নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হেলমেটওয়ালা ধনেশ
ধনেশ পাখি শক্ত এবং লম্বা বাঁকানো ঠোঁটওয়ালা পাখি হিসেবেই বেশি পরিচিত। এটি বিউসেরোটিডি গোত্র বা পরিবারভূক্ত পাখি। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমণ্ডলীয় আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে অধিকাংশ ধনেশ পাখির প্রধান আবাস। নিচের দিকে বাঁকানো উজ্জ্বল বর্ণের বিশাল ঠোঁট ধনেশের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ঠোঁটের উপরে অধিকাংশ সময়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। স্ত্রী ধনেশ গাছের কোটরে ডিম পাড়ে। পরবর্তীতে পুরুষ ধনেশের সহযোগিতা নিয়ে স্ত্রীজাতীয় ধনেশ ডিমে তাপ দেয় এবং বাচ্চাকে বড় করে তোলে। পুরুষ ধনেশ খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে এবং স্ত্রী ধনেশ নিজের মুখে বাচ্চাদের খাইয়ে দেয়। তারফলে সাপের ন্যায় বিভিন্ন খাদক প্রজাতির প্রাণী থেকে বাচ্চাকে নিরাপদে রাখে। বাচ্চা উড়তে না শেখা পর্যন্ত এটি সর্বদাই কাছাকাছি অবস্থান করে।
ধনেশ পক্ষীজগতে একমাত্র পাখি যার মেরুদণ্ডের অ্যাটলাস এবং প্রথম দুইটি কশেরুকা একত্রে সংযুক্ত থাকে। সম্ভবত বিশাল ঠোঁটের ভারসাম্য রক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা।বেশ কিছু সংখ্যক ধনেশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে তাদের বিপদগ্রস্ত প্রজাতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই দ্বীপবাসী প্রজাতি।
ধনেশের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে এর লম্বা, নিম্নমূখী বাঁকানো ঠোঁট। এদের ঠোঁট স্বাভাবিকভাবে উজ্জ্বল বর্ণের হয়ে থাকে। ইংরেজি এবং বৈজ্ঞানিক নাম উভয় পর্যায়েই বিউসেরাস ব্যবহার করা হয় যা গ্রীক ভাষা থেকে উদ্ভূত। এর অর্থ হচ্ছে গরুর শিং। এদের দুই স্তরবিশিষ্ট কিডনী বা বৃক্ক রয়েছে।
একমাত্র পাখি হিসেবে ধনেশের প্রথম দুইটি ঘাড়ের হাড় এক্সিস এবং এটলাস একে অপরের সাথে মিশে রয়েছে। আর তারফলে অনেক লম্বা ঠোঁটকে আরো স্থিতিশীল অবস্থায় রাখতে এবং ধারণ করতে পেরেছে।পক্ষীগোত্রীয় এ পরিবারের পাখিগুলো সর্বভূক হিসেবে পরিচিত। ফলমূল খাওয়া থেকে শুরু করে ছোট ছোট প্রাণীও এদের প্রধান খাবার। এরা জোড়ায় জোড়ায় থাকতে ভালবাসে। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট গাছের গর্ত এবং কখনোবা সমুদ্রমূখী পর্বতের গর্তে এরা বাসা বাঁধে। অনেক প্রজাতির ধনেশ বিলুপ্ত এবং বিপদগ্রস্ত অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। ফলে স্বল্পসংখ্যক ধনেশ পাখিগুলোর অধিকাংশই ক্ষুদ্র গণ্ডীতে অবস্থান করতে বাধ্য হচ্ছে।
ধনেশের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে তার শক্তিশালী এবং ভারী ঠোঁট যা ঘাড়ের মাংসপেশীর সহায়তাসহ মেরুদণ্ডের সাথে সম্পর্কিত। ধনেশ পাখি সে তার ঠোঁট দিয়ে বিপদ মোকাবেলা করে এবং আহারের সংস্থান ও বাসা তৈরীসহ শিকার কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকে।
তথ্যসূত্রঃ
০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: হ্যা ইনশাল্লাহ চেষ্টার কোনো ত্রুটি থাকবেনা।চমৎকার কথার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১
ঋতো আহমেদ বলেছেন: ধনেশ পাখি পোষ মানে?
০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:১৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: সম্ভবনা খুব কম।
৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দারুন লাগল ধণেশ সম্পকে জেনে।
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ধনেশ সম্পর্কে পরিচিত হয়ে।
শুভকামনা রইল।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ধনেশ গাছ নামে কোন গাছ আছে কি ?
সুন্দর পোস্ট।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন পাখি।
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
নাইম রাজ বলেছেন: সম্পূর্ণ নতুন একটা বিষয় জানা হল।
৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম.....
ভালো লেগেছে
৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৮
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম ধনেশ সম্পকে।
১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫০
সূচরিতা সেন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা বিষয় জেনে ভালো লাগল।
১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: ধনেশ সম্পর্কে জানা ছিলনা।
জানতে পারায় কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫০
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: পাখি পরিচিতি ভালো লাগলো। আশাকরি আপনার এই লেখা চলমান থাকবে।
শুভকামনা।