নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত ভীতির অবস্থা মানুষের কাছেও তাত তত প্রতিরোধ ব্যবস্থা। তবে অনেকক্ষেত্রেই তা আবার অনেক দুর্বল ও হয়। কিছু প্রতিরোধ ব্যবস্থা উপকারি হলেও অসাবধনতার কারনে এবং না জেনে অনেক সময় আমরা বিষধর সাপের মুখোমুখি হই।আর তাতে ঘটে যায় নানা দুর্ঘটনা।
এই বিশ্ব ভুবনে প্রায় ২ হাজার ৯শত প্রজাতির সাপ আছে। তার মধ্যে কিছু আছে একবারেই নির্বিষ। আবার কিছু আছে বিষধর এবং বিপজ্জনক সাপও। তেমনই কিছু সাপের সঙ্গে আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো
শঙ্খচূড়
শঙ্খচূড় বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর সাপ । আর শঙ্খচূড়ের কামড়ে যে বিষ উদগিরন হয় তাতে ২০ জন মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সকল বনাঞ্চলে এই শঙ্খচূড় সাপ দেখা যায়। ভুমি সমতল থেকে প্রায় ৬ ফুট মাথা উঁচু করে সামনে চলতে পারে এবং ছোবল দিতে পারে। একে সাধারণভাবে বলা হয় সাপখাদক। এই সাপটি ছোট আকৃতির অন্যান্য বিষধর সাপ খেয়ে থাকে। এই সাপের বিষ নিউরোটক্সিক যা স্নায়ুতন্ত্রে সরাসরি আঘাত করে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে এই সাপ বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
হলুদ অ্যানাকোন্ডা
হলুদ অ্যানাকোন্ডাকে দক্ষিণ আমেরিকার জলাভূমি এবং ক্রান্তীয় বৃষ্টি অরণ্যে বেশি দেখা যায়। হলুদ অ্যানাকোন্ডা সবুজ অ্যানাকোন্ডার চেয়ে আকারে ছোট। এটি সাধারণত ১৫ ফুট লম্বা হয়ে হয়ে থাকে। তার শক্তিশালী চোয়াল আর মাংসপেশী যেকোনো প্রাণীকে গিলে ফেলতে সাহায্য করে। তাকে পৃথিবীর অন্যতম মানুষখেকো বলা হয়।
ডেথ অ্যাডার
এই সাপটিধাতুমল এবং হলুদ রঙ যুক্ত হয়ে থাকে ।এটি বালি আর পাথুরে অঞ্চলে বিশেষত মরুভূমিতে বেশি দেখা যায়। অস্ট্রেলিয়ার পাথুরে মরুভূমিতে এটি বেশি দেখা যায়। এই সাপটির কালো লেজে তৈরি শব্দ দ্বারা বিভিন্ন প্রাণীকে আকৃষ্ট করে এবং কাছাকাছি আসা মাত্রই বিষাক্ত ছোবল মেরে থাকে। একে বিশ্বের অন্যতম বিষাক্ত সাপ হিসেবে পরিগণিত করা হয়। ডেথ অ্যাডারের বিষ নিউরোটক্সিক যার ফলে মৃত্যুর কারণ ৫০ শতাংশ।
পাইথন
পাইথন বা অজগর সাপ বিশ্বের অন্যতম বড় আকৃতির সাপ। এগুলো সাধারণত শিকারকে পেচিয়ে মেরে ফেলে। তারপর মাথার দিক থেকে আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে। এদের ডিমের খোলস বেশ চামড়া যুক্ত হয়ে থাকে এবং ডিম ফুটানোর পর মা সাপ তা পেঁচিয়ে ডিমের জন্য তাপ দেয়।
কালো মাম্বা
কালো মাম্বা হলো আফ্রিকার সবচেয়ে ভয়ানক বিষধর সাপ । এদেরকে আফ্রিকার বিস্তৃত অঞ্চল জুড়ে দেখা যায়। এটা বিশ্বের দ্বিতীয় বিষধর সাপ। শত্রুর অবস্থান আশেপাশে বোঝা মাত্রই এরা মরণঘাতী দংশন করে। এই সাপের একটি এন্ডেমিক প্রজাতি হলো কিং কোবরা বা শঙ্খচূড়। কালো মাম্বা এর নাম হলেও এর গায়ের রঙ জলপাই সবুজ রঙের।মোজাম্বিক কোবরা প্রায় আট ফুট বা ২.৪ মিটার দূরে বিষ নিক্ষেপ করতে পারে বলে এর অন্য নাম নিক্ষেপিত কোবরা। কোবরা সাপের মতোই এটি বিষধর সাপ। এর বিষ চোখে পড়লে অন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আফ্রিকান মাম্বা সাপের থেকে আত্মরক্ষার জন্য এই সাপ মাঝে মাঝে বিষ নিক্ষেপ করে থাকে।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
মামুন ইসলাম বলেছেন:
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১৫
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কালো মাম্বারা বিষ ছিটায় না। তবে স্পিলিটিং কোবরারা এটা ছিটায়।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৯
লেখা পাগলা বলেছেন: সাপের কথা শুনলে ভিশন ভয় পাই ।
১০ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: আপনারা এত ভয় পান কেন ?
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সাপ দেখলে ডর লাগে