নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নামাজ পড়তে আমার ভালো লাগেনা
কয়েক বছর আগেও কিশোর তরুণ সমাজের (বড় একটা অংশের) প্রধান সমস্যা ছিল মাদকাসক্তি, আর এখন প্রধান সমস্যা হচ্ছে "বিনোদনাসক্তি".সবকিছুতেই আমরা বিনোদনের খোজ করি। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা নিজেদেরকে বিনোদনে বুঁদ করে রাখতে না পারলে আমরা ডিপ্রেশনে চলে যাই।ফেসবুক,ইউটিউব সহ বিনোদনের নানা আধুনিক মাধ্যম রয়েছে যাতে বর্তমান প্রজন্ম নেশাগ্রস্ত। আমাদের মাথা ভর্তি গিজগিজ করে হাজার রকমের আবর্জনা। এত আবর্জনার কিভাবে আল্লাহর কথা মনে হবে? মস্তিস্কের কোনো ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকতে হবে তো ভালো কিছু চিন্তা করার জন্য!
নামাজের জন্য আমাদের কাছে সময় নাই। ক্লাস অব ক্লানস খেলে যদিও দিনের বেশিরভাগ সময় পার করে দেওয়া যায়।
অনেক মুসলিম ভাই আছেন যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করেননা, জুম্মাবার ছাড়া কেবলামূখী হননা,শ্বশুর বাড়িতে বা কোথাও বেড়াতে গেলে লোক-লজ্জা কারনে পড়েন, বা অফিসে বসকে দেখানর জন্য পড়েন।তাদেরকে নিয়মিত নামাজ না পড়ার কারন জিজ্ঞেস করলে বলেন..
সময় পাইনা.... ভালো লাগেনা....পড়া দরকার.....কাপড় ঠিক রাখতে পারিনা..কন্টিনিউ করতে পারিনা....দেখি সামনের শুক্রবার থেকে শুরু করবো.....ব্লা ব্লা ব্লা । এভাবে কত শুক্রবার গত হয় নামাজ আর শুরু হয়না। আর কেও যদি শুক্রবার থেকে শুরুও করেন ৩/৪ দিন পর আর কন্টিনিউ করতে পারেননা।কেন??
প্রথমে জেনে নিন আপনাকে কেন নামাজ পড়তে হবে।নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে আপনার জন্য নামাজ আদায় করা কতটা জরুরী। আপনি কি জানেন কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথমে আপনাকে নামাজের হিসাব দিতে হবে? । হ্যা সবার আগে আপনাকে যা জিজ্ঞেস করা হবে তা হচ্ছে নামাজ কতটুকু পরেছেন আর কতটুকু ছেড়েছেন আর কেন ছেড়েছেন।??
উওর কি প্রস্তুত আছে? না থাকলে বিপদ আছে কিন্তু!.
কিয়ামতের দিন আপনাকে প্রথমেই যা জিজ্ঞেস করা হবে তাকে আপনি আপনার দৈনিক কার্যতালিকায়-ই রাখছেন না!!!। পবিত্র কোরআনে সবচাইতে বেশি যে ইবাদতের কথা উল্যেখ আছে তা হল নামাজ। আল্লাহ যে জিনিসটাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন আপনি সেটাকে কোন গুরুত্বইই দিচ্ছেন না!!!!!
