নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপেল এর উপকার এবং অপকার

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:০৯


আপেল সম্পর্কে একটা প্রবাদ আছে যে 'An Apple a Day, Keeps the Doctor Away:- দিনে একটি আপেল খান, রোগ মুক্ত জীবন পান'

আপেলের পুষ্টিগুণের শেষ নেই।
খোসাসহ প্রতিটা আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমান পুষ্টি তাছাড়াও আপেলে প্রায় ৮০% পানি থাকে যা শরীরের জন্য অনেক দরকারি।

খাদ্যশক্তি----- ৫২ কিলোক্যালরি
শর্করা----- ১৩.৮১ গ্রাম
চিনি----- ১০.৩৯ গ্রাম
খাদ্যআঁশ----- ২.৪ গ্রাম
চর্বি----- ০.১৭ গ্রাম
আমিষ----- ০.২৬ গ্রাম
জলীয় অংশ----- ৮৫.৫৬ গ্রাম
ভিটামিন এ----- ৩ আইইউবিটা
ক্যারোটিন----- ২৭ আইইউ
লুটেইন----- ২৯ আইইউ
থায়ামিন----- ০.০১৭ মিলিগ্রাম
রিবোফ্লেভিন----- ০.০২৬ মিলিগ্রাম
নিয়াসিন----- ০.০৯১ মিলিগ্রাম
প্যানটোথেনিক অ্যাসিড----- ০.০৬১ মিলিগ্রাম
ফোলেট----- ৩ আইইউ
ভিটামিন সি----- ৪.৬ মিলিগ্রাম
ভিটামিন ই----- ০.১৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন কে----- ২.২ আইইউ
ক্যালসিয়াম----- ৬ মিলিগ্রাম
আয়রন----- ০.১২ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম----- ৫ মিলিগ্রাম
ম্যাংগানিজ----- ০.০৩৫ মিলিগ্রাম
ফসফরাস----- ১১ মিলিগ্রাম
পটাশিয়াম----- ১০৭ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম----- ১ মিলিগ্রাম
জিংক----- ০.০৪ মিলিগ্রাম
ফ্লোরাইড----- ৩.৩ আইইউ

তবে সাম্প্রতিক গবেষনা দেখা যায় আপেল খাওয়ার ক্ষেত্রে কতকগুলো ঝুঁকি রয়েছে।স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য ঐতিহ্যগত লোকজ্ঞানও কখনো কখনো গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ হিসেবে কাজ করে। তবে সব সময় সবই যে উপকার দিবে তাও ঠিক নয়।আজ একটা দৈনিক পত্রিকা পড়ে আপেল সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় পড়ে অনেক ভাবনায় পরে গেলাম,যা আসলে সকলের জানা প্রয়োজন।
১। আপেলের বীজ বিষাক্ত
আপেলের বীজে অ্যামিগডালিন নামের কিছু উপাদান থাকে যা চিবানো বা চূর্ণ করা হলে মারাত্মক সায়ানাইড রূপে পরিবর্তিত হয়। এটি আপনার শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করে। ফলে উপাদানটি শরীরে মাত্রাতিরিক্ত প্রবেশ করলে কয়েক মিনিটেই কারো মৃত্যু হতে পারে।

ঘটনাক্রমে দুই-একটি বীজ যদি আপনি খেয়ে ফেলেন তবে এতে আপনার মৃত্যু হবে না তবে এতে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেমন মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বিভ্রান্তি, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব এবং পেটের সমস্যার কারণ হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি না চিবিয়ে বীজটি গিলে ফেলেন তবে চিন্তার কারণ নেই।

২। আপেলের গায়ে থাকতে পারে মোমের প্রলেপ
প্রাকৃতিকভাবেই আপেলের গায়ে মোমের আবরণ তৈরি হয়। উৎপাদনকারীরা বাজারে পাঠানোর আগে ভালো করে ধুয়ে ফেললে আবরণটি সরে যায়। তবে সেগুলো চকচকে এবং তাজা হিসেবে প্রদর্শিত করতে অনেক ব্যবসায়ী সিন্থেটিক মোমে আচ্ছাদিত করে। তখন ভোক্তাদের বোঝার উপায় থাকে না এটি কতটা নিরাপদ।

