নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের সম্পর্কে লিখতে লজ্জা পাই,কারন নিজেকে নিয়ে বিশেষভাবে যে কি লিখবো তাই খুঁজে পাই ন।তবে হ্যাঁ আমি একজন মানুষ, রোবট নই এটুকু বলতে পারি।
যারা People’s Republic Of Bangladesh আর Islamic Republic Of Bangladesh এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না তাদের জন্য সমবেদনা।এই পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা এত কিছু থাকতে এমন একটা ইস্যু কে বেছে নিলো যা এন্টি আওয়ামীলীগ পাবলিক এবং অল্পশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের খুব করে খাওয়ানো যায়।কই ভাই শুধু ভাস্কর্য কেন?এই তথাকথিত ফতুয়াবাজদের কখনো বলতে শুনছেন "বিড়ি খাওয়া হারাম" "ব্যাংকের মুনাফা নেওয়া হারাম" "ছেলে-মেয়ে একসাথে পড়াশোনা হারাম" "বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উন্নয়নমূলক কাজ করা হারাম" "নাটক সিনেমা বানানো হারাম" "সিনেমাহল হারাম" "শাড়ী পরা হারাম" এগুলা বলবে না।কারণ এইগুলা পাবলিক খাবে না।তারা ইস্যু বের করবে "জাতীয় সঙ্গীত চেঞ্জ কর" "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় ফেলবে" এইগুলা।কারণ এইগুলা পাবলিককে খাওয়ানো যায়। আর কি কি হারাম বলে বন্ধ করতে চান দেশে? প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃত্যকলা,নাট্যকলা,চারুকলা বিভাগ রয়েছে।বন্ধ করে দিবেন? শার্ট-প্যান্ট বাদ দিয়ে আরবের আলখেল্লা পরবেন? এই একই পাকি প্রেতাত্মাদের পূর্বপুরুষেরা একসময় "মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই,পাকিস্তান খাতরে ম্যায় হ্যা" বলে ফতুয়া জারি করে নিজের দেশের মা-বোনদের পাকিদের হাতে তুলে দিয়েছিল।ও এই দেশে তো আবার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে।এখন তো পাকিদের নিয়ে,একাত্তর নিয়ে কিছু বলাও একপ্রকার হারাম।বললেই চেতনাবাজ,দালাল।ঠিক আছে।এগুলো আর গায়ে লাগে না এখন।কারণ এই অঞ্চলের স্বাধীনতাকামী মানুষ সবসময় মাইনোরিটির খাতায়-ই ছিল।এখনো আছে।সাত কোটি মানুষের দেশে অফিসিয়ালি তিন কোটি ছিল ভারতে শরণার্থী,আনঅফিসিয়ালি সেটা কত ছিল জানি না।হাতে একটা থ্রি নট থ্রি রাইফেল আর মুখে একটা জ্বলন্ত বিড়ি নিয়ে দেশটাকে মুক্ত করেছিল দেড়-দুই লাখ মাইনোরিটি চেতনার মানুষগুলো যাদেরকে এখন খেয়ালখুশিমত ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা খেতাব নিয়ে পুরস্কৃত করি আমরা।
ধর্মকে কাজে লাগিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো এটা তো বহু পুরনো অস্ত্র।এই যে আজ ভারতের মোদি সরকারের এত সমালোচনা করি আমরা,ভারত থেকে কি শিক্ষা নিলাম আমরা? বিজেপি কিভাবে রাজনৈতিকভাবে আজ এত শক্তিশালী হল? ৯২ এ বাবরী মসজিদ ভাঙার মাধ্যমে ধর্মকে বর্ম বানিয়ে আমজনতাকে এই প্রসাদ খাওয়াতে সক্ষম হয়েছে তারা যে "এই দেখ আমরা সনাতন ধর্মের ত্রাণকর্তা,আমাদের ভোট দাও" ব্যাস আজ তারা ক্ষমতায় আর দেশের ১২টা বাজানো শুরু। জামাত জোটের আমল কি ভুলে গেছেন? দিন দুপুরে যখন হিন্দুদের প্রতিমা ভাঙা হত,মায়ের সামনে মেয়েকে গনিমতের মাল বানিয়ে গণধর্ষণ, ৬৪ জেলায় সিরিজ বোমা হামলা হত, গাছে উল্টো ঝুলিয়ে পিটিয়ে মারা হত,হাত পায়ের রগ কেটে ফেলা হত,মহিলা সরকার প্রধানের সাথে বসে জোট গঠন করা হত,এইগুলো তখন হালাল ছিল আর এখন যেই জাতির পিতার কয়েকটা ভাস্কর্য বানানো হয়েছে অমনি ইসলামের চেতনা জাগ্রত হয়ে গেল...! হিপোক্রেসির তো একটা সীমা থাকে ভাই।
জনাব ফতুয়াবাজরা, এইসব সিলেক্টেড ইস্যু নিয়ে সাময়িকভাবে যতই জনপ্রিয়তা পান না কেন,দিনশেষে ঠিক ৭১ এর মত একদল মাইনরিটি চেতনার মানুষ আপনাদের পথ রোধ করে দাঁড়াবে,এরা মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না।
২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশ আছিল পাকিস্তান। যুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়ার পর থিকা কেরমে কেরমে হইয়া হইয়া গেল আফগানিস্তান।
৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৫
অপু তানভীর বলেছেন: স্বাধীনতার পর সম্ভবত ১৯৭২ কিংবা ৭৩এ প্রথম ভাস্কর্য বানানো হয় এবং প্রকাশ্য স্থাপন করা হয় । এরপর একের পর এক ভাস্কর্য বানানো হয়েছ,স্থাপন করা হয়েছে। আর আমাদের মোল্লাদের এই ২০২০ সালে এসে মনে পড়লো এসব রাখা যাবে না ? এতোদিন এরা ঘুমায়া ছিল কই?
