নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

life is a game . lets make a highscore

প্রফেসর সাহেব

প্রফেসর সাহেব › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. জাকির নায়েক ঃ মৌ-লোভীদের কাছে এক আতংকের নাম

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০

খৃষ্টানদের গোমর ফাঁক করে দেয়ার কারণে তারা যে জাকির নায়েকের উপর ক্ষুব্ধ এটা আমি আগেই শুনেছি। কয়েকদিন যাবত লক্ষ করছি যে বেশ কিছু ওয়াজ মাহফিলে বক্তারা ড. জাকির নায়েকের পাছায় আংুল দিচ্ছেন.মাঝে মাঝে সন্দেহ হয় অরা আবার খ্রিষ্টানদের চর কি না। অথচ তারা সাধারণ কোমলমতি ধর্মপ্রান মানুষকে এই বলে কনভিন্স করতে চাচ্ছেন যে জাকির সাহেব হচ্ছে ইহুদির দালাল। এ ছাড়া তারা আরো যে সব অভিযোগ করেন
১. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ফতোয়া, কারণ তিনি নাকি ওসামা বিন লাদেনের সমর্থক! 

২. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ফতোয়া, কারন তিনি নাকি কুরআন-বিরোধী শিক্ষা দেন। 

৩. জাকির নায়েক আলেম নন। 

৪. তিনি পড়াশোনা করেছেন খৃষ্টান মিশনারী ও হিন্দুদের স্কুল-কলেজে। 

৫. কুরআন হাদীস নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন কিন্তু এ ব্যাপারে তার কোন শিক্ষক নেই। 

৬. “ড. জাকির নায়েকের কুরআন তিলাওয়াত শুদ্ধ নয়।” 

৭. “ড. জাকির নায়েকের অপব্যখ্যা : প্যান্ট-শার্ট-টাই পড়া জায়েয। 

৮. পর্দার ব্যাপারে ড. জাকির নায়েকের শিথীলতা। তার অনুষ্ঠানে পুরুষ-মহিলাদের অংশগ্রহণ। 

৯. “ডা. জাকির নায়েক চতুর্থ খলীফা হযরত আলী রা. কে উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে দাবী করেছেন- যা মূলত: ভ্রান্ত শিয়া ফিরকার আকীদাবিশ্বাস।-নাউযুবিল্লাহ। 

১০. “তিনি গায়রে মুকাল্লিদ (আহলে হাদীস) সম্প্রদায়ের লোক হিসেবে এ সম্প্রদায়ের মতাদর্শের প্রচার-প্রসারকে নিজের মেনুফেক্ট নির্বাচন করে। 

১১. “যারা হিন্দুস্থানে বাস করে তারা সকলেই হিন্দু, কাজেই আমাকেও (ধর্মীয় দিক থেকে) হিন্দু বলতে পারেন।” 

১২. “ড. জাকির নায়েক নাকি কাজা নামায অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন যে, কাজা নামায পড়ার দরকার নেই। তাওবা করে নিলেই চলবে।” 

১৩. “রাসূল সা. এর একাধিক বিবাহ ছিলো রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য।” 

১৪. ড. জাকির নায়েক নাকি বলেছেন, “ইসলামে দাঁড়ির তেমন একটা গুরুত্ব নেই।” 

১৫. জাকির নায়েক হায়াতুন নাবী সা. অস্বীকার করেছেন। 
হা হা হা হা
আসলে আমাদের দুর্ভাগ্য, যে আমরা এমন কিছু ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক নেতৃবৃন্দের অনুসরণ করছি, যারা না বুঝে ইখলাসের সাথে জাতিকে গোমরাহ করছেন।
আপনি যদি সেই সব বক্তা যারা এই সব অভিযোগ করেছেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন যে "রেফারেন্স দেন ড জাকির নায়েক কখন, কোথায়, কোন আলোচনায় বলেছেন? " তাহলে আমার মনে হয়না তারা জবাব দিতে পারবে। ব্যাক্তিগতভাবে আমি নিজেই তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের জবাব দিতে পারবো।কিন্তু দেখেছি যে যারা ড নায়েকের বিরুদ্ধাচার করেন তারা এক আজব প্রজাতির প্রানি।তর্ক আর ঝগড়ার মাঝে তারা কোন পার্থক্য করেনা।

