নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"তন্ন-তন্ন করে তদন্ত করে দেখলাম তোমার জন্য কোথাও জায়গা অবশিষ্ট নেই সেখানে। "- চিঠিতে এটুকুই লেখা রয়েছে। গতদিন বিকেলে কুরিয়ারে এসেছে চিঠিটি। সেদিন এ নিয়ে কথা হওয়ার পর থেকেই প্রতীক্ষা ছিলো কখনো এসে চিঠিটি পৌঁছুবে। যে প্রত্যায়ন ঘটেছিলো ভাবনা জুড়ে আজ তা প্রতোদ চালালো সেখানে। প্রত্যুক্তি দেয়ার মতো কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। হয়তো আর লিখতে মন চাইছে তাকে। অথচ এই নূপুরের সাথেই আমি পাঁচবছর চিঠি চালাচালি করেছি। কত চমৎকার ভাষায় লিখতো সে! বলতো, জহির তুমি মন জয় করতে জানো। আমি বোকা বোকা বাক্যে তার প্রশংসার জবাব দিয়ে দিতাম একদিনের মধ্যেই। কতবার যে ফিরতি প্রশংসা বাক্য লিখেছি তাকে! জাযাকাল্লাহ্ খাইরান- সে সত্য অনুভূতিটি আজ স্পষ্ট করে দিয়েছে। মঞ্জুরী তার মঞ্জিমার মঞ্জুরে মঞ্জুর হবার আগেই মটকে গেছে। এটা আর বিস্ময়কর কি! পৃথিবীর রীতিই এমন। রোজই কত গল্প বানাই আমরা। স্বপ্নে,জাগরণে আমাদের কত কাল্পনিক কাহিনি থাকে তার ইয়ত্তাই বা কে রাখে! স্বীকার করে নিচ্ছি আমি নূপুরকে কেবলই চিঠি লিখতাম। কখনো বলিনি কোনো আশংকার কথা। কোন বাক্যেই বাস্তবতার বাইরের কোনো রঞ্জন আবরণ ছিলো না। হয়তো তাই দূরেই থেকে গেছি আমরা- আমি আর নূপুর।
আজ তিনমাস পর ডায়েরির লেখাগুলো চোখে পড়লো। ডায়েরিটা লুকিয়ে রাখি তোশকের নিচে কিংবা চোখ যায় না এমন জায়গায়। ভুল করেই ডায়েরিটা খুলে ফেলেছি আজ। সকালেই একটা ফোন এসেছে সুন্দরবন কুরিয়ারের অফিস থেকে। ভাবছিলাম চিঠিটা আনতে যাবো কি না। "রেওয়া" খাতার মতো ডায়েরিটা যেন পুরোনো হিসাব খুলে দিয়েছে। মনে হচ্ছে হৃদয়টা কোথায় যেন একবার হরণ হয়ে গিয়েছে। আজ হৃদয়ের যন্ত্রটা কেমন যেন বিকল হয়ে আছে। মস্তিষ্কের সেরেব্রাল কর্টেক্সও ঠিকমতো স্মৃতিপটকে জাগ্রত করছে না। অথচ অনুভব করছি কুরিয়ার অফিস থেকে ফোন এলেই শরীরে এন্ডোরফিনস্ বেড়ে যেতো। আজও তাই হচ্ছে।
২| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
কাইকর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।বেশ গুছিয়ে লেখেন আপনি
৩| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
আজিজার বলেছেন: এত ছোট
৪| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: আমি বাসায় তিনটি দৈনিক পত্রিকা রাখি। সংবাদপত্র জগতের মানুষ; তাই বেশি রাখতে হয়।
সন্ধ্যেবেলায় বাসায় ফিরে প্রায়ই দেখি কোনোটির ফার্স্ট পেইজ ছেড়া, কোনোটির বিনোদন পাতার অর্ধেক গায়েব, কোনোটির সম্পাদকীয় পাতার গুরুত্বপূর্ণ উপসম্পাদকীয় নাই!
কিছু বুঝলেন?
৫| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০১
রাসেল রুশো বলেছেন: #রাজীব_নুর ভাই আপনার বাসার কোনো মেয়ে হয়তো চাকরী-প্রত্যাশী কিংবা ফ্যাশন সচেতন। এমনটাই আমার মনে হচ্ছে। অন্যকিছু থাকতে পারে, তবে লক্ষণ এটাই বুঝাচ্ছে। ধন্যবাদ। সাধুবাদ জানবেন।
৬| ২৭ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
রাসেল রুশো বলেছেন: ধন্যবাদ (জাযাকাল্লাহ্ খাইরান)।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
নিশাচড় বলেছেন: বরাবরই আমাদের হৃদয় হরণ হয়। হৃদয় যন্ত্র স্থব্ধ হয়ে যায় তবুও জোড় করে হৃদয় চালাতে হয়। সুন্দর লিখনী। ভালো লাগা রেখে গেলাম।