কেন আপনার এই উদাসীনতা? নিজেকে প্রশ্ন করুন আসলে কোন জিনিসটা আপনাকে নামাজ পড়তে বাধা দিচ্ছে!আপনার আর নামাজের মাঝে অন্তরায় কি।
ফজরে সময় মুয়াজ্জিন বলছেন " হ্যাইয়ালা আসসালাহ" " হ্যাইয়ালা আল-ফালাহ "নামাজের জন্য আসো, কল্যানের জন্য আসো কিন্তু আপনি যাচ্ছেননা। আপনি নামাজের জন্য যাচ্ছেননা। পক্ষান্তরে আপনার কাছে মনে হচ্ছে আসলে নামাজ কল্যাণকর নয় (নাউজুবিল্লা) । না! আপনি সরাসরি তা বলছেন না কিন্তু আপনার আচরণ তা বুঝাচ্ছে। আপনার কাছে যদি নামাজ কল্যাণকর মনে হতো তাহলে আপনি অবশ্যই যেতেন।
যোহরে আবার ডাকা হয় একইভাবে, তারপর আসর,মাগরিব, এবং এশায় ও একইরকম ঢাকা হয় কিন্তু আপনার জবাব " আমি নামাজ পড়বনা "।
দৈনিক ৫ বার আপনি পরম করুনাময়ের আদেশ অমান্য করছেন নিয়মিত ভাবে? মাসে কত? বছরে কত? এ পর্যন্ত কতবার আল্লাহ্ আদেশ অমান্য করেছেন শুধু নামাজ না পড়ার কারনে? কেন আপনি নামাজকে এতো হালকা ভাবে নিচ্ছেন?
মুমিন আর কাফেরের মাঝে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ। আপনি যে নিজেকে মুসলমান বলছেন তার যৌক্তিকতা কতটুকু? যেখানে নবী (স) বলেছেন কাফির আর মুমিনের পার্থক্য হচ্ছে নামাজ!!। কত কঠিন কথা। এত বড় কথাও কি আপনাকে নাড়া দিচ্ছে না??
কোন সাহসে আপনি প্রতিদিন আল্লাহর আদেশ অমান্য করেই যাচ্ছেন করেই যাচ্ছেন। কে আপনাকে জাহান্নাম থেকে বাচানোর ভরসা দিয়েছে নামাজ ছাড়া?? যেখানে নামাজ হচ্ছে বেহেস্তের চাবি সেখানে আপনি কোন ভরসায় নামাজ না পড়ে বেহেস্তে যাওয়ার আশা করেন??
দৈনিক পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে কত সময় লাগে? মোটামুটি ১ ঘন্টা বা তারও কম।আল্লাহ আপনাকে দৈনিক ২৪ ঘন্টা সময় দিয়েছেন,তার থেকে মাত্র এক ঘন্টা সময় নামাজের জন্য ব্যায় করতে আপনার এত কৃপণতা কেন??
আপনি কি জানেন যখন কোন বান্দা নামাযে সেজদায় যায় তখন তাকে আল্লাহর রহমত এমন ভাবে ঘিরে ধরে তা যদি সে বুঝতো তাহলে সে আর সেজদা থেকে মাথা তুলতোনা।সুবহানআল্লাহ। চিন্তা করেছেন আপনি নামাজ না পড়ার কারণে কতটা রহমত থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
কবরবাসি বেনামাযীরা শুধুমাত্র একটি সেজদা দেওয়ার সুযোগের জন্য হাহাকার করে কিন্তু তাদেরকে বলা হয় আর সেজদা দেওয়ার সুযোগ নাই। তোমাকে দুনিয়ায় অফুরন্ত সময় দেওয়া হয়েছিলো কিন্তু তখন তো তুমি আল্লাহর তরে সেজদা দাওনি। এখন সেই সময় চলে গেছে।আপনাকেও এভাবে উত্তর দেওয়া হবে যদিনা আপনার বর্তমানকে কাজে না লাগান।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে,জাহান্নামে (সাকার) যখন জাহান্নামীদের ঢুকানো হবে তাদের জিজ্ঞাস করা হবে তোমরা কেন জাহান্নামে?, তারা উত্তর দিবে আমরা নামাজিদের অন্তর্ভুক্ত ছিলামনা।আর আপনি কিসের ভরসায় নামাজ না পড়ে জাহান্নাম থেকে বাচার আশা করেন?