এই মোল্লারা ভুলে যায় যে ইসলামে কি হারাম কি হালাল এটা নিয়ে দেশ চলে না । দেশ চলে দেশের আইনে । সেই আইনে যত সময় না কোন কাজ অপরাধ হচ্ছে সেই কাজটা করা অন্যায় না বরং সেই কাজে বাঁধা দেওয়া অন্যায় ।
৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭
শাহ আজিজ বলেছেন: উদ্দেশ্যবিহীন , লক্ষ্য বিহীন রাজনিতিকরা যে কোন উপায়ে সেনা প্রহরায় রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকলে এরকমই হবে এবং এটাই নির্মম পরিহাস । ৭১ সালে জনগন বিভক্ত ছিল । অধিকাংশ ১২০০ মাইল দূর থেকে আগত হানাদারদের বিরুদ্ধে ছিল । আস্তে ধীরে দৃশ্যপট পাল্টাতে শুরু করল । অনেকেই পাকিস্তান রাষ্ট্রের পক্ষ নিল এবং নিজেদের বাঙালি স্বজনদের হত্যা শুরু করল । দেশটা দ্রুতই স্বাধীন হল । যারা কাধে নিলেন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব খুব তাড়াতাড়ি তারা জনপ্রিয়তা হারালেন । এই যে যা চলছে এখন তা চলার কথা নয় । কেন চলছে ? এইমলেস পলিটিশিয়ানরা ধর্মের দিকে ঝুকে পড়লেন । আঙ্গুল দিয়ে দেখানতো একজন রাজনিতিক যে পেশাজীবী বা বিশেষ কাজে দক্ষ ! নেই । ধর্মীয় আচার আচরন আগেও ছিল , মানুষের ছিল চেতনা বোধ ইত্যাদি । কিন্তু তা এখনকার সময় মুল চালিকা শক্তি হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না । কওমি এতিম পোষার মুল্য এই সরকারের সাথে সাথে অজস্র মানুষকে দিতে হবে ।
এই ডিসেম্বরে এই দিনে ভারতীয় বিমানের মহড়া দেখছি ছাদে বসে । মুক্তিযোদ্ধারা যশোরের দ্বার প্রান্তে , বিজয় আসন্ন , সবাই উৎফুল্ল , মন খারাপ পাকি ঘেঁষা পরিবারগুলোর । উনপঞ্চাশ বছর বাদে আমি রাস্তায় দেখছি পাকিস্তানের রাজাকারদের । সরকার নমনীয় অবস্থানে । কর্মমুখর মানুষেরা ভাবছে কে আইল আর গেল ব্যাপার না , দুজ্ঞা ভাত পাইলে চলব ।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৩
এমেরিকা বলেছেন: মোল্লারা তো কোন বাধা দিচ্ছেনা। আর বাধা দেবার ক্ষমতাই বা আছে কোথায়? নেমেছিল তো রাস্তায় - পুলিশ পিটিয়ে সোজা করে ফেলেছে। তাই এগুলোকে গুরুত্ব দেবার কিছু নেই। ভাস্কর্য বানাতে ইচ্ছে করলে বানাবেন, অসুবিধা কি? তারা তাদের মত প্রতিবাদ করছে, করতে দিন না! আপনার তাতে কি অসুবিধা?
৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৯
আমি সাজিদ বলেছেন: যে ইস্যুতে আপনার আমার মতের কিছু আসে যায় না সেই ইস্যুতে লাফালাফির তো দরকার নেই। স্ট্রেস নিয়েন না। আপনার ভাস্কর্য তো আর বানানো হবে না। ভাস্কর্য বিরোধীদের আপনারা শাস্তি দেন যা ইচ্ছা করেন, আপনাদের রাজত্ব এখন কিন্তু তাই বলে সাধারণ মুসলমানদেরও একই ক্যাটাগরিতে ফেলে দুই একটা বাজে কথা বলেন কেন? রিলাক্স ম্যান। রাজত্ব কোথাও যাচ্ছে না।
৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩১
আমি নই বলেছেন: দিনশেষে ঠিক ৭১ এর মত একদল মাইনরিটি চেতনার মানুষ আপনাদের পথ রোধ করে দাঁড়াবে,এরা মচকাবে কিন্তু ভাঙবে না।
তাই নাকি? ৭১এ বংগবন্ধুর ডাকে সারা দেয়া কোটি কোটি স্বাধীনতাকামী জনগন এখন মাইনরিটি হয়ে গেল? দিনে দিনে কত কিছু যে শুনতে হবে!!!
৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৮
আমি নই বলেছেন: সাত কোটি মানুষের দেশে অফিসিয়ালি তিন কোটি ছিল ভারতে শরণার্থী,আনঅফিসিয়ালি সেটা কত ছিল জানি না।
অফিসিয়ালি তিন কোটি শরণার্থীর হিসাবটা কোথায় পেলেন জানাবেন কি?
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এরাই সেই ধর্মজীবী যারা পিতার ভাস্কর্য ভাঙছে। গর্জে উঠুক বাঙলাদেশ।
অবশেষে প্রমাণিত হইলো, মাদ্রাসা থিকাই সাম্প্রদায়িকতা আর উগ্রবাদের সুত্রপাত হয়।