বলা হয়ে থাকে মোমের আবরণটি নিরাপদ। কিন্তু এতে যে মানুষের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা, আলসার কিংবা সংক্রমণের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় তা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই আবরণ জৈব ও প্রচলিত আপেল উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু ব্র্যান্ড এটি করে না। তাই, আপনাকেই বিবেচনা করতে হবে বিষয়টি।

৩। আপেলে কীটনাশক থাকতে পারে
প্রতিবছরই এনভায়রনমেন্টাল ওয়ার্কিং গ্রুপের তালিকায় নোংরা পরিবেশে উৎপাদিত ফলগুলো স্থান পেয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে গত পাঁচ বছরে তালিকার এক নম্বরে রয়েছে আপেল।

মোমের প্রলেপ থাকার কারণে ফল থেকে কীটনাশক ধুয়ে ফেলা কঠিন। ভালো হয় অর্গানিক আপেল পাওয়া গেলে। তবে এর দাম অনেক বেশি।

৪। বিপজ্জনক হতে পারে আপেলের জ্যুসও
আধুনিক খাদ্য উৎপাদনে মানবসৃষ্ট সকল বিপদের মধ্যে থাকার কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমরা প্রাকৃতিক পণ্যগুলোর দিকে মনোযোগী হচ্ছি। কিন্তু অনেক আপেল জ্যুস কিংবা আপেল সুরাও যথেষ্ট বিপজ্জনক হতে পারে।

আজকাল এসব পানীয়তে থাকা ই. কলি এবং ক্রিপটোসপোরিডিয়াম খাওয়ার পর অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অতএব, শিশু, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং শরীরের দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থায় থাকা মানুষদের কেবল পেস্টুরাইজড আপেল জুস এবং সাইডার পান করা উচিত। এমনও হতে পারে জ্যুসের নামে আপনি কেবল সুগার ও কেমিক্যাল পান করছেন।

৬। আপেল ওজন কমানোর ক্ষেত্রে বাধা
ওজন কমাতে আপনি হয়তো মাংস এবং ফার্স্ট ফুড এড়িয়ে বেশি করে ফল এবং সবজি খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু আপেল খাওয়ার ফলে আপনার সেই লক্ষ্য পূরণে বাধা হতে পারে।আপেল থাকে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। তবে তা রক্তের সুগারকে অকেজো করবে না। সেগুলো শরীরে শক্তির জন্য এমন জ্বালানি সরবরাহ করে যাতে শরীরের চর্বি অপসারণের প্রয়োজন হয় না। আপেলে থাকা ফাইবার শরীরকে স্ফিত করে তুলতে পারে।আর এই কারনে আপনাকে স্বাভাবিকের চেয়ে ভারি মনে হতে পারে।

৭। বাড়তে পারে অ্যালার্জি
অ্যালার্জি রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য আপেল কোনো ভাবেই নিরাপদ না। আগে দেখা না গেলেও যে কোনো সময় আপেলের জন্য এই সমস্যায় পড়তে পারেন যে কোনো ব্যাক্তি। যদিও আপেল থেকে যে অ্যালার্জি দেখা দেবে তা তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর হতে পারে, কিন্তু এতে অ্যানাফিল্যাক্সিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে যা জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

তথ্যসূত্রঃ এইচডি রিসার্চ

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: ঠিক আছে খাবো না আপেল।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৩:০১

মামুন ইসলাম বলেছেন: খাবেন।

২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ সকাল ১০:৪০

নয়া পাঠক বলেছেন: বরই, টমেটো, আম, লিচু, জলপাই, আমড়া, কামরাঙ্গা, কলা, কাঁঠাল, বেল, তরমুজ, ফুটি, বাঙ্গি, খিরাই, শসা ইত্যাদি প্রায় প্রতিটি ফলের গাছই বাড়িতে ছিল আমার, এখন কয়েকটি নেই, তবে বেশিরভাগই রয়েছে। আপেল, কমলা, আঙ্গুর এগুলোও ছিল। নিজে উৎপাদন করে নিজে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তাহলেই এসব থেকে মুক্ত থাকা যাবে।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৩:০২

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৪

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ও তাহলে আপেল ক্ষতিকর ফল ?

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৩:০০

মামুন ইসলাম বলেছেন: আমরা ক্ষতিকর বানাইয়া ফেলছি। :-B

৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৩৯

আরোগ্য বলেছেন: কয়দিন পর বিষেও ভেজাল মেশাবে।

০১ লা মে, ২০১৯ রাত ৩:০১

মামুন ইসলাম বলেছেন: খারাপ বলেন নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.