বেনামাযী ব্যাক্তি কেয়ামতে নবীজি (স) এর শাফায়ৎ পাবেনা। কারন ইচ্ছাকৃত ভাবে যে নামায আদায় করেনাই সে আর মুসলমান থাকে না,নবীজি (স) এর হাদিস মতে সে কাফির। আর কোন কাফির নবী (স) এর শাফায়াৎ পাবেনা।নামাজ আর ঈমান পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। নামাজ হচ্ছে ঈমানের আরেকটি অংশ। নামাজ না থাকলে ঈমান কতটুকু থাকে তা আল্লাহ আর তার রাসূলই ভালো জানেন।
আজ পড়বো কাল পড়বো এই করে আর কতদিন কাটাবেন? কাল পর্যন্ত যে বেচে থাকবেন তার গ্যারান্টি কি? তাই আজই শুরু করুন, এখনই শুরু করুন। শয়তানকে আপনার উপর বিজয়ী হতে দেবেননা।নামাজ না পড়ে আপনি শয়তানকে খুশি করছেন,নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন। আপনিই চিন্তা করে দেখুন কাকে খুশি করবেন? পিছনে যত নামাজ ছেড়ে এসেছেন তার জন্য মাফ চেয়ে তওবা করুন। আল্লাহ ক্ষমাশীল
কৃতজ্ঞতা:
নওমান আলী খান
ওমর আল জাবির
২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৭
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: আমিন
২| ২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আজ পড়বো কাল পড়বো এই করে আর কতদিন কাটাবেন? কাল পর্যন্ত যে বেচে থাকবেন তার গ্যারান্টি কি? তাই আজই শুরু করুন, এখনই শুরু করুন। শয়তানকে আপনার উপর বিজয়ী হতে দেবেননা।নামাজ না পড়ে আপনি শয়তানকে খুশি করছেন,নামাজ পড়লে আল্লাহ খুশি হন। আপনিই চিন্তা করে দেখুন কাকে খুশি করবেন? পিছনে যত নামাজ ছেড়ে এসেছেন তার জন্য মাফ চেয়ে তওবা করুন। আল্লাহ ক্ষমাশীল
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
২০ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৮
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: নামাজ না পড়লে আমার ভাল লাগেনা। সবার উচিত কাজ কে বলা নামাজ আছে। নামজকে কখনো বল না কাজ আছে। ধন্যবাদ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩১
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ঠিক বলেছেন
৪| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩
স্বতু সাঁই বলেছেন: কি প্রফেসর সাব! মসজিদে নামাজী কম গেলে ইমামের চাকরী থাকবে না বলেই কি নামাজের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বুঝি?
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: হইরা চেনা।
৫| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
নামাজ আমার চক্ষু শীতল করে। আলহামদুলিল্লাহ।
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩২
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: আমিন।
৬| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
বারিধারা বলেছেন: নামাজ পড়ার পক্ষে একমাত্র যুক্তি হল, "নামায না পড়লে গুনাহ হবে"
এই দুনিয়াতে যেখানে পান থেকে চুন খসলেই কেবল পাপ আর পাপ, সেখানে গুনাহের ভয় কেউ করে? তাও আবার সেই গুনাহ করার চেয়ে গুনাহ মাফ করার কত রকম তরিকা! মরার আগে যদি হজ্জ কইরা তওবা পইড়া সাফ সুতরো হইয়া নব্জাতকের মত মারা গিয়া বেহেশ্তে যাবার সুযোগ থাকে, তাহলে যৌবনের উচ্ছল দিনগুলি নামাজ পড়ে নষ্ট করতে চাইবে কে?
০৭ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
প্রফেসর সাহেব বলেছেন: গোনাহ মাফ সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারনা না থাকায় আপনি এমন মন্তব্য করেছেন। আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি ধর্ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার জন্য, নিরপেক্ষ ভাবে যাচাই করার জন্য। ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: নামাজেই আমাদের যত গাফিলতি। আল্লাহ আমাদের সকল মুসলিমকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন।