নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুন কিছু ভাবতে পছন্দ করি। নিজকে আরো জানতে চাই। শিখতে চাই মানুষের মন।

রাসেল রুশো

রাসেল রুশো › বিস্তারিত পোস্টঃ

তড়িগড়ি উন্নয়ন(Quick Development)

২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:০১



বৈশাখে মেলা আর বর্ষায় জলাবদ্ধতা যেন ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য শহরগুলোর জন্য প্রবাদ প্রতীম হয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহ যাবত দৈনিক পত্রিকাগুলোর প্রথম কিংবা বিশেষ সংবাদ হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা। নৌকায় করে রাস্তা পাড়ি দেয়া কিংবা রিক্সা উল্টে যাওয়ার বাস্তবচিত্রও দেখা গিয়েছে। ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই রাজধানী অচল ( ঢাকা,২৮ আষাঢ় ১৪২৪/১২ জুলাই ২০১৭, প্রথম আলো, প্রথম পৃষ্ঠা) শিরোনামটি সংবাদ হিসেবে যেমনই হোক, বাস্তবতায় ভুক্তভোগী প্রায় সবাই (পরোক্ষে হলেও)। এর কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। ১৩ জুলাই - এ প্রথম আলো "পানিতে দিশেহারা নগরবাসী" শিরোনামে ছবি ও পর্যাপ্ত তথ্যসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর কথাও লিখেছে। প্রথম আলো এই ভোগান্তির তিনটি কারণ হিসেবে
১.উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তা কেটে রাখা,
২.সংস্কারের অভাবে সড়কে খানাখন্দ এবং
৩.পরিকল্পিত নিষ্কাশনব্যবস্থার অভাবে জলাবদ্ধতা
কে তুলে ধরেছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জনাব ইকবাল হাবিবের একটা উদ্ধৃতি থেকে জানা গেল "জুন-জুলাইয়ে নতুন বাজেট থাকার কারণে মার্চের পর (রাস্তা/সড়ক) উন্নয়ন আর মেরামতের হিড়িক পড়ে। " এই উন্নয়নের চিত্রও প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি দৈনিকে দেয়া হয়েছে। ঢাকা ওয়াসা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অাওতায় এই বছরে যথাক্রমে ৬০০ কোটি টাকা এবং ১৪৮৫ কোটি টাকার সংস্কার কাজ হচ্ছে। রাজধানীর ৫১৯টি বেহাল সড়কের উন্নয়নের এই চিত্র নগরবাসী দেখতে পাচ্ছে-সারাবছর যানজট আর বর্ষায় জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ হিসেবে পানি এবং পয়ঃনিষ্কাশনের গতিপথ খালগুলো বেদখল এবং ভরাট হওয়াসহ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভূমি প্রশাসন ও জেলা পরিষদের সমন্বয়হীনতাকে দেখানো হয়েছে। রাজধানীসহ সারাদেশের খালগুলো পানি নিষ্কাশনে ভূমিকা রাখতে পারতো। অথচ রাজধানীর ৬২ টি খালের ২৬ টি টিকে আছে(দৃশ্যমান), এর ১৩ টি আবার পানি চলাচলের অনুপযোগী। এগুলো বাস্তবতা।সমাধানের চেষ্টা অবশ্যই হচ্ছে।কিন্তু তা সাতটি সংস্থার সমন্বয়হীনতা এবং একে অপরকে দোষারোপ করার সংস্কৃতির কারণে কোন ধারাবাহিক সুফল দৃশ্যমান হচ্ছে না। "খালের মালিক জেলা প্রশাসন, আর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ওয়াসার।" কিংবা "এটা সিটি করপোরেশনের আওতায়" -এরকম বক্তব্যগুলো কোন সুদূরপ্রসারী ফল দেয় না। আমরা আপনাদের সমন্বয় আশা করছি।

প্রকোশলী জনাব সৈয়দ কুদরত উল্লাহ'র একটা উদ্ধৃতি থেকে জানা যায়,সংস্কার কাজ শুরু করা সড়ক কিংবা খালগুলো বর্ষার মৌসুমে অচল হয়ে পড়ায় সাময়িক সময়ের জন্য "চালু রাখার মতো মেরামত " করা হয়।অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই সংস্কারকেই সার্বিক কাজের ফল দেখিয়ে হিসাব জমা দিয়ে দেয়। ফলে মূল কাজটা আর হয়ে ওঠে না। এর জন্য আমাদের সচেতনতা এবং সুপরিকল্পনা জরুরী।
একটা ঘটনা মনে পড়লো। কয়েকদিন আগে ঢাকার নামকরা এক স্কুলের এক বাচ্চাকে( প্রথম শ্রেণীর ) ঢাকা কোন নদীর তীরে বলতে বলায় সে মতিঝিল নদী, মালিবাগ নদী, শান্তিনগর নদী, আমাদের বাসার সামনের নদীরর নাম বলেছে।
আরেকটি ঘটনা। অভিজাত এক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে তার ইচ্ছে জানতে চাওয়ায় সে বাংলাদেশে থাকবে না বলে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, কারণ নাকি ব্যাগ ভিজে ময়লা লাগে রাস্তার পানিতে।

ঘটনাগুলো হাস্যকর কিংবা খুবই ছোট।কিন্তু একটু ভেবে দেখলে বাচ্চাগুলোর মনস্তত্বটা!

আমার এই কথাগুলো কেবল আজকের জন্য কিংবা এই বছরের জন্য নয়, আগামী বছরগুলোতে যাতে দৈনন্দিন পথ চলাচল করতে গিয়ে সরু রাস্তা কিংবা খানাখন্দ কিংবা জলাবদ্ধতার অজুহাতে ভোগতে না হয় সেজন্য। কর্তৃপক্ষ সব জানে, সচেতনতা আর কাজগুলোয় গুরুত্ব দেয়া দরকার। আমাদের দেশের সড়কগুলো নিরাপদ এবং(জল ও যান) জট মুক্ত হোক।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩০

Al Rajbari বলেছেন: //অথচ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো এই সংস্কারকেই সার্বিক কাজের ফল দেখিয়ে হিসাব জমা দিয়ে দেয়। ফলে মূল কাজটা আর হয়ে ওঠে না। এর জন্য আমাদের সচেতনতা এবং সুপরিকল্পনা জরুরী।//


একমতাবলম্বী-!!

২| ২১ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৩৯

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাল লাগলো পোস্টটি পড়ে।
"তড়িগড়ি" নয় শব্দটি হবে "তড়িঘড়ি" .... একটু এডিট করে নিলে ভাল হয়। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.