নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
থীবী হল বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহ যা জুপিটার XIV নামেও পরিচিত। এটি বৃহস্পতি গ্রহ থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। ১৯৭৯ সালের ৫ই মার্চ ভয়েজার ১এর বৃহস্পতির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তোলা ছবি থেকে স্টিফেন পি. সাইনোট যা সর্বপ্রথম এর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। ১৯৮৩ সালে গ্রিক পুরাণের নারী চরিত্র থীবীর নামে উপগ্রহটির নামকরণ করা হয়েছিল।বৃহস্পতি গ্রহের উপগ্রহরাজির মধ্যে থীবী দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর কক্ষপথ থীবী গোসামার চক্র মুলতঃ থীবীর বাইরের পৃষ্ঠের ধুলোবালি দিয়ে তৈরি। এর আকৃতি অনির্দিষ্ট এবং কিছুটা লালচে রঙের। ধারণা করা হয়, এতে অ্যামেলথীয়া এর মত অজানা পরিমাণ বিভিন্ন বস্তু, খনিজ পানি এবং বরফের উপস্থিতি রয়েছে। এর পৃষ্ঠে খানাখন্দ এবং উচ্চ পর্বত বিদ্যমান যার কিছু কিছু চাঁদের সাথে তুলনা করার মত।ভয়েজার ১ এবং ২ মহাকাশযানের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে প্রথম থীবীর ছবি তোলা হয়। পরবর্তীতে মহাকাশযান গ্যালিলিও এর মাধ্যমে ১৯৯০ সালে থীবীর ব্যাপারে আরও বিস্তারিত জানা যায়।
ভয়েজার প্রোগ্রাম একটি মার্কিন বৈজ্ঞানিক প্রোগ্রাম যা মহাশুন্যে দুটি জনহীন মহাকাশ মিশন প্রোব যথাক্রমে ভয়েজার ১ এবং ভয়েজার ২ প্রেরণ করে। ১৯৭০ দশকের শেষ সময়ে গ্রহের মধ্যে একটি অনুকূল প্রান্তিককরণ সুবিধা গ্রহণ করতে ১৯৭৭ সালে এগুলো প্রেরন করা হয়। যদিও এগুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রেরন করা হয়েছিল বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহের সিস্টেম অধ্যয়নের জন্য কিন্তু প্রোবগুলো তাদের মিশন চালিয়ে যেতে সক্ষম হন।২০১২ সালের ২৫শে অগাস্ট মানুষ নির্মিত প্রথম বস্তু ভয়েজার ১ সৌরজগত বহির্ভূত এলাকায় প্রবেশ করে যা ইতিহাসে আগে কখনো সম্ভব হয়নি। আশা করা যায় ভয়েজার ২ ২০১৬ মধ্যে সৌরজগত বহির্ভূত এলাকায় প্রবেশ করবে এবং এর প্লাজমা স্পেক্ট্রমিটার সৌরজগত বহির্ভূত এলাকায় প্লাজমার ঘনত্ব এবং তাপমাত্রা সঠিকভাবে পরিমাপ করতে সক্ষম হবে।
২০১৩ সালের হিসাবে ভয়েজার ১ এর আপেক্ষিক বেগ ছিল প্রতি সেকেন্ডে ১১ মাইল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে এর শক্তি কমে এসেছে এবং ২০২৫ সালের পরে এর কোন যন্ত্রাংশই সচল থাকবে না।
মহাশুন্যের ভয়েজার মিশন দুটি সৌরজগতের গ্যাস সংবলিত গ্রহ বা গ্যাস জায়ান্টস দের সম্পর্কে বহু তথ্য জমা করে এবং তাদের উপগ্রহ সম্পর্কে তথ্য জমা করে যা সম্পর্কে আগে সল্প জ্ঞান ছিল।স্টিফেন পি সাইনোট ১৯৭৯ সালের ৫ই মার্চ ভয়েজার ১ কর্তৃক প্রেরিত এক ছবিতে সর্বপ্রথম থীবীর অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। প্রাথমিকভাবে একে এস ১৯৭৯ জে ২ বলে চিহ্নিত করা হয়। ১৯৮৩ সালে সরকারিভাবে গ্রীক দেবতা জিউসের প্রেমিকা থীবীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। গ্রীক পুরাণে জিউসকে বৃহস্পতির সাথে তুলনা করা হয়, সেই থেকেই এরূপ নামকরণ। ভয়েজার ১ কর্তৃক আবিষ্কৃত হওয়ার পর ভয়েজার ২ দ্বারা ১৯৭৯ সালে থীবীর আরো কিছু আলোকচিত্র গ্রহণ করা হয়।তবে গ্যালিলিও মহাকাশযান বৃহস্পতিতে আসার পূর্বাবধি থীবীর ব্যাপারে খুবই কম তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে মহাকাশযান গ্যালিলিও থীবীর যেসব আলোকচিত্র পাঠায় তা থেকে এর বহিপৃষ্ঠের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া সম্ভব হয় এবং এর গঠন সম্পর্কেও জানা যায়।
