ধন্যবাদ
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: সরকার যে ১ বিলিয়ন ডলার দিবে, কার জন্য দিবে। সেই মাপের প্রমিসিং ডিরেক্টর কি আমাদের আছে? । আমাদের ডিরেক্টররা কি নিজেদের যোগ্য বলে প্রমাণ করতে পেরেছে?
২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৮
চুলবুল পান্ডে বলেছেন: আটলান্টিক - ,,,,,,পাগলের কল্পনা।হলিউডকে কপিক্যাট করে বলিউড বেচেঁ আছে। কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: বলিউড হলিউডকে যতটা কপি করে তার থেকে বেশি কপি করে নিজের দেশের অন্যন্য ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে
৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: হুম। ঠিক।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
৪| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
কালীদাস বলেছেন: হলিউডরে আগাগোড়া কপি করে ইন্ডিয়ান কপিবাজরা, আর ইন্ডিয়ানগুলারে আগাগোড়া কপি করে বাংলাদেশের ইডিয়টগুলো। দেশের যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানের প্রধান অংশ হল কানফাটানো আওয়াজে ইন্ডিয়ান সিনামার চটুল গান বাজানো। দেশের শীর্ষস্হানীয় পত্রিকাগুলো বাংলাদেশের কোন এক্টর এক্ট্রেস কলিকাতার বালের সিনামায় ন্যাকামির রোল পাইছে সেইটারে করে হেডলাইন, পারলে মিলাদ পড়ায় সেইটা উদযাপন করতে। এরপরও বাংল সিনামা দেখতে কেউ হলের টিকেট যে কাটে এইটাই তো বেশি।
হ, অনেক ইউরোপিয়ান দেশেই হিন্দি গান মাঝে মাঝে বাজতে শুনছি অনেক দোকানপাটে। যেইসব দোকানে বাজে, ঐসব দোকান থিক্যা কিছু কিনি না। রুচিতে কুলায় না।
বাংলাদেশের নাম পজিটিভ ভাবে অনেক জায়গাতেই আসে ইউরোপেও। সেইটা একটু চোখকান খোলা রাখলেই পাইবেন। সব মিয়াভাই বাংলাদেশি জাইঙ্গা পৈড়াই ঘুরে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস প্রোডাক্ট আছে বৈলাই সব শালারা এখনও আব্রু ঢাকতে পারে; শুধু আরমানি/হুগো বস থাকলে ছালা পৈড়া ঘুরতে হৈত অনেকেরেই। টিভির নিউজে খারাপ খবর আসে ডিজাস্টারগুলার, অনেক সাধারণ মানুষের আগ্রহ এখনও আছে দেশটা চলে কেমনে জানতে। কপি করা সিনামার কপি কৈরা বানানি কমার্শিয়াল সিনামা দিয়া বাংলাদেশ পরিচিতি পাইতাছে কোন এক শাহরুখ খানের অভাবে: এইটা নিয়া আমি গর্বিত যে আমরা মৌলিক কিছু করতে পারি নাই বৈলাই পরিচিতি পাই নাই, তবু চটুল/ফাতরা কালচার নিয়া কোথাও এখনও যাই নাই।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: এতো বড় মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: আমাদের সাকিবরে দিয়ে ভাল পরিচিতি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ঐ দেশের লোকেরা আগে ক্রিকেট চিনুক না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৫৫
আটলান্টিক বলেছেন: আপনি জানেন ইন্ডিয়া এখন VFX/গ্রাফিক্স আর ভাল ডিরেক্টর তৈরির জন্য বিশাল এখন প্ল্যান হাতে নিচ্ছে।২০৩০ সালের মধ্যে বলিউডের মুভিগুলোর গ্রাফিক্স আর স্টোরি হলিউডকে টপকে যাবে।বাংলাদেশ ছোট দেশ।সহজেই এই দেশে অনেক কিছু করা যেত।যদি বাংলাদেশ সরকার ১ বিলিয়ন ডলার ও দিতো তাহলে মাত্র ৫ বছরেই বিশাল এক গেমিং আর মুভি শিল্প তৈরি করা যেত।