নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

মামুন ইসলাম

হ্যাপী নিউইয়ার

মামুন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজা হরিশচন্দ্রের প্রাসাদ এবং সংক্ষিপ্ত তার কিছু কথা

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৩


রাজা হরিশচন্দ্রের প্রাসাদ হলো বাংলাদেশের ঢাকা জেলার সাভার উপজেলায় অবস্থিত একটি পুরাকীর্তি অথবা প্রাচীন প্রত্নস্থল। এটি রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি ও রাজা হরিশচন্দ্রের বাড়ি এবং রাজা হরিশচন্দ্রের ভিটা ইত্যাদি নামেও পরিচিত।প্রত্নস্থলটি রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে সাভার উপজেলার অন্তর্গত সাভার পৌরসভার রাজাসন এলাকার মজিদপুরে অর্থাৎ সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড হতে পূর্ব দিকে অবস্থিত।

রাজা হরিশচন্দ্রের রাজবাড়ি বা ঢিবি ঊনিশ শতকের শেষভাগ পর্যন্ত মাটির নিচে চাপা পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজন মাটিচাপা সেই স্থানটিকে রাজবাড়ি ঢিবি হিসেবে চিহ্নিত করেন।১৯১৮ সালের দিকে রাজবাড়ি ঢিবির কাছাকাছি গ্রাম রাজাসনে ডঃনলিনীকান্ত ভট্টশালী এক প্রত্নতাত্ত্বিক খননকাজ পরিচালনা করেন। আর সেই খননকাজের ফলে আবিষ্কৃত হয় বৌদ্ধদের ধর্ম এবং সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কিছু প্রত্নবস্তু ও গুপ্ত রাজবংশের অনুকৃত মুদ্রাস্মারক। তাতে সেখানকার বৌদ্ধ মূর্তির পরিচয় পাওয়া যায়।আর তারই সূত্র ধরে ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯১ সালে হরিশচন্দ্র রাজার প্রাসাদ ঢিবিতে খননকাজ চালানো হয়।

প্রাপ্ত প্রত্ন নিদর্শনসমূহ এবং এর তাৎপর্য সংক্ষিপ্ত
১৯৯০সাল থেকে ১৯৯১ সালে রাজা হরিশচন্দ্রের ঢিবি উৎখননের ফলে অনাবৃত হয় মাঝারি আকারের একটি নিবেদনস্তূপ এবং দক্ষিণে একটি বৌদ্ধ বিহারের ভগ্নপ্রায় অবকাঠামো,আর তাতে খ্রিস্ট্রীয় সপ্তম শতকে এখানে বৌদ্ধ ধর্ম সভ্যতা সংশ্লিষ্ট একটি কেন্দ্র ছিল বলে ধারণা করা হয়,বা বোঝা যায়। হরিশ্চন্দ্র রাজার প্রাসাদ ঢিবির উৎখননে অনাবৃত হওয়া বিহারটির মধ্যে একাধিক পুনর্নির্মাণ এবং একাধিক মেঝের চিহ্ন লক্ষ করা যায়। বিহারের স্থাপত্যশৈলীতে চারটি স্তর অনুধাবনযোগ্য। চার স্তরের নির্মাণ কাঠামো পাওয়া যাওয়ায় বোঝা যায়, লম্বা সময় ধরেই এটি ব্যবহৃত হয়েছিল। খননকাজের সময় বিহারের ওপরের স্তর থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে অষ্টম শতকের স্বর্ণ এবং রৌপ্য মুদ্রা ও খ্রিস্টীয় অষ্টম থেকে নবম শতকের ব্রোঞ্জ নির্মিত ধ্যানী বুদ্ধ এবং তান্ত্রিক মূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে। এখানে প্রাপ্ত অনেক ব্রোঞ্জ নির্মিত মূর্তি দেখে বোঝা গেছে যে মহাযানী বৌদ্ধ মতাদর্শের একটি কেন্দ্র ছিল এটি। তাছাড়াও এখানে নানা ধরনের নিদর্শন পাওয়া গেছে। ধূতি পরিহিত, কিরিট মুকুট, চুড়ি, হার, কোমরবন্ধ এবং বাজুবন্ধ সজ্জিত লোকেশ্বর বিষ্ণু মূর্তি, পদ্মপানি, ধ্যানী বুদ্ধ, অবলোকিতেশ্বর ও প্রজ্ঞা পারমিতা অনেক ভাস্কর্য নিদর্শন এখান থেকে পাওয়া যায়। শিল্পশৈলী বিবেচনায় এসব প্রত্নবস্তু খ্রিষ্টীয় সাত থেকে আট শতকের নিদর্শন বলে বিশেষজ্ঞরা ধারনা করেন । বর্তমানে এসব নিদর্শন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা যায়।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব এবং সংক্ষিপ্ত বর্ণনা
বর্তমান সময়ে স্থান হিসেবে মজিদপুরের প্রসিদ্ধি না থাকলেও প্রাচীনকালে এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ঐতিহাসিক কিছু সংশয় ছাড়া বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞের ধারণা অনুযায়ী ঢাকা থেকে প্রায় ২৪ কিমি উত্তর ও পশ্চিমে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হতে সড়ক পথের দূরত্ব প্রাচীন বংশাবতী বা অধুনা বংশী নদীর বাঁ তীরে অবস্থিত ছিল পাল বংশীয় রাজা হরিশ্চন্দ্রের শাসনাধীন সর্বেশ্বর রাজ্যের রাজধানী। আর সেই রাজধানীর নাম ছিল সম্ভার এবং সম্ভার নাম থেকেই পরবর্তীকালে সাভার নামের উৎপত্তি হয়েছে। খ্রিষ্টীয় সপ্তম থেকে অষ্টম শতকে তৎকালীন সম্ভার রাজ্যের রাজা হরিশ্চন্দ্রের প্রাসাদ ভিটা সাভারের মজিদপুরে অবস্থিত ছিল।তাছাড়াও রেনেলের মানচিত্রে স্থানটির উল্লেখ দেখে সাভারের এই এলাকার গুরুত্বের কথা বোঝা যায়। বিখ্যাত ইতিহাসবিদ এবং ভূগোলবিদ জেমস রেনেল সাভার এলাকায় ১৭৬৭ সালে জরিপ করে যে মানচিত্রটির সংশ্লিষ্ট খণ্ড তৈরি করেছিলেন তা দেখেই এই এলাকার গুরুত্বের কথা স্পষ্ট বোঝা যায় ।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট থেকে নেয়া হয়েছে ।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: অসাধারন তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট ।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: দারুন তথ্যবহুল পোষ্ট, স্থানটি ঘুরে এসেছি, এখানে আমার পরিবারের ছবিও আছে। তবে একেবারেই অরক্ষিত ও অবহেলিত।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৯

blogermassud বলেছেন: ভালো লিখেছেন ।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩২

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমতকার মন্তবের জন্য ধন্যবাদ ।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২০

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২১

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: মোবাইলে পড়েছিলাম জেনে ভালো লাগল । :)

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু☺

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.