নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে তৎকালিন দুনিয়ার অন্যতম শক্তিধর সেনাদলের বিপক্ষে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করাটা ছিল অনেকের কাছে আকাশ কুসুম কল্পনা, কিন্তু 'যার যা কিছু ছিল তা নিয়ে ঝাপিয়ে পরা' এদেশের মানুষের প্রবল কনফিডেন্স আর অদম্য সাহসের কাছে খান সেনারা নাকানি চুবানি খায়।
সফলতা অর্জনের ইচ্ছা থাকলে আর সে অনুযায়ি কাজ করলে তা হাতের মুঠোয় আসবেই। সপ্নের পেছনে ক্লান্তিহীন ভাবে কনফিডেন্সের সাথে দৌড়ে দৌড়ে তাকে ধরে ফেলা এক মানুষের নাম আলম..... হিরো আলম। যিনি নিজেকে নিজে হিরো বলেন।সপ্ন দেখেন হিরো হবার।নিজের ফিটনেস, চেহারা কোন কিছুই তার পক্ষে সায় দেয়না,কিন্তু মনের জোর বলে "তুমি পারবে"।হিরো আলম সবার কাছে সফল কি-না জানিনা, তবে নিজের কাছে সে আজ সফল।
জিরো থেকে হিরো হওয়ার গল্প অনেক আছে, হিরো আলমের গল্পটাও সেখানে স্থান করে নিয়েছে।হিরো হওয়াটা আলমের জন্য আকাশ কুসুম কল্পনা, হিরো হওয়ার জন্য যা যা দরকার তার কিছুই নাই তার কাছে, শুধু সপ্ন ছাড়া।আর সেই সপ্নের সাথে ছিলো
আত্নবিশ্বাস।নিজের সিমাব্দ্ব্বতাকে মিডিল ফিঙ্গার দেখিয়ে সে তার সপ্নকে ধরতে পেরেছে।
লেখাটি লেখার উদ্যেশ্য হল হিরো আলমের মতো আমরা অনেকেই আছি যারা নিজের সিমাবদ্বতার কথা চিন্তা করে সামনে যেতে ভয় পাই,মানুষ কি বলবে,মানুষ হাসাহাসি করবে এই চিন্তা করে আজও নন্দলাল হয়ে ঘরে বসে আছি,আলম হতে পারে তাদের প্রেরণা। অনেকেই হয়ত নাক সিটকাবেন যে হিরো আলমের কাছ থেকে প্রেরণা নিবো??? আর পাইলেননা।তাদের জন্য আমার কোন জবাব নাই, এক বালতি সমবেদনা ছাড়া।
আলমের পাশে যাদের দেখছেন তারাও তাদের সপ্নের পেছনে দৌড়াচ্ছে আত্নবিশ্বাসের সাথে নিজের সীমাবদ্ধতাকে পাত্তা না দিয়ে।জগতে এ রকম উদাহরণ হাজারো আছে যারা নিজের সীমাবদ্ধতাকে পেছনে রেখে সপ্নের পেছনে দৌড়ে সপ্নকে ধরেছে।সাফল্য অর্জনের পথে একমাত্র বঁাধা হচ্ছে আত্নবিশ্বাসের অভাব।সময়, সুযোগ,পরিবেশ,ধর্ম,শরীর কিছুই আপনার সফলতা অর্জনে অন্তরায় হতে পারবেনা যদি আত্নবিশ্বাস আপনার সাথে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
হিরো আলমকে নিয়ে মানুষ কম ঠাট্টা বিদ্রুপ করেনি। সরল এই মানুষটা কিন্তু তাতে একটা অভিযোগও করেনি। মানুষ তাকে পঁচাতে পঁচাতে শেষ করে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি।
এখন খেলা দেখতে গেলে টিভি কমার্শিয়ালে হিরো আলমকে দেখতে হবেই। কোন জায়গা থেকে এসে এখন কতটা উঁচুতে পৌছে গেছে। (হয়তো উচ্চতাটা বেশি না, কিন্তু সে যতটূকু গেছে, সেটুকই বা তার সমালোচকদের কয়জন যেতে পেরেছে।)
দুটো কমার্শিয়াল অলরেডি করে ফেলেছে। দুটোতেই কো-স্টার হিসেবে বিখ্যাতদেরই পেয়েছে।
সরল-সহজ মানুষ অন্তরে কুটিলতা নিয়ে এগোয় না, তাই সফল। হিরো আলম এটা সর্বশেষ উদাহরণ।