রাসূলে কারীম (সা.) বলেছেন: 
بَلِّغُوْا عَنِّىْ وَ لَوْ ايَةً. 
অর্থ: “তোমরা আমার একটি কথা হলেও পৌঁছে দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)। 
সুতরাং বুঝা গেল দাওয়াত ও তাবলীগ করার জন্য আলেম-উলামা বা শিতি-জ্ঞানী হওয়া শর্ত নয়; বরং যিনি যতটুকু জানেন তিনি ততটুকু তার সামর্থ অনুযায়ী প্রচার করবেন। এটাই তার কর্তব্য। 
সহজ ও সাবলীল ভঙ্গিমায় আলোচনাকারী প্রখ্যাত এই মনিষী নিজেকে সব সময় ইসলাম ও অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ অধ্যয়নকারী একজন ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। সত্যের সাহসী উচ্চারণে তিনি বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ সন্ত্রাসী আমেরিকার সন্ত্রাসবাদ সম্পকেও স্বরব। তিনি বলেন, বিন লাদেন যদি যুক্তরাষ্ট্রের মতো সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে হুমকির সম্মুখীন করে তাহলে তিনি বিন লাদেনের পক্ষে। এমনকি ইসলামের শত্র“ বা যুক্তরাষ্ট্রকে যে কোন উপায়ে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোকে সন্ত্রাস বলা হলে তিনি প্রত্যেক মুসলিমেরই সন্ত্রাসী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। তার এমন সাহসী উচ্চারণের জন্য ব্রিটেনের কয়েকটি অনুষ্ঠানে তিনি যেতে পারেন নি। অথচ তারা সেই জাকির নায়েক কে বলছে পশ্চিমা দালাল।পশ্চিমারা জাকির নায়েকের ভয়ে কম্পিত এটা জানি কিন্তু আমাদের দেশের মৌ-লোভীরা কেনো তার পিছনে লাগছে তা এতদিন বোধগম্য ছিলনা কিন্তু সব কিছু আস্তে আস্তে খোলাসা হচ্ছে।সুধু ওয়াজ মাহফিল নয়,উনার সমালোচনা করে বেশ কিছু বই লেখা হয়েছে।
পত্রিকা, বই ও তার লেখক-প্রতিষ্ঠান সমূহ নি:সন্দেহে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও সম্মানীত হলেও তাদের বক্তব্যের বেশ কিছু অসঙ্গতি, দূর্বল ও অসত্য তথ্যের উপস্থিতি আমাকে ব্যথিত করেছে। ড. জাকির নায়েকের প্রতি অতিরিক্ত কোন দরদ কিংবা পার্থিব স্বার্থ সংশ্লিষ্টতা আগেও ছিলো না, এখনও নেই। কিন্তু একজন মুসলিম এবং দায়ী হিসেবে তিনি এখন পর্যন্ত যেই চেষ্টা-প্রচেষ্টা করে যাচ্ছেন একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই তার নির্মোহ মূল্যায়ন করা উচিত। 
একইভাবে ইসলামী আকীদা কিংবা কুরআন ও সুন্নাহর সুস্পষ্ট কোন বক্তব্যের ক্ষেত্রে তার কোন ভিন্নমত বা ভুল বক্তব্য পাওয়া গেলে অবশ্যই তার বিরোধী করতে হবে ঈমানের তাগিদেই। কিন্তু নফল ও মুস্তাহাব পর্যায়ের কোন বিষয়ের জন্য কিংবা ইমামদের মতবিরোধপূর্ণ কোন মাসআলায় নিজ ইমামের মতের কোন অংশের সাথে তার মিল না হলেই কাউকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ ‘ভিন্ন ধর্মের এজেন্ট’ বা তার বক্তব্যকে ‘অমার্জনীয় ধৃষ্টতা’ বলে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য বা যৌক্তিক ও তথ্য প্রমাণহীন কেবল বিদ্বেষ মূলক আক্রমণাত্মক বক্তব্য প্রদান কোন মতেই সমর্থন যোগ্য হতে পারে না। কিন্তু তারা তা-ই করছে।
ড. নায়েকের ব্যাপারে সমালোচকদের বক্তব্য কথা-বার্তায় দেখা যাচ্ছে যে, আসলে তারা অনেকেই ড. জাকির নায়েক সম্পর্কে অনেক ক্ষেত্রেই না জেনে, ধারণা প্রসূত এবং তৃতীয় কারো বক্তব্যে প্রভাবিত হয়ে মন্তব্য করেছেন এবং অবশ্যই গুনাহগার হচ্ছেন। ইহুদি নাসারাদের কিছু এজেন্ট আজ জাকির নায়েককে কলঙ্কিত করার দায়িত্তে নিয়োজিত হয়েছে ।এই সব ভণ্ড হুজুরদের পর্যবেক্ষণ করলে আপনি বুঝবেন তারা কেমন হুজুর । আমি কয়েকজনকে দেখেছি গভীর শিরকে লিপ্ত । এরা পারলে জাকির নায়েকের চুল আঁচড়ানরও ভুল ধরে । এ থেকেই বুঝা যায় তাদের স্বার্থ ইসলামের নয় বরং নায়েককে কলঙ্কিত করাই তাদের লক্ষ । সে একটা মানুষ, তার কিছু ব্যাপার ভাল লাগবে কিছু লাগবে না এটাই নরমাল।আমার কথা হচ্ছে আরে ব্যটা পারলে তদের আলেমদেরকে বল ক্যাম্পবেল,রবি শংকর দের সাথে ডিবেট করতে , ইসলামের জ্ঞান কার কতদূর প্রমাণ হয়ে যাবে ।
আমি ব্যক্তিগতভাবে ডা. জাকির নায়েকের বক্তব্য যতটুকু শুনেছি তাতে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী এমন কোনো বক্তব্য পাইনি যাতে করে তাকে গোমরাহ, বাতিল, বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী, ফিতনাবাজ অথবা অমুসলিমদের দালাল ইত্যাদি বলা যায়। বরং এগুলো বর্জন করে আজ আমাদেরকে মহান আল্লাহর নিম্নোক্ত ঘোষণার উপর আমল করা উচিত। 
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى وَلا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ (২) 
অর্থ: “আর তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ব্যাপারে পরস্পরে একে অপরের সহযোগিতা করো। মন্দকর্ম ও সীমালঙ্ঘনে পরস্পরের সহযোগিতা করো না। আর আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ আযাব প্রদানে কঠোর।” (সূরা মায়িদা, আয়াত ০২)

