নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রেসাস বানর বা লাল বান্দর প্রাচীন বিশ্বের বানর প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত বানরবিশেষ। লাল বান্দর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের প্রাদেশিক প্রাণী হিসেবে পরিচিত।এ প্রজাতির বানরটি আইইউসিএন লাল তালিকায় ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ এবং ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত। বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সংখ্যায় এর বিস্তৃতি ঘটেছে এবং বাসস্থানের উপযোগী পরিবেশও বিদ্যমান। দক্ষিণ, মধ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহে তৃণভূমিসহ বনাঞ্চল এলাকার বৃক্ষের শাখাসমূহে এদেরকে দেখা যায়। তাছাড়াও, এরা মানব বসতির কাছাকাছি থাকতেও পছন্দ করে।মনস্তাত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, লাল বান্দর জটিল মানসিক সক্ষমতার অধিকারী। বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ, সাধারণ নিয়ম-কানুন প্রতিপালন, তাদের নিজস্ব মানসিক রাজ্যে বিচরণ করতে সক্ষম।এমনকি তারা নিজস্ব সচেতনতায়ও পারদর্শী।
স্তন্যপায়ী ও চতুষ্পদী লাল বান্দরের দেহ বাদামী অথবা ধূসর বর্ণের লোমে আচ্ছাদিত। মুখমণ্ডল ও পিছনের অংশ গোলাপী রঙের। এর লেজের দৈর্ঘ্য মাঝারী প্রকৃতির। লেজের দৈর্ঘ্য ২০.৭ সেন্টিমিটার থেকে ২২.৯ সেন্টিমিটারের মধ্যে ৮.১ থেকে ৯ ইঞ্চি হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বানরের দৈর্ঘ্য সাধারণতঃ গড়ে ৫৩ সেন্টিমিটার ২১ ইঞ্চি এবং ওজন প্রায় ৭.৭ কেজি ১৭ পাউন্ড হয়। স্ত্রীজাতীয় বানর আকারে পুরুষের তুলনায় ছোট হয়। গড়পড়তা দৈর্ঘ্য ৪৭ সে.মি. ১৯ ইঞ্চি এবং ওজন ৫.৩ কেজি ১২ পাউন্ড হয়। মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে এদের কশেরুকার সংখ্যা গড়ে ৫০টি। স্ত্রী-পুরুষ উভয়েরই দাঁতের সংখ্যা ৩২টি।বাংলাদেশ, ভারতের উত্তরাঞ্চল, পাকিস্তান, নেপাল, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, আফগানিস্তান, চীনের দক্ষিণাংশসহ কিছু প্রতিবেশী দেশসমূহে লাল বান্দরের আবাসস্থল। উন্মুক্ত এলাকা, তৃণভূমি, বনভূমি এমনকি পাহাড়-পর্বতের ২,৫০০ মিটার ৮,২০০ ফুট উচ্চ এলাকায়ও এদের আবাস রয়েছে। এরা নিয়মিতভাবে সাঁতার কেটে থাকে। বান্দর শাবকগুলো অল্প কিছুদিনের মধ্যে সাঁতারে অভ্যস্ত হয়ে উঠে। দ্বীপ এলাকায় প্রাপ্তবয়স্ক বানরগুলো অর্ধ-মাইলেরও বেশি দূরত্বের জায়গা সাঁতার কেটে অতিক্রমণ করতে পারে। কিন্তু প্রায়শঃই এদেরকে ছোট আকারের দলভূক্ত হয়ে খাবার পানি পানের উদ্দেশ্যে পানিতে পরে ডুবন্ত অবস্থায় দেখা যায়।
লাল বান্দর দ্বি-চারী প্রাণী হিসেবে বৃক্ষ এবং ভূমি - উভয় স্থানেই চলাচল করতে পারে। চতুষ্পদী প্রাণী হলেও এরা মানুষের ন্যায় হাঁটতে পারে। তৃণজীবি হিসেবে এরা প্রধানতঃ গাছের ফল খায়। এছাড়াও এদের খাদ্য তালিকায় বীজ, শিকড়, গাছের ছাল রয়েছে। হিসেব করে দেখা গেছে যে, ৪৬টি বানর প্রজাতি ৯৯টি বিভিন্ন গাছের নিয়মিত ভোক্তা। মৌসুমী ঋতুতে পছন্দসই পাকা ফল থেকে এরা প্রয়োজনীয় পানি গ্রহণ করে। নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে দূরে থাকে। গাছের পাতায় প্রাপ্ত শিশিরকণা ও বৃষ্টির পানির মাধ্যমে তৃষ্ণা নিবারণ করে।এছাড়াও, ঘাস ফড়িং, পিঁপড়াও এদের শিকারের অন্তর্ভুক্ত।লাল বান্দর কলহপ্রিয় জাতি। দলের প্রধান পুরুষ বানর অনুপ্রবেশকারীকে চোখ বড় বড় করে ও মুখ হা করে ভয় দেখায়। ভয় পেলে কাশির মত খক খক শব্দ করে ডাকে। তীব্র চিৎকার ও দাঁত বের করে একে অপরকে হুঁশিয়ার করে দেয়। দলের আকার ছোট থেকে বড় হতে পারে। আবাসস্থল ও খাদ্যের প্রাচুর্যের উপর ভিত্তি করে দলের সদস্যসংখ্যা ১০-৯০ পর্যন্ত হতে পারে। বন্য বানরের দল শহরাঞ্চলের দল থেকে অনেক বড় হয়। দলের প্রধান থাকে একটি প্রভাবশালী পুরুষ বানর। মানব বসতিতে বসবাসকারী বানরদের বিচরণের সীমা ১০-১০০ হেক্টর। কিন্তু বন্য বানরদের ক্ষেত্রে তা ৩০০-৪৯১ হেক্টর। দিনের ৬৫ ভাগ সময় এরা খাবার খোঁজা ও আহারের পেছনে ব্যয় করে।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩১
