নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ তায়ালা সূরা যারিয়াতে বলেছেন وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ "
And I did not create the jinn and mankind except to worship Me.
'আমি জ্বীন ও মানব জাতিকে কেবলমাত্র আমার ইবাদাতের জন্যই সৃষ্টি করেছি'। (আয়াত- ৫৬)।
এখন প্রশ্ন হল আল্লাহ বলেছেন আমি মানব জাতিকে শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্যে সৃষ্টি করেছি,তার মানে মানুষের এক এবং একমাত্র কাজ হওয়া উচিত আল্লাহ'র ইবাদত করা।
তাহলে কি আমরা ব্যাবসা বাণিজ্য,খেলাধুলা,গল্পগুজব,রাজনীতি,পরিবার, বিনোদন সব কিছু বাদ দিয়ে আল্লাহ'র ইবাদতে মশগুল থাকবো??
আসুন প্রথমে দেখে নেই ইবাদত মানে কি?
‘ইবাদাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো:- চূড়ান্ত বিনয়, আনুগত্য ও বশ্যতা। শারী‘আতের পরিভাষায়:- প্রকাশ্য কিংবা গোপনীয় যতসব কথা ও কাজ আল্লাহ ভালোবাসেন ও পছন্দ করেন, সে সবের একটি সামষ্টিক নাম হলো ‘ইবাদাত।
অর্থাৎ দৈনন্দিন জীবনে সকল কর্মযজ্ঞ যা আমরা আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি তা হচ্ছে ইবাদত।শুধুমাত্র নামায রোজা আর হজ্জ্ব যাকাত নয়..............
হালাল ব্যাবসা করে জীবিকা নির্বাহ করা ইবাদত।
জনকল্যাণের রাজনীতি করাও ইবাদত।
বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডায় যখন আপনি ইসলাম নিয়ে আলোচনা করবেন তখন সেই আড্ডাটাও ইবাদত।
এশার নামাজ পরে ঘুমিয়ে ভোরে উঠে যদি ফজরের নামাজ আদায় করেন তাহলে সেই ঘুমটাও ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত।
বিসমিল্লাহ বলে হালাল খাদ্য খাচ্ছেন, সে খাওয়াটাও ইবাদত
আল্লাহ'র কাছে কিছু চাওয়াও ইবাদত
পক্ষান্তরে!!!!!!
টেলিভিশনের সামনে বসে ফুটবল দেখছেন,এটা কোন হারাম কাজ না (আমি যতটুকু জানি),কিন্তু নামাযের ওয়াক্ত চলে যাচ্ছে খবর নাই খেলা দেখা চলছেই,তখন সেই খেলা দেখা আপনার জন্য হারাম।যতক্ষণ খেলা চলছে আপনি হারাম কাজ করেছেন বলে গন্য হবেন।
বন্ধুদের সাথে আড্ডার ফাঁকে নামাযের ওয়াক্ত চলে যাচ্ছে, সেই আড্ডাটা এখন হারাম বলে গণ্য।
লোকদেখানোর উদ্দেশ্যে খয়রাত করছেন, সেই খয়রাত আর ইবাদত হিসেবে গন্য হবেনা।
নামায বাদ দিয়ে ব্যাবসায় ব্যাস্ত,সে ব্যাবসাটা গোনাহের কাজে পরিণত হল।
এমন বিষয় যা আপনাকে আল্লাহ'র স্মরণ হতে গাফেল করে তা অবশ্যই হারাম,আর সে বিষয় গুলি আ্যবয়েড করে চলতে পারলেই আপনার ২৪ ঘন্টা ইবাদত হিসেবে গন্য হবে।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৫৮
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: আমিন
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
ইমরান আশফাক বলেছেন: চমৎকার, সঠিক কথাই বলেছেন আপনি।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
কানিজ রিনা বলেছেন: আত্বার পবিত্রতায় সকল কাজের মধ্যে
ইবাদত সফল করা আত্বিক ইবাদত।
চলতে ফিরতে কাজে কর্মে আল্লাহর
জিকির আত্বিক ইবাদত। আত্বিক পবিত্রতা
দৈহিক পবিত্রতা রক্ষা করে। দেহ ও আত্বার
পবিত্র নামাজই আত্বিক নামাজ বা রুহানী
নামাজ। রুহ কাল্ব নপছ পবিত্র মানুষ আল্লাহর
সান্যিদ্ধ লাভ করেন। নফছ লোভে পরাভুত
হলে কাল্ব কালো বরন ধারন করে। কাল্ব
কালো হয়ে গেলে। রুহ অন্ধকারে পতিত হয়।
রুহ আলোকীত হতে হলে,দেহর সাথে নফছ
সম্মিলিত সকল পাপাচার হাড়াম খাদ্য থেকে
নিজেকে বিরত রাখতে হবে। আলোকীত
রুহানী বা আত্ব্যা উর্ধাকাশ গমন করতে সক্ষম।
অনেক ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৫:০০
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫
Abdullah Al Noman বলেছেন: মাশ-আল্লাহ। অনেক সুন্দর লিখেছেন।
১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:২৭
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: সুন্দর, আল্লাহ সবাই কে তার ইবাদত করার রহমত দান করুক, আমীন।