কোন একজন বিখ্যাত ব্যক্তির কোন কথা নিজের মতের সাথে পুরোপুরি না মিললে তাকে ঢালাওভাবে ‘ভ্রান্ত ও ইহুদী-খৃষ্টানদের সহযোগী’ বলাটা অনেকের কাছে একটি প্রথা ও কালচারে পরিণত হয়েছে। এই মানসকিতা পরিহার করা আবশ্যক। কেউ যদি ইখলাস এর সাথে কারো সমালোচনা করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠিন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। যেমনঃ গ্রামের এক মসজিদের সামনে এক ব্যক্তি একটি খুঁটি মাটিতে প্রথিত করলেন এই চিন্তা থেকে যে, কেউ গরু-ছাগল নিয়ে আসলে এর সাথে বেঁধে রেখে নামায আদায় করতে পারবেন। অন্য এক ব্যক্তি এসে মসজিদের সামনে এমন খুঁটি দেখে তা তুলে ফেললেন এই জন্য যে, অন্ধকারে কেউ এলে এর সাথে হোঁচট খেতে পারেন। সুতরাং এই উভয় ব্যক্তিই নিজ নিজ নিয়াত অনুযায়ী বিনিময় প্রাপ্ত হবেন। কিন্তু তাদের কারো জন্যই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা বৈধ হবে না। 
একইভাবে ডা. জাকির নায়েকের আলোচনা-সমালোচনার এই ইস্যুকে নিজ ব্যক্তিগত স্বার্থে কিংবা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করাও কারো জন্য বৈধ নয় বরং সম্পূর্ণ হারাম। যা নতুন আরেক ভাতৃঘাতি সঙ্ঘাত সৃষ্টি ছাড়া ভালো কিছুই দিতে পারবে না। 
আজকে মুসলমানদের এই চরম দুর্দিনে কোথায় সবাই এক হবে তা না, যাকে পশ্চিমারা ভয় পায় তাকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিত,নিজেদের মাঝে আমরা আর কত ঝগড়া করব?????
লেখাটি লিখতে সামুর বিভিন্ন ব্লগের সাহায্য নেওয়া হয়েছে।ধন্যবাদ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩১

মোঃ মাকছুদুর রহমান বলেছেন: জাকির নায়েকের আবির্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধর্ম ব্যাবসায়ীরা!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৪৪

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ঠিক বলেছেন

২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: জাকির নায়েক এসে সবচেয়ে ক্ষতি করেছে আরটিভি, চ্যানেল আই আর ওলামা লীগের, মিসবাহুর আর ফরিদুদ্দিন মাসুদদের

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: এজন্যই তারা আজ উনার পিছনে লেগেছে

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৫

রাজ বিদ বলেছেন: আপনি যদি সেই সব বক্তা যারা এই সব অভিযোগ করেছেন তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন যে "রেফারেন্স দেন ড জাকির নায়েক কখন, কোথায়, কোন আলোচনায় বলেছেন? " তাহলে আমার মনে হয়না তারা জবাব দিতে পারবে।-- হ্যা, ঠিকই বলেছেন। জাকির নায়েক ও ইসলামের এই দিকটা নিয়ে আপনার গবেষণা ও লেখা দেখে ভাল লেগেছে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৮

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৫

বিজন রয় বলেছেন: জাকির নায়েকের আবির্ভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ধর্ম ব্যাবসায়ীরা!

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

প্রফেসর সাহেব বলেছেন: ঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.