বৃহস্পতির উপগ্রহরাজির মাঝে থীবী সর্বাধিক বাইরের দিকে অবস্থান করছে এবং গ্রহটির কক্ষপথ থেকে এর দূরত্ব প্রায়২,২২,০০০কি.মি। এর কক্ষপথের কেন্দ্রীয় উৎকেন্দ্রিকতা ০.০১৮ এবং তা বৃহস্পতি গ্রহের বিষুবরেখার তুলনায় প্রায় ১.০৮° বেঁকে যা সচরাচর একটি উপগ্রহের তুলনায় বেশি এবং শুধু গ্যালিলিয়ান উপগ্রহের মাধ্যমে থীবীকে উপগ্রহ হিসেবে ব্যাখ্যা করা সম্ভবপর হয়।থীবীর কক্ষপথ বৃহস্পতি গ্রহের বহির্কোণ ঘেষা থীবী গোসামার রিং মূলতঃ ধূলিকণা দিয়ে তৈরি। এসকল ধূলিকণা থীবীর বহিঃপৃষ্ঠের থেকে ধীরে ধীরে ভেসে পয়নটিং রবার্টসন টান মেনে উপগ্রহ ঘিরে বলয় তৈরি করে।
থীবী আকৃতিগত দিক দিয়ে অবিন্যস্ত কিছুটা উপবৃত্তাকার আয়তনে ১১৬X৯৮X৮৪ কি.মি। এর ভূপৃষ্ঠ খুব সম্ভবত ৩১,০০০ থেকে ৫৯,০০০(~৪৫,০০০) বর্গ কি.মি। এর আয়তন এবং ভর অজ্ঞাত তবে ধারণা করা হয় আমএলথীর মতই এর ঘনত্ব প্রায় ০.৮৬ গ্রাম/ঘন সে.মি। এর ভর প্রায় ৪.৩X১০^১৭ কি.গ্রা হতে পারে।বৃহস্পতির অন্যান্য উপগ্রহগুলোর ন্যায় থীবীও যুগপতভাবে ঘূর্ণায়মান। ঘূর্ণনকালে এটি গ্রহটির দিকে মুখ করে থাকে। এর স্থিতি বোধের কারণে লম্বিক অক্ষ সবসময় বৃহস্পতির দিকে নির্দেশ করা। বৃহস্পতির নিকটবর্তী ভূপৃষ্ঠ রচ লোব (Roche Lob) বলে ধারণা করা হয়। এখানে থীবীর মহাকর্ষ শক্তির মান অপকেন্দ্র বলের মান অপেক্ষা কিছুটা বেশী। ফলস্বরূপ এই দুই বিন্দুতে মুক্তিবেগ অত্যন্ত ক্ষুদ্র। যার কারণে ধূলিকণা সহজেই উল্কা প্রভাবের মাধ্যমে থীবী গোসামার বলয় তৈরিতে সক্ষম হয়।
থীবীর ভূপৃষ্ঠে প্রচুর খানাখন্দ রয়েছে। শুধুমাত্র একটি গর্তের নামকরণ করা হয়েছে, তা হল জেথাস ক্রেটার। থীবীর যে অংশ বৃহস্পতির দিকে মুখ করে আছে তাঁর অপরদিকে কিছুটা দূরে এই গর্তের প্রায় ৪০কি.মি ব্যাসার্ধের অবস্থান।এটি গ্যালিলিও স্পেসক্রাফট কর্তৃক আবিষ্কৃত এবং নামকরণ করা হয়েছে গ্রীক পুরাণের চরিত্র থীবীর স্বামী জেথাসের নামানুসারে।এই গর্তে বেশ কিছু উজ্জ্বল দাগ দৃশ্যমান।থীবীর পৃষ্ঠভাগ অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং লালচে রঙের।এর গোলার্ধের দুইটি অংশের মাঝে বৃহস্পতি গ্রহের দিকে মুখ করে থাকা অংশ অপর অংশের তুলনায় প্রায় ১.৩ গুণ উজ্জ্বল থাকে। সম্ভবত উচ্চ বেগ এবং সংঘর্ষ পরিবর্তন হারের জন্যই এমনটা ঘটে থাকে। ফলে উপগ্রহটির ভিতরের উজ্জ্বল বস্তু সম্ভবত বরফ বের হয়ে আসে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । অনেকদিন হয় আপনি কোন লেখা দিচ্ছেন না।
২| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন:
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: ঠিক আছে।
৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
newgem বলেছেন: ভালো কিছু জানতে পারলাম থীবীর কথা।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২১
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ধন্যবাদ share এর জন্য
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাখাল ভাই।
৫| ২২ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং বিষয়।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
লেখা পাগলা বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।