নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই ক্ষুদ্র ব্লগার একজন আগাগোড়া স্বাধীনচেতা বাংলাদেশী। মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনপ্রকার আপোষ করে না। ধন্যবাদ

নাহিদ ২০১৯

নিজের সম্পর্কে লিখতে লজ্জা পাই,কারন নিজেকে নিয়ে বিশেষভাবে যে কি লিখবো তাই খুঁজে পাই ন।তবে হ্যাঁ আমি একজন মানুষ, রোবট নই এটুকু বলতে পারি।

নাহিদ ২০১৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশের সাপ্তাহিক ছুটি কেন প্রয়োজন ?

২৩ শে মার্চ, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২১

চিন্তা করুন একবার আপনি সকাল ৫ টায় ঘুম থেকে উঠে কোনরকম দু চারটা দানাপানি মুখে দিয়ে ঠিক ৬ টা থেকে ট্রাফিক সিগনাল সামলানো শুরু করলেন।সেই যে শুরু হল একদম দুপুর ২টা/২.৩০ পর্যন্ত টানা ডিউটি।কোন কোন দিন আবার ভিআইপি মুভমেন্টের কারণে ৪টা/৫টা বেজে যাওয়াও অস্বাভাবিক না।তার উপর মাসে দুইদিন আবার নাইট ডিউটি।তারপর আপনি সারাদিনের বাস-ট্রাকের কালো ধোঁয়া,ধুলোবালি মাখা ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘরে ফিরে গেলেন।পরিবারকে সময় দিলেন,বাজার করলেন,সন্তানদের পড়াশোনা দেখভাল করলেন আরও কত কাজ।রাত শেষে আবার সেই একই রুটিন।এভাবে প্রতিদিন,পুরো সপ্তাহ,পুরো মাস।কেমন বোধ করবেন ?

এটা একজন পুলিশ ট্রাফিক কনস্টেবল,সার্জেন্টের প্রতিদিনকার ডিউটি শিডিউল।থানা কিংবা ব্যারাকে যেসব পুলিশরা কর্মরত থাকে তাদের অবস্থা আরও দূর্বিষহ। হ্যাঁ এখন আমরা যুক্তি দিয়ে বলতেই পারি যে পুলিশ ২৪ ঘন্টা অন ডিউটি।সে এই চুক্তিতেই চাকুরিতে আসে।সত্য। কিন্তু পুলিশ তো মানুষই।আপনি,আমি,আমাদের বাবা,মা,চাচা,ভাই,বোন থেকেই কেউ না কেউ পুলিশে যাচ্ছে দেশকে সেবা দেবার জন্য।পুলিশ তো কোন রোবট না যে তার আরাম আয়েশের দরকার পড়ে না।তার পরিবারের সাথে সময় কাটানোর প্রয়োজন হয় না।

অন্যান্য সরকারি-বেসরকারী চাকুরীজীবিরা যেখানে ২দিন/১ দিন করে সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করছে তার থেকে পুলিশকে এভাবে সাপ্তাহিক ছুটি বঞ্চিত রেখে একজন পুলিশের থেকে সবসময় সঠিক সেবার পাশাপাশি সুব্যবহার আশা করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত ?ঢাকা শহরের মত যানজটপূর্ণ শহরে ১০ মিনিট একটা ট্রাফিক সিগনালে আটকা পড়ে থাকলেই যেখানে অসুস্থতা অনুভব হয় সেখানে দিনের পর দিন টানা ডিউটি পালন করা মানুষগুলোর শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটি কে দেখবে ?

পুলিশের প্রথম শ্রেনীতে যারা কর্মরত আছেন তাদেরও সাপ্তাহিক কোন ছুটি নেই কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় দেখা যায় বড় পজিশনে থাকলে আপনা আপনি থেকেই একটা ছাড়ের জায়গা তৈরি হয়ে যায়। তারা নিজেদের সুবিধামত সময় ঠিকই বের করে নিতে পারছে। কিন্তু যারা এস.আই,এ.এস.আই,কনস্টেবল বা তারও নিচে কর্মরত তাদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকছে না।অথচ জনগণের সাথে এদেরই সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকে।

পুলিশের দূর্নীতি সেটি একটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।তা নিয়ে এখানে আলোচনা করতে চাই না।কিংবা এটাও বলতে চাই না যে শুধুমাত্র সাপ্তাহিক ছুটি নেই বলেই অনেকে পুলিশের বাজে আচরণের শিকার হন।তবে মানুষের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য বিবেচনায় পুলিশ সপ্তাহে অন্তত একদিন ছুটি প্রাপ্তির দাবিদার।আর সেটা অনেকভাবেই করা যেতে পারে।সরকার এবং বাংলাদেশ পুলিশের এ ব্যাপারে মনযোগী হওয়া উচিত।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা কি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন।অমানবিক

২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:০৭

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্গন কি না বলতে পারছি না।তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অমানবিক বলাই চলে কিছুটা

২| ২৩ শে মার্চ, ২০২১ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশে পুলিশ সংস্হাটা পুরোপুরি অস্বাভাবিক নিয়মে চলছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৪

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: আপনার কথা একবারে ফেলে দেয়ার মত না

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: পুলিশ এর ছুটি দরকার আছে। তারাও মানুষ। ঘর সংসার আছে।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৫

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: একমত,ধন্যবাদ রাজীব নূর ভাই

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১:০৬

আমি সাজিদ বলেছেন: স্বাস্থ্য বিভাগ ও আইনরক্ষাবাহিনির এত কাজের চাপ হলেও সাধারণ মানুষ তাদের কাজের চাপ দেখে বলে ' এত কাজ করতে পারবে বলেই তো এই পেশায় এসেছো '।

২৪ শে মার্চ, ২০২১ রাত ২:০৬

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: সঠিক বলেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.