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৪
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বান্দরদের নিয়া আমার একটা পোষ্ট আছে, এখানে টোকা দিয়ে দেখতে পারেন
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: ঘুরে এসেছি আপনার পোস্টটিও চমৎকার হয়েছে ।
৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: বানরদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানলাম। এইবার মানর সম্পর্কে দু-চার জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: সময় হলে অবশ্যই জানবো ।
৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহারা বিনোদনের জন্য নাকি ভারতীয় সিরিয়াল পছন্দ করে?
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার কথা বলেছেন।
৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১
সাকিব ইফতেখার বলেছেন: জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
মামুন ইসলাম বলেছেন: জানার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৬| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:১০
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাাগছে
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩০
blogermassud বলেছেন: বানর সম্পকে জানা হলো ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: জানার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৫১
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বানরদের সম্পর্কে অনেক কিছই ধারনা বা জানা হলো ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
মামুন ইসলাম বলেছেন: বানরদের সম্পর্কে ধারনা নেয়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
৯| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:১২
লেখা পাগলা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে বান্দর সম্পর্কে লেখার জন্য ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ।
১০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
ঝালমুড়ি আলা বলেছেন: বানর নিয়ে অন্যরকম পোস্ট
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ অনেকদিন থেকেই আপনার কোন নতুন পোস্ট দেখছি না ।
১১| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১২
ওমেরা বলেছেন: বান্দর গবেষনা ভাল লাগল ধন্যবাদ ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১২| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৮
বিজন রয় বলেছেন: লাল বান্দর সম্পর্কে জানলাম।
প্রকৃতির এই প্রাণীটিকে কমবেশি সবাই পছন্দ করে বলে আমার মনে হয়।
এরা যেন হারিয়ে না যায় সেদিকে নজর রাখা জরুরী।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন: ধন্যবাদ বিজন ভাই ।
১৩| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০
টারজান০০০০৭ বলেছেন: এবার হুনুমানদের নিয়া একটা পোস্ট দেন , সাথে ব্লগের হনুমানদেরও রাইখেন !
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
মামুন ইসলাম বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: বানরদের আমার খুবই ভালোলাগে, ওরা লাল সাদা